ইরানের কাছে আণবিক বোমা বানানোর পর্যাপ্ত তথ্য রয়েছে
আণবিক বোমা বানানোর জন্য পর্যাপ্ত তথ্য ও নকশা সংগ্রহ করেছে ইরান—আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) কর্মীদের একটি গোপন বিশ্লেষণী প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে গতকাল রোববার এ কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক পত্রিকা নিউইয়র্ক টাইমস।
গত বৃহস্পতিবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে ছয় বিশ্বশক্তির সঙ্গে আলোচনায় বসে তেহরান। পশ্চিমা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ওই আলোচনায় ইরান এরই মধ্যে সমৃদ্ধকৃত ইউরেনিয়াম পুনঃপ্রক্রিয়াজাত করার জন্য রাশিয়া ও ফ্রান্সে পাঠাতে নীতিগতভাবে রাজি হয়েছে।
আইএইএর ওই গোপন প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে নিউইয়র্ক টাইমস জানায়, সংস্থার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, আণবিক বোমায় ব্যবহূত হয় এমন বিস্ফোরক তৈরির জন্য ইরানের কাছে পর্যাপ্ত তথ্য রয়েছে। পরিচয় গোপন রাখার শর্তে সংস্থার একজন ইউরোপীয় কর্মকর্তা পত্রিকাটিকে জানান, এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট নথিপত্রের একটি সারসংক্ষেপ প্রতিবেদনটির শেষে যুক্ত করা হয়েছে। এ বছরের শুরুতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়। তার পর থেকে বিভিন্ন সময় প্রতিবেদনটির সংশোধন ও পরিমার্জন করা হচ্ছে। তবে প্রতিবেদনটি একটি আনুষ্ঠানিক দলিল হিসেবে প্রকাশের জন্য এখনো তৈরি নয় বলে সংস্থার আরেক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
‘পসিবল মিলিটারি ডাইমেনশনস অব ইরানস নিউক্লিয়ার প্রোগ্রাম’ শীর্ষক ওই প্রতিবেদনে ইরানের পরমাণু কর্মসূচিকে একটি জটিল প্রকল্প হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। আইএইএর প্রতিবেদনে বলা হয়, মূলত দূরপাল্লার শাহাব-৩ ক্ষেপণাস্ত্রে পরমাণু বোমা স্থাপনের লক্ষ্যে ওই কর্মসূচি পরিচালনা করছে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। ২০০২ সাল থেকে এ কার্যক্রম শুরু করে তেহরান। এতে আরও বলা হয়েছে, আণবিক বোমা তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় নকশা ও তথ্য সম্ভবত বাইরের কোনো উত্স থেকে পেয়েছে ইরান।
তবে ইরানের পরমাণু বোমা তৈরির কার্যক্রমের অগ্রগতি সম্পর্কে পত্রিকাটির প্রতিবেদনে কিছুই জানানো হয়নি। পত্রিকাটি আরও জানায়, ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে সাম্প্রতিক সময় আইএইএ প্রধান এলবারাদির সঙ্গে সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মতের অমিল দেখা গেছে। গত কয়েক সপ্তাহে আইএইএর বেশকিছু গোপন দলিল প্রকাশ পাওয়ার কথা উল্লেখ করে নিউইয়র্ক টাইমস বলেছে, সম্ভবত ওই সব প্রতিবেদন প্রকাশ করার জন্য এল বারাদির ওপর চাপ তৈরি করতেই এমনটি করা হয়েছে।
এদিকে ২০০৭ সালে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, তেহরান ২০০৩ সালের দিকেই পরমাণু বোমা তৈরির কর্মসূচি স্থগিত করেছে। তবে সম্প্রতি ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি ও ইসরায়েল অভিযোগ তুলেছে, ইরান আবার পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির কার্যক্রম শুরু করেছে। এ ব্যাপারে গত সপ্তাহে একজন ঊর্ধ্বতন মার্কিন কর্মকর্তা নিউইয়র্ক টাইমসকে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ২০০৭ সালের প্রতিবেদনটি আবার পর্যালোচনা করছে। এএফপি।
২৫ অক্টোবর ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র পরিদর্শন: জাতিসংঘের আণবিক সংস্থার (আইএইএ) প্রধান মোহাম্মদ এল বারাদি গতকাল রোববার বলেছেন, আইএইএর সদস্যরা ২৫ অক্টোবর ইরানের দ্বিতীয় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র পরিদর্শন করবেন। তিনি বলেছেন, ‘ইরানের নতুন পরমাণুকেন্দ্র পরিদর্শন করাটা জরুরি হয়ে পড়েছে। আমাদের আশ্বস্ত হওয়া দরকার, শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে ইরান এ কেন্দ্র তৈরি করেছে কি না।’
এল বারাদি ইরানের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদ ও অন্য শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে এ দিনক্ষণ ঠিক করেছেন। বৈঠক শেষে এল বারাদি তেহরানে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, জাতিসংঘের একটি দল ২৫ অক্টোবর কোম নগরে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র পরিদর্শন করবেন। তিনি আরও জানান, ১৯ অক্টোবর অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ফ্রান্স ও ইরানের প্রতিনিধিরা ফের আলোচনায় বসবেন।
