পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ আজ নিস্তরঙ্গ পঞ্চগড়ে উত্সবের আমেজ by আশীষ-উর-রহমান ও শহীদুল ইসলাম
দারুণ সাড়া পড়ে গেছে দেশের উত্তর
সীমান্তের নিস্তরঙ্গ ছিমছাম শহরটিতে। পঞ্চগড়ে ঢুকতেই চোখে পড়ল দেয়ালে
দেয়ালে সাঁটা পোস্টার। গতকাল মঙ্গলবার সকালেই দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে
গাড়ি ভর্তি করে লোকজন আসতে শুরু করেছে। এই তালিকায় আছেন বিশিষ্ট বিজ্ঞানী,
আছে স্কুলের শিক্ষার্থী থেকে বিজ্ঞানমনস্ক সাধারণ মানুষ। আসছেন বিদেশিরাও।
শহরের আবাসিক হোটেলগুলোতেও প্রচণ্ড ভিড়। প