বিশ্বকাপ জিতে তবেই ক্ষান্তি
টেন্ডুলকার : স্বপ্ন ১৫০০০ টেস্ট রান |
টেস্টে ১২৭৭৩ এবং ওয়ানডেতে ১৬৬৮৪ রান, মোট ২৯৪৫৭ রান। ৪২ ও ৪৩টি সেঞ্চুরি মিলিয়ে ৮৫টি সেঞ্চুরি। ১৪৪টি ফিফটি। টেস্ট-ওয়ানডের সর্বোচ্চ রান আর সেঞ্চুরির মালিক। ক্রিকেটের সব গুরুত্বপূর্ণ রেকর্ড তাঁর অধিকারে। তার পরও দুই দশকের ক্যারিয়ারটা দেখে শচীন টেন্ডুলকার বলছেন, ‘এ পর্যন্ত যা করেছি, তাতে আমি মোটেও তৃপ্ত নই।’ নির্দিষ্ট করে দুটি অতৃপ্তির কথা বলছেন ভারতের এই ‘লিটল মাস্টার’। এক, টেস্টে ছুঁতে চান ১৫ হাজার রানের মাইলফলক। দুই, জিততে চান ২০১১ বিশ্বকাপ।
গতকাল প্রকাশিত উইজডেন ক্রিকেটার ম্যাগাজিনে এক সাক্ষাত্কারে এই অতৃপ্তির কথা বলেছেন টেন্ডুলকার। আর তাই আগামী দুই বছরের মধ্যে অবসরসংক্রান্ত কোনো ভাবনাকে মনে ঠাঁই দিতে চান না, ‘আমি অবসর নিয়ে মোটেও ভাবিনি। ক্রিকেটটা আমি ভালোই খেলি। তাই আরও কিছুদিন খেলে যেতে চাই। ক্রিকেটের প্রতি আমার ভালোবাসা আগের মতোই অটুট। এটাই আমার পেশা, নেশাও। ভাবতে ভালো লাগে, ক্রিকেট এখনো আমার হূদয়ে।’
টেস্টে ১৫ হাজার রানের ভাবনা টেন্ডুলকারের মাথায় ঢুকিয়েছেন আরেক ‘লিটল মাস্টার’ সুনীল গাভাস্কার, ‘সুনীল গাভাস্কার একবার আমাকে বলেছিলেন, তিনি চান আমি যেন টেস্টে ১৫ হাজার রান করি। বলেছিলেন, এটা না করতে পারলে তিনি রাগ করবেন। আমি তাঁর এত বড় এক ভক্ত, তাঁর কথামতো সেটি করতে পারলে তো দারুণ হবে। কিন্তু এটাই আমার একমাত্র লক্ষ্য নয়।’
অন্য লক্ষ্যটির কথা তো জেনেই গেছেন। সুদীর্ঘ এই ক্যারিয়ারে একটা বিশ্বকাপ শিরোপাও জেতা হয়নি তাঁর। অথচ খেলে ফেলেছেন ৫টি বিশ্বকাপ। নিজের ষষ্ঠ এবং শেষ বিশ্বকাপটা হচ্ছে নিজের ঘরেই। এবং এবার বিশ্বকাপ জেতার শেষ সুযোগ হিসেবে দেখছেন এই ৩৬ বছর বয়সী।
উইজডেন-এর এই দীর্ঘ সাক্ষাত্কারে টেন্ডুলকার বলেছেন তাঁর সম্পর্কে জন বুকাননের একটা মন্তব্য নিয়েও। সাবেক অস্ট্রেলীয় কোচ বলেছিলেন, শর্ট বলে টেন্ডুলকারের দুর্বলতা রয়েই গেছে। কিন্তু টেন্ডুলকারের জবাব, ‘এটা স্রেফ তাঁর মন্তব্য। সব সময় জন বুকানন যে সঠিক কথা বলবেন তারও কোনো মানে নেই। আমি শর্ট বল ঠিকমতো সামলাতে না পারলে এতগুলো রান কখনোই করতে পারতাম না। তাঁর মন্তব্য হয়তো পাল্টাতে হবে।’
সাক্ষাত্কারে টেন্ডুলকার টি-টোয়েন্টির উত্থান আর টেস্ট ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ নিয়েও বলেছেন, ‘টেস্ট ক্রিকেট ধ্বংস হওয়ার কোনো প্রশ্নই ওঠে না। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেকটা হলো ফলাহারের মতো, মূল খাবারের শেষে যেটা পরিবেশন করা হয়। কে শুধু ফলাহারেই পেট ভরাতে চায়? টেস্ট ক্রিকেটই আমার মূল খাবার, যেখানে আমিষ-নিরামিষ সবই আছে। এর পর ফলাহার হিসেবে টি-টোয়েন্টি পেলে মন্দ হয় না।’
