আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা উচিত - ধর্মঘট ও জনদুর্ভোগ
শুক্রবার
সকাল থেকে হঠাৎ আংশিক নৌ-ধর্মঘট শুরু হয়। রোববার থেকে শুরু হয়
পেট্রলপাম্প মালিক-শ্রমিকদের অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট। ইতিমধ্যে পেট্রলপাম্প
ধর্মঘট স্থগিত করা হয়েছে এবং হয়তো অচিরেই নৌ-ধর্মঘটের অবসান হবে। কিন্তু
সাধারণ মানুষের যে ভোগান্তি হবে, তা অবর্ণনীয়। এর আগে ১৬ থেকে ২০ মার্চ
নৌ-ধর্মঘট হয়েছে। এরপর শ্রমিক-মালিক ও সরকারপক্ষের মধ্যে আলোচনায় একটা
মীমাংসা হয়। ৩০ এপ্রিলের মধ্যে বেতনকাঠামো নির্ধারণের সিদ্ধান্ত হয়। মূলত
মালিক ও শ্রমিকপক্ষের মধ্যে বোঝাপড়ার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান হওয়া উচিত
ছিল। আলোচনা ফলপ্রসূ করার ক্ষেত্রে সরকারের ভূমিকা থাকতে পারে। কিন্তু সেটা
হবে নিতান্তই সহায়তাকারীর ভূমিকা।
কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, সরকার নিজেই মূল সিদ্ধান্তকারীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। নৌপরিবহনমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলন করে জানিয়েছেন, শ্রমিকদের বেতন ৫০ থেকে ১০০ শতাংশ, বাড়িভাড়া ১৩৩ শতাংশ ও ধোলাই-ভাতা ১৫০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। এ মজুরিকাঠামো ২০০৯ সালের জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে এবং এটা পাঁচ বছর পর্যন্ত স্থায়ী হবে বলে জানানো হয়েছে। শ্রমিকেরা এতে সন্তুষ্ট নন। বেতন-ভাতা এত বাড়ানোর পরও যদি সেটা যথেষ্ট না হয়ে থাকে, তাহলে আরও আলোচনা করা যেত। কিন্তু তা না করে সরকার পুলিশি ব্যবস্থা নিতে গেল কেন? সরকারি দলের সমর্থক শ্রমিকদের সাহায্যে ধর্মঘট ভাঙার চেষ্টা করে হয়তো আংশিক লঞ্চ চলাচলের ব্যবস্থা করা সম্ভব, কিন্তু এটা কোনো সমাধান নয়।
বেতন-ভাতা কত শতাংশ বাড়ানো হয়েছে, সেটা বড় কথা নয়। এ বৃদ্ধির ফলে শ্রমিকদের মোট প্রাপ্তি কত এবং সেটা চলতি বাজারদরে একটি পরিবারের মোটামুটি খেয়ে-পরে চলার মতো কি না, তা দেখতে হবে। এখানে বল প্রয়োগ পরিস্থিতিকে খারাপের দিকেই ঠেলে দেবে। মন্ত্রী মহোদয়ের কথায় মনে হয়, সরকার একটি পক্ষ নিয়ে কথা বলছে। মন্ত্রী বলছেন, চাপ দিলে মালিকেরা ভাড়া বাড়িয়ে দেবেন, এর ফল ভোগ করতে হবে যাত্রীদের। এ ধরনের কথায় মালিকেরা ভাড়া বাড়ানোর অজুহাত পান। অযৌক্তিকভাবে ভাড়া যেন না বাড়ানো হয়, সেটা সরকারকেই দেখতে হবে। একই সঙ্গে ভাড়া কম বা আয় কম—এ ধরনের কথা বলে শ্রমিকদের যেন অযৌক্তিকভাবে কম মজুরিতে শ্রম দিতে বাধ্য করা না হয়, সেটাও সরকারকে দেখতে হবে।
বারবার ধর্মঘট শুধু যাত্রীদেরই ভোগায় না, শ্রমিকদেরও পথে বসায়। এ কথাটা শ্রমিকদের চেয়ে আর কেউ ভালো বোঝে না। তাই তাঁদের গ্রেপ্তার না করে বরং আলোচনার টেবিলে আনা দরকার। শ্রমিকদেরও বোঝা দরকার যে আলোচনার পথেই অনেক সমস্যার সমাধান সম্ভব।
