পাকিস্তানের হারপুন ক্ষেপণাস্ত্রের মানোন্নয়নে যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন
যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি জাহাজবিধ্বংসী হারপুন ক্ষেপণাস্ত্রের মানোন্নয়ন করেছে পাকিস্তান। ফলে হারপুন ক্ষেপণাস্ত্র এখন স্থলভাগের লক্ষ্যবস্তুতেও হামলা চালাতে পারবে। দ্য নিউইয়র্ক টাইমস-এর এক প্রতিবেদনে এ খবর প্রকাশিত হয়েছে।
এদিকে এ খবরে দারুণ ক্ষুব্ধ হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। হারপুনের মান উন্নয়নকে ওয়াশিংটন বেআইনি ঘোষণা করেছে। তারা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে।
জনসংযোগ-বিষয়ক মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী পি জে ক্রাউলি বলেন, ‘আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছি। বিষয়টি নিয়ে আমরা পাকিস্তান সরকারের সঙ্গে আলোচনা করেছি। এ বিষয়ে যৌথভাবে তদন্তের জন্য পাকিস্তান রাজি হয়েছে।’
পত্রিকাটির ওই প্রতিবেদনের ব্যাপারে জানতে চাইলে ক্রাউলি পিটিআইকে এ কথা বলেন।
গত ৩০ আগস্ট দ্য নিউইয়র্ক টাইমস একজন মার্কিন কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে জানায়, যুক্তরাষ্ট্র অভিযোগ করেছে যে পাকিস্তান অবৈধভাবে হারপুন ক্ষেপণাস্ত্রের উন্নয়ন ঘটিয়ে একে স্থলভাগের লক্ষ্যবস্তুতে হামলার ক্ষমতাসম্পন্ন করেছে, যা তার প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের জন্য একটি সম্ভাব্য হুমকি। পত্রিকাটি বলেছে, পাকিস্তান গত ২৩ এপ্রিল কোনো ঘোষণা ছাড়াই সন্দেহজনক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালায়। এর পরই ইসলামাবাদের আইন ভঙ্গের বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (সিআইএ) নজরে আসে। ওই সময় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নতুন ধ্বংসাত্মক অস্ত্রের পরীক্ষার অভিযোগ আনা হলে ইসলামাবাদ তা নাকচ করে দেয়।
যুক্তরাষ্ট্রের রোনাল্ড রিগ্যান প্রশাসন ১৯৮৫ থেকে ৮৮ সাল পর্যন্ত চার বছরে ১৬৫টি হারপুন ক্ষেপণাস্ত্র পাকিস্তানকে সরবরাহ করেছিল।
ক্রাউলি বলেন, ‘পাকিস্তানের ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়নের খবরে আমরা উদ্বিগ্ন। বিষয়টি নিয়ে আমরা পাকিস্তান সরকারের সঙ্গে আলোচনা করেছি। তারা ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে। আমাদের উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো যথেষ্ট কারণ আছে কি না তা দেখতে তদন্তের ফলাফলের অপেক্ষা করছি।’
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি স্থল-লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানোর জন্য ‘পি-৩সি’ বিমানেরও উন্নয়ন করার অভিযোগ রয়েছে। এ দুটি বিষয়ই যুক্তরাষ্ট্রের আইন ও অস্ত্র রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ চুক্তির লঙ্ঘন।
ক্রাউলি আরও বলেন, ‘আমরা বিষয়টি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। অস্ত্র রপ্তানি চুক্তি সব সময় গুরুত্বপূর্ণ, সেটা যে দেশের সঙ্গেই হোক না কেন। আমরা যার কাছেই প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম সরবরাহ করি না কেন, তা রপ্তানি চুক্তির অধীনেই করে থাকি। অস্ত্রের ব্যবহার নিয়ে যখনই কোনো উদ্বেগ দেখা দেয়, তখনই আমরা বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট দেশের সঙ্গে আলোচনা করি।’