তবে ভয়েরও একটা দিক তিনি ঠিকই টের পাচ্ছেন, ‘হয়তো ১০ বছর পর সবাই ক্রিকেট ব্যাট হাতে তুলে নেবে শুধু টি-টোয়েন্টি থেকে আসা অজস্র টাকার লোভে। কিন্তু টাকার প্রশ্ন কেবল অনুষঙ্গ হিসেবে আসা উচিৎ। খেলাটার প্রতি অনুরাগ আর আকাঙ্ক্ষাই সবচেয়ে বড় ব্যাপার। আমি কেবল রান করা নিয়েই ভাবি, (বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে) চুক্তি নিয়ে নয়।
গতকাল প্রকাশিত উইজডেন ক্রিকেটার ম্যাগাজিনে এক সাক্ষাত্কারে এই অতৃপ্তির কথা বলেছেন টেন্ডুলকার। আর তাই আগামী দুই বছরের মধ্যে অবসরসংক্রান্ত কোনো ভাবনাকে মনে ঠাঁই দিতে চান না, ‘আমি অবসর নিয়ে মোটেও ভাবিনি। ক্রিকেটটা আমি ভালোই খেলি। তাই আরও কিছুদিন খেলে যেতে চাই। ক্রিকেটের প্রতি আমার ভালোবাসা আগের মতোই অটুট। এটাই আমার পেশা, নেশাও। ভাবতে ভালো লাগে, ক্রিকেট এখনো আমার হূদয়ে।’
টেস্টে ১৫ হাজার রানের ভাবনা টেন্ডুলকারের মাথায় ঢুকিয়েছেন আরেক ‘লিটল মাস্টার’ সুনীল গাভাস্কার, ‘সুনীল গাভাস্কার একবার আমাকে বলেছিলেন, তিনি চান আমি যেন টেস্টে ১৫ হাজার রান করি। বলেছিলেন, এটা না করতে পারলে তিনি রাগ করবেন। আমি তাঁর এত বড় এক ভক্ত, তাঁর কথামতো সেটি করতে পারলে তো দারুণ হবে। কিন্তু এটাই আমার একমাত্র লক্ষ্য নয়।’
অন্য লক্ষ্যটির কথা তো জেনেই গেছেন। সুদীর্ঘ এই ক্যারিয়ারে একটা বিশ্বকাপ শিরোপাও জেতা হয়নি তাঁর। অথচ খেলে ফেলেছেন ৫টি বিশ্বকাপ। নিজের ষষ্ঠ এবং শেষ বিশ্বকাপটা হচ্ছে নিজের ঘরেই। এবং এবার বিশ্বকাপ জেতার শেষ সুযোগ হিসেবে দেখছেন এই ৩৬ বছর বয়সী।
উইজডেন-এর এই দীর্ঘ সাক্ষাত্কারে টেন্ডুলকার বলেছেন তাঁর সম্পর্কে জন বুকাননের একটা মন্তব্য নিয়েও। সাবেক অস্ট্রেলীয় কোচ বলেছিলেন, শর্ট বলে টেন্ডুলকারের দুর্বলতা রয়েই গেছে। কিন্তু টেন্ডুলকারের জবাব, ‘এটা স্রেফ তাঁর মন্তব্য। সব সময় জন বুকানন যে সঠিক কথা বলবেন তারও কোনো মানে নেই। আমি শর্ট বল ঠিকমতো সামলাতে না পারলে এতগুলো রান কখনোই করতে পারতাম না। তাঁর মন্তব্য হয়তো পাল্টাতে হবে।’
সাক্ষাত্কারে টেন্ডুলকার টি-টোয়েন্টির উত্থান আর টেস্ট ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ নিয়েও বলেছেন, ‘টেস্ট ক্রিকেট ধ্বংস হওয়ার কোনো প্রশ্নই ওঠে না। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেকটা হলো ফলাহারের মতো, মূল খাবারের শেষে যেটা পরিবেশন করা হয়। কে শুধু ফলাহারেই পেট ভরাতে চায়? টেস্ট ক্রিকেটই আমার মূল খাবার, যেখানে আমিষ-নিরামিষ সবই আছে। এর পর ফলাহার হিসেবে টি-টোয়েন্টি পেলে মন্দ হয় না।’
তবে ভয়েরও একটা দিক তিনি ঠিকই টের পাচ্ছেন, ‘হয়তো ১০ বছর পর সবাই ক্রিকেট ব্যাট হাতে তুলে নেবে শুধু টি-টোয়েন্টি থেকে আসা অজস্র টাকার লোভে। কিন্তু টাকার প্রশ্ন কেবল অনুষঙ্গ হিসেবে আসা উচিৎ। খেলাটার প্রতি অনুরাগ আর আকাঙ্ক্ষাই সবচেয়ে বড় ব্যাপার। আমি কেবল রান করা নিয়েই ভাবি, (বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে) চুক্তি নিয়ে নয়।
No comments