ইরানে গণবিক্ষোভে পুলিশের কাঁদানে গ্যাস
ইরানের রাজধানী তেহরানে গতকাল সোমবার ছাত্রদের গণবিক্ষোভে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করেছে। ছাত্র-জনতা প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমেদিনেজাদের বিরুদ্ধে শ্লোগান দেওয়ার সময় পুলিশ এই কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে।
‘ছাত্র দিবস’ সামনে রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা এ কর্মসূচি ঘোষণা করে। খবর, এএফপি’র
বিক্ষোভকারিরা প্রেসিডেন্ট আহমেদিনেজাদের বিরুদ্ধে ‘স্বৈরশাসন নিপাত যাক’ , ‘স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ’ ইত্যাদি শ্লোগান দেয়। বিক্ষোভকারীরা একপর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে একজন পুলিশ সদস্যকে প্রহার করলে, পুলিশ কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
এর আগে রাজধানী তেহরানের বিখ্যাত আমির কবির বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা এক অনলাইন বার্তায় তেহরানের জনগণকে ছাত্র দিবসে প্রেসিডেন্ট আহমেদিনেজাদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শণের আহবান জানায়।
প্রেসিডেন্ট আহমেদিনেজাদের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী মীর হোসেন মৌসাভি ছাত্রদের এই কর্মসূচিতে পূর্ণাঙ্গ সমর্থন দিয়েছেন।
গত জুন মাসে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট আহমাদিনেজাদকে অনেক বিতর্কের পর বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। সে সময় আহমাদিনেজাদের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মীর হোসেন মৌসাভি আহমাদিনেজাদের বিপক্ষে নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তোলেন। তাঁর নেতৃত্বে সারা ইরানে গণ-আন্দোলন গড়ে ওঠে। সরকার সেই আন্দোলন কঠোরভাবে দমনের চেষ্টা করলে বহু প্রতিবাদকারী নিহত হয়।
এর পর থেকেই ইরানের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের পর সবচেয়ে উত্তপ্ত অবস্থায় রয়েছে।
ইরানে ৭ ডিসেম্বর ছাত্র দিবস হিসেবে পালন করা হয়। ১৯৫৩ সালের এই দিনে রেজা শাহ পাহলভি সরকারের নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনী ছাত্রদের মিছিলে গুলি চালিয়ে তিনজনকে হত্যা করে। সে সময়কার জনপ্রিয় প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ মোসাদ্দেকের সরকার মার্কিন সমর্থিত একটি অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়।
৭ ডিসেম্বর সেই অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে ছাত্ররা মিছিল বের করেছিল। এবারের ছাত্র দিবসে কোনো প্রকার সরকার বিরোধী বিক্ষোভ বা অন্যান্য কর্মসূচি পালন না করতে সরকার সমর্থিত রেভ্যুলেশনারি গার্ড ছাত্রদের আগে থেকেই সতর্ক করে দিয়েছিল।
‘ছাত্র দিবস’ সামনে রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা এ কর্মসূচি ঘোষণা করে। খবর, এএফপি’র
বিক্ষোভকারিরা প্রেসিডেন্ট আহমেদিনেজাদের বিরুদ্ধে ‘স্বৈরশাসন নিপাত যাক’ , ‘স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ’ ইত্যাদি শ্লোগান দেয়। বিক্ষোভকারীরা একপর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে একজন পুলিশ সদস্যকে প্রহার করলে, পুলিশ কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
এর আগে রাজধানী তেহরানের বিখ্যাত আমির কবির বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা এক অনলাইন বার্তায় তেহরানের জনগণকে ছাত্র দিবসে প্রেসিডেন্ট আহমেদিনেজাদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শণের আহবান জানায়।
প্রেসিডেন্ট আহমেদিনেজাদের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী মীর হোসেন মৌসাভি ছাত্রদের এই কর্মসূচিতে পূর্ণাঙ্গ সমর্থন দিয়েছেন।
গত জুন মাসে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট আহমাদিনেজাদকে অনেক বিতর্কের পর বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। সে সময় আহমাদিনেজাদের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মীর হোসেন মৌসাভি আহমাদিনেজাদের বিপক্ষে নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তোলেন। তাঁর নেতৃত্বে সারা ইরানে গণ-আন্দোলন গড়ে ওঠে। সরকার সেই আন্দোলন কঠোরভাবে দমনের চেষ্টা করলে বহু প্রতিবাদকারী নিহত হয়।
এর পর থেকেই ইরানের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের পর সবচেয়ে উত্তপ্ত অবস্থায় রয়েছে।
ইরানে ৭ ডিসেম্বর ছাত্র দিবস হিসেবে পালন করা হয়। ১৯৫৩ সালের এই দিনে রেজা শাহ পাহলভি সরকারের নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনী ছাত্রদের মিছিলে গুলি চালিয়ে তিনজনকে হত্যা করে। সে সময়কার জনপ্রিয় প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ মোসাদ্দেকের সরকার মার্কিন সমর্থিত একটি অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়।
৭ ডিসেম্বর সেই অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে ছাত্ররা মিছিল বের করেছিল। এবারের ছাত্র দিবসে কোনো প্রকার সরকার বিরোধী বিক্ষোভ বা অন্যান্য কর্মসূচি পালন না করতে সরকার সমর্থিত রেভ্যুলেশনারি গার্ড ছাত্রদের আগে থেকেই সতর্ক করে দিয়েছিল।
No comments