পেট্রলপাম্প মালিক-শ্রমিকদের ধর্মঘটের ব্যাপারটাও অনেকটা সে রকম। মূলত জ্বালানি তেল বিক্রির কমিশন বাড়ানোর কথা বলে তাঁরা ১২ এপ্রিল বলেছিলেন, দাবি না মানলে ধর্মঘট। তাঁদের অন্য কিছু দাবিও আছে। কিন্তু সরকার এত দিন কী করল? ধর্মঘট কেন অবধারিত করে তোলা হলো? পেট্রলপাম্প বন্ধ মানে বাস-ট্রাকসহ সব ধরনের যানবাহনের একটি বড় অংশই বন্ধ। এতে যে শুধু জনদুর্ভোগই বাড়ে তা নয়, পণ্য পরিবহনও বাধাগ্রস্ত হয়। বাজারে জিনিসপত্রের দাম বাড়ে।
পরিবহন খাতে কোনো ধরনের ধর্মঘট কাম্য নয়। আলোচনার মাধ্যমে সব সমস্যার সমাধান করতে হবে।
কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, সরকার নিজেই মূল সিদ্ধান্তকারীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। নৌপরিবহনমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলন করে জানিয়েছেন, শ্রমিকদের বেতন ৫০ থেকে ১০০ শতাংশ, বাড়িভাড়া ১৩৩ শতাংশ ও ধোলাই-ভাতা ১৫০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। এ মজুরিকাঠামো ২০০৯ সালের জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে এবং এটা পাঁচ বছর পর্যন্ত স্থায়ী হবে বলে জানানো হয়েছে। শ্রমিকেরা এতে সন্তুষ্ট নন। বেতন-ভাতা এত বাড়ানোর পরও যদি সেটা যথেষ্ট না হয়ে থাকে, তাহলে আরও আলোচনা করা যেত। কিন্তু তা না করে সরকার পুলিশি ব্যবস্থা নিতে গেল কেন? সরকারি দলের সমর্থক শ্রমিকদের সাহায্যে ধর্মঘট ভাঙার চেষ্টা করে হয়তো আংশিক লঞ্চ চলাচলের ব্যবস্থা করা সম্ভব, কিন্তু এটা কোনো সমাধান নয়।
বেতন-ভাতা কত শতাংশ বাড়ানো হয়েছে, সেটা বড় কথা নয়। এ বৃদ্ধির ফলে শ্রমিকদের মোট প্রাপ্তি কত এবং সেটা চলতি বাজারদরে একটি পরিবারের মোটামুটি খেয়ে-পরে চলার মতো কি না, তা দেখতে হবে। এখানে বল প্রয়োগ পরিস্থিতিকে খারাপের দিকেই ঠেলে দেবে। মন্ত্রী মহোদয়ের কথায় মনে হয়, সরকার একটি পক্ষ নিয়ে কথা বলছে। মন্ত্রী বলছেন, চাপ দিলে মালিকেরা ভাড়া বাড়িয়ে দেবেন, এর ফল ভোগ করতে হবে যাত্রীদের। এ ধরনের কথায় মালিকেরা ভাড়া বাড়ানোর অজুহাত পান। অযৌক্তিকভাবে ভাড়া যেন না বাড়ানো হয়, সেটা সরকারকেই দেখতে হবে। একই সঙ্গে ভাড়া কম বা আয় কম—এ ধরনের কথা বলে শ্রমিকদের যেন অযৌক্তিকভাবে কম মজুরিতে শ্রম দিতে বাধ্য করা না হয়, সেটাও সরকারকে দেখতে হবে।
বারবার ধর্মঘট শুধু যাত্রীদেরই ভোগায় না, শ্রমিকদেরও পথে বসায়। এ কথাটা শ্রমিকদের চেয়ে আর কেউ ভালো বোঝে না। তাই তাঁদের গ্রেপ্তার না করে বরং আলোচনার টেবিলে আনা দরকার। শ্রমিকদেরও বোঝা দরকার যে আলোচনার পথেই অনেক সমস্যার সমাধান সম্ভব।
পেট্রলপাম্প মালিক-শ্রমিকদের ধর্মঘটের ব্যাপারটাও অনেকটা সে রকম। মূলত জ্বালানি তেল বিক্রির কমিশন বাড়ানোর কথা বলে তাঁরা ১২ এপ্রিল বলেছিলেন, দাবি না মানলে ধর্মঘট। তাঁদের অন্য কিছু দাবিও আছে। কিন্তু সরকার এত দিন কী করল? ধর্মঘট কেন অবধারিত করে তোলা হলো? পেট্রলপাম্প বন্ধ মানে বাস-ট্রাকসহ সব ধরনের যানবাহনের একটি বড় অংশই বন্ধ। এতে যে শুধু জনদুর্ভোগই বাড়ে তা নয়, পণ্য পরিবহনও বাধাগ্রস্ত হয়। বাজারে জিনিসপত্রের দাম বাড়ে।
পরিবহন খাতে কোনো ধরনের ধর্মঘট কাম্য নয়। আলোচনার মাধ্যমে সব সমস্যার সমাধান করতে হবে।
No comments