আফগান যুদ্ধ নিয়ে বিপাকে বারাক ওবামা by ইব্রাহীম চৌধুরী,
আফগানিস্তানে যুদ্ধ নিয়ে বড় ধরনের বিপাকে পড়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। অবনতিশীল যুদ্ধ পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য সেখানে আরও মার্কিন সেনা মোতায়েন করা জরুরি। সম্প্রতি আফগান রণাঙ্গনে মার্কিন সেনাদের মৃত্যুর ঘটনা বেড়েছে। তালেবান জঙ্গিদের তত্পরতাও ক্রমশ বাড়ছে। এমন এক প্রেক্ষাপটে মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট বাহিনী আদৌ আফগানিস্তান পরিস্থিতি সামাল দিতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় বেড়ে গেছে।
আফগানিস্তান পরিস্থিতি নিয়ে সংশয় জানিয়ে প্রভাবশালী মার্কিন দৈনিক নিউইয়র্ক টাইমস গত শনিবার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এখন পর্যন্ত তাঁর মেয়াদকালের কঠিনতম সিদ্ধান্তটি নিতে হবে, আর তা হচ্ছে আফগানিস্তানে অতিরিক্ত সেনা পাঠানোর সিদ্ধান্ত। আফগানিস্তানে নিয়োজিত মার্কিন সেনাবাহিনীর কমান্ডার জানিয়েছেন, আফগান রণাঙ্গনে আরও ৪০ হাজার মার্কিন সেনাসদস্য প্রয়োজন।
কয়েক মাস আগে প্রেসিডেন্ট ওবামা আফগান যুদ্ধকে ‘অপরিহার্য’ বলে উল্লেখ করেছিলেন। এ যুদ্ধে জেতার জন্য যা কিছু করা দরকার, সবই করতে প্রস্তুত ছিলেন তিনি। কিন্তু গত কয়েক মাসে পরিস্থিতি বদলে গেছে। আফগান পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নীতিনির্ধারকেরা এখন বিভক্ত। ‘করতেই হবে’ এবং ‘করা সম্ভব’ বিতর্কে ভাগ হয়ে গেছেন তাঁরা। মার্কিন সেনা সমর্থনে ইরাকে একটি বৈধ সরকারকাঠামো দাঁড় করানো সম্ভব হয়েছিল। কিন্তু আফগানিস্তানে ওই মার্কিন কৌশল ব্যর্থ হয়েছে। সেখানে নির্বাচনী নাটকের মহড়া দিয়েও কাজের কাজ হয়নি। হামিদ কারজাই সরকারের প্রতি সাধারণ আফগান জনগণের আদৌ কোনো আস্থা নেই। আফগানিস্তানে নিজস্ব সরকারকাঠামো সক্রিয় হচ্ছে না; উপরন্তু চোরাগোপ্তা হামলার সংখ্যা বেড়েই চলছে। পাকিস্তান সীমান্ত ব্যবহার করে তালেবান ও আল-কায়েদার জঙ্গিরা এখন অনেক বেশি তত্পর। এ ছাড়া আফগানিস্তানের সাধারণ জনগণের সঙ্গে ন্যূনতম আস্থার সম্পর্ক গড়ে ওঠেনি মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট বাহিনীর।
সাম্প্রতিক সাক্ষাত্কারে আফগানিস্তানে নবনিযুক্ত ব্রিটিশ জেনারেল ডেভিড রিচার্ড সেখানকার রণাঙ্গনের পরিস্থিতি নিয়ে তাঁর শঙ্কার কথা প্রকাশ করেছেন। জেনারেল ডেভিড রিচার্ড বলেন, আফগানিস্তানে যৌথ বাহিনীর পরাজয়ের পরিণতি হবে ভয়াবহ। এ যুদ্ধে তালেবান ও আল-কায়েদা জঙ্গিগোষ্ঠীর কাছে পরাজয় পশ্চিমাদের জন্য বিপর্যয় ডেকে আনবে। জেনারেল ডেভিড রিচার্ড আরও বলেছেন, মুসলিম জঙ্গিগোষ্ঠী আফগানিস্তানে থেমে থাকবে না। জঙ্গিদের নাগালের মধ্যেই রয়েছে পরমাণু শক্তিধর পাকিস্তান। পাকিস্তানের পরমাণু অস্ত্র করায়ত্ত করে পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে ব্যবহারে পিছপা হবে না তারা।
মার্কিন বুদ্ধিজীবী মহলের একটি অংশের আশঙ্কা, রণাঙ্গনে বেশি সেনা পাঠানো হলে তাদের মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়বে। পাশাপাশি অর্থনৈতিক মন্দার এই সংকটপূর্ণ সময়ে সেখানে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় হবে। হামিদ কারজাইয়ের মতো দুর্বল সরকারের পেছনে অর্থ ও মার্কিন সেনাদের জীবন বাজি রাখার পরিণাম নিয়েও ভাবতে হচ্ছে ওয়াশিংটনের নীতিনির্ধারকদের। সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশের শুরু করে যাওয়া যুদ্ধের দায় এখন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার কাঁধে। তাঁর পক্ষে এখন পিছু হটারও কোনো অবকাশ নেই বলেই মনে হচ্ছে।