এ বছরের শুরুতে ওবামা প্রশাসন পাকিস্তানকে বেসামরিক সাহায্য তিন গুণ করা এবং সামরিক সাহায্য বাড়িয়ে দেওয়ার প্রস্তাব করার পর থেকে কয়েকজন মার্কিন আইনপ্রণেতাও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ করে আসছিলেন। তাঁরা পাকিস্তানে সামরিক সাহায্য দেওয়ার ব্যাপারে শর্ত জুড়ে দেওয়ার ওপরও জোর দেন।
পাকিস্তানে ৭৫০ কোটি ডলার বেসামরিক সাহায্য দেওয়া সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব মার্কিন কংগ্রেসে ঝুলে আছে। এ ব্যাপারে নিউইয়র্ক টাইমস বলেছে, অস্ত্র রপ্তানি চুক্তি ভঙ্গের অভিযোগে পাকিস্তানের জন্য প্রস্তাবিত এ সাহায্য প্রস্তাব এখন আটকে যেতে পারে।
সীমান্তে তিনটি জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে পাকিস্তানি সেনারা
পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্ত এলাকায় গতকাল মঙ্গলবার সেনাবাহিনী অভিযান চালিয়ে জঙ্গিদের তিনটি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে। এ অভিযানে ২০ জঙ্গি নিহত হয়েছে। দেশটির সামরিক কর্মকর্তারা এ কথা জানিয়েছেন।
সহিংসতাপূর্ণ খাইবার অঞ্চলে এ অভিযান চালানো হয়। সেখানে কয়েক দিন আগে গতকাল ভোরে এ অভিযান চালানো হয়। এখানে কয়েক দিন আগে আত্মঘাতী বোমা হামলায় ২২ নিরাপত্তাকর্মী নিহত হন। এ অভিযানে নিহত ২০ জনের মধ্যে দুজন জঙ্গি কমান্ডার রয়েছেন। এ সময় আরও ২৫ জন সন্দেহভাজন জঙ্গি আটক করা হয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানান।
পাকিস্তানের সেনাবাহিনী সম্প্রতি খাইবার অঞ্চলে তালেবানের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদার করেছে। সেনা কর্মকর্তাদের ধারণা, সীমান্ত এলাকায় আল-কায়েদার শীর্ষস্থানীয় নেতারা তালেবানের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে রয়েছেন। তালেবানের বিরুদ্ধে এ অঞ্চলে পশ্চিমা বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আফগান জঙ্গিদের সহায়তা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে এ খবরে দারুণ ক্ষুব্ধ হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। হারপুনের মান উন্নয়নকে ওয়াশিংটন বেআইনি ঘোষণা করেছে। তারা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে।
জনসংযোগ-বিষয়ক মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী পি জে ক্রাউলি বলেন, ‘আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছি। বিষয়টি নিয়ে আমরা পাকিস্তান সরকারের সঙ্গে আলোচনা করেছি। এ বিষয়ে যৌথভাবে তদন্তের জন্য পাকিস্তান রাজি হয়েছে।’
পত্রিকাটির ওই প্রতিবেদনের ব্যাপারে জানতে চাইলে ক্রাউলি পিটিআইকে এ কথা বলেন।
গত ৩০ আগস্ট দ্য নিউইয়র্ক টাইমস একজন মার্কিন কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে জানায়, যুক্তরাষ্ট্র অভিযোগ করেছে যে পাকিস্তান অবৈধভাবে হারপুন ক্ষেপণাস্ত্রের উন্নয়ন ঘটিয়ে একে স্থলভাগের লক্ষ্যবস্তুতে হামলার ক্ষমতাসম্পন্ন করেছে, যা তার প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের জন্য একটি সম্ভাব্য হুমকি। পত্রিকাটি বলেছে, পাকিস্তান গত ২৩ এপ্রিল কোনো ঘোষণা ছাড়াই সন্দেহজনক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালায়। এর পরই ইসলামাবাদের আইন ভঙ্গের বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (সিআইএ) নজরে আসে। ওই সময় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নতুন ধ্বংসাত্মক অস্ত্রের পরীক্ষার অভিযোগ আনা হলে ইসলামাবাদ তা নাকচ করে দেয়।
