মার্কিন প্রতিরক্ষা বুলেটিনের প্রতিবেদন পাকিস্তান পরমাণু অস্ত্রের মজুদ বাড়িয়েছে
দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম পরমাণু শক্তিধর দেশ পাকিস্তান ইতিমধ্যেই তাদের পরমাণু অস্ত্রের মজুদ বাড়িয়েছে। মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ বুলেটিনের ভাষ্যমতে, তাদের পরমাণু অস্ত্রের সংখ্যা ইতিমধ্যেই আনুমানিক ৯০-এ দাঁড়িয়েছে। পরমাণু বিজ্ঞানী হ্যান্স ক্রিসটেনসেন ও রবার্ট এস নরিসের মতে, ‘পাকিস্তান নীরবে ব্যালেস্টিক এবং ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের সংখ্যা অনেক বাড়িয়েছে।’
মার্কিন প্রতিরক্ষা বুলেটিনে আরও বলা হয়, এই পরমাণু অস্ত্রের সম্প্রসারণের মাধ্যমে পাকিস্তান হয়তো তার চিরশত্রু পরমাণু শক্তিধর ভারতকে ছাড়িয়ে যায়নি; কিন্তু এটা সত্যি এতে পাকিস্তানের দ্বারা আগে ভারতের আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে গেছে। ভারতের সুশীল সমাজ ও সামরিক বিশেষজ্ঞদের উদ্ধৃতি দিয়ে বুলেটিনে বলা হয়, ‘ভারত কেবল পাকিস্তানের পরমাণু আক্রমণের প্রতি আক্রমণের অবস্থায় রয়েছে।’
মার্কিন সামরিক বিশেষজ্ঞরা এই আশঙ্কা প্রকাশ করছেন, জঙ্গি হামলায় জর্জরিত পাকিস্তানের পরমাণু অস্ত্র একেবারেই অরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে এবং তা যেকোনো সময় জঙ্গিদের হাতে পড়তে পারে।
মার্কিন প্রতিরক্ষা বুলেটিনের ওই প্রতিবেদনে পাকিস্তানের পরমাণু অস্ত্র স্থাপনার একটি ছবি প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, একটি নির্দিষ্ট জায়গায় দুটি বাঙ্কারে থরে থরে পরমাণু শক্তিসমৃদ্ধ ক্ষেপণাস্ত্র মজুদ আছে। পাকিস্তান খুব অল্প সময়ের মধ্যে দুটি পরমাণু শক্তিসমৃদ্ধ ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করেছে। এর মধ্যে একটি ভূমি থেকে ভূমিতে উেক্ষপণযোগ্য ‘বাবর’ এবং অপরটি আকাশে উেক্ষপণযোগ্য ‘রা’আদ’। বুলেটিনে বলা হয়, পাকিস্তানের পরমাণু অস্ত্রের মজুদ বন্দর নগর করাচির উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত।
এদিকে ভারতের পরমাণু বিজ্ঞানী কে সান্থানাম মার্কিন বুলেটিনের এই প্রতিবেদনের সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করে বলেন, ‘পাকিস্তানের যেকোনো পরমাণু দুরভিসন্ধির জবাব দিতে ভারত প্রস্তুত আছে। ভারতের হাতে যথেষ্ট পরিমাণে পরমাণু অস্ত্রের মজুদ রয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ভারত অনেক ক্ষেত্রেই পাকিস্তানের চেয়ে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে। এখানে একটি গণতান্ত্রিক পদ্ধতি বিদ্যমান। তাই ভারতের পরমাণু অস্ত্র অনেক বেশি সুরক্ষিত। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার কারণে ভারত অনেক বেশি পরিকল্পনামাফিক তার পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করতে পারবে।’
পাকিস্তানের পরমাণু অস্ত্র বিস্তারের অব্যাহত হুমকির মুখে একজন ঊর্ধ্বতন ভারতীয় সামরিক কর্মকর্তা বলেন, পাকিস্তান যদি তার পরমাণু অস্ত্রের কোনো অন্যায় ব্যবহারের পরিকল্পনা করে তাহলে তার জবাব ভারত যথাযথ উপায়ে দেবে।