আফগানিস্তান পরিস্থিতি নিয়ে সংশয় জানিয়ে প্রভাবশালী মার্কিন দৈনিক নিউইয়র্ক টাইমস গত শনিবার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এখন পর্যন্ত তাঁর মেয়াদকালের কঠিনতম সিদ্ধান্তটি নিতে হবে, আর তা হচ্ছে আফগানিস্তানে অতিরিক্ত সেনা পাঠানোর সিদ্ধান্ত। আফগানিস্তানে নিয়োজিত মার্কিন সেনাবাহিনীর কমান্ডার জানিয়েছেন, আফগান রণাঙ্গনে আরও ৪০ হাজার মার্কিন সেনাসদস্য প্রয়োজন।
কয়েক মাস আগে প্রেসিডেন্ট ওবামা আফগান যুদ্ধকে ‘অপরিহার্য’ বলে উল্লেখ করেছিলেন। এ যুদ্ধে জেতার জন্য যা কিছু করা দরকার, সবই করতে প্রস্তুত ছিলেন তিনি। কিন্তু গত কয়েক মাসে পরিস্থিতি বদলে গেছে। আফগান পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নীতিনির্ধারকেরা এখন বিভক্ত। ‘করতেই হবে’ এবং ‘করা সম্ভব’ বিতর্কে ভাগ হয়ে গেছেন তাঁরা। মার্কিন সেনা সমর্থনে ইরাকে একটি বৈধ সরকারকাঠামো দাঁড় করানো সম্ভব হয়েছিল। কিন্তু আফগানিস্তানে ওই মার্কিন কৌশল ব্যর্থ হয়েছে। সেখানে নির্বাচনী নাটকের মহড়া দিয়েও কাজের কাজ হয়নি। হামিদ কারজাই সরকারের প্রতি সাধারণ আফগান জনগণের আদৌ কোনো আস্থা নেই। আফগানিস্তানে নিজস্ব সরকারকাঠামো সক্রিয় হচ্ছে না; উপরন্তু চোরাগোপ্তা হামলার সংখ্যা বেড়েই চলছে। পাকিস্তান সীমান্ত ব্যবহার করে তালেবান ও আল-কায়েদার জঙ্গিরা এখন অনেক বেশি তত্পর। এ ছাড়া আফগানিস্তানের সাধারণ জনগণের সঙ্গে ন্যূনতম আস্থার সম্পর্ক গড়ে ওঠেনি মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট বাহিনীর।
সাম্প্রতিক সাক্ষাত্কারে আফগানিস্তানে নবনিযুক্ত ব্রিটিশ জেনারেল ডেভিড রিচার্ড সেখানকার রণাঙ্গনের পরিস্থিতি নিয়ে তাঁর শঙ্কার কথা প্রকাশ করেছেন। জেনারেল ডেভিড রিচার্ড বলেন, আফগানিস্তানে যৌথ বাহিনীর পরাজয়ের পরিণতি হবে ভয়াবহ। এ যুদ্ধে তালেবান ও আল-কায়েদা জঙ্গিগোষ্ঠীর কাছে পরাজয় পশ্চিমাদের জন্য বিপর্যয় ডেকে আনবে। জেনারেল ডেভিড রিচার্ড আরও বলেছেন, মুসলিম জঙ্গিগোষ্ঠী আফগানিস্তানে থেমে থাকবে না। জঙ্গিদের নাগালের মধ্যেই রয়েছে পরমাণু শক্তিধর পাকিস্তান। পাকিস্তানের পরমাণু অস্ত্র করায়ত্ত করে পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে ব্যবহারে পিছপা হবে না তারা।
মার্কিন বুদ্ধিজীবী মহলের একটি অংশের আশঙ্কা, রণাঙ্গনে বেশি সেনা পাঠানো হলে তাদের মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়বে। পাশাপাশি অর্থনৈতিক মন্দার এই সংকটপূর্ণ সময়ে সেখানে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় হবে। হামিদ কারজাইয়ের মতো দুর্বল সরকারের পেছনে অর্থ ও মার্কিন সেনাদের জীবন বাজি রাখার পরিণাম নিয়েও ভাবতে হচ্ছে ওয়াশিংটনের নীতিনির্ধারকদের। সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশের শুরু করে যাওয়া যুদ্ধের দায় এখন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার কাঁধে। তাঁর পক্ষে এখন পিছু হটারও কোনো অবকাশ নেই বলেই মনে হচ্ছে।
No comments