যুক্তরাষ্ট্রকে স্পর্শকাতর পরমাণু তথ্য দিয়েছিলেন মোশাররফ -বিজ্ঞানী কাদির খানের অভিযোগ
পাকিস্তানের পরমাণু বিজ্ঞানী ড. আবদুল কাদির খান বলেছেন, পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফ যুক্তরাষ্ট্রের কাছে পাকিস্তানের পরমাণু কর্মসূচি সম্পর্কিত স্পর্শকাতর বিভিন্ন তথ্য সরবরাহ করেছিলেন। এ সংক্রান্ত প্রমাণাদি তাঁর কাছে আছে এবং চাইলে তিনি আদালতের সামনে এসব তথ্য উপস্থাপন করতে পারবেন। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী পত্রিকা দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট-এর একটি প্রতিবেদনের সত্যতা নিশ্চিত করে পাকিস্তানের পরমাণু বোমার জনক কাদির খান এ কথা বলেন।
ড. আবদুল কাদির খান দাবি করেন, ক্ষমতায় থাকাকালে জেনারেল পারভেজ মোশাররফ তাঁকে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী জাফরুল্লাহ খান জামালি এ সংক্রান্ত আদেশে সই করতে রাজি না হওয়ায় সেটা তখন সম্ভব হয়নি।
কাদির খান বলেন, ওই আদেশে সই করার জন্য প্রচণ্ড চাপের মধ্যে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী জামালি। কিন্তু কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সদস্যদের আস্থা অর্জনের পর তিনি ওই আদেশে সই করতে অস্বীকৃতি জানান। মোশাররফ তাঁর হীন উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার উদ্দেশে একটি সি-১৩০ বিমানও প্রস্তুত করে রেখেছিলেন।
পারভেজ মোশাররফকে যুক্তরাষ্ট্রের ভাঁড় হিসেবে বর্ণনা করে এই পরমাণু বিজ্ঞানী বলেন, এখন সময় এসেছে, পরমাণু কর্মসূচির বিস্তারিত তথ্য হস্তান্তর সম্পর্কে অবশ্যই জনগণকে অবহিত করতে হবে। এ ব্যাপারে তদন্ত ও মোশাররফের বিচার করতে হবে। তিনি বলেন, এটা এখন সবাই জানে, ইসরায়েল ও অন্যান্য দেশের সঙ্গে সাবেক এই জেনারেলের গভীর সখ্য ছিল।
কাদির খান বলেন, খোদাই জানেন, ওই দেশগুলোর কাছে কী পরিমাণ গোপন তথ্য হস্তান্তর করেছিলেন মোশাররফ। তবে তিনি স্বীকার করেন, প্রেসিডেন্ট মোশাররফের মেয়াদকালে তাঁকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।
উল্লেখ্য, চীন পাকিস্তানকে দুটি পরমাণু বোমা বানানোর মতো ইউরেনিয়াম সরবরাহ করেছিল—এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য সবার আগে কাদির খানই প্রকাশ করেছিলেন।
পাকিস্তানের পরমাণু অস্ত্রের মজুদ: ভারতের চেয়ে পাকিস্তানের কাছে বেশি পরমাণু অস্ত্র মজুদ রয়েছে। চীনসহ এই দুটি প্রতিবেশী দেশ নিজেদের অস্ত্রভাণ্ডার সমৃদ্ধ এবং নতুন নতুন জায়গায় অস্ত্র মোতায়েন করে চলেছে। দুই মার্কিন পরমাণু বিশেষজ্ঞ সম্প্রতি এ কথা বলেছেন।
রবার্ট এস নরিস ও হান্স এম ক্রিস্টেনসেন ‘নিউক্লিয়ার নোটবুক: ওয়ার্ল্ডওয়াইড ডেপ্লয়মেন্ট অব নিউক্লিয়ার উইপনস-২০০৯’ শীর্ষক এক নিবন্ধে বলেন, পাকিস্তানের কাছে আনুমানিক ৭০ থেকে ৯০টি পরমাণু অস্ত্র রয়েছে। অন্যদিকে ভারতের কাছে রয়েছে ৬০ থেকে ৮০টি। ‘বুলেটিন অব দি অ্যাটমিক সায়েন্স’-এর সর্বশেষ সংখ্যায় নিবন্ধটি প্রকাশিত হয়েছে।
