মাত্র ১৬ হাজার ভোটের খেসারত দিচ্ছে টোরিরা!
যুক্তরাজ্যের গত সপ্তাহের নির্বাচনে মাত্র ২০টি আসনের জন্য সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেনি কনজারভেটিভ পার্টি। বিশ্লেষকেরা বলছেন, ১৯টি আসনে মাত্র ১৬ হাজার ভোট বেশি পেলে রক্ষণশীলদের এ অবস্থার মুখোমুখি হতে হতো না।
যুক্তরাজ্যে সরকার গঠনের জন্য কোনো দল বা জোটের পার্লামেন্টের ৬৫০ আসনের মধ্যে ৩২৬ আসন দরকার। বৃহস্পতিবারের নির্বাচনে ডেভিড ক্যামেরনের নেতৃত্বাধীন কনজারভেটিভ পার্টি পেয়েছে ৩০৬টি আসন। ক্ষমতাসীন লেবার পার্টি পেয়েছে ২৫৮ আর লিবারেল ডেমোক্র্যাটরা ৫৭টি আসন।
ভোটের সংখ্যায় টোরিরা বড় ব্যবধানেই জয়ী হয়েছে। লেবার পার্টির চেয়ে তারা ২০ লাখেরও বেশি ভোট পেয়েছে। সানডে টাইমস-এ প্রকাশিত বিশ্লেষণে প্লিমাউথ ইউনিভার্সিটির নির্বাচনী কেন্দ্রের পরিচালক কলিন র্যালিংস ও মাইকেল থ্র্যাশার বলেন, ‘ডেভিড ক্যামেরন চূড়ান্ত বিজয়ের খুবই কাছাকাছি চলে গিয়েছিলেন। হেরে যাওয়া ১৯টি আসনে টোরিরা জয়ের দ্বারপ্রান্তেই ছিল। কিন্তু মাত্র ১৬ হাজার ভোটের কারণে তা হলো না। এই ভোটগুলো টোরিরা পেলে সরকার গঠনের জন্য আমাদের আর অপেক্ষা করতে হতো না; নানা গুঞ্জনও ছড়াত না।’
বিশ্লেষক দুজন বলেছেন, ফলাফল থেকে দেখা যায়, লেবার দল অব্যাহতভাবে এক ধরনের ‘পক্ষপাতমূলক’ এই নির্বাচনী ব্যবস্থার সুবিধা পাচ্ছে। কম ভোটারের ‘ইনার সিটি’ আসন ও কম ভোট পড়েছে এমন এলাকায় ভালো করেছে তারা। বৃহস্পতিবারের ভোটে ১৯৭৪ সালের পর থেকে প্রথম ঝুলন্ত পার্লামেন্ট হয়েছে যুক্তরাজ্যে। এ ঘটনায় দেশটির ‘ফার্স্ট-পাস্ট-দ্য-পোস্ট’ নির্বাচনী পদ্ধতি আবার আলোচনায় উঠে আসে। এই পদ্ধতিতে একটি আসনে একটি নির্দিষ্টসংখ্যক ভোট যে আগে পাবেন, তাঁকে বিজয়ী ধরা হয়।
বিশ্লেষণে র্যালিংস ও থ্র্যাশার আরও বলেন, লেবার পার্টি যেসব আসনে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ ভোট পেয়েছে, সেসব আসনের ৩৯ শতাংশ ক্ষেত্রেই তারা জয়ী হয়েছে। কিন্তু একই সংখ্যক ভোট পেয়ে টোরিরা জয়ী হয়েছে মাত্র ২৬ শতাংশ ক্ষেত্রে। অন্যদিকে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে লিবারেল ডেমোক্র্যাটরা। তারা দেশব্যাপী শুধু ‘নষ্ট ভোট’ কুড়িয়েছে। ৩০ থেকে ৪০ ভাগ ভোট পাওয়া প্রতি আট আসনের মাত্র একটিতে জয়ী হয়েছে লিভ ডেম।
এবার ৩ দশমিক ১ শতাংশ ভোটারের রায় গেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বিরোধী দল ইউনাইটেড কিংডম ইনডিপেন্ডেন্স পার্টিতে (ইউকেআইপি)। বিশ্লেষকদ্বয়ের মতে, এই ভোট কনজারভেটিভ পার্টি পেলে নির্বাচনের ফল অন্যরকম হতে পারত। যে ১৯টি আসনে কনজারভেটিভ পার্টি অল্পের জন্য হেরে গেছে, সেখানে ইউকেআইপির পাওয়া অর্ধেক ভোটও তারা পেলে ডেভিড ক্যামেরন অন্তত দুটি আসনের সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারতেন।
দুই নির্বাচনী বিশ্লেষক আরও বলেছেন, চলমান অচলাবস্থা নিরসনে যদি নতুন করে নির্বাচন হয় এবং লেবার পার্টির ১ দশমিক ৮ শতাংশ ভোটার তাঁদের মত পাল্টান, তাহলে কনজারভেটিভ পার্টি সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারবে। আর ২ দশমিক ৫ শতাংশ ভোটার মত পরিবর্তন করলে টোরিরা ২০টি আসন বেশি পাবে।
