ইন্দিরার প্রতি কাজাখদের ভালোবাসা
ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ১৯৫৫ সালে তাঁর বাবা জওহরলাল নেহরুর সঙ্গে আধা বেলার সফরে কাজাখস্তানে গিয়েছিলেন। কিন্তু ওই ঘণ্টা কয়েকের সফরে তিনি কাজাখস্তানের মানুষের মনে এতটাই প্রভাব ফেলেন, তারা আজও শ্রদ্ধার সঙ্গে তাঁকে স্মরণ করছে। ইন্দিরা গান্ধীর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে কাজাখস্তানের মানুষ তাদের কন্যাসন্তানের নাম ‘ইন্দিরা’ রেখেছে। আজও তারা সেই ধারা অব্যাহত রেখেছে।
কাজাখস্তানের সবচেয়ে বড় শহর আলমাতির কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমাম সাতারহান বলেন, ‘ইন্দিরা গান্ধীর নাম এখানকার অধিকাংশ মানুষের মনে দাগ কাটে। অনেকেই তাদের কন্যাসন্তানের নাম ইন্দিরা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
৮২ বছর বয়স্ক সাতারহান আরও বলেন, ‘১৯৫৫ সালে ওই সংক্ষিপ্ত সফরকালে ইন্দিরাকে কাজাখস্তানের সবাই দেখেছে—এমন নয়। তবে যারাই ইন্দিরাকে দেখেছে, তারা সবাই ইন্দিরার আকর্ষণীয় চেহারা, বাগ্মিতা ও অমায়িক আচরণে বিমোহিত হয়েছে। ইন্দিরার ওই সফরের পর থেকেই কাজাখস্তানের মানুষ তাদের কন্যাসন্তান ও নাতনিদের ইন্দিরার আদর্শে গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখে। তারা তাদের কন্যা ও নাতনিদের নাম ইন্দিরা রাখা শুরু করে। এই ধারা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে, এখন প্রতি ১০ জনের একজন মেয়ের নাম ইন্দিরা রাখা হয়।’ সাতারহান তাঁর নিজের নাতনির নামও ইন্দিরা রেখেছেন।
কাজাখস্তানের একটি চার-তারকা হোটেলের অভ্যর্থনাকর্মী ইন্দিরা ওসপানোভা বলেন, ‘আমার দাদা-দাদি আগ্রহ করেই আমার নাম ইন্দিরা রেখেছেন।’
কাজাখস্তানে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত অশোক সাজ্জানহার বলেন, ‘আশি ও নব্বইয়ের দশক তো বটেই, এমনকি আজও কাজাখস্তানের মানুষ তাদের সন্তানের নাম ইন্দিরা রাখছে। ভারতের প্রতি তীব্র ভালোবাসার কারণেই তারা ইন্দিরা গান্ধীর প্রতি এ সম্মান দেখাচ্ছে।’
কাজাখস্তানের জাতীয় বিমান সংস্থা এয়ার আস্তানার বিমানবালা ইন্দিরা স্মাগুলোভা বলেন, ‘বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় একজন নারীনেত্রীর নামে নাম রাখাটা বিশাল সম্মানের ব্যাপার। আমি ইন্দিরা গান্ধীকে কেবল ছবিতে দেখেছি। তাঁর ব্যক্তিত্ব ও সৌন্দর্য আমাকে দারুণভাবে আকৃষ্ট করেছে।’
শুধু ইন্দিরা গান্ধীর প্রতিই নয়, কাজাখস্তানের জনগণ ইন্দিরার ছেলে ভারতের আরেক সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর প্রতিও সমান অনুরক্ত।
