মরিনহোর হাসি
ইন্টার মিলান জিতেছে! জিততেই পারে, কিন্তু বিস্ময়সূচক চিহ্নটা কেন? ইন্টারের সমর্থকেরা এর উত্তর ভালো করে জানেন। কী একটা অপয়া ভূত তাড়া করে ফিরছিল ইতালির ক্লাবটিকে। চ্যাম্পিয়নস লিগের ২০০৫-০৬ মৌসুমের পর থেকে দ্বিতীয় রাউন্ড পেরোনো তো দূরের কথা, নক-আউট পর্বে জয়ের দেখাই পাচ্ছিল না। ইংলিশ ক্লাবগুলোর বিপক্ষে জয়খরা তো আরও পুরোনো—২০০৩ সালের পর থেকেই। সেই ইন্টার অবশেষে ২-১ গোলে জিতল চেলসির বিপক্ষে। ডিয়েগো ম্যারাডোনা নিশ্চয়ই খুব খুশি।
ম্যারাডোনা! ম্যারাডোনা কেন? ইন্টারের কোচ তো হোসে মরিনহো। আর্জেন্টিনার কোচের খুশি হওয়ার ব্যাপারটা আসে কোত্থেকে! স্কোরলাইনের দিকে তাকান। ইন্টারের জয়ের নায়ক তো দুই আর্জেন্টাইন। ৩ মিনিটে ডিয়েগো মিলিতোর গোল উল্লাসে কাঁপিয়ে তুলেছিল সান সিরো। ৫১ মিনিটে সমতা ফেরালেন সলোমন কালু। মাত্র চার মিনিট বাদেই আবারও গ্যালারিকে উল্লাসে ফেটে পড়ার উপলক্ষ এনে দিলেন এস্তেবান ক্যাম্বিয়াসো।
চ্যাম্পিয়নস লিগ মরিনহোর নিজের জন্যও অপয়া একটা টুর্নামেন্ট। রোমান আব্রামোভিচের অতি আকাঙ্ক্ষিত এই শিরোপাটি এনে দিতে পারেননি বলেই চেলসি ছাড়তে হয়েছিল তাঁকে। সেই চেলসি, তাঁরই হাতে গড়া শিষ্যদের মুখোমুখি হলেন মরিনহো। কার্লো আনচেলত্তির জন্যও ম্যাচটায় স্মৃতিকাতর হয়ে ওঠার যথেষ্ট উপাদান ছিল বৈকি। এসি মিলান ছেড়ে যাওয়ার পর এই প্রথম তিনি ফিরলেন জিউসেপ্পে মিয়াজ্জা স্টেডিয়ামে।
সান সিরো থেকে হতাশা নিয়েই লন্ডনে ফিরলেন আনচেলত্তি। পরাজয়ের হতাশার সঙ্গে যোগ হয়েছে রেফারিং নিয়ে ক্ষোভও। পরিষ্কার একটা পেনাল্টি থেকে চেলসি বঞ্চিত হয়েছে বলে অভিযোগ তাঁর। কালুকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েছিলেন ওয়াল্টার স্যামুয়েল। শাস্তিটা পেনাল্টি হওয়া উচিত ছিল মনে করেন আনচেলত্তি, ‘আমার মতে, প্রথমার্ধে ওটা পেনাল্টি ছিল। কিন্তু আমি ভাবলে তো হবে না। রেফারি বাঁশি বাজালে তবেই পেনাল্টি।’ আনচেলত্তির জন্য ম্যাচটি বয়ে এনেছে আরেকটি দুঃসংবাদ। চোট নিয়ে মাঠের বাইরে চলে গেছেন গোলরক্ষক পিওতর চেক।
মরিনহো চেলসিতে কী চাপে ছিলেন, সেটা নিশ্চয়ই আনচেলত্তিও টের পেতে শুরু করেছেন। গত তিন বছরে চারজন কোচের অধীনে খেলা দলটি এবারও চ্যাম্পিয়নস লিগে ব্যর্থ হলে আব্রামোভিচের মতিগতি কী হবে কে জানে! যদিও আনচেলত্তি বলছেন, প্রথম লেগে হেরে যাওয়াই সব শেষ নয়, ‘ফলাফলটা হতাশাজনক, কিন্তু ভয়াবহ কিছু নয়। ফিরতি লেগে আমরা শুরু থেকে আক্রমণ করে গোল করার চেষ্টা করব।’
