প্রাকৃতিক সপ্তাশ্চর্যবিশ্বের সামনে সুন্দরবন by পল্লব মোহাইমেন
মানুষের
ভালোবাসার ভোট শুধু নয়, এবারে বিচারকদের রায়ও পেল বিশ্বের সবচেয়ে বড়
ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল সুন্দরবন। ভোটের জোরে আগে শীর্ষ ৭৭-এর তালিকায় ছিলই,
এবার বিশেষজ্ঞদের বিচারে এগিয়ে গিয়ে বিশ্বের প্রাকৃতিক সপ্তাশ্চর্য
নির্বাচনের চূড়ান্ত পর্বে উত্তীর্ণ হলো সুন্দরবন।
গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাতটা সাত মিনিটে এ নির্বাচনের আয়োজক নিউ সেভেন ওয়ান্ডার্স ফাউন্ডেশন সুইজারল্যান্ডে চূড়ান্ত পর্বে উত্তীর্ণ ২৮টি স্থানের নাম ঘোষণা করে। ফাউন্ডেশনের যোগাযোগ বিভাগের প্রধান টিয়া বি ভিয়েরিং স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সুন্দরবনকে ‘অফিশিয়াল ফাইনালিস্ট ক্যান্ডিডেট’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সুন্দরবন প্রাকৃতিক সপ্তাশ্চর্য নির্বাচনের চূড়ান্ত পর্বে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করছে। ভোটে এগিয়ে থাকা ৭৭টি স্থানের মধ্যে নানান দিক থেকে বিচার করে ২৮ স্থানকে চূড়ান্ত পর্বের জন্য বেছে নিয়েছেন সাত সদস্যের বিচারকমণ্ডলী।
চূড়ান্ত পর্বে সুন্দরবন থাকলেও বাংলাদেশের অপর মনোনয়ন কক্সবাজার চূড়ান্ত পর্বের জন্য নির্বাচিত হয়নি। তবে সংরক্ষিত তালিকায় আছে। চূড়ান্ত পর্বে থাকা ২৮টি স্থানের নাম ঘোষণার পরপরই দেশের বিভিন্ন স্থানে আনন্দ উত্সব শুরু হয়ে যায়। খুলনায় তাত্ক্ষণিকভাবে আনন্দ মিছিল বের করে রূপান্তর, সুন্দরবন একাডেমিসহ বিভিন্ন সংগঠন। রূপান্তরের নির্বাহী পরিচালক রফিকুল ইসলাম জানান, ‘এইবার গোটা বিশ্বের কাছে সুন্দরবনকে তুলে ধরা সম্ভব হবে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ওয়ান্ডার্স প্রমোশন অ্যাসোসিয়েশন ও সাইবার ক্যাফে ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন আনন্দ মিছিল করে। এ সংগঠন দুটি আজ বুধবার দুপুর ১২টায় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) থেকে আনন্দ মিছিল বের করবে। তবে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত কক্সবাজার চূড়ান্ত পর্বে স্থান না পাওয়ায় অনেকেই ব্যথিত হয়েছে।
সুন্দরবনের জন্য আনুষ্ঠানিক সমর্থক কমিটি (ওএসসি) বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন চেয়ারম্যান হেমায়েত উদ্দিন তালুকদার বলেন, ‘চূড়ান্ত পর্বে যখন ওঠা গেছে, বাকিটাও আমরা পারব বলে আশাবাদী। ১৬ কোটি মানুষের দেশ থেকে বিপুল পরিমাণ ভোট সুন্দরবনের জন্য যাবে। এ জন্য সবার সহযোগিতা ও সচেতনতা প্রয়োজন।’
বিশ্ববাসীর ভোটে ও বিশেষজ্ঞদের রায়ে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় প্রাকৃতিক সপ্তাশ্চর্য নির্বাচনের যে প্রক্রিয়া, তার চূড়ান্ত পর্ব শুরু হলো ফাইনালিস্টদের নাম ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই। আগামী দুই বছর ধরে আবার চলবে ভোটাভুটি। দুই বছরে প্রাপ্ত ভোট ও বিচারকদের নম্বরের ভিত্তিতে এই সেরা ২৮-এর মধ্য থেকে ২০১১ সালে নির্বাচিত হবে সাতটি স্থান বা প্রাকৃতিক সপ্তাশ্চর্য। গতকাল থেকেই ইন্টারনেটে ভোট শুরু হয়েছে। www.new7wonders.com ঠিকানার ওয়েবসাইটে গিয়ে ভোট দেওয়া যাবে সুন্দরবনকে। সাইটটির প্রথম পৃষ্ঠাতেই ২৮টি স্থানের সচিত্র তালিকা আছে। সেখান থেকে সাতটি স্থানকে ভোট দেওয়া যাবে।
