ক্রসফায়ারই সমাধান by শাহ্দীন মালিক
৪ অক্টোবর প্রথম আলোর প্রথম পাতায় প্রথম কলামে প্রতিদিনের ‘উদ্ধৃতি’তে স্থান পেয়েছে নৌপরিবহনমন্ত্রী শাহজাহান খানের বিবিসির বাংলা সংলাপের একটি বাক্য—‘ক্রসফায়ারের মাধ্যমেই একদিন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বন্ধ হবে’। পত্রিকাটির তৃতীয় পৃষ্ঠায় এ সংক্রান্ত বিস্তারিত সংবাদ এসেছে ‘ক্রসফায়ারকেই সমাধান মনে করেন নৌপরিবহনমন্ত্রী’ শিরোনামে।
পড়লাম। মনে দুটো প্রশ্ন জেগেছে। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার কি নিতান্তই ভোটার ভুলানো রূপকথা; নাকি মন্ত্রীবিশেষকে সেই ইশতেহারকে অর্থহীন করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে?
আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে ‘আমাদের অঙ্গীকার, কর্মসূচি ও ঘোষণা’ শিরোনামের নিচের ‘অগ্রাধিকারের পাঁচটি বিষয়’- এর অন্তর্গত ৫:২তে- বলা হয়েছে ‘...বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ করা হবে...।’
নৌপরিবহনমন্ত্রী অবশ্যই বলতে পারেন যে ইশতেহারে ‘বন্ধ করা হবে’ বলা হয়েছে। এখনই বন্ধ করা হবে তা তো বলা হয়নি। তাঁর যুক্তি হতে পারে—ক্রসফায়ারের মাধ্যমে সন্ত্রাসের সমস্যার সমাধান হয়ে গেলে তারপর ক্রসফায়ার বন্ধ করা হবে।
একজন মাদকাসক্ত ব্যক্তিরও মাদক গ্রহণের পক্ষে যুক্তি থাকে—নিঃসঙ্গতা থেকে রেহাই পেতে; ব্যক্তি-জীবনের দুঃখ-দুর্দশা কিছু সময়ের জন্য ভুলে থাকতে; মন-মেজাজ ভালো রাখতে; পারিবারিক কলহ দারিদ্র্য বা বেকারত্ব থেকে মনকে দূরে রাখতে ইত্যাদি। মাদকাসক্ত ব্যক্তির নিজের কাছে এসব যুক্তি অকাট্য, খুবই গ্রহণযোগ্য ও বিশ্বাসযোগ্য। এতটাই বিশ্বাসযোগ্য ও গ্রহণযোগ্য যে সে এসব যুক্তির কারণেই তার মাদক গ্রহণ চালিয়ে যায়।
আর হত্যা করে বা হত্যার মাধ্যমে যে একটা সমস্যার সমাধান করা যায়—এ ধারণাটা অতি পুরোনো। বিশ্বের বর্তমান ও নিকট অতীতের (অর্থাত্ যাদের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে প্রমাণযোগ্য দলিল-দস্তাবেজ পাওয়া যায়) সব ধরনের উগ্র জঙ্গীগোষ্ঠী—ডান-বাম, ধর্ম-অধর্ম—হত্যাকেই সমাধান হিসেবে বেছে নিয়ে নির্বিচারে প্রতিপক্ষকে হত্যা করেছে। কিন্তু হত্যা করে কেউ কোনো সমস্যার সমাধান করেছে বলে আমার জানা নেই।
আমাদের ইদানীংকালের উগ্র মৌলবাদী জঙ্গি গোষ্ঠীর দৃষ্টিতে রাষ্ট্রের ধর্মের অভাবই সব সমস্যার মূল কারণ। বিচারকদের হত্যা সমাধান মনে করে তারা বোমা ফুটিয়ে বিচারকদের হত্যা করেছে, হত্যা সমাধান মনে করেই ২১ আগস্ট বোমা ফাটিয়ে তাদের শত্রু অর্থাত্ আওয়ামী লীগের শীর্ষ প্রায় সব নেতাকে হত্যার প্রায় সফল চেষ্টা করেছে। গান-বাজনা সমস্যা মনে করে রমনার বটমূলে বোমা ফাটিয়ে মানুষ হত্যা করেছে।
১৯৭১ সালে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসরেরাও একইভাবে মনে করেছিল যে নির্বিচারে মানুষ হত্যা করে পাকিস্তান ভেঙে যাওয়া বা ইসলাম বিপন্ন হওয়ার যে আশঙ্কা বা সমস্যা তার সমাধান করবে। এই হত্যা-সমাধানের অগ্রপথিক ছিল ইউনিফর্ম পরা পাকিস্তান দেশটির সশস্ত্র বাহিনী ও তাদের পক্ষে কিছু রাজনৈতিক নেতা।