হারপুন ক্ষেপণাস্ত্রের মানোন্নয়নের কথা কংগ্রেসকে জানাল ওবামা প্রশাসন
পাকিস্তান অবৈধভাবে মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্রের নকশা পরিবর্তন করায় বারাক ওবামা প্রশাসন নড়েচড়ে বসেছে। বিষয়টি ওবামা প্রশাসন কংগ্রেসকেও অবহিত করেছে। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইয়ান কেলি মঙ্গলবার এ কথা বলেছেন।
কয়েক দিন আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী দ্য নিউইয়র্ক টাইমস পত্রিকা খবর প্রকাশ করে, পাকিস্তান সমরাস্ত্র রপ্তানি আইনের গুরুতর লঙ্ঘন করে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া জাহাজবিধ্বংসী হারপুন নামের ক্ষেপণাস্ত্রটির নকশা পরিবর্তন করেছে এবং এর মানোন্নয়ন করেছে। ওই ক্ষেপণাস্ত্র এমনভাবে পরিবর্তন ও উন্নয়ন সাধন করা হয়েছে, যা এখন ভারতের স্থলভাগে আঘাত হানতে সক্ষম।
টাইমস-এর ওই প্রতিবেদনের ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মুখপাত্র কেলি বলেন, ‘আমরা ওই প্রতিবেদনটি দেখেছি। আর্মস এক্সপোর্ট কন্ট্রোল অ্যাক্টের কোনো ধারা লঙ্ঘন করা হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হবে। অভিযোগের বিষয়টি ওবামা প্রশাসন গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে।’
উল্লেখ্য, ১৯৮৫ ও ১৯৮৮ সালের মধ্যে তত্কালীন রোনাল্ড রিগ্যান প্রশাসন ১৬৫টি হারপুন ক্ষেপণাস্ত্র পাকিস্তানকে দেয়। এরপর থেকে পাকিস্তান ক্ষেপণাস্ত্রটির পরিবর্তন ও উন্নয়ন সাধন করে। ইতিমধ্যে পাকিস্তান হারপুন ক্ষেপণাস্ত্রের নকশা পরিবর্তনের কথা উড়িয়ে দিয়েছে। তারা দাবি করেছে, নিজেরাই তারা এক ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করেছে।
মার্কিন প্রতিরক্ষা বুলেটিনে আরও বলা হয়, এই পরমাণু অস্ত্রের সম্প্রসারণের মাধ্যমে পাকিস্তান হয়তো তার চিরশত্রু পরমাণু শক্তিধর ভারতকে ছাড়িয়ে যায়নি; কিন্তু এটা সত্যি এতে পাকিস্তানের দ্বারা আগে ভারতের আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে গেছে। ভারতের সুশীল সমাজ ও সামরিক বিশেষজ্ঞদের উদ্ধৃতি দিয়ে বুলেটিনে বলা হয়, ‘ভারত কেবল পাকিস্তানের পরমাণু আক্রমণের প্রতি আক্রমণের অবস্থায় রয়েছে।’
মার্কিন সামরিক বিশেষজ্ঞরা এই আশঙ্কা প্রকাশ করছেন, জঙ্গি হামলায় জর্জরিত পাকিস্তানের পরমাণু অস্ত্র একেবারেই অরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে এবং তা যেকোনো সময় জঙ্গিদের হাতে পড়তে পারে।
মার্কিন প্রতিরক্ষা বুলেটিনের ওই প্রতিবেদনে পাকিস্তানের পরমাণু অস্ত্র স্থাপনার একটি ছবি প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, একটি নির্দিষ্ট জায়গায় দুটি বাঙ্কারে থরে থরে পরমাণু শক্তিসমৃদ্ধ ক্ষেপণাস্ত্র মজুদ আছে। পাকিস্তান খুব অল্প সময়ের মধ্যে দুটি পরমাণু শক্তিসমৃদ্ধ ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করেছে। এর মধ্যে একটি ভূমি থেকে ভূমিতে উেক্ষপণযোগ্য ‘বাবর’ এবং অপরটি আকাশে উেক্ষপণযোগ্য ‘রা’আদ’। বুলেটিনে বলা হয়, পাকিস্তানের পরমাণু অস্ত্রের মজুদ বন্দর নগর করাচির উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত।