চূড়ান্ত পর্বের তালিকায় দক্ষিণ এশিয়া থেকে সুন্দরবন ও মালদ্বীপ স্থান পেয়েছে। এ তালিকায় আমাজন, গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন, গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ, ভিসুভিয়াস, টেবিল মাউন্টেন, মাউন্ট কিলিমানজারোর মতো বিশ্বখ্যাত প্রাকৃতিক জায়গা স্থান পেয়েছে। এই তালিকায় এশিয়া থেকে ১১টি, ইউরোপ থেকে পাঁচটি, দক্ষিণ আমেরিকা থেকে চারটি, উত্তর ও মধ্য আমেরিকা থেকে তিনটি, ওশেনিয়া থেকে তিনটি এবং আফ্রিকা থেকে দুটি স্থান আছে চূড়ান্ত তালিকায়।
চূড়ান্ত পর্বে উত্তীর্ণ ২৮টি প্রাকৃতিক স্থান: সুন্দরবন (বাংলাদেশ ও ভারত), মাসুরিয়ান লেক ডিস্ট্রিক্ট (পোল্যান্ড), বু তিনাহ শোয়ালস (সংযুক্ত আরব আমিরাত), গ্যালাপাগোস দ্বীপপুঞ্জ (ইকুয়েডর), জেজু দ্বীপ (দক্ষিণ কোরিয়া), মালদ্বীপ (মালদ্বীপ), গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন (যুক্তরাষ্ট্র), ম্যাটারহর্ন/সারভিনো (ইতালি ও সুইজারল্যান্ড), মাউন্ট কিলিমানজারো (তাঞ্জানিয়া), মাড ভলকানোস (আজারবাইজান), টেবিল মাউন্টেন (দক্ষিণ আফ্রিকা), ভিসুভিয়াস (ইতালি), উ শান (চীনা তাইপে), জিটা গ্রোটো (লেবানন), উলুরু (অস্ট্রেলিয়া), আমাজন (বলিভিয়া, ব্রাজিল, কলাম্বিয়া, ইকুয়েডর, ফরাসি গায়ানা, গায়ানা, পেরু, সুরিনাম ও ভেনেজুয়েলা), ব্ল্যাক ফরেস্ট (জার্মানি), এল ইয়াঙ্কে (পুয়ের্তো রিকো), কোমোদো জাতীয় উদ্যান (ইন্দোনেশিয়া), পুয়ের্তো প্রিন্সেসা জাতীয় উদ্যান (ফিলিপাইন), অ্যাঞ্জেল ফলস (ভেনেজুয়েলা), ডেড সি লেক (ইসরায়েল, জর্ডান, ফিলিস্তিন), ইগুয়াজু ফলস (আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল), ফান্ডি উপসাগর (কানাডা), মোহর গিরিখাদ (আয়ারল্যান্ড), গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ (অস্ট্রেলিয়া, পাপুয়া নিউ গিনি), হা লং বে (ভিয়েতনাম) এবং মিলফোর্ড সাউন্ড (নিউজিল্যান্ড)।
গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাতটা সাত মিনিটে এ নির্বাচনের আয়োজক নিউ সেভেন ওয়ান্ডার্স ফাউন্ডেশন সুইজারল্যান্ডে চূড়ান্ত পর্বে উত্তীর্ণ ২৮টি স্থানের নাম ঘোষণা করে। ফাউন্ডেশনের যোগাযোগ বিভাগের প্রধান টিয়া বি ভিয়েরিং স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সুন্দরবনকে ‘অফিশিয়াল ফাইনালিস্ট ক্যান্ডিডেট’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সুন্দরবন প্রাকৃতিক সপ্তাশ্চর্য নির্বাচনের চূড়ান্ত পর্বে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করছে। ভোটে এগিয়ে থাকা ৭৭টি স্থানের মধ্যে নানান দিক থেকে বিচার করে ২৮ স্থানকে চূড়ান্ত পর্বের জন্য বেছে নিয়েছেন সাত সদস্যের বিচারকমণ্ডলী।
চূড়ান্ত পর্বে সুন্দরবন থাকলেও বাংলাদেশের অপর মনোনয়ন কক্সবাজার চূড়ান্ত পর্বের জন্য নির্বাচিত হয়নি। তবে সংরক্ষিত তালিকায় আছে। চূড়ান্ত পর্বে থাকা ২৮টি স্থানের নাম ঘোষণার পরপরই দেশের বিভিন্ন স্থানে আনন্দ উত্সব শুরু হয়ে যায়। খুলনায় তাত্ক্ষণিকভাবে আনন্দ মিছিল বের করে রূপান্তর, সুন্দরবন একাডেমিসহ বিভিন্ন সংগঠন। রূপান্তরের নির্বাহী পরিচালক রফিকুল ইসলাম জানান, ‘এইবার গোটা বিশ্বের কাছে সুন্দরবনকে তুলে ধরা সম্ভব হবে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ওয়ান্ডার্স প্রমোশন অ্যাসোসিয়েশন ও সাইবার ক্যাফে ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন আনন্দ মিছিল করে। এ সংগঠন দুটি আজ বুধবার দুপুর ১২টায় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) থেকে আনন্দ মিছিল বের করবে। তবে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত কক্সবাজার চূড়ান্ত পর্বে স্থান না পাওয়ায় অনেকেই ব্যথিত হয়েছে।
