আবাহনীর জয়ের অর্ধশতক
একটা মাইলফলকে পা রাখল আবাহনী ফুটবল দল। পেশাদার ফুটবল লিগে কাল তারা পেয়েছে ৫০তম জয়। ব্রাদার্সের বিপক্ষে অনেক সুযোগ নষ্ট করেও ৪-০ ব্যবধানের জয়টা আবাহনীর হ্যাটট্রিক শিরোপা প্রায় নিশ্চিত করে দিল।
২১ ম্যাচে ৬১ পয়েন্টের মালিক আবাহনীর বাকি তিন ম্যাচে দরকার চার পয়েন্ট। এক ম্যাচ কম খেলে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোহামেডানের পয়েন্ট ৫২। সমীকরণ দাঁড়াচ্ছে, শেষ তিন ম্যাচের দুটিতে হেরে শুধু শেষ ম্যাচে মোহামেডানকে হারালেই আবাহনী চ্যাম্পিয়ন।
অত অপেক্ষার দরকার হবে না, যদি মোহামেডান তাদের শেষ চার ম্যাচের প্রথম তিনটিতে চার পয়েন্ট হারায়, তাহলে শেষ তিন ম্যাচে কোনো পয়েন্ট না পেলেও শিরোপা আবাহনীরই থাকবে।
আবাহনী তাই মাঠে অনেকটা নির্ভার। এবারের লিগটা এমন হচ্ছে, ছোট দলগুলোর সঙ্গে আবাহনী জিতছে হেসেখেলে। ফিরতি পর্বে তো আবাহনী ‘দুর্বার’, গোলও করছে বেশি। প্রথম পর্বের ১২ ম্যাচে গোল মাত্র ২২, খেয়েছে ১টি। ফিরতি পর্বে ৯ ম্যাচেই ৩৪ গোল, খেয়েছে ৩টি।
এই আবাহনীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়তে পারবে না ব্রাদার্স, এটাই স্বাভাবিক। আগের ম্যাচেই অবনমন এড়ানো (২০ ম্যাচে ২১ পয়েন্ট ছিল) নিশ্চিত করে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ঢাকঢোল এনে ‘বিজয় উৎসব’ করেছে ব্রাদার্স। এ ম্যাচ হারলেও ক্ষতি নেই—এটা ভেবেই তারা ছিল স্বস্তিতে। আর মাঠে নেমেছে যতটা সম্ভব কম গোল খেতে।
গরমের মধ্যে খেলতে নেমে কিছু সময় পরই হাঁফিয়ে উঠল ব্রাদার্স। আবাহনীকে রুখে দেওয়ার সামর্থ্য তাদের ছিল না। টেকনিক ও স্কিলে আবাহনী বুঝিয়ে দিয়েছে দুই দলের তফাৎটা।
শেরিফ, এনামুল, ইব্রাহিম—তিন স্ট্রাইকারের মধ্যে সফল শেরিফ। এদিন দুই গোল করে নিজের গোল-সংখ্যা নিয়ে গেছেন সর্বোচ্চ ১৮তে। এক গোল করা এনামুলেরও ১৮ গোল হলো। আবাহনীর বাকি গোলটি করেছেন আবুল। বদলি হিসেবে মাঠে নেমেই ৮০ মিনিটে ৪-০ করে দেন দলে অনিয়মিত হয়ে পড়া এই মিডফিল্ডার।
আবাহনীকে ১১ মিনিটে প্রথম গোল এনে দেন শেরিফ। গড়ানো শটে সহজ গোল। ১৮ মিনিটে প্রায় একইভাবে এনামুলের কল্যাণে ২-০। বিরতির খানিক আগে শেরিফ ৩-০ করলেন আতিকুরের ক্রসে হেড করে।
এবারের লিগে ২১ ম্যাচে আবাহনীর এটি ২০তম জয়। প্রথম পেশাদার লিগে ২০ ম্যাচের মধ্যে আবাহনী জিতেছিল ১৪ ম্যাচ। ড্র ৫, হার এক। দ্বিতীয় পেশাদার লিগে তাদের অবস্থান ছিল ১৬ জয়, ২ ড্র, ২ হার। আবাহনী টানা ৩২ ম্যাচ অপরাজিত। মোহামেডান পেশাদার লিগে ৬০ ম্যাচ খেলে জিতেছে ৪০ ম্যাচ, ড্র ১৭, হার ৩।
আবাহনীর এখন সুখের সময়। মাঠে চাপ নেই, ব্রাদার্সের বিপক্ষে একপর্যায়ে তো দুই সেরা অস্ত্র শেরিফ আর ইব্রাহিমকে তুলে নেওয়া হলো। পরশু থেকে ঢাকায় শুরু চার দলের তৃতীয় প্রেসিডেন্টস কাপ আয়োজন নিয়েছে এখন ব্যাস্ত আবাহনী।
শুকতারার ড্র: ইদ্রিসের দুই গোলে এগিয়ে যাওয়া রহমতগঞ্জকে কাল নিজেদের মাঠে রুখে দিয়েছে নারায়ণগঞ্জ শুকতারা (২-২)। রেজাউল আর মেহেদির দুই গোলে মূল্যবান পয়েন্ট পেয়ে লিগ টেবিলে নিচের দিক থেকে দ্বিতীয় স্থানে উঠল শুকতারা। ২০ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ১৪, সমান ম্যাচে রহমতগঞ্জের ২০।