১৬ মার্চের ফিরতি লেগে অবশ্য চেলসিকে গোলের জন্য এতটা মরিয়া না হলেও চলবে। ১-০ গোলে জিতলেও কোয়ার্টার ফাইনালে চলে যাবে তারা। কালুর ‘অ্যাওয়ে’ গোলটাই বাড়তি সুবিধা এনে দিচ্ছে তাদের। জিতেও তাই চাপের মধ্যেই থাকতে হচ্ছে মরিনহোকে।
পোড় খাওয়া পর্তুগিজ কোচ অবশ্য এতে বিচলিত নন। গতবার ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সঙ্গে নিজেদের মাঠে গোলশূন্য ড্রয়ের পর ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে গিয়ে ০-২ গোলের হার ছিটকে দিয়েছিল ইন্টারকে। এবার জয় তো পাওয়া গেল। তাড়ানো গেল নক-আউট পর্বে জিততে না পারার ভূতটাও। মরিনহো তো খুশি হবেনই, ‘আমরা দেখিয়ে দিয়েছি আমরা চ্যাম্পিয়নস লিগের যোগ্য একটি দল। মানের দিক দিয়ে চেলসি অসাধারণ একটা দল। আমরা জিতেছি, কারণ আমরা হূদয় দিয়ে খেলেছি। সবচেয়ে বড় কথা হলো ম্যাচের ফল আমাদের এগিয়ে রেখেছে।’ সাবেক ক্লাবের বিপক্ষে এই জয়ে তাঁর প্রতিক্রিয়া, ‘অবশ্যই আমি ভেতরে ভেতরে খুবই খুশি।’
পরশুর অন্য ম্যাচে নিজেদের মাঠে সেভিয়ার সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছে সিএসকেএ মস্কো। নেগ্রেডোর গোলে ২৫ মিনিটেই এগিয়ে গিয়েছিল সেভিয়া। কিন্তু ৬৬ মিনিটে মার্ক গঞ্জালেসের অসাধারণ গোলে সমতা ফেরায় রাশিয়ার ক্লাবটি। ৩৫ গজ দূর থেকে নেওয়া শটে গোল করেছেন গঞ্জালেস।
ম্যারাডোনা! ম্যারাডোনা কেন? ইন্টারের কোচ তো হোসে মরিনহো। আর্জেন্টিনার কোচের খুশি হওয়ার ব্যাপারটা আসে কোত্থেকে! স্কোরলাইনের দিকে তাকান। ইন্টারের জয়ের নায়ক তো দুই আর্জেন্টাইন। ৩ মিনিটে ডিয়েগো মিলিতোর গোল উল্লাসে কাঁপিয়ে তুলেছিল সান সিরো। ৫১ মিনিটে সমতা ফেরালেন সলোমন কালু। মাত্র চার মিনিট বাদেই আবারও গ্যালারিকে উল্লাসে ফেটে পড়ার উপলক্ষ এনে দিলেন এস্তেবান ক্যাম্বিয়াসো।
চ্যাম্পিয়নস লিগ মরিনহোর নিজের জন্যও অপয়া একটা টুর্নামেন্ট। রোমান আব্রামোভিচের অতি আকাঙ্ক্ষিত এই শিরোপাটি এনে দিতে পারেননি বলেই চেলসি ছাড়তে হয়েছিল তাঁকে। সেই চেলসি, তাঁরই হাতে গড়া শিষ্যদের মুখোমুখি হলেন মরিনহো। কার্লো আনচেলত্তির জন্যও ম্যাচটায় স্মৃতিকাতর হয়ে ওঠার যথেষ্ট উপাদান ছিল বৈকি। এসি মিলান ছেড়ে যাওয়ার পর এই প্রথম তিনি ফিরলেন জিউসেপ্পে মিয়াজ্জা স্টেডিয়ামে।
