ভারত-পাকিস্তান বৈঠকে যোগাযোগ বজায় রাখার ঘোষণা
ভারত-পাকিস্তান পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠকে যোগাযোগ বজায়রাখার কথা জানিয়েছে দুপক্ষ। এই বৈঠককে আস্থা ফিরিয়ে আনার প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করেছে নয়াদিল্লি। অন্যদিকে ইসলামাবাদ বলেছে, মুম্বাই হামলাকে আলোচনার কেন্দ্রে রাখাটা অযৌক্তিক, অবাস্তব। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানী নয়াদিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্রসচিব নিরুপমা রাও ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব সালমান বশিরের মধ্যে তিন ঘণ্টাব্যাপী এক বৈঠক হয়। ২০০৮ সালের নভেম্বরে মুম্বাই হামলার পর পরমাণু শক্তিধর দুই দেশের মধ্যে এটাই প্রথম সরকারি আলোচনা।
বৈঠক শেষে নিরুপমা রাও সাংবাদিকদের বলেন, ‘পারস্পরিক আস্থা ফিরিয়ে আনার প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে এই বৈঠক করেছি আমরা। ২০০৪ সালে শুরু হওয়া সার্বিক আলোচনার ফলকে আমরা খাটো করে দেখছি না। তবে ওই সামগ্রিক আলোচনা শুরুর উপযুক্ত সময় এখনো আসেনি। প্রথমে আমাদের মধ্যে আস্থা ও বিশ্বাসের পরিবেশ তৈরি করতে হবে।’ পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব বশির বলেন, ‘আমাদের দৃষ্টিতে মুম্বাই হামলাকে (আলোচনার) কেন্দ্রে রাখাটা অযৌক্তিক, অবাস্তব এবং তা দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের ক্ষেত্র বাড়ানোর জন্য নেতিবাচক ভূমিকা রাখবে।’
কর্মকর্তারা জানান, প্রায় ৯০ মিনিট একান্ত বৈঠকের পর দুই দেশের সচিব তাঁদের প্রতিনিধি দলের সদস্যদের নিয়ে আলোচনায় বসেন। আলোচনায় পাকিস্তানের ভূমি থেকে ভারতের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনার বিষয়টি গুরুত্ব দেয় নয়াদিল্লি। অন্যদিকে পাকিস্তান কাশ্মির সংকটসহ বিভিন্ন বিষয়ে স্থগিত হয়ে থাকা সামগ্রিক আলোচনা আবার শুরু করার বিষয়ে জোর দেয়।
নিরুপমা রাও জানান, পাকিস্তানি পক্ষকে সন্ত্রাসীদের তথ্যসংবলিত তিনটি দলিল-দস্তাবেজ দেওয়া হয়েছে। এগুলোর মধ্যে মুম্বাই হামলায় জড়িত পাকিস্তানি জঙ্গিদের বিষয়ে নথিপত্র দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা পারস্পরিক যোগাযোগ বজায় রাখার ব্যাপারে রাজি হয়েছি।’
২০০৮ সালের নভেম্বরে মুম্বাই হামলার পর পাকিস্তানের সঙ্গে চলমান শান্তি আলোচনা বা ‘কম্পোজিট ডায়ালগ’ (সামগ্রিক আলোচনা) ভেঙে দেয় ভারত। মুম্বাই হামলায় ১৬৬ জনের প্রাণহানি ঘটে। নয়াদিল্লি এ হামলার জন্য পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গিদের দায়ী করে আসছে। ওই হামলার পর দীর্ঘ বিরতি কাটিয়ে দুই পক্ষ আবার আলোচনার টেবিলে ফিরল।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, দুপক্ষকে আলোচনায় ফেরাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে এ বৈঠক থেকে বেশি কিছু পাওয়ার আশাও করেননি তাঁরা। পাকিস্তানের প্রভাবশালী পত্রিকা ডনের কলামিস্ট তারিক ফাতেমি বলেন, দুই পক্ষকেই আলোচনার খাতিরে আলোচনার মনোভাব থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
বৈঠক শেষে নিরুপমা রাও সাংবাদিকদের বলেন, ‘পারস্পরিক আস্থা ফিরিয়ে আনার প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে এই বৈঠক করেছি আমরা। ২০০৪ সালে শুরু হওয়া সার্বিক আলোচনার ফলকে আমরা খাটো করে দেখছি না। তবে ওই সামগ্রিক আলোচনা শুরুর উপযুক্ত সময় এখনো আসেনি। প্রথমে আমাদের মধ্যে আস্থা ও বিশ্বাসের পরিবেশ তৈরি করতে হবে।’ পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব বশির বলেন, ‘আমাদের দৃষ্টিতে মুম্বাই হামলাকে (আলোচনার) কেন্দ্রে রাখাটা অযৌক্তিক, অবাস্তব এবং তা দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের ক্ষেত্র বাড়ানোর জন্য নেতিবাচক ভূমিকা রাখবে।’
কর্মকর্তারা জানান, প্রায় ৯০ মিনিট একান্ত বৈঠকের পর দুই দেশের সচিব তাঁদের প্রতিনিধি দলের সদস্যদের নিয়ে আলোচনায় বসেন। আলোচনায় পাকিস্তানের ভূমি থেকে ভারতের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনার বিষয়টি গুরুত্ব দেয় নয়াদিল্লি। অন্যদিকে পাকিস্তান কাশ্মির সংকটসহ বিভিন্ন বিষয়ে স্থগিত হয়ে থাকা সামগ্রিক আলোচনা আবার শুরু করার বিষয়ে জোর দেয়।
নিরুপমা রাও জানান, পাকিস্তানি পক্ষকে সন্ত্রাসীদের তথ্যসংবলিত তিনটি দলিল-দস্তাবেজ দেওয়া হয়েছে। এগুলোর মধ্যে মুম্বাই হামলায় জড়িত পাকিস্তানি জঙ্গিদের বিষয়ে নথিপত্র দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা পারস্পরিক যোগাযোগ বজায় রাখার ব্যাপারে রাজি হয়েছি।’
২০০৮ সালের নভেম্বরে মুম্বাই হামলার পর পাকিস্তানের সঙ্গে চলমান শান্তি আলোচনা বা ‘কম্পোজিট ডায়ালগ’ (সামগ্রিক আলোচনা) ভেঙে দেয় ভারত। মুম্বাই হামলায় ১৬৬ জনের প্রাণহানি ঘটে। নয়াদিল্লি এ হামলার জন্য পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গিদের দায়ী করে আসছে। ওই হামলার পর দীর্ঘ বিরতি কাটিয়ে দুই পক্ষ আবার আলোচনার টেবিলে ফিরল।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, দুপক্ষকে আলোচনায় ফেরাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে এ বৈঠক থেকে বেশি কিছু পাওয়ার আশাও করেননি তাঁরা। পাকিস্তানের প্রভাবশালী পত্রিকা ডনের কলামিস্ট তারিক ফাতেমি বলেন, দুই পক্ষকেই আলোচনার খাতিরে আলোচনার মনোভাব থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
No comments