প্রসঙ্গ পিলখানা প্রাঙ্গণ
বাসার কাছে বলে বিডিআর হেডকোয়ার্টারের সুইমিং পুলে আমি সাঁতার কাটতে যেতাম। কিন্তু এখন ওখানে যেতে অস্বস্তিবোধ করি। আমি জানি, আমার মতো আরও অনেকেই হয়তো বিডিআরের দরবার হলে আর বিয়ে খেতেও যেতে রাজি হবেন না। যে নরমেধযজ্ঞ ওখানে ঘটেছে, এর ফলে জিগাতলার কোনার ওই বিশাল জায়গাটা ভবিষ্যতে একটা অভিশপ্ত জায়গা হিসেবেই ঢাকাবাসীর মনে এক অশুভ ছাপ ফেলে রাখবে।
পত্রিকায় দেখলাম বিডিআর পুনর্গঠনের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর কাছে বেশ কিছু প্রস্তাব রাখা হয়েছে, যার মধ্যে এই বাহিনীর নাম, গঠন ও পোশাক এসব পাল্টানোর প্রস্তাব রয়েছে। আশা করি, যে জায়গায় এ রকম নারকীয় সব হত্যাকাণ্ড ঘটেছে সেই হেডকোয়ার্টারের জায়গাটাও পাল্টানোর কথা ভাবা হবে। জায়গাটির কপালে অভিশপ্ত তকমাটা এমনই এক ক্ষতচিহ্ন এঁকে দিয়েছে যে তা আর সহজে মুছে ফেলা সম্ভব হবে না। বিডিআর জওয়ান বা অফিসাররা কেউই আর ওই জায়গাটাতে মানসিক প্রশান্তি নিয়ে কাজ করতে পারবেন না। তা ছাড়া সীমান্তরক্ষী এক বাহিনীর হেডকোয়ার্টার যে রাজধানী শহরের একেবারে কেন্দ্রস্থলেই হতে হবে, এমন কোনো কথা নেই। ঢাকার কাছাকাছি যেকোনো জায়গায় হলেই তা চলে।
আজকের ঢাকা শহরে ফাঁকা জায়গার এত অভাব! বিডিআর হেডকোয়ার্টার যদি ওই অঞ্চল থেকে সরানোই হয়, তাহলে ওখানে যেন কখনোই নতুন করে আরও একগাদা হাউজিং বা শপিং কমপ্লেক্স বানিয়ে জায়গাটাকে আরেকটা কংক্রিটের জঙ্গলে পরিণত করা না হয়। এ শহরে বালক-কিশোর-তরুণ-তরুণীদের খেলার মাঠ প্রায় নেই বললেই চলে। আমার প্রস্তাব হচ্ছে, জায়গাটায় যেন বেশ কিছু বড় বড় খেলার মাঠ সৃষ্টি করা হয়। বাকিটা হবে স্রেফ পার্ক বা খোলা প্রান্তর, যেখানে বৃদ্ধ-বৃদ্ধাসহ বিভিন্ন বয়সী নগরবাসী হেঁটে চলে বেড়াবে। কলকাতায় আছে গড়ের মাঠের মতো বিশাল এক মাঠ, যা ওই বিরাট ও ব্যস্ত শহরটার জন্য একধরনের ফুসফুস হিসেবে কাজ করে। ঢাকায় তেমন কিছুই নেই।
তবে সীমাহীন যানজটের এই শহরে নতুন রাস্তাঘাটের কথা তো ভাবতেই হয়। বিডিআর হেডকোয়ার্টারটি যে জায়গায় অবস্থিত তা নতুন ও পুরোনো ঢাকার একটা সঙ্গমস্থল। এ এলাকার ওপর দিয়ে সহজেই সম্ভব চার লেনের প্রশস্ত এক রাস্তা তৈরি করা, যা নতুন ও পুরোনো ঢাকার মধ্যে সংযোগ রোড হিসেবে কাজ করবে। নতুন ঢাকা থেকে সহজেই যাওয়া যাবে একেবারে সদরঘাট, সোয়ারীঘাট, বুড়িগঙ্গার পাড় পর্যন্ত। এলিফ্যান্ট রোড বা গুলিস্তান অঞ্চলে যে দমআটকানো যানজট সব সময় লেগেই রয়েছে, তা লাঘবে এ ধরনের একটা সড়ক বড় রকমের সহায়ক হবে। আগামী দিনের ঢাকাকে সচল রাখতে নতুন ও পুরোনো ঢাকার মধ্যে এ রকম একটি প্রশস্ত সংযোগ সড়ক আজ খুবই প্রয়োজন।
কর্তৃপক্ষ কি একটু ভাববে?
তানভীর মোকাম্মেল
চলচ্চিত্রকার, ঢাকা।
পত্রিকায় দেখলাম বিডিআর পুনর্গঠনের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর কাছে বেশ কিছু প্রস্তাব রাখা হয়েছে, যার মধ্যে এই বাহিনীর নাম, গঠন ও পোশাক এসব পাল্টানোর প্রস্তাব রয়েছে। আশা করি, যে জায়গায় এ রকম নারকীয় সব হত্যাকাণ্ড ঘটেছে সেই হেডকোয়ার্টারের জায়গাটাও পাল্টানোর কথা ভাবা হবে। জায়গাটির কপালে অভিশপ্ত তকমাটা এমনই এক ক্ষতচিহ্ন এঁকে দিয়েছে যে তা আর সহজে মুছে ফেলা সম্ভব হবে না। বিডিআর জওয়ান বা অফিসাররা কেউই আর ওই জায়গাটাতে মানসিক প্রশান্তি নিয়ে কাজ করতে পারবেন না। তা ছাড়া সীমান্তরক্ষী এক বাহিনীর হেডকোয়ার্টার যে রাজধানী শহরের একেবারে কেন্দ্রস্থলেই হতে হবে, এমন কোনো কথা নেই। ঢাকার কাছাকাছি যেকোনো জায়গায় হলেই তা চলে।
আজকের ঢাকা শহরে ফাঁকা জায়গার এত অভাব! বিডিআর হেডকোয়ার্টার যদি ওই অঞ্চল থেকে সরানোই হয়, তাহলে ওখানে যেন কখনোই নতুন করে আরও একগাদা হাউজিং বা শপিং কমপ্লেক্স বানিয়ে জায়গাটাকে আরেকটা কংক্রিটের জঙ্গলে পরিণত করা না হয়। এ শহরে বালক-কিশোর-তরুণ-তরুণীদের খেলার মাঠ প্রায় নেই বললেই চলে। আমার প্রস্তাব হচ্ছে, জায়গাটায় যেন বেশ কিছু বড় বড় খেলার মাঠ সৃষ্টি করা হয়। বাকিটা হবে স্রেফ পার্ক বা খোলা প্রান্তর, যেখানে বৃদ্ধ-বৃদ্ধাসহ বিভিন্ন বয়সী নগরবাসী হেঁটে চলে বেড়াবে। কলকাতায় আছে গড়ের মাঠের মতো বিশাল এক মাঠ, যা ওই বিরাট ও ব্যস্ত শহরটার জন্য একধরনের ফুসফুস হিসেবে কাজ করে। ঢাকায় তেমন কিছুই নেই।
তবে সীমাহীন যানজটের এই শহরে নতুন রাস্তাঘাটের কথা তো ভাবতেই হয়। বিডিআর হেডকোয়ার্টারটি যে জায়গায় অবস্থিত তা নতুন ও পুরোনো ঢাকার একটা সঙ্গমস্থল। এ এলাকার ওপর দিয়ে সহজেই সম্ভব চার লেনের প্রশস্ত এক রাস্তা তৈরি করা, যা নতুন ও পুরোনো ঢাকার মধ্যে সংযোগ রোড হিসেবে কাজ করবে। নতুন ঢাকা থেকে সহজেই যাওয়া যাবে একেবারে সদরঘাট, সোয়ারীঘাট, বুড়িগঙ্গার পাড় পর্যন্ত। এলিফ্যান্ট রোড বা গুলিস্তান অঞ্চলে যে দমআটকানো যানজট সব সময় লেগেই রয়েছে, তা লাঘবে এ ধরনের একটা সড়ক বড় রকমের সহায়ক হবে। আগামী দিনের ঢাকাকে সচল রাখতে নতুন ও পুরোনো ঢাকার মধ্যে এ রকম একটি প্রশস্ত সংযোগ সড়ক আজ খুবই প্রয়োজন।
কর্তৃপক্ষ কি একটু ভাববে?
তানভীর মোকাম্মেল
চলচ্চিত্রকার, ঢাকা।
No comments