গত বৃহস্পতিবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে ছয় বিশ্বশক্তির সঙ্গে আলোচনায় বসে তেহরান। পশ্চিমা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ওই আলোচনায় ইরান এরই মধ্যে সমৃদ্ধকৃত ইউরেনিয়াম পুনঃপ্রক্রিয়াজাত করার জন্য রাশিয়া ও ফ্রান্সে পাঠাতে নীতিগতভাবে রাজি হয়েছে।
আইএইএর ওই গোপন প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে নিউইয়র্ক টাইমস জানায়, সংস্থার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, আণবিক বোমায় ব্যবহূত হয় এমন বিস্ফোরক তৈরির জন্য ইরানের কাছে পর্যাপ্ত তথ্য রয়েছে। পরিচয় গোপন রাখার শর্তে সংস্থার একজন ইউরোপীয় কর্মকর্তা পত্রিকাটিকে জানান, এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট নথিপত্রের একটি সারসংক্ষেপ প্রতিবেদনটির শেষে যুক্ত করা হয়েছে। এ বছরের শুরুতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়। তার পর থেকে বিভিন্ন সময় প্রতিবেদনটির সংশোধন ও পরিমার্জন করা হচ্ছে। তবে প্রতিবেদনটি একটি আনুষ্ঠানিক দলিল হিসেবে প্রকাশের জন্য এখনো তৈরি নয় বলে সংস্থার আরেক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
‘পসিবল মিলিটারি ডাইমেনশনস অব ইরানস নিউক্লিয়ার প্রোগ্রাম’ শীর্ষক ওই প্রতিবেদনে ইরানের পরমাণু কর্মসূচিকে একটি জটিল প্রকল্প হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। আইএইএর প্রতিবেদনে বলা হয়, মূলত দূরপাল্লার শাহাব-৩ ক্ষেপণাস্ত্রে পরমাণু বোমা স্থাপনের লক্ষ্যে ওই কর্মসূচি পরিচালনা করছে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। ২০০২ সাল থেকে এ কার্যক্রম শুরু করে তেহরান। এতে আরও বলা হয়েছে, আণবিক বোমা তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় নকশা ও তথ্য সম্ভবত বাইরের কোনো উত্স থেকে পেয়েছে ইরান।
তবে ইরানের পরমাণু বোমা তৈরির কার্যক্রমের অগ্রগতি সম্পর্কে পত্রিকাটির প্রতিবেদনে কিছুই জানানো হয়নি। পত্রিকাটি আরও জানায়, ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে সাম্প্রতিক সময় আইএইএ প্রধান এলবারাদির সঙ্গে সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মতের অমিল দেখা গেছে। গত কয়েক সপ্তাহে আইএইএর বেশকিছু গোপন দলিল প্রকাশ পাওয়ার কথা উল্লেখ করে নিউইয়র্ক টাইমস বলেছে, সম্ভবত ওই সব প্রতিবেদন প্রকাশ করার জন্য এল বারাদির ওপর চাপ তৈরি করতেই এমনটি করা হয়েছে।
এদিকে ২০০৭ সালে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, তেহরান ২০০৩ সালের দিকেই পরমাণু বোমা তৈরির কর্মসূচি স্থগিত করেছে। তবে সম্প্রতি ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি ও ইসরায়েল অভিযোগ তুলেছে, ইরান আবার পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির কার্যক্রম শুরু করেছে। এ ব্যাপারে গত সপ্তাহে একজন ঊর্ধ্বতন মার্কিন কর্মকর্তা নিউইয়র্ক টাইমসকে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ২০০৭ সালের প্রতিবেদনটি আবার পর্যালোচনা করছে। এএফপি।
২৫ অক্টোবর ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র পরিদর্শন: জাতিসংঘের আণবিক সংস্থার (আইএইএ) প্রধান মোহাম্মদ এল বারাদি গতকাল রোববার বলেছেন, আইএইএর সদস্যরা ২৫ অক্টোবর ইরানের দ্বিতীয় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র পরিদর্শন করবেন। তিনি বলেছেন, ‘ইরানের নতুন পরমাণুকেন্দ্র পরিদর্শন করাটা জরুরি হয়ে পড়েছে। আমাদের আশ্বস্ত হওয়া দরকার, শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে ইরান এ কেন্দ্র তৈরি করেছে কি না।’
এল বারাদি ইরানের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদ ও অন্য শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে এ দিনক্ষণ ঠিক করেছেন। বৈঠক শেষে এল বারাদি তেহরানে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, জাতিসংঘের একটি দল ২৫ অক্টোবর কোম নগরে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র পরিদর্শন করবেন। তিনি আরও জানান, ১৯ অক্টোবর অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ফ্রান্স ও ইরানের প্রতিনিধিরা ফের আলোচনায় বসবেন।
No comments