একজন নারী পর্যটক সহায়তাকারী (গাইড) রিমা কারমিসোভা বলেন, ‘রাজীব গান্ধীর আদর্শ আমাকে টানে। কিশোরী বয়সে আমি তাঁর প্রেমে পড়েছিলাম। তিনি ছিলেন একজন সুদর্শন পুরুষ। তাই আমি আমার সন্তানের নাম রাজীব রাখারই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের দেশগুলোতে ভারতের গান্ধী পরিবার সব সময়ই বিশেষভাবে সমাদৃত। ভারতের অহিংস আন্দোলনের প্রবাদপুরুষ ও রাজনৈতিক সাধক মহাত্মা গান্ধীর নামে কাজাখস্তানে একটি সড়কও রয়েছে।
কাজাখস্তানের সবচেয়ে বড় শহর আলমাতির কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমাম সাতারহান বলেন, ‘ইন্দিরা গান্ধীর নাম এখানকার অধিকাংশ মানুষের মনে দাগ কাটে। অনেকেই তাদের কন্যাসন্তানের নাম ইন্দিরা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
৮২ বছর বয়স্ক সাতারহান আরও বলেন, ‘১৯৫৫ সালে ওই সংক্ষিপ্ত সফরকালে ইন্দিরাকে কাজাখস্তানের সবাই দেখেছে—এমন নয়। তবে যারাই ইন্দিরাকে দেখেছে, তারা সবাই ইন্দিরার আকর্ষণীয় চেহারা, বাগ্মিতা ও অমায়িক আচরণে বিমোহিত হয়েছে। ইন্দিরার ওই সফরের পর থেকেই কাজাখস্তানের মানুষ তাদের কন্যাসন্তান ও নাতনিদের ইন্দিরার আদর্শে গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখে। তারা তাদের কন্যা ও নাতনিদের নাম ইন্দিরা রাখা শুরু করে। এই ধারা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে, এখন প্রতি ১০ জনের একজন মেয়ের নাম ইন্দিরা রাখা হয়।’ সাতারহান তাঁর নিজের নাতনির নামও ইন্দিরা রেখেছেন।
কাজাখস্তানের একটি চার-তারকা হোটেলের অভ্যর্থনাকর্মী ইন্দিরা ওসপানোভা বলেন, ‘আমার দাদা-দাদি আগ্রহ করেই আমার নাম ইন্দিরা রেখেছেন।’
কাজাখস্তানে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত অশোক সাজ্জানহার বলেন, ‘আশি ও নব্বইয়ের দশক তো বটেই, এমনকি আজও কাজাখস্তানের মানুষ তাদের সন্তানের নাম ইন্দিরা রাখছে। ভারতের প্রতি তীব্র ভালোবাসার কারণেই তারা ইন্দিরা গান্ধীর প্রতি এ সম্মান দেখাচ্ছে।’
কাজাখস্তানের জাতীয় বিমান সংস্থা এয়ার আস্তানার বিমানবালা ইন্দিরা স্মাগুলোভা বলেন, ‘বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় একজন নারীনেত্রীর নামে নাম রাখাটা বিশাল সম্মানের ব্যাপার। আমি ইন্দিরা গান্ধীকে কেবল ছবিতে দেখেছি। তাঁর ব্যক্তিত্ব ও সৌন্দর্য আমাকে দারুণভাবে আকৃষ্ট করেছে।’
শুধু ইন্দিরা গান্ধীর প্রতিই নয়, কাজাখস্তানের জনগণ ইন্দিরার ছেলে ভারতের আরেক সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর প্রতিও সমান অনুরক্ত।
একজন নারী পর্যটক সহায়তাকারী (গাইড) রিমা কারমিসোভা বলেন, ‘রাজীব গান্ধীর আদর্শ আমাকে টানে। কিশোরী বয়সে আমি তাঁর প্রেমে পড়েছিলাম। তিনি ছিলেন একজন সুদর্শন পুরুষ। তাই আমি আমার সন্তানের নাম রাজীব রাখারই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের দেশগুলোতে ভারতের গান্ধী পরিবার সব সময়ই বিশেষভাবে সমাদৃত। ভারতের অহিংস আন্দোলনের প্রবাদপুরুষ ও রাজনৈতিক সাধক মহাত্মা গান্ধীর নামে কাজাখস্তানে একটি সড়কও রয়েছে।
No comments