দ্রুত এগুলো রক্ষার উদ্যোগ নেওয়া হোক -নষ্ট হচ্ছে ১৪টি ফেরি ও পন্টুন
কথায় বলে, ‘সরকার কা মাল দরিয়া মে ঢাল।’ তারই একটি প্রকৃষ্ট উদাহরণ তৈরি করেছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। পটুয়াখালীর কলাপাড়া-কুয়াকাটা সড়কের কলাপাড়া, হাজীপুর ও মহীপুর ফেরিঘাটের পাশে নয়টি ফেরি ও পাঁচটি পন্টুন কয়েক বছর ধরে অযত্ন-অবহেলায় পড়ে আছে। ফেরি ও পন্টুনের বেশির ভাগ অংশই কাদার নিচে চলে গেছে। মরিচা ধরে নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি একশ্রেণীর অসাধু কর্মচারীর সহায়তায় চোরেরা যন্ত্রাংশ বা লোহা কেটে নিয়ে যাচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
মঙ্গলবারের প্রথম আলোয় প্রকাশিত সচিত্র প্রতিবেদনটি দেখলে বা পড়লে দেশের যেকোনো নাগরিক ব্যথিত হবেন। অস্ফুটে হলেও বলবেন, ‘আহারে!’ কিন্তু কয়েক কোটি টাকার সম্পদ এভাবে নষ্ট হওয়া নিয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তাদের কোনো মাথাব্যথা নেই। কলাপাড়ায় কর্মরত সড়ক ও জনপথ বিভাগের সুপারভাইজার এনামুল হক বললেন, ‘আমার কাজ সচল ফেরি তদারক করা।’ তার মানে, অচল ফেরিগুলো সাগরে ভেসে যাক, তাতে তাঁর যেন কিছু আসে-যায় না। উপবিভাগীয় প্রকৌশলী অবশ্য জানিয়েছেন, দুটি ফেরি মেরামতের উদ্যোগ তাঁরা নিয়েছেন। কয়েকটি ধাপে মেরামত করা হবে। বাকি অকেজো ফেরি ও পন্টুনগুলো নিলামে বিক্রি করার জন্য বিভাগীয় জরিপ করা হয়েছে। এখন নিলাম করা না-করা উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্তের ব্যাপার।
অথচ, কয়েক বছর আগেই যদি ফেরি ও পন্টুনগুলো মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হতো, তাহলে হয়তো সব ফেরিই সচল করা যেত। এত বছর পড়ে থাকার ফলে মরিচা ধরা যন্ত্রপাতি আদৌ সচল করা যাবে কি না, তা নিয়েও সংশয় রয়েছে। আরও আগে নিলামে বিক্রি করলে যে দাম পাওয়া যেত, তাও এখন পাওয়া সম্ভব নয়। সিদ্ধান্ত নিতে যদি আরও কয়েক বছর লেগে যায়, তাহলে এগুলো নিলামেও বিক্রি হবে কি না বলা কঠিন। কিন্তু সরকারি সম্পদের এ হাল কেন হবে? যাঁদের হাতে সরকারি সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব, তাঁদের সম্ভবত রাষ্ট্রের এই ক্ষতির জন্য কারও কাছে কোনো জবাবদিহিই করতে হয় না। জবাবদিহিতা থাকলে নিশ্চয়ই তাঁরা এটা করতে পারতেন না।
সরকারি সম্পদ জনগণের সম্পদ। এগুলো এভাবে নষ্ট করার অধিকার কারও নেই। আমরা আশা করি, জনগণের রায় নিয়ে ক্ষমতায় আসা মহাজোট সরকার এর গুরুত্ব বুঝবে। অচল ফেরি ও পন্টুনগুলো রক্ষায় দ্রুত উদ্যোগ নেওয়ার পাশাপাশি জনগণের সম্পদ ধ্বংসের জন্য দায়ী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
মঙ্গলবারের প্রথম আলোয় প্রকাশিত সচিত্র প্রতিবেদনটি দেখলে বা পড়লে দেশের যেকোনো নাগরিক ব্যথিত হবেন। অস্ফুটে হলেও বলবেন, ‘আহারে!’ কিন্তু কয়েক কোটি টাকার সম্পদ এভাবে নষ্ট হওয়া নিয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তাদের কোনো মাথাব্যথা নেই। কলাপাড়ায় কর্মরত সড়ক ও জনপথ বিভাগের সুপারভাইজার এনামুল হক বললেন, ‘আমার কাজ সচল ফেরি তদারক করা।’ তার মানে, অচল ফেরিগুলো সাগরে ভেসে যাক, তাতে তাঁর যেন কিছু আসে-যায় না। উপবিভাগীয় প্রকৌশলী অবশ্য জানিয়েছেন, দুটি ফেরি মেরামতের উদ্যোগ তাঁরা নিয়েছেন। কয়েকটি ধাপে মেরামত করা হবে। বাকি অকেজো ফেরি ও পন্টুনগুলো নিলামে বিক্রি করার জন্য বিভাগীয় জরিপ করা হয়েছে। এখন নিলাম করা না-করা উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্তের ব্যাপার।
অথচ, কয়েক বছর আগেই যদি ফেরি ও পন্টুনগুলো মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হতো, তাহলে হয়তো সব ফেরিই সচল করা যেত। এত বছর পড়ে থাকার ফলে মরিচা ধরা যন্ত্রপাতি আদৌ সচল করা যাবে কি না, তা নিয়েও সংশয় রয়েছে। আরও আগে নিলামে বিক্রি করলে যে দাম পাওয়া যেত, তাও এখন পাওয়া সম্ভব নয়। সিদ্ধান্ত নিতে যদি আরও কয়েক বছর লেগে যায়, তাহলে এগুলো নিলামেও বিক্রি হবে কি না বলা কঠিন। কিন্তু সরকারি সম্পদের এ হাল কেন হবে? যাঁদের হাতে সরকারি সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব, তাঁদের সম্ভবত রাষ্ট্রের এই ক্ষতির জন্য কারও কাছে কোনো জবাবদিহিই করতে হয় না। জবাবদিহিতা থাকলে নিশ্চয়ই তাঁরা এটা করতে পারতেন না।
সরকারি সম্পদ জনগণের সম্পদ। এগুলো এভাবে নষ্ট করার অধিকার কারও নেই। আমরা আশা করি, জনগণের রায় নিয়ে ক্ষমতায় আসা মহাজোট সরকার এর গুরুত্ব বুঝবে। অচল ফেরি ও পন্টুনগুলো রক্ষায় দ্রুত উদ্যোগ নেওয়ার পাশাপাশি জনগণের সম্পদ ধ্বংসের জন্য দায়ী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
No comments