হিটলার তাঁর দল ও সশস্ত্র বাহিনী একই ধারণায় উন্মাদ হয়েছিল। তারা ভেবেছিল জার্মানির সব সমস্যার মূল কারণ তাদের ইহুদি জনগোষ্ঠী। অতএব হত্যাযজ্ঞই ছিল সমাধান। আর অপরাধীদের হত্যা করে অপরাধ দমনের চেষ্টা কখনো করেনি এমন সমাজ খুব কমই আছে। কেউ সফল হয়নি। কিন্তু হত্যা অভিযানের একটা ফল বা পরিণতি সব সমাজই ভোগ করেছে। সমাজগুলোতে অপরাধ-নিরপরাধ সবাইকে হত্যা করাটা অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।
আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে যখন বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধের অঙ্গীকার পড়েছিলাম তখন ভেবেছিলাম আওয়ামী লীগ হয়তো বুঝতে পেরেছে যে হত্যা দিয়ে হত্যা বন্ধ করা যায় না। নাকি আমার ভুল হচ্ছে। হতে পারে ক্ষমতায় গিয়ে এখন হত্যার পক্ষের লোকজনের যুক্তি বেশি অকাট্য মনে হচ্ছে।
দুই-তিন দিন আগে প্রথম আলোতেই প্রথম চোখে পড়ল গানম্যান নিয়োগসংক্রান্ত বিজ্ঞাপন। অনেক দিন ধরেই বলছি, লিখছি—এটা বর্বরতার ধারাবাহিকতায় অবশ্যম্ভাবী পরিণতি। এ সপ্তাহে প্রথম একটা গানম্যানের বিজ্ঞাপন অবশ্যম্ভাবীভাবে এক বছরের মধ্যে গণ্ডায় গণ্ডায় বিজ্ঞাপনে পরিণত হবে। প্রথমে গণ্যমান্য ব্যক্তি তারপর ধনী-প্রভাবশালী; তারপর তাদের স্ত্রী-পুত্র, মা-আয়া-বাবুর্চির জন্যও গানম্যান লাগবে। মেক্সিকো সিটিতে এখন সরকারি লাইসেন্সপ্রাপ্ত বেসরকারি গানম্যানের সরকারি সংখ্যা লক্ষাধিক। মেক্সিকো সিটিতে দৈনিক খুন হয় শতাধিক। ঢাকা শহরে গড়ে দৈনিক দুই থেকে তিনজন। এই দুই বা তিনজন থেকে সেঞ্চুরিতে যেতে সময় লাগবে অত্যল্প। যদি খুনই সমাধান মনে করা হয়।
২
সন্ত্রাসীদের ক্রসফায়ারে মেরে সন্ত্রাস-সমস্যার সমাধান যদি এখন আওয়ামী লীগের নীতি হয়। তাহলে কোর্ট-কাচারি বন্ধ করে দিয়ে সব হত্যাকারী সন্ত্রাসীদের ক্রসফায়ারে মেরে ফেললেই হয়। অবশ্য অতটা নিশ্চয় সরকার করবে না। কিন্তু নৌপরিবহনমন্ত্রীর বক্তব্য কি সেদিকে অঙ্গুলি নির্দেশ করছে না বা যদি না হয় অন্তত তাঁর তো পদত্যাগ করা উচিত। অন্য মন্ত্রীরা অবশ্য ইদানীং বলছেন ক্রসফায়ার নেই, অথবা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ‘আত্মরক্ষার্থে’ গুলি ছুড়ে হত্যা করছে।
নৌপরিবহনমন্ত্রী রাখঢাক ছাড়া বললেন, এটাই সমাধান। এটা সমাধান হতে পারে না।
আমাদের বাংলাদেশকে আমরা একটা মধ্যযুগীয় বর্বব দেশে পরিণত করতে আমরা দেব না।
হতে পারে দল এখন বলবে নৌপরিবহনমন্ত্রী মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছেন। আমরা ধরে নেব নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী দল আইনের শাসনে সত্যি সত্যিই বিশ্বাস করে, হত্যা-বর্বরতাকে ঘৃণা করে।
আর দুরাশা হলো—নৌপরিবহনমন্ত্রী তাঁর ভুল বুঝতে পেরে পদত্যাগ করবেন। অন্তত নিঃশর্ত ক্ষমা চাইবেন ভুলের জন্য। আমরা বর্বরতার পথ ছেড়ে সভ্যতার পথে ফিরে আসা শুরু করব জোরেশোরে।
ড. শাহ্দীন মালিক: অ্যাডভোকেট, সুপ্রিম কোর্ট।
পড়লাম। মনে দুটো প্রশ্ন জেগেছে। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার কি নিতান্তই ভোটার ভুলানো রূপকথা; নাকি মন্ত্রীবিশেষকে সেই ইশতেহারকে অর্থহীন করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে?
আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে ‘আমাদের অঙ্গীকার, কর্মসূচি ও ঘোষণা’ শিরোনামের নিচের ‘অগ্রাধিকারের পাঁচটি বিষয়’- এর অন্তর্গত ৫:২তে- বলা হয়েছে ‘...বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ করা হবে...।’
নৌপরিবহনমন্ত্রী অবশ্যই বলতে পারেন যে ইশতেহারে ‘বন্ধ করা হবে’ বলা হয়েছে। এখনই বন্ধ করা হবে তা তো বলা হয়নি। তাঁর যুক্তি হতে পারে—ক্রসফায়ারের মাধ্যমে সন্ত্রাসের সমস্যার সমাধান হয়ে গেলে তারপর ক্রসফায়ার বন্ধ করা হবে।
একজন মাদকাসক্ত ব্যক্তিরও মাদক গ্রহণের পক্ষে যুক্তি থাকে—নিঃসঙ্গতা থেকে রেহাই পেতে; ব্যক্তি-জীবনের দুঃখ-দুর্দশা কিছু সময়ের জন্য ভুলে থাকতে; মন-মেজাজ ভালো রাখতে; পারিবারিক কলহ দারিদ্র্য বা বেকারত্ব থেকে মনকে দূরে রাখতে ইত্যাদি। মাদকাসক্ত ব্যক্তির নিজের কাছে এসব যুক্তি অকাট্য, খুবই গ্রহণযোগ্য ও বিশ্বাসযোগ্য। এতটাই বিশ্বাসযোগ্য ও গ্রহণযোগ্য যে সে এসব যুক্তির কারণেই তার মাদক গ্রহণ চালিয়ে যায়।
আর হত্যা করে বা হত্যার মাধ্যমে যে একটা সমস্যার সমাধান করা যায়—এ ধারণাটা অতি পুরোনো। বিশ্বের বর্তমান ও নিকট অতীতের (অর্থাত্ যাদের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে প্রমাণযোগ্য দলিল-দস্তাবেজ পাওয়া যায়) সব ধরনের উগ্র জঙ্গীগোষ্ঠী—ডান-বাম, ধর্ম-অধর্ম—হত্যাকেই সমাধান হিসেবে বেছে নিয়ে নির্বিচারে প্রতিপক্ষকে হত্যা করেছে। কিন্তু হত্যা করে কেউ কোনো সমস্যার সমাধান করেছে বলে আমার জানা নেই।
আমাদের ইদানীংকালের উগ্র মৌলবাদী জঙ্গি গোষ্ঠীর দৃষ্টিতে রাষ্ট্রের ধর্মের অভাবই সব সমস্যার মূল কারণ। বিচারকদের হত্যা সমাধান মনে করে তারা বোমা ফুটিয়ে বিচারকদের হত্যা করেছে, হত্যা সমাধান মনে করেই ২১ আগস্ট বোমা ফাটিয়ে তাদের শত্রু অর্থাত্ আওয়ামী লীগের শীর্ষ প্রায় সব নেতাকে হত্যার প্রায় সফল চেষ্টা করেছে। গান-বাজনা সমস্যা মনে করে রমনার বটমূলে বোমা ফাটিয়ে মানুষ হত্যা করেছে।
১৯৭১ সালে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসরেরাও একইভাবে মনে করেছিল যে নির্বিচারে মানুষ হত্যা করে পাকিস্তান ভেঙে যাওয়া বা ইসলাম বিপন্ন হওয়ার যে আশঙ্কা বা সমস্যা তার সমাধান করবে। এই হত্যা-সমাধানের অগ্রপথিক ছিল ইউনিফর্ম পরা পাকিস্তান দেশটির সশস্ত্র বাহিনী ও তাদের পক্ষে কিছু রাজনৈতিক নেতা।
হিটলার তাঁর দল ও সশস্ত্র বাহিনী একই ধারণায় উন্মাদ হয়েছিল। তারা ভেবেছিল জার্মানির সব সমস্যার মূল কারণ তাদের ইহুদি জনগোষ্ঠী। অতএব হত্যাযজ্ঞই ছিল সমাধান। আর অপরাধীদের হত্যা করে অপরাধ দমনের চেষ্টা কখনো করেনি এমন সমাজ খুব কমই আছে। কেউ সফল হয়নি। কিন্তু হত্যা অভিযানের একটা ফল বা পরিণতি সব সমাজই ভোগ করেছে। সমাজগুলোতে অপরাধ-নিরপরাধ সবাইকে হত্যা করাটা অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।
আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে যখন বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধের অঙ্গীকার পড়েছিলাম তখন ভেবেছিলাম আওয়ামী লীগ হয়তো বুঝতে পেরেছে যে হত্যা দিয়ে হত্যা বন্ধ করা যায় না। নাকি আমার ভুল হচ্ছে। হতে পারে ক্ষমতায় গিয়ে এখন হত্যার পক্ষের লোকজনের যুক্তি বেশি অকাট্য মনে হচ্ছে।
দুই-তিন দিন আগে প্রথম আলোতেই প্রথম চোখে পড়ল গানম্যান নিয়োগসংক্রান্ত বিজ্ঞাপন। অনেক দিন ধরেই বলছি, লিখছি—এটা বর্বরতার ধারাবাহিকতায় অবশ্যম্ভাবী পরিণতি। এ সপ্তাহে প্রথম একটা গানম্যানের বিজ্ঞাপন অবশ্যম্ভাবীভাবে এক বছরের মধ্যে গণ্ডায় গণ্ডায় বিজ্ঞাপনে পরিণত হবে। প্রথমে গণ্যমান্য ব্যক্তি তারপর ধনী-প্রভাবশালী; তারপর তাদের স্ত্রী-পুত্র, মা-আয়া-বাবুর্চির জন্যও গানম্যান লাগবে। মেক্সিকো সিটিতে এখন সরকারি লাইসেন্সপ্রাপ্ত বেসরকারি গানম্যানের সরকারি সংখ্যা লক্ষাধিক। মেক্সিকো সিটিতে দৈনিক খুন হয় শতাধিক। ঢাকা শহরে গড়ে দৈনিক দুই থেকে তিনজন। এই দুই বা তিনজন থেকে সেঞ্চুরিতে যেতে সময় লাগবে অত্যল্প। যদি খুনই সমাধান মনে করা হয়।
২
সন্ত্রাসীদের ক্রসফায়ারে মেরে সন্ত্রাস-সমস্যার সমাধান যদি এখন আওয়ামী লীগের নীতি হয়। তাহলে কোর্ট-কাচারি বন্ধ করে দিয়ে সব হত্যাকারী সন্ত্রাসীদের ক্রসফায়ারে মেরে ফেললেই হয়। অবশ্য অতটা নিশ্চয় সরকার করবে না। কিন্তু নৌপরিবহনমন্ত্রীর বক্তব্য কি সেদিকে অঙ্গুলি নির্দেশ করছে না বা যদি না হয় অন্তত তাঁর তো পদত্যাগ করা উচিত। অন্য মন্ত্রীরা অবশ্য ইদানীং বলছেন ক্রসফায়ার নেই, অথবা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ‘আত্মরক্ষার্থে’ গুলি ছুড়ে হত্যা করছে।
নৌপরিবহনমন্ত্রী রাখঢাক ছাড়া বললেন, এটাই সমাধান। এটা সমাধান হতে পারে না।
আমাদের বাংলাদেশকে আমরা একটা মধ্যযুগীয় বর্বব দেশে পরিণত করতে আমরা দেব না।
হতে পারে দল এখন বলবে নৌপরিবহনমন্ত্রী মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছেন। আমরা ধরে নেব নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী দল আইনের শাসনে সত্যি সত্যিই বিশ্বাস করে, হত্যা-বর্বরতাকে ঘৃণা করে।
আর দুরাশা হলো—নৌপরিবহনমন্ত্রী তাঁর ভুল বুঝতে পেরে পদত্যাগ করবেন। অন্তত নিঃশর্ত ক্ষমা চাইবেন ভুলের জন্য। আমরা বর্বরতার পথ ছেড়ে সভ্যতার পথে ফিরে আসা শুরু করব জোরেশোরে।
ড. শাহ্দীন মালিক: অ্যাডভোকেট, সুপ্রিম কোর্ট।
No comments