যুক্তরাজ্যে সরকার গঠনের জন্য কোনো দল বা জোটের পার্লামেন্টের ৬৫০ আসনের মধ্যে ৩২৬ আসন দরকার। বৃহস্পতিবারের নির্বাচনে ডেভিড ক্যামেরনের নেতৃত্বাধীন কনজারভেটিভ পার্টি পেয়েছে ৩০৬টি আসন। ক্ষমতাসীন লেবার পার্টি পেয়েছে ২৫৮ আর লিবারেল ডেমোক্র্যাটরা ৫৭টি আসন।
ভোটের সংখ্যায় টোরিরা বড় ব্যবধানেই জয়ী হয়েছে। লেবার পার্টির চেয়ে তারা ২০ লাখেরও বেশি ভোট পেয়েছে। সানডে টাইমস-এ প্রকাশিত বিশ্লেষণে প্লিমাউথ ইউনিভার্সিটির নির্বাচনী কেন্দ্রের পরিচালক কলিন র্যালিংস ও মাইকেল থ্র্যাশার বলেন, ‘ডেভিড ক্যামেরন চূড়ান্ত বিজয়ের খুবই কাছাকাছি চলে গিয়েছিলেন। হেরে যাওয়া ১৯টি আসনে টোরিরা জয়ের দ্বারপ্রান্তেই ছিল। কিন্তু মাত্র ১৬ হাজার ভোটের কারণে তা হলো না। এই ভোটগুলো টোরিরা পেলে সরকার গঠনের জন্য আমাদের আর অপেক্ষা করতে হতো না; নানা গুঞ্জনও ছড়াত না।’
বিশ্লেষক দুজন বলেছেন, ফলাফল থেকে দেখা যায়, লেবার দল অব্যাহতভাবে এক ধরনের ‘পক্ষপাতমূলক’ এই নির্বাচনী ব্যবস্থার সুবিধা পাচ্ছে। কম ভোটারের ‘ইনার সিটি’ আসন ও কম ভোট পড়েছে এমন এলাকায় ভালো করেছে তারা। বৃহস্পতিবারের ভোটে ১৯৭৪ সালের পর থেকে প্রথম ঝুলন্ত পার্লামেন্ট হয়েছে যুক্তরাজ্যে। এ ঘটনায় দেশটির ‘ফার্স্ট-পাস্ট-দ্য-পোস্ট’ নির্বাচনী পদ্ধতি আবার আলোচনায় উঠে আসে। এই পদ্ধতিতে একটি আসনে একটি নির্দিষ্টসংখ্যক ভোট যে আগে পাবেন, তাঁকে বিজয়ী ধরা হয়।
বিশ্লেষণে র্যালিংস ও থ্র্যাশার আরও বলেন, লেবার পার্টি যেসব আসনে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ ভোট পেয়েছে, সেসব আসনের ৩৯ শতাংশ ক্ষেত্রেই তারা জয়ী হয়েছে। কিন্তু একই সংখ্যক ভোট পেয়ে টোরিরা জয়ী হয়েছে মাত্র ২৬ শতাংশ ক্ষেত্রে। অন্যদিকে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে লিবারেল ডেমোক্র্যাটরা। তারা দেশব্যাপী শুধু ‘নষ্ট ভোট’ কুড়িয়েছে। ৩০ থেকে ৪০ ভাগ ভোট পাওয়া প্রতি আট আসনের মাত্র একটিতে জয়ী হয়েছে লিভ ডেম।
এবার ৩ দশমিক ১ শতাংশ ভোটারের রায় গেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বিরোধী দল ইউনাইটেড কিংডম ইনডিপেন্ডেন্স পার্টিতে (ইউকেআইপি)। বিশ্লেষকদ্বয়ের মতে, এই ভোট কনজারভেটিভ পার্টি পেলে নির্বাচনের ফল অন্যরকম হতে পারত। যে ১৯টি আসনে কনজারভেটিভ পার্টি অল্পের জন্য হেরে গেছে, সেখানে ইউকেআইপির পাওয়া অর্ধেক ভোটও তারা পেলে ডেভিড ক্যামেরন অন্তত দুটি আসনের সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারতেন।
দুই নির্বাচনী বিশ্লেষক আরও বলেছেন, চলমান অচলাবস্থা নিরসনে যদি নতুন করে নির্বাচন হয় এবং লেবার পার্টির ১ দশমিক ৮ শতাংশ ভোটার তাঁদের মত পাল্টান, তাহলে কনজারভেটিভ পার্টি সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারবে। আর ২ দশমিক ৫ শতাংশ ভোটার মত পরিবর্তন করলে টোরিরা ২০টি আসন বেশি পাবে।
No comments