বিশ্ববাজারে সারের দাম -দেশে আগের দামে বিক্রির ব্যাখ্যা কী
বিশ্ববাজারে সারের দাম প্রকারভেদে কমেছে ৬৭ থেকে ৩৯২ শতাংশ পর্যন্ত। কিন্তু বাংলাদেশের বাজারে সব ধরনের সারই বিক্রি হচ্ছে আগের দামে। অথচ কোনো আমদানিপণ্যের দাম যখন বিশ্ববাজারে বাড়ে, তখন সে খবর পৌঁছার সঙ্গে সঙ্গেই এ দেশে সেই পণ্যের দাম বেড়ে যায়। কম দামে আমদানি করা পণ্যই বেশি দামে বিক্রির সুযোগ নেন দেশীয় আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীরা। এটা নৈতিকভাবে নিন্দনীয়, আইনগতভাবে অগ্রহণযোগ্য। এবার, সারের মতো অতি জরুরি পণ্যের ক্ষেত্রে আমদানিকারক-ব্যবসায়ীদের কারসাজি বন্ধ করা দরকার।
দেশের বেশ কয়েকটি স্থানে খোঁজ নিয়ে আমাদের প্রতিনিধি জানতে পেরেছেন, নতুন ও কমে যাওয়া দামে সার আমদানি করে অনেক ব্যবসায়ী তা বিক্রি করছেন পুরোনো দামে, অর্থাত্ বেশি দরে। এসব এই মুহূর্তে বন্ধ করা জরুরি। প্রয়োজনে এমন অসাধু সার ব্যবসায়ীদের তালিকা তৈরি করে তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার মাধ্যমে সারা দেশে সতর্কবাণী দেওয়া যেতে পারে। তবে এখন সরকারের প্রধান কাজ হলো, সব ধরনের সারের নতুন হ্রাসকৃত মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়া। আগের দামে আমদানি করা যে সার সরকারের নিজের মজুদে আছে, তাও যদি নতুন আন্তর্জাতিক দামে বিক্রি করা হয়, তাতে সরকারের লোকসান হয় না। আর নতুন দামে আমদানি করা সার তো স্বাভাবিকভাবেই অনেক কম দামে বিক্রি করা যায়।
আমদানিপণ্যের মধ্যে একমাত্র সারের বাজারই সরকার নিয়ন্ত্রণ করতে পারে; কারণ সরকারই সারের সবচেয়ে বড় আমদানিকারক। সরকার যে দামে সার বিক্রি করবে, বাজারের স্বাভাবিক দাম দাঁড়াবে সেটাই; বেসরকারি আমদানিকারকদের কোনো কারসাজিই ধোপে টিকবে না। এ ছাড়া সার অত্যন্ত স্পর্শকাতর একটি পণ্য, কৃষক সময়মতো ও ন্যায্যমূল্যে প্রয়োজনীয় পরিমাণ সার না পেলে কৃষিকাজ ব্যাহত হয়। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে ফসলের উত্পাদনে এবং শেষ পর্যন্ত উত্পাদিত ফসলের বাজারমূল্যের ওপর। গত বোরো মৌসুমে কৃষকেরা বড় ক্ষতির শিকার হয়েছেন; সামনের বোরো মৌসুমে সেই ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার একটা বড় সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে বিশ্ববাজারে সারের দাম ব্যাপকভাবে কমে যাওয়ায়। এখন কৃষকেরা যাতে এর সুফল পেতে পারেন এবং এর ফলে আগামী দিনে ধান-চালের দাম যাতে কমে গিয়ে গরিব ও মধ্যবিত্ত মানুষের জীবনযাত্রায় স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে পারে, সে লক্ষ্যে সরকারের যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।
শুধু ধান নয়, বিভিন্ন জাতের রবিশস্যসহ সব ধরনের ফসল উত্পাদনে সারের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাংলার কৃষক প্রয়োজনমতো ন্যায্যমূল্যে সেচ ও সারের সুবিধা পেলেই নিজেদের ভাগ্যবান মনে করেন। সারের দাবিতে আন্দোলনে নেমে তাঁদের প্রাণ দেওয়ার দৃষ্টান্তও রয়েছে। সুতরাং এ বিষয়টি সরকার গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবে, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
দেশের বেশ কয়েকটি স্থানে খোঁজ নিয়ে আমাদের প্রতিনিধি জানতে পেরেছেন, নতুন ও কমে যাওয়া দামে সার আমদানি করে অনেক ব্যবসায়ী তা বিক্রি করছেন পুরোনো দামে, অর্থাত্ বেশি দরে। এসব এই মুহূর্তে বন্ধ করা জরুরি। প্রয়োজনে এমন অসাধু সার ব্যবসায়ীদের তালিকা তৈরি করে তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার মাধ্যমে সারা দেশে সতর্কবাণী দেওয়া যেতে পারে। তবে এখন সরকারের প্রধান কাজ হলো, সব ধরনের সারের নতুন হ্রাসকৃত মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়া। আগের দামে আমদানি করা যে সার সরকারের নিজের মজুদে আছে, তাও যদি নতুন আন্তর্জাতিক দামে বিক্রি করা হয়, তাতে সরকারের লোকসান হয় না। আর নতুন দামে আমদানি করা সার তো স্বাভাবিকভাবেই অনেক কম দামে বিক্রি করা যায়।
আমদানিপণ্যের মধ্যে একমাত্র সারের বাজারই সরকার নিয়ন্ত্রণ করতে পারে; কারণ সরকারই সারের সবচেয়ে বড় আমদানিকারক। সরকার যে দামে সার বিক্রি করবে, বাজারের স্বাভাবিক দাম দাঁড়াবে সেটাই; বেসরকারি আমদানিকারকদের কোনো কারসাজিই ধোপে টিকবে না। এ ছাড়া সার অত্যন্ত স্পর্শকাতর একটি পণ্য, কৃষক সময়মতো ও ন্যায্যমূল্যে প্রয়োজনীয় পরিমাণ সার না পেলে কৃষিকাজ ব্যাহত হয়। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে ফসলের উত্পাদনে এবং শেষ পর্যন্ত উত্পাদিত ফসলের বাজারমূল্যের ওপর। গত বোরো মৌসুমে কৃষকেরা বড় ক্ষতির শিকার হয়েছেন; সামনের বোরো মৌসুমে সেই ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার একটা বড় সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে বিশ্ববাজারে সারের দাম ব্যাপকভাবে কমে যাওয়ায়। এখন কৃষকেরা যাতে এর সুফল পেতে পারেন এবং এর ফলে আগামী দিনে ধান-চালের দাম যাতে কমে গিয়ে গরিব ও মধ্যবিত্ত মানুষের জীবনযাত্রায় স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে পারে, সে লক্ষ্যে সরকারের যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।
শুধু ধান নয়, বিভিন্ন জাতের রবিশস্যসহ সব ধরনের ফসল উত্পাদনে সারের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাংলার কৃষক প্রয়োজনমতো ন্যায্যমূল্যে সেচ ও সারের সুবিধা পেলেই নিজেদের ভাগ্যবান মনে করেন। সারের দাবিতে আন্দোলনে নেমে তাঁদের প্রাণ দেওয়ার দৃষ্টান্তও রয়েছে। সুতরাং এ বিষয়টি সরকার গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবে, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
No comments