আইনের জয়কে দায়িত্বশীলতার সঙ্গে গ্রহণ করা উচিত -বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি
অবশেষে ৩৪ বছর ঝুলে থাকার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের হত্যার বিচারের চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হতে যাচ্ছে আজ। উচ্চ আদালতে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ পাওয়া পাঁচ আসামির আপিলের চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করবেন। মৃত্যুদণ্ড পাওয়া বাকি সাত আসামির একজন মৃত এবং ছয়জন পলাতক থাকা অবস্থায় বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বিয়োগান্ত রাজনৈতিক হত্যার উপযুক্ত বিহিতের মাধ্যমে শোকের ভার ও জাতীয় দায় মিটবে বলে আশা করা যায়। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের এই রায় সব মহলের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পাবে এবং একটি কলঙ্কিত অধ্যায়ের অবসান ঘটাবে, এটাই প্রত্যাশিত।
দীর্ঘ ও কণ্টকিত পথ পেরিয়ে দেশের সর্বোচ্চ আদালত এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিচারের উপসংহার টানছেন। ১৯৭৫ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ দিয়ে খুনিদের বিচারের পথ বন্ধ রাখা হয়েছিল। কিন্তু সেই কালো আইনের রাহুগ্রাস থেকে সংবিধান ও দেশ মুক্ত হলেও রাজনৈতিক বাধায় আইনের স্বাভাবিক গতি ব্যাহত হয়েছিল। যত দিন গেছে, হত্যাকারীদের বিচার ও শাস্তির অপরিহার্যতা জাতীয় দাবি হয়ে উঠেছে। হত্যা অপরাধ, রাজনৈতিক হত্যা আরও বড় অপরাধ এবং দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রধান নেতা ও স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতাকে সপরিবারে হত্যার মাধ্যমে খুনিচক্র নিঃসন্দেহে চরম বর্বরতার পরিচয় দিয়েছে। এর বিচার ছাড়া আইনের সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠা এবং রাজনীতির কলঙ্কমোচন সম্ভব হতো না। এই জাতীয় কর্তব্য পালনের ব্যাপারে কোনো অস্পষ্টতা থাকা উচিত নয়। দলীয় দৃষ্টিভঙ্গি থেকে এর মূল্যায়নেরও কোনো সুযোগ নেই।
প্রধান বিরোধী দল বিএনপির মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন বলেছিলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় সুপ্রিম কোর্ট যে রায় দেবেন, দেশবাসী অবশ্যই তা মেনে নেবে।’ দায়িত্বশীল একটি রাজনৈতিক দলের অবস্থান এটাই হওয়া উচিত। অবশ্য পরে তিনি ভিন্ন ধরনের মন্তব্যও করেছেন। ন্যায়বিচার ও আইনের শাসনের প্রশ্নে রাজনীতির বিষবাষ্প যাতে কাউকে আচ্ছন্ন না করে, সেটাই হবে এই মুহূর্তের প্রত্যাশা। এই বিষয়টি দেশের সব রাজনৈতিক শক্তিকে বিবেচনায় নিতে হবে।
১৯৯৮ সালে নিম্ন আদালতে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার প্রথম রায়ে ২০ আসামির ১৫ জনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ হয়। ২০০১ সালে উচ্চ আদালতের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ নিশ্চিতকরণ বেঞ্চ ১২ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন। কিন্তু বিএনপি-জামায়াত জোট আবার ক্ষমতায় এলে বিচারকাজ বন্ধ হয়ে যায়। এরপর, গত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে মামলাটি আবার সচল হয় এবং ২০০৭ সালের ৭ আগস্ট মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত পাঁচ আসামির আপিলের শুনানি শুরু হয়। শুনানি শেষে আদালত গত বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর পাঁচজনেরই লিভ টু আপিল মঞ্জুর করেন। কিন্তু বিচারকের অভাবে শুনানির প্রক্রিয়া আবার আটকে যায়। এ বছরের ৫ অক্টোবর শুনানির জন্য হাইকোর্টের বেঞ্চ গঠিত হয়। বেঞ্চ টানা ২৯ দিনের শুনানির পর ১২ নভেম্বর রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ করেন ১৯ নভেম্বর।