সান সিরো থেকে হতাশা নিয়েই লন্ডনে ফিরলেন আনচেলত্তি। পরাজয়ের হতাশার সঙ্গে যোগ হয়েছে রেফারিং নিয়ে ক্ষোভও। পরিষ্কার একটা পেনাল্টি থেকে চেলসি বঞ্চিত হয়েছে বলে অভিযোগ তাঁর। কালুকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েছিলেন ওয়াল্টার স্যামুয়েল। শাস্তিটা পেনাল্টি হওয়া উচিত ছিল মনে করেন আনচেলত্তি, ‘আমার মতে, প্রথমার্ধে ওটা পেনাল্টি ছিল। কিন্তু আমি ভাবলে তো হবে না। রেফারি বাঁশি বাজালে তবেই পেনাল্টি।’ আনচেলত্তির জন্য ম্যাচটি বয়ে এনেছে আরেকটি দুঃসংবাদ। চোট নিয়ে মাঠের বাইরে চলে গেছেন গোলরক্ষক পিওতর চেক।
মরিনহো চেলসিতে কী চাপে ছিলেন, সেটা নিশ্চয়ই আনচেলত্তিও টের পেতে শুরু করেছেন। গত তিন বছরে চারজন কোচের অধীনে খেলা দলটি এবারও চ্যাম্পিয়নস লিগে ব্যর্থ হলে আব্রামোভিচের মতিগতি কী হবে কে জানে! যদিও আনচেলত্তি বলছেন, প্রথম লেগে হেরে যাওয়াই সব শেষ নয়, ‘ফলাফলটা হতাশাজনক, কিন্তু ভয়াবহ কিছু নয়। ফিরতি লেগে আমরা শুরু থেকে আক্রমণ করে গোল করার চেষ্টা করব।’
১৬ মার্চের ফিরতি লেগে অবশ্য চেলসিকে গোলের জন্য এতটা মরিয়া না হলেও চলবে। ১-০ গোলে জিতলেও কোয়ার্টার ফাইনালে চলে যাবে তারা। কালুর ‘অ্যাওয়ে’ গোলটাই বাড়তি সুবিধা এনে দিচ্ছে তাদের। জিতেও তাই চাপের মধ্যেই থাকতে হচ্ছে মরিনহোকে।
পোড় খাওয়া পর্তুগিজ কোচ অবশ্য এতে বিচলিত নন। গতবার ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সঙ্গে নিজেদের মাঠে গোলশূন্য ড্রয়ের পর ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে গিয়ে ০-২ গোলের হার ছিটকে দিয়েছিল ইন্টারকে। এবার জয় তো পাওয়া গেল। তাড়ানো গেল নক-আউট পর্বে জিততে না পারার ভূতটাও। মরিনহো তো খুশি হবেনই, ‘আমরা দেখিয়ে দিয়েছি আমরা চ্যাম্পিয়নস লিগের যোগ্য একটি দল। মানের দিক দিয়ে চেলসি অসাধারণ একটা দল। আমরা জিতেছি, কারণ আমরা হূদয় দিয়ে খেলেছি। সবচেয়ে বড় কথা হলো ম্যাচের ফল আমাদের এগিয়ে রেখেছে।’ সাবেক ক্লাবের বিপক্ষে এই জয়ে তাঁর প্রতিক্রিয়া, ‘অবশ্যই আমি ভেতরে ভেতরে খুবই খুশি।’
পরশুর অন্য ম্যাচে নিজেদের মাঠে সেভিয়ার সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছে সিএসকেএ মস্কো। নেগ্রেডোর গোলে ২৫ মিনিটেই এগিয়ে গিয়েছিল সেভিয়া। কিন্তু ৬৬ মিনিটে মার্ক গঞ্জালেসের অসাধারণ গোলে সমতা ফেরায় রাশিয়ার ক্লাবটি। ৩৫ গজ দূর থেকে নেওয়া শটে গোল করেছেন গঞ্জালেস।
No comments