২১ ম্যাচে ৬১ পয়েন্টের মালিক আবাহনীর বাকি তিন ম্যাচে দরকার চার পয়েন্ট। এক ম্যাচ কম খেলে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোহামেডানের পয়েন্ট ৫২। সমীকরণ দাঁড়াচ্ছে, শেষ তিন ম্যাচের দুটিতে হেরে শুধু শেষ ম্যাচে মোহামেডানকে হারালেই আবাহনী চ্যাম্পিয়ন।
অত অপেক্ষার দরকার হবে না, যদি মোহামেডান তাদের শেষ চার ম্যাচের প্রথম তিনটিতে চার পয়েন্ট হারায়, তাহলে শেষ তিন ম্যাচে কোনো পয়েন্ট না পেলেও শিরোপা আবাহনীরই থাকবে।
আবাহনী তাই মাঠে অনেকটা নির্ভার। এবারের লিগটা এমন হচ্ছে, ছোট দলগুলোর সঙ্গে আবাহনী জিতছে হেসেখেলে। ফিরতি পর্বে তো আবাহনী ‘দুর্বার’, গোলও করছে বেশি। প্রথম পর্বের ১২ ম্যাচে গোল মাত্র ২২, খেয়েছে ১টি। ফিরতি পর্বে ৯ ম্যাচেই ৩৪ গোল, খেয়েছে ৩টি।
এই আবাহনীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়তে পারবে না ব্রাদার্স, এটাই স্বাভাবিক। আগের ম্যাচেই অবনমন এড়ানো (২০ ম্যাচে ২১ পয়েন্ট ছিল) নিশ্চিত করে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ঢাকঢোল এনে ‘বিজয় উৎসব’ করেছে ব্রাদার্স। এ ম্যাচ হারলেও ক্ষতি নেই—এটা ভেবেই তারা ছিল স্বস্তিতে। আর মাঠে নেমেছে যতটা সম্ভব কম গোল খেতে।
গরমের মধ্যে খেলতে নেমে কিছু সময় পরই হাঁফিয়ে উঠল ব্রাদার্স। আবাহনীকে রুখে দেওয়ার সামর্থ্য তাদের ছিল না। টেকনিক ও স্কিলে আবাহনী বুঝিয়ে দিয়েছে দুই দলের তফাৎটা।
শেরিফ, এনামুল, ইব্রাহিম—তিন স্ট্রাইকারের মধ্যে সফল শেরিফ। এদিন দুই গোল করে নিজের গোল-সংখ্যা নিয়ে গেছেন সর্বোচ্চ ১৮তে। এক গোল করা এনামুলেরও ১৮ গোল হলো। আবাহনীর বাকি গোলটি করেছেন আবুল। বদলি হিসেবে মাঠে নেমেই ৮০ মিনিটে ৪-০ করে দেন দলে অনিয়মিত হয়ে পড়া এই মিডফিল্ডার।
আবাহনীকে ১১ মিনিটে প্রথম গোল এনে দেন শেরিফ। গড়ানো শটে সহজ গোল। ১৮ মিনিটে প্রায় একইভাবে এনামুলের কল্যাণে ২-০। বিরতির খানিক আগে শেরিফ ৩-০ করলেন আতিকুরের ক্রসে হেড করে।
এবারের লিগে ২১ ম্যাচে আবাহনীর এটি ২০তম জয়। প্রথম পেশাদার লিগে ২০ ম্যাচের মধ্যে আবাহনী জিতেছিল ১৪ ম্যাচ। ড্র ৫, হার এক। দ্বিতীয় পেশাদার লিগে তাদের অবস্থান ছিল ১৬ জয়, ২ ড্র, ২ হার। আবাহনী টানা ৩২ ম্যাচ অপরাজিত। মোহামেডান পেশাদার লিগে ৬০ ম্যাচ খেলে জিতেছে ৪০ ম্যাচ, ড্র ১৭, হার ৩।
আবাহনীর এখন সুখের সময়। মাঠে চাপ নেই, ব্রাদার্সের বিপক্ষে একপর্যায়ে তো দুই সেরা অস্ত্র শেরিফ আর ইব্রাহিমকে তুলে নেওয়া হলো। পরশু থেকে ঢাকায় শুরু চার দলের তৃতীয় প্রেসিডেন্টস কাপ আয়োজন নিয়েছে এখন ব্যাস্ত আবাহনী।
শুকতারার ড্র: ইদ্রিসের দুই গোলে এগিয়ে যাওয়া রহমতগঞ্জকে কাল নিজেদের মাঠে রুখে দিয়েছে নারায়ণগঞ্জ শুকতারা (২-২)। রেজাউল আর মেহেদির দুই গোলে মূল্যবান পয়েন্ট পেয়ে লিগ টেবিলে নিচের দিক থেকে দ্বিতীয় স্থানে উঠল শুকতারা। ২০ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ১৪, সমান ম্যাচে রহমতগঞ্জের ২০।
No comments