ঈশ্বরদীর সজল হত্যা মামলা -রাজনৈতিক চাপ বন্ধ করতে হবে
সরকার বদলালেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তথা পুলিশের চরিত্র যে বদল হয়নি, ঈশ্বরদী উপজেলার গোকুলনগর এলাকার সজল হত্যা মামলাই এর প্রমাণ। রাজনৈতিক বিরোধ ও পূর্বশত্রুতার জেরে গত ১২ নভেম্বর নিহত হন সজল। এ ঘটনায় তাঁর বাবা আমজাদ খাঁ স্থানীয় রেলওয়ে থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি। পরে স্থানীয় যুবলীগের নেতা শফিকুল ইসলামকে প্রধান আসামি করে তিনি মামলা করেন পাবনার বিচারিক আদালতে। এ মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আদালত আসামিদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিলেও থানার পুলিশ কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। বরং ৫ ডিসেম্বর তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মোহাম্মদ আলীর সঙ্গে মামলার প্রধান আসামির বৈঠক হয়েছে বলে দাবি করেছেন বাদী।
তদন্ত কর্মকর্তা সে দাবি অস্বীকার করেননি। পুলিশের দায়িত্ব দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালন। এখানে দেখা গেছে, পুলিশ দুষ্টকেই আশকারা দিয়ে যাচ্ছে। তারা আদালতের নির্দেশ পালন না করে আসামিকে চা-বিস্কুট দিয়ে আপ্যায়ন করছে। আসামিদের সঙ্গে পুলিশের এ ধরনের সখ্য শুধু অনৈতিক নয়, আইনের শাসনেরও পরিপন্থী। তদন্ত কর্মকর্তা আত্মপক্ষ সমর্থন করতে গিয়ে বলেছেন, আসামিদের না ধরতে ওপর মহলের চাপ আছে। সে চাপ উপেক্ষা করে তিনি চাকরি হারাতে চান না। ওই ওপর মহলটি কে? আসামি যেহেতু ক্ষমতাসীন দলের যুব সংগঠনের স্থানীয় নেতা, সেহেতু রাজনৈতিক চাপ থাকাই স্বাভাবিক। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্ব সেই চাপ অগ্রাহ্য করে আসামির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পুলিশ বাহিনীকে নির্ভয়ে ও নিরপেক্ষভাবে পেশাগত দায়িত্ব পালনের যে নির্দেশ দিয়েছেন, ঈশ্বরদীর ঘটনায় এর বিপরীত চিত্রই প্রতিফলিত হয়েছে।
এ ধরনের ঘটনা যে শুধু ঈশ্বরদীতেই ঘটছে, তা বিশ্বাস করার কারণ নেই। সব সরকারের আমলে একশ্রেণীর রাজনৈতিক টাউটকে থানায় ঘুরঘুর করতে দেখা যায়। জোট সরকারের আমলে এসব ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছে আওয়ামী লীগ। এখনো যদি এর পুনরাবৃত্তি ঘটে, তাহলে দিনবদল হলো কোথায়? সজল হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেপ্তার করে অবিলম্বে বিচারে সোপর্দ করতে হবে। আদালতই বিচার করবেন, অভিযুক্ত ব্যক্তিরা দোষী না নির্দোষ।
তদন্ত কর্মকর্তা সে দাবি অস্বীকার করেননি। পুলিশের দায়িত্ব দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালন। এখানে দেখা গেছে, পুলিশ দুষ্টকেই আশকারা দিয়ে যাচ্ছে। তারা আদালতের নির্দেশ পালন না করে আসামিকে চা-বিস্কুট দিয়ে আপ্যায়ন করছে। আসামিদের সঙ্গে পুলিশের এ ধরনের সখ্য শুধু অনৈতিক নয়, আইনের শাসনেরও পরিপন্থী। তদন্ত কর্মকর্তা আত্মপক্ষ সমর্থন করতে গিয়ে বলেছেন, আসামিদের না ধরতে ওপর মহলের চাপ আছে। সে চাপ উপেক্ষা করে তিনি চাকরি হারাতে চান না। ওই ওপর মহলটি কে? আসামি যেহেতু ক্ষমতাসীন দলের যুব সংগঠনের স্থানীয় নেতা, সেহেতু রাজনৈতিক চাপ থাকাই স্বাভাবিক। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্ব সেই চাপ অগ্রাহ্য করে আসামির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পুলিশ বাহিনীকে নির্ভয়ে ও নিরপেক্ষভাবে পেশাগত দায়িত্ব পালনের যে নির্দেশ দিয়েছেন, ঈশ্বরদীর ঘটনায় এর বিপরীত চিত্রই প্রতিফলিত হয়েছে।
এ ধরনের ঘটনা যে শুধু ঈশ্বরদীতেই ঘটছে, তা বিশ্বাস করার কারণ নেই। সব সরকারের আমলে একশ্রেণীর রাজনৈতিক টাউটকে থানায় ঘুরঘুর করতে দেখা যায়। জোট সরকারের আমলে এসব ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছে আওয়ামী লীগ। এখনো যদি এর পুনরাবৃত্তি ঘটে, তাহলে দিনবদল হলো কোথায়? সজল হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেপ্তার করে অবিলম্বে বিচারে সোপর্দ করতে হবে। আদালতই বিচার করবেন, অভিযুক্ত ব্যক্তিরা দোষী না নির্দোষ।
No comments