যুক্তরাষ্ট্রের রোনাল্ড রিগ্যান প্রশাসন ১৯৮৫ থেকে ৮৮ সাল পর্যন্ত চার বছরে ১৬৫টি হারপুন ক্ষেপণাস্ত্র পাকিস্তানকে সরবরাহ করেছিল।
ক্রাউলি বলেন, ‘পাকিস্তানের ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়নের খবরে আমরা উদ্বিগ্ন। বিষয়টি নিয়ে আমরা পাকিস্তান সরকারের সঙ্গে আলোচনা করেছি। তারা ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে। আমাদের উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো যথেষ্ট কারণ আছে কি না তা দেখতে তদন্তের ফলাফলের অপেক্ষা করছি।’
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি স্থল-লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানোর জন্য ‘পি-৩সি’ বিমানেরও উন্নয়ন করার অভিযোগ রয়েছে। এ দুটি বিষয়ই যুক্তরাষ্ট্রের আইন ও অস্ত্র রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ চুক্তির লঙ্ঘন।
ক্রাউলি আরও বলেন, ‘আমরা বিষয়টি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। অস্ত্র রপ্তানি চুক্তি সব সময় গুরুত্বপূর্ণ, সেটা যে দেশের সঙ্গেই হোক না কেন। আমরা যার কাছেই প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম সরবরাহ করি না কেন, তা রপ্তানি চুক্তির অধীনেই করে থাকি। অস্ত্রের ব্যবহার নিয়ে যখনই কোনো উদ্বেগ দেখা দেয়, তখনই আমরা বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট দেশের সঙ্গে আলোচনা করি।’
এ বছরের শুরুতে ওবামা প্রশাসন পাকিস্তানকে বেসামরিক সাহায্য তিন গুণ করা এবং সামরিক সাহায্য বাড়িয়ে দেওয়ার প্রস্তাব করার পর থেকে কয়েকজন মার্কিন আইনপ্রণেতাও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ করে আসছিলেন। তাঁরা পাকিস্তানে সামরিক সাহায্য দেওয়ার ব্যাপারে শর্ত জুড়ে দেওয়ার ওপরও জোর দেন।
পাকিস্তানে ৭৫০ কোটি ডলার বেসামরিক সাহায্য দেওয়া সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব মার্কিন কংগ্রেসে ঝুলে আছে। এ ব্যাপারে নিউইয়র্ক টাইমস বলেছে, অস্ত্র রপ্তানি চুক্তি ভঙ্গের অভিযোগে পাকিস্তানের জন্য প্রস্তাবিত এ সাহায্য প্রস্তাব এখন আটকে যেতে পারে।
সীমান্তে তিনটি জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে পাকিস্তানি সেনারা
পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্ত এলাকায় গতকাল মঙ্গলবার সেনাবাহিনী অভিযান চালিয়ে জঙ্গিদের তিনটি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে। এ অভিযানে ২০ জঙ্গি নিহত হয়েছে। দেশটির সামরিক কর্মকর্তারা এ কথা জানিয়েছেন।
সহিংসতাপূর্ণ খাইবার অঞ্চলে এ অভিযান চালানো হয়। সেখানে কয়েক দিন আগে গতকাল ভোরে এ অভিযান চালানো হয়। এখানে কয়েক দিন আগে আত্মঘাতী বোমা হামলায় ২২ নিরাপত্তাকর্মী নিহত হন। এ অভিযানে নিহত ২০ জনের মধ্যে দুজন জঙ্গি কমান্ডার রয়েছেন। এ সময় আরও ২৫ জন সন্দেহভাজন জঙ্গি আটক করা হয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানান।
পাকিস্তানের সেনাবাহিনী সম্প্রতি খাইবার অঞ্চলে তালেবানের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদার করেছে। সেনা কর্মকর্তাদের ধারণা, সীমান্ত এলাকায় আল-কায়েদার শীর্ষস্থানীয় নেতারা তালেবানের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে রয়েছেন। তালেবানের বিরুদ্ধে এ অঞ্চলে পশ্চিমা বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আফগান জঙ্গিদের সহায়তা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
No comments