গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ কমাবে না চীন
চীনের জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক শীর্ষ মধ্যস্থতাকারী সু ওয়েই বলেছেন, এখনই গ্রিনহাউস গ্যাসের নিঃসরণের মাত্রা কমানোর আগ্রহ নেই তাঁর দেশের সরকারের। গতকাল বৃহস্পতিবার চীনের রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত পত্রিকা চায়না ডেইলি এ খবর জানিয়েছে। গত বছর ডেনমার্কের কোপেনহেগেনে জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক সম্মেলনে চীনের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সু।
সুকে উদ্ধৃত করে পত্রিকাটি জানায়, বেইজিংয়ের কার্বন নিঃসরণ বাড়াতে হবে, কারণ দেশের অর্থনীতি এখনো উন্নয়নশীল পর্যায়ে রয়েছে। বর্তমান পর্যায়ে চীনের পক্ষে গ্রিনহাউস গ্যাসের নিঃসরণের ক্ষেত্রে কোনো সীমা বেঁধে দেওয়া সম্ভব নয় এবং তা করা উচিতও নয়। তবে তিনি বলেছেন, চীন তার অর্থনীতিকে আরও জ্বালানি-দক্ষভাবে গড়ে তোলার ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
এর আগে বেইজিং আশ্বাস দেয়, তারা ২০২০ সাল নাগাদ গ্রিনহাউস গ্যাসের নিঃসরণ ২০০৫ সালের তুলনায় ৪০ থেকে ৪৫ শতাংশ কমিয়ে আনবে। সু বলেন, এ আশ্বাসের বাস্তবায়ন চীনের আগামী দুটি পঞ্চবার্ষিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন পরিকল্পনার অবিচ্ছেদ্য অংশ।
প্রেসিডেন্ট হু জিনতাও কমিউনিস্ট পার্টির একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার গুরুত্ব অনুধাবন করার ব্যাপারে আহ্বান জানানোর পরদিন সু এই বক্তব্য দিলেন।
তবে গত বুধবার ইন্দোনেশিয়ার বালিতে জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মসূচির (ইউএনইপি) বার্ষিক বৈঠকে উপস্থাপিত প্রতিবেদনে বলা হয়, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় কোপেনহেগেন সম্মেলনে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পর্যাপ্ত নয়। ইউএনইপির পরিচালক আদ্রিয়ান স্টেইনার বলেন, ‘কারও ভাবা উচিত নয়, ওই সম্মেলনের প্রতিশ্রুতি পর্যাপ্ত। বৈশ্বিক তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে দেশগুলোকে কার্বন গ্যাস নিঃসরণের মাত্রা আরও কমিয়ে আনতে হবে।’
কোপেনহেগেন সম্মেলনে কোনো আইনি বাধ্যবাধকতাযুক্ত চুক্তি করার ক্ষেত্রে বেইজিংয়ের বিরোধিতার সমালোচনা করে ব্রিটেন ও অন্য দেশগুলো। এ ব্যাপারে চীনের জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক রাষ্ট্রদূত ইয়ু কুইংতাইয়ের বরাত দিয়ে গতকাল চায়না মর্নিং পোস্ট পত্রিকা জানায়, বৈশ্বিক উষ্ণায়ন ঠেকাতে নির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে উন্নত ও উন্নয়নশীল বিশ্বের মতোবিরোধ কাটিয়ে ওঠার সম্ভাবনা কম।
সুকে উদ্ধৃত করে পত্রিকাটি জানায়, বেইজিংয়ের কার্বন নিঃসরণ বাড়াতে হবে, কারণ দেশের অর্থনীতি এখনো উন্নয়নশীল পর্যায়ে রয়েছে। বর্তমান পর্যায়ে চীনের পক্ষে গ্রিনহাউস গ্যাসের নিঃসরণের ক্ষেত্রে কোনো সীমা বেঁধে দেওয়া সম্ভব নয় এবং তা করা উচিতও নয়। তবে তিনি বলেছেন, চীন তার অর্থনীতিকে আরও জ্বালানি-দক্ষভাবে গড়ে তোলার ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
এর আগে বেইজিং আশ্বাস দেয়, তারা ২০২০ সাল নাগাদ গ্রিনহাউস গ্যাসের নিঃসরণ ২০০৫ সালের তুলনায় ৪০ থেকে ৪৫ শতাংশ কমিয়ে আনবে। সু বলেন, এ আশ্বাসের বাস্তবায়ন চীনের আগামী দুটি পঞ্চবার্ষিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন পরিকল্পনার অবিচ্ছেদ্য অংশ।
প্রেসিডেন্ট হু জিনতাও কমিউনিস্ট পার্টির একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার গুরুত্ব অনুধাবন করার ব্যাপারে আহ্বান জানানোর পরদিন সু এই বক্তব্য দিলেন।
তবে গত বুধবার ইন্দোনেশিয়ার বালিতে জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মসূচির (ইউএনইপি) বার্ষিক বৈঠকে উপস্থাপিত প্রতিবেদনে বলা হয়, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় কোপেনহেগেন সম্মেলনে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পর্যাপ্ত নয়। ইউএনইপির পরিচালক আদ্রিয়ান স্টেইনার বলেন, ‘কারও ভাবা উচিত নয়, ওই সম্মেলনের প্রতিশ্রুতি পর্যাপ্ত। বৈশ্বিক তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে দেশগুলোকে কার্বন গ্যাস নিঃসরণের মাত্রা আরও কমিয়ে আনতে হবে।’
কোপেনহেগেন সম্মেলনে কোনো আইনি বাধ্যবাধকতাযুক্ত চুক্তি করার ক্ষেত্রে বেইজিংয়ের বিরোধিতার সমালোচনা করে ব্রিটেন ও অন্য দেশগুলো। এ ব্যাপারে চীনের জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক রাষ্ট্রদূত ইয়ু কুইংতাইয়ের বরাত দিয়ে গতকাল চায়না মর্নিং পোস্ট পত্রিকা জানায়, বৈশ্বিক উষ্ণায়ন ঠেকাতে নির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে উন্নত ও উন্নয়নশীল বিশ্বের মতোবিরোধ কাটিয়ে ওঠার সম্ভাবনা কম।
No comments