সুন্দরবনের জন্য আনুষ্ঠানিক সমর্থক কমিটি (ওএসসি) বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন চেয়ারম্যান হেমায়েত উদ্দিন তালুকদার বলেন, ‘চূড়ান্ত পর্বে যখন ওঠা গেছে, বাকিটাও আমরা পারব বলে আশাবাদী। ১৬ কোটি মানুষের দেশ থেকে বিপুল পরিমাণ ভোট সুন্দরবনের জন্য যাবে। এ জন্য সবার সহযোগিতা ও সচেতনতা প্রয়োজন।’
বিশ্ববাসীর ভোটে ও বিশেষজ্ঞদের রায়ে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় প্রাকৃতিক সপ্তাশ্চর্য নির্বাচনের যে প্রক্রিয়া, তার চূড়ান্ত পর্ব শুরু হলো ফাইনালিস্টদের নাম ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই। আগামী দুই বছর ধরে আবার চলবে ভোটাভুটি। দুই বছরে প্রাপ্ত ভোট ও বিচারকদের নম্বরের ভিত্তিতে এই সেরা ২৮-এর মধ্য থেকে ২০১১ সালে নির্বাচিত হবে সাতটি স্থান বা প্রাকৃতিক সপ্তাশ্চর্য। গতকাল থেকেই ইন্টারনেটে ভোট শুরু হয়েছে। www.new7wonders.com ঠিকানার ওয়েবসাইটে গিয়ে ভোট দেওয়া যাবে সুন্দরবনকে। সাইটটির প্রথম পৃষ্ঠাতেই ২৮টি স্থানের সচিত্র তালিকা আছে। সেখান থেকে সাতটি স্থানকে ভোট দেওয়া যাবে।
চূড়ান্ত পর্বের তালিকায় দক্ষিণ এশিয়া থেকে সুন্দরবন ও মালদ্বীপ স্থান পেয়েছে। এ তালিকায় আমাজন, গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন, গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ, ভিসুভিয়াস, টেবিল মাউন্টেন, মাউন্ট কিলিমানজারোর মতো বিশ্বখ্যাত প্রাকৃতিক জায়গা স্থান পেয়েছে। এই তালিকায় এশিয়া থেকে ১১টি, ইউরোপ থেকে পাঁচটি, দক্ষিণ আমেরিকা থেকে চারটি, উত্তর ও মধ্য আমেরিকা থেকে তিনটি, ওশেনিয়া থেকে তিনটি এবং আফ্রিকা থেকে দুটি স্থান আছে চূড়ান্ত তালিকায়।
চূড়ান্ত পর্বে উত্তীর্ণ ২৮টি প্রাকৃতিক স্থান: সুন্দরবন (বাংলাদেশ ও ভারত), মাসুরিয়ান লেক ডিস্ট্রিক্ট (পোল্যান্ড), বু তিনাহ শোয়ালস (সংযুক্ত আরব আমিরাত), গ্যালাপাগোস দ্বীপপুঞ্জ (ইকুয়েডর), জেজু দ্বীপ (দক্ষিণ কোরিয়া), মালদ্বীপ (মালদ্বীপ), গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন (যুক্তরাষ্ট্র), ম্যাটারহর্ন/সারভিনো (ইতালি ও সুইজারল্যান্ড), মাউন্ট কিলিমানজারো (তাঞ্জানিয়া), মাড ভলকানোস (আজারবাইজান), টেবিল মাউন্টেন (দক্ষিণ আফ্রিকা), ভিসুভিয়াস (ইতালি), উ শান (চীনা তাইপে), জিটা গ্রোটো (লেবানন), উলুরু (অস্ট্রেলিয়া), আমাজন (বলিভিয়া, ব্রাজিল, কলাম্বিয়া, ইকুয়েডর, ফরাসি গায়ানা, গায়ানা, পেরু, সুরিনাম ও ভেনেজুয়েলা), ব্ল্যাক ফরেস্ট (জার্মানি), এল ইয়াঙ্কে (পুয়ের্তো রিকো), কোমোদো জাতীয় উদ্যান (ইন্দোনেশিয়া), পুয়ের্তো প্রিন্সেসা জাতীয় উদ্যান (ফিলিপাইন), অ্যাঞ্জেল ফলস (ভেনেজুয়েলা), ডেড সি লেক (ইসরায়েল, জর্ডান, ফিলিস্তিন), ইগুয়াজু ফলস (আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল), ফান্ডি উপসাগর (কানাডা), মোহর গিরিখাদ (আয়ারল্যান্ড), গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ (অস্ট্রেলিয়া, পাপুয়া নিউ গিনি), হা লং বে (ভিয়েতনাম) এবং মিলফোর্ড সাউন্ড (নিউজিল্যান্ড)।
No comments