আফগান নারীরা বিশ্বে সবচেয়ে বেশি দুর্দশার শিকার -হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতিবেদন
বিশ্বে আফগান নারীরাই সবচেয়ে বেশি দুর্দশায় রয়েছে। পদে পদে তারা সহিংসতার শিকার হচ্ছে। হত্যা ও ধর্ষণের মতো অপরাধ থেকে নারীদের রক্ষা করতে ব্যর্থ হচ্ছে আফগান সরকার। গতকাল সোমবার এক প্রতিবেদনে এ কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)। দেশটির বিভিন্ন প্রদেশ থেকে সংগৃহীত ১২০টি সাক্ষাত্কারের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।
সংস্থার ৯৬ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আফগানিস্তানের সর্বত্র নারীরা অসহনীয় দুর্ভোগের মধ্যে রয়েছে। নির্যাতনের শিকার নারীরা পুলিশি নিপীড়ন অথবা সহিংস অপরাধীদের পাল্টা জবাবের আশঙ্কায় আইনি সহায়তা নিতে চায় না।
আফগানিস্তানকে একটি রক্ষণশীল মুসলিম দেশ উল্লেখ করে ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ২০০১ সালে সেখানে মার্কিন সামরিক অভিযানের মাধ্যমে তালেবানি শাসন উত্খাতের পর থেকে নারীরা শিক্ষা গ্রহণ ও কাজে যোগ দেওয়ার মতো স্বাধীনতা পেয়েছে। কিন্তু ব্যবসাসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে এখনো নারীদের স্বাধীন অংশগ্রহণ সমর্থন করে না আফগান সমাজ। ২০০১ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত সেখানে নারীর অধিকার চর্চার ক্ষেত্রে কিছু ইতিবাচক উন্নতি হলেও সাম্প্রতিক সময়ে এই চিত্র অবনতির দিকে যাচ্ছে। দেশের ক্ষমতা রক্ষণশীল নেতাদের হাতে থাকাই এর কারণ। কেননা তারা নারীর মৌলিক অধিকার স্বীকার করতে চায় না।
এ ব্যাপারে প্রতিবেদনের রচয়িতা র্যাচেল রেইড বলেন, সাবেক যুদ্ধবাজ নেতাদের ওপর আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইয়ের অতিমাত্রায় নির্ভরশীলতার কারণে সেখানকার সমাজে নারীদের অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। প্রাত্যহিক জীবনে নারীদের ওপর সহিংসতার ঘটনাও বেড়ে যাচ্ছে। কারণ ওই সব যুদ্ধবাজ নেতার দৃষ্টিভঙ্গি তালেবান শাসকদের চেয়ে খুব আলাদা নয়। প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, আফগানিস্তানের সমাজে নারীদের অবস্থান আরও অবনতির দিকে যাচ্ছে, কারণ সম্প্রতি চালু করা একটি আইনের বেশ কিছু অধ্যাদেশে নারীদের অধিকার খর্ব করা হয়েছে। ওই আইনে বিয়ের পর স্ত্রীকে ধর্ষণের ঘটনার আইনি বৈধতা দেওয়া হয়েছে।
প্রতিবেদনে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ আরও জানিয়েছে, অনেক ধর্ষককেই সরকার ক্ষমা করে দিয়েছে। বিপরীত দিক থেকে ঘর পালানোর কারণে অনেক নারীকে বন্দী রাখা হচ্ছে। এ ছাড়া ধর্ষণের শিকার নারীকে ব্যভিচারের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হচ্ছে। জাতিসংঘ আফগানিস্তানে নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা ও ধর্ষণকে ‘মারাত্মক সমস্যা’ বলে মন্তব্য করার এক সপ্তাহ পর এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হলো।
সংস্থার ৯৬ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আফগানিস্তানের সর্বত্র নারীরা অসহনীয় দুর্ভোগের মধ্যে রয়েছে। নির্যাতনের শিকার নারীরা পুলিশি নিপীড়ন অথবা সহিংস অপরাধীদের পাল্টা জবাবের আশঙ্কায় আইনি সহায়তা নিতে চায় না।
আফগানিস্তানকে একটি রক্ষণশীল মুসলিম দেশ উল্লেখ করে ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ২০০১ সালে সেখানে মার্কিন সামরিক অভিযানের মাধ্যমে তালেবানি শাসন উত্খাতের পর থেকে নারীরা শিক্ষা গ্রহণ ও কাজে যোগ দেওয়ার মতো স্বাধীনতা পেয়েছে। কিন্তু ব্যবসাসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে এখনো নারীদের স্বাধীন অংশগ্রহণ সমর্থন করে না আফগান সমাজ। ২০০১ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত সেখানে নারীর অধিকার চর্চার ক্ষেত্রে কিছু ইতিবাচক উন্নতি হলেও সাম্প্রতিক সময়ে এই চিত্র অবনতির দিকে যাচ্ছে। দেশের ক্ষমতা রক্ষণশীল নেতাদের হাতে থাকাই এর কারণ। কেননা তারা নারীর মৌলিক অধিকার স্বীকার করতে চায় না।
এ ব্যাপারে প্রতিবেদনের রচয়িতা র্যাচেল রেইড বলেন, সাবেক যুদ্ধবাজ নেতাদের ওপর আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইয়ের অতিমাত্রায় নির্ভরশীলতার কারণে সেখানকার সমাজে নারীদের অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। প্রাত্যহিক জীবনে নারীদের ওপর সহিংসতার ঘটনাও বেড়ে যাচ্ছে। কারণ ওই সব যুদ্ধবাজ নেতার দৃষ্টিভঙ্গি তালেবান শাসকদের চেয়ে খুব আলাদা নয়। প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, আফগানিস্তানের সমাজে নারীদের অবস্থান আরও অবনতির দিকে যাচ্ছে, কারণ সম্প্রতি চালু করা একটি আইনের বেশ কিছু অধ্যাদেশে নারীদের অধিকার খর্ব করা হয়েছে। ওই আইনে বিয়ের পর স্ত্রীকে ধর্ষণের ঘটনার আইনি বৈধতা দেওয়া হয়েছে।
প্রতিবেদনে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ আরও জানিয়েছে, অনেক ধর্ষককেই সরকার ক্ষমা করে দিয়েছে। বিপরীত দিক থেকে ঘর পালানোর কারণে অনেক নারীকে বন্দী রাখা হচ্ছে। এ ছাড়া ধর্ষণের শিকার নারীকে ব্যভিচারের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হচ্ছে। জাতিসংঘ আফগানিস্তানে নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা ও ধর্ষণকে ‘মারাত্মক সমস্যা’ বলে মন্তব্য করার এক সপ্তাহ পর এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হলো।
No comments