পঁচাত্তরের ঘাতকচক্র দীর্ঘ তিন দশক যে পৃষ্ঠপোষকতা পেয়েছে, তাতে বোঝা যায়, তাদের হাত অনেক দূর প্রসারিত। সংগত কারণেই এ রায় ঘোষণা নিয়ে সরকার সতর্কাবস্থায় রয়েছে। জননিরাপত্তার প্রশ্নটি দায়িত্বের সঙ্গে নজরে রাখা হয়েছে। আওয়ামী লীগের নেতারা দলীয় নেতা-কর্মীদের সংযত ও দায়িত্বশীল থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা আশা করব, আইন জয়ী হবে এবং রাজনৈতিক মহলসহ দেশের সকল মহল এ ঘটনাকে দায়িত্বশীলতার সঙ্গে গ্রহণ করবে।
দীর্ঘ ও কণ্টকিত পথ পেরিয়ে দেশের সর্বোচ্চ আদালত এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিচারের উপসংহার টানছেন। ১৯৭৫ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ দিয়ে খুনিদের বিচারের পথ বন্ধ রাখা হয়েছিল। কিন্তু সেই কালো আইনের রাহুগ্রাস থেকে সংবিধান ও দেশ মুক্ত হলেও রাজনৈতিক বাধায় আইনের স্বাভাবিক গতি ব্যাহত হয়েছিল। যত দিন গেছে, হত্যাকারীদের বিচার ও শাস্তির অপরিহার্যতা জাতীয় দাবি হয়ে উঠেছে। হত্যা অপরাধ, রাজনৈতিক হত্যা আরও বড় অপরাধ এবং দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রধান নেতা ও স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতাকে সপরিবারে হত্যার মাধ্যমে খুনিচক্র নিঃসন্দেহে চরম বর্বরতার পরিচয় দিয়েছে। এর বিচার ছাড়া আইনের সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠা এবং রাজনীতির কলঙ্কমোচন সম্ভব হতো না। এই জাতীয় কর্তব্য পালনের ব্যাপারে কোনো অস্পষ্টতা থাকা উচিত নয়। দলীয় দৃষ্টিভঙ্গি থেকে এর মূল্যায়নেরও কোনো সুযোগ নেই।
প্রধান বিরোধী দল বিএনপির মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন বলেছিলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় সুপ্রিম কোর্ট যে রায় দেবেন, দেশবাসী অবশ্যই তা মেনে নেবে।’ দায়িত্বশীল একটি রাজনৈতিক দলের অবস্থান এটাই হওয়া উচিত। অবশ্য পরে তিনি ভিন্ন ধরনের মন্তব্যও করেছেন। ন্যায়বিচার ও আইনের শাসনের প্রশ্নে রাজনীতির বিষবাষ্প যাতে কাউকে আচ্ছন্ন না করে, সেটাই হবে এই মুহূর্তের প্রত্যাশা। এই বিষয়টি দেশের সব রাজনৈতিক শক্তিকে বিবেচনায় নিতে হবে।
১৯৯৮ সালে নিম্ন আদালতে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার প্রথম রায়ে ২০ আসামির ১৫ জনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ হয়। ২০০১ সালে উচ্চ আদালতের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ নিশ্চিতকরণ বেঞ্চ ১২ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন। কিন্তু বিএনপি-জামায়াত জোট আবার ক্ষমতায় এলে বিচারকাজ বন্ধ হয়ে যায়। এরপর, গত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে মামলাটি আবার সচল হয় এবং ২০০৭ সালের ৭ আগস্ট মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত পাঁচ আসামির আপিলের শুনানি শুরু হয়। শুনানি শেষে আদালত গত বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর পাঁচজনেরই লিভ টু আপিল মঞ্জুর করেন। কিন্তু বিচারকের অভাবে শুনানির প্রক্রিয়া আবার আটকে যায়। এ বছরের ৫ অক্টোবর শুনানির জন্য হাইকোর্টের বেঞ্চ গঠিত হয়। বেঞ্চ টানা ২৯ দিনের শুনানির পর ১২ নভেম্বর রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ করেন ১৯ নভেম্বর।
পঁচাত্তরের ঘাতকচক্র দীর্ঘ তিন দশক যে পৃষ্ঠপোষকতা পেয়েছে, তাতে বোঝা যায়, তাদের হাত অনেক দূর প্রসারিত। সংগত কারণেই এ রায় ঘোষণা নিয়ে সরকার সতর্কাবস্থায় রয়েছে। জননিরাপত্তার প্রশ্নটি দায়িত্বের সঙ্গে নজরে রাখা হয়েছে। আওয়ামী লীগের নেতারা দলীয় নেতা-কর্মীদের সংযত ও দায়িত্বশীল থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা আশা করব, আইন জয়ী হবে এবং রাজনৈতিক মহলসহ দেশের সকল মহল এ ঘটনাকে দায়িত্বশীলতার সঙ্গে গ্রহণ করবে।
No comments