বিআইডিএসের লোকবক্তৃতায় আজিজুর রহমান -প্রবৃদ্ধির জন্য বৈষম্য ক্ষতিকর
বৈষম্য অব্যাহত রেখে দারিদ্র্য হ্রাস ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি জোরদার করার প্রয়াস একপর্যায়ে হিতে বিপরীত হয়। তার পরও বাংলাদেশসহ বিশ্বের বহু উন্নয়নশীল দেশ এই পথে অগ্রসর হয়েছে, যা থেকে সরে আসা প্রয়োজন।
বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণাপ্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস) আয়োজিত লোকবক্তৃতা অনুষ্ঠানে গতকাল বৃহস্পতিবার বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ইমেরিটাস আজিজুর রহমান খান এসব কথা বলেন।
ডেভেলপমেন্ট, ইকুইটি অ্যান্ড পোভার্টি: এসেস ইন অনার অব আজিজুর রহমান খান শীর্ষক গ্রন্থের আনুষ্ঠানিক প্রকাশনা উপলক্ষে এ বক্তৃতার আয়োজন করা হয়।
বক্তৃতায় আজিজুর রহমান খান দারিদ্র্য, বৈষম্য ও প্রবৃদ্ধির ওপর আলোকপাত করেন, যেখানে তিনি নিজ জীবন ও সময়ের প্রসঙ্গ টেনে আনেন। তিনি বলেন, সুযোগ সৃষ্টি হওয়ার পরও বৈষম্য দূর করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশ ততটা মনোযোগী হয়নি, যতটা হয়েছে দারিদ্র্য কমানো ও প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর চেষ্টায়।
আজিজুর রহমান আরও বলেন, সম্প্রতি যেসব উন্নয়নশীল দেশ দ্রুততার সঙ্গে প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে, তারা একই সঙ্গে ব্যাপকভাবে বৈষম্যও বাড়তে দিয়েছে, যার তেমন কোনো প্রয়োজন ছিল না।
তবে সম্প্রতি সৃষ্ট বিশ্বমন্দা দেশগুলোর অভ্যন্তরে ও পরস্পরের সঙ্গে বৈষম্য কমানোর সুযোগ সৃষ্টি করেছে বলে মনে করেন তিনি।
বিষয়টি ব্যাখ্যা করে আজিজুর রহমান বলেন, ২০০৯ সালে আধুনিক ইতিহাসে প্রথমবারের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোর সমন্বিত উত্পাদন বিশ্বের মোট উত্পাদন ছাড়িয়ে গেছে। কারণ, উন্নয়নশীল দেশগুলোর সমন্বিত উত্পাদন এই সময়ে দেড় শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে, যেখানে শিল্পোন্নত দেশগুলোর মোট উত্পাদন ৩ দশমিক ৮০ শতাংশ কমে গেছে।
আজিজুর রহমানের মতে, বিশ্বমন্দা আসলে দেশগুলোর অভ্যন্তরীণ চাহিদা বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দিতে বাধ্য করেছে, যেখানে দেশগুলোর অঞ্চল, খাত ও ব্যক্তির মধ্যে সম্পদের অধিকতর সুষম বণ্টনের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
আলোচনায় অংশ নিয়ে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের চেয়ারম্যান রেহমান সোবহান বলেন, প্রবৃদ্ধির প্রক্রিয়াকে সুষমকরণের চেষ্টায় নতুন মাত্রা আনতে হবে। বাজার যখন ঠিকমতো কাজ করছে না, তখন রাষ্ট্রের ভূমিকাকে পুনর্জাগ্রত করতে হবে।
ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক মাহবুব হোসেন বলেন, বৈষম্য কমাতে হলে এখন ভূমিহীনদের জন্য নতুন সম্পদ সৃষ্টি করতে হবে। শহর ও গ্রামের মধ্যে শিক্ষাক্ষেত্রের বৈষম্য দূর করতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিআইডিএসের মহাপরিচালক মোস্তফা কে মুজেরী স্বাগত বক্তব্য দেন। আলোচনায় আরও অংশ নেন অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার সাবেক বিশেষ উপদেষ্টা রিজওয়ানুল ইসলাম, নিউইয়র্কের নিউ স্কুল বিশ্ববিদ্যালয়ের লোপা মুদ্রা ব্যানার্জি প্রমুখ।
বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণাপ্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস) আয়োজিত লোকবক্তৃতা অনুষ্ঠানে গতকাল বৃহস্পতিবার বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ইমেরিটাস আজিজুর রহমান খান এসব কথা বলেন।
ডেভেলপমেন্ট, ইকুইটি অ্যান্ড পোভার্টি: এসেস ইন অনার অব আজিজুর রহমান খান শীর্ষক গ্রন্থের আনুষ্ঠানিক প্রকাশনা উপলক্ষে এ বক্তৃতার আয়োজন করা হয়।
বক্তৃতায় আজিজুর রহমান খান দারিদ্র্য, বৈষম্য ও প্রবৃদ্ধির ওপর আলোকপাত করেন, যেখানে তিনি নিজ জীবন ও সময়ের প্রসঙ্গ টেনে আনেন। তিনি বলেন, সুযোগ সৃষ্টি হওয়ার পরও বৈষম্য দূর করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশ ততটা মনোযোগী হয়নি, যতটা হয়েছে দারিদ্র্য কমানো ও প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর চেষ্টায়।
আজিজুর রহমান আরও বলেন, সম্প্রতি যেসব উন্নয়নশীল দেশ দ্রুততার সঙ্গে প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে, তারা একই সঙ্গে ব্যাপকভাবে বৈষম্যও বাড়তে দিয়েছে, যার তেমন কোনো প্রয়োজন ছিল না।
তবে সম্প্রতি সৃষ্ট বিশ্বমন্দা দেশগুলোর অভ্যন্তরে ও পরস্পরের সঙ্গে বৈষম্য কমানোর সুযোগ সৃষ্টি করেছে বলে মনে করেন তিনি।
বিষয়টি ব্যাখ্যা করে আজিজুর রহমান বলেন, ২০০৯ সালে আধুনিক ইতিহাসে প্রথমবারের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোর সমন্বিত উত্পাদন বিশ্বের মোট উত্পাদন ছাড়িয়ে গেছে। কারণ, উন্নয়নশীল দেশগুলোর সমন্বিত উত্পাদন এই সময়ে দেড় শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে, যেখানে শিল্পোন্নত দেশগুলোর মোট উত্পাদন ৩ দশমিক ৮০ শতাংশ কমে গেছে।
আজিজুর রহমানের মতে, বিশ্বমন্দা আসলে দেশগুলোর অভ্যন্তরীণ চাহিদা বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দিতে বাধ্য করেছে, যেখানে দেশগুলোর অঞ্চল, খাত ও ব্যক্তির মধ্যে সম্পদের অধিকতর সুষম বণ্টনের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
আলোচনায় অংশ নিয়ে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের চেয়ারম্যান রেহমান সোবহান বলেন, প্রবৃদ্ধির প্রক্রিয়াকে সুষমকরণের চেষ্টায় নতুন মাত্রা আনতে হবে। বাজার যখন ঠিকমতো কাজ করছে না, তখন রাষ্ট্রের ভূমিকাকে পুনর্জাগ্রত করতে হবে।
ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক মাহবুব হোসেন বলেন, বৈষম্য কমাতে হলে এখন ভূমিহীনদের জন্য নতুন সম্পদ সৃষ্টি করতে হবে। শহর ও গ্রামের মধ্যে শিক্ষাক্ষেত্রের বৈষম্য দূর করতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিআইডিএসের মহাপরিচালক মোস্তফা কে মুজেরী স্বাগত বক্তব্য দেন। আলোচনায় আরও অংশ নেন অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার সাবেক বিশেষ উপদেষ্টা রিজওয়ানুল ইসলাম, নিউইয়র্কের নিউ স্কুল বিশ্ববিদ্যালয়ের লোপা মুদ্রা ব্যানার্জি প্রমুখ।
No comments