নিবন্ধে দাবি করা হয়েছে, বেইজিং, ইসলামাবাদ ও নয়াদিল্লি সংখ্যাগত ও গুণগতভাবে নিজেদের অস্ত্রভাণ্ডার সমৃদ্ধ করে চলেছে এবং আরও নতুন নতুন জায়গায় এসব অস্ত্র মোতায়েন করছে।
ড. আবদুল কাদির খান দাবি করেন, ক্ষমতায় থাকাকালে জেনারেল পারভেজ মোশাররফ তাঁকে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী জাফরুল্লাহ খান জামালি এ সংক্রান্ত আদেশে সই করতে রাজি না হওয়ায় সেটা তখন সম্ভব হয়নি।
কাদির খান বলেন, ওই আদেশে সই করার জন্য প্রচণ্ড চাপের মধ্যে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী জামালি। কিন্তু কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সদস্যদের আস্থা অর্জনের পর তিনি ওই আদেশে সই করতে অস্বীকৃতি জানান। মোশাররফ তাঁর হীন উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার উদ্দেশে একটি সি-১৩০ বিমানও প্রস্তুত করে রেখেছিলেন।
পারভেজ মোশাররফকে যুক্তরাষ্ট্রের ভাঁড় হিসেবে বর্ণনা করে এই পরমাণু বিজ্ঞানী বলেন, এখন সময় এসেছে, পরমাণু কর্মসূচির বিস্তারিত তথ্য হস্তান্তর সম্পর্কে অবশ্যই জনগণকে অবহিত করতে হবে। এ ব্যাপারে তদন্ত ও মোশাররফের বিচার করতে হবে। তিনি বলেন, এটা এখন সবাই জানে, ইসরায়েল ও অন্যান্য দেশের সঙ্গে সাবেক এই জেনারেলের গভীর সখ্য ছিল।
কাদির খান বলেন, খোদাই জানেন, ওই দেশগুলোর কাছে কী পরিমাণ গোপন তথ্য হস্তান্তর করেছিলেন মোশাররফ। তবে তিনি স্বীকার করেন, প্রেসিডেন্ট মোশাররফের মেয়াদকালে তাঁকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।
উল্লেখ্য, চীন পাকিস্তানকে দুটি পরমাণু বোমা বানানোর মতো ইউরেনিয়াম সরবরাহ করেছিল—এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য সবার আগে কাদির খানই প্রকাশ করেছিলেন।
পাকিস্তানের পরমাণু অস্ত্রের মজুদ: ভারতের চেয়ে পাকিস্তানের কাছে বেশি পরমাণু অস্ত্র মজুদ রয়েছে। চীনসহ এই দুটি প্রতিবেশী দেশ নিজেদের অস্ত্রভাণ্ডার সমৃদ্ধ এবং নতুন নতুন জায়গায় অস্ত্র মোতায়েন করে চলেছে। দুই মার্কিন পরমাণু বিশেষজ্ঞ সম্প্রতি এ কথা বলেছেন।
রবার্ট এস নরিস ও হান্স এম ক্রিস্টেনসেন ‘নিউক্লিয়ার নোটবুক: ওয়ার্ল্ডওয়াইড ডেপ্লয়মেন্ট অব নিউক্লিয়ার উইপনস-২০০৯’ শীর্ষক এক নিবন্ধে বলেন, পাকিস্তানের কাছে আনুমানিক ৭০ থেকে ৯০টি পরমাণু অস্ত্র রয়েছে। অন্যদিকে ভারতের কাছে রয়েছে ৬০ থেকে ৮০টি। ‘বুলেটিন অব দি অ্যাটমিক সায়েন্স’-এর সর্বশেষ সংখ্যায় নিবন্ধটি প্রকাশিত হয়েছে।
নিবন্ধে দাবি করা হয়েছে, বেইজিং, ইসলামাবাদ ও নয়াদিল্লি সংখ্যাগত ও গুণগতভাবে নিজেদের অস্ত্রভাণ্ডার সমৃদ্ধ করে চলেছে এবং আরও নতুন নতুন জায়গায় এসব অস্ত্র মোতায়েন করছে।
No comments