এদিকে ভারতের পরমাণু বিজ্ঞানী কে সান্থানাম মার্কিন বুলেটিনের এই প্রতিবেদনের সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করে বলেন, ‘পাকিস্তানের যেকোনো পরমাণু দুরভিসন্ধির জবাব দিতে ভারত প্রস্তুত আছে। ভারতের হাতে যথেষ্ট পরিমাণে পরমাণু অস্ত্রের মজুদ রয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ভারত অনেক ক্ষেত্রেই পাকিস্তানের চেয়ে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে। এখানে একটি গণতান্ত্রিক পদ্ধতি বিদ্যমান। তাই ভারতের পরমাণু অস্ত্র অনেক বেশি সুরক্ষিত। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার কারণে ভারত অনেক বেশি পরিকল্পনামাফিক তার পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করতে পারবে।’
পাকিস্তানের পরমাণু অস্ত্র বিস্তারের অব্যাহত হুমকির মুখে একজন ঊর্ধ্বতন ভারতীয় সামরিক কর্মকর্তা বলেন, পাকিস্তান যদি তার পরমাণু অস্ত্রের কোনো অন্যায় ব্যবহারের পরিকল্পনা করে তাহলে তার জবাব ভারত যথাযথ উপায়ে দেবে।
হারপুন ক্ষেপণাস্ত্রের মানোন্নয়নের কথা কংগ্রেসকে জানাল ওবামা প্রশাসন
পাকিস্তান অবৈধভাবে মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্রের নকশা পরিবর্তন করায় বারাক ওবামা প্রশাসন নড়েচড়ে বসেছে। বিষয়টি ওবামা প্রশাসন কংগ্রেসকেও অবহিত করেছে। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইয়ান কেলি মঙ্গলবার এ কথা বলেছেন।
কয়েক দিন আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী দ্য নিউইয়র্ক টাইমস পত্রিকা খবর প্রকাশ করে, পাকিস্তান সমরাস্ত্র রপ্তানি আইনের গুরুতর লঙ্ঘন করে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া জাহাজবিধ্বংসী হারপুন নামের ক্ষেপণাস্ত্রটির নকশা পরিবর্তন করেছে এবং এর মানোন্নয়ন করেছে। ওই ক্ষেপণাস্ত্র এমনভাবে পরিবর্তন ও উন্নয়ন সাধন করা হয়েছে, যা এখন ভারতের স্থলভাগে আঘাত হানতে সক্ষম।
টাইমস-এর ওই প্রতিবেদনের ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মুখপাত্র কেলি বলেন, ‘আমরা ওই প্রতিবেদনটি দেখেছি। আর্মস এক্সপোর্ট কন্ট্রোল অ্যাক্টের কোনো ধারা লঙ্ঘন করা হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হবে। অভিযোগের বিষয়টি ওবামা প্রশাসন গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে।’
উল্লেখ্য, ১৯৮৫ ও ১৯৮৮ সালের মধ্যে তত্কালীন রোনাল্ড রিগ্যান প্রশাসন ১৬৫টি হারপুন ক্ষেপণাস্ত্র পাকিস্তানকে দেয়। এরপর থেকে পাকিস্তান ক্ষেপণাস্ত্রটির পরিবর্তন ও উন্নয়ন সাধন করে। ইতিমধ্যে পাকিস্তান হারপুন ক্ষেপণাস্ত্রের নকশা পরিবর্তনের কথা উড়িয়ে দিয়েছে। তারা দাবি করেছে, নিজেরাই তারা এক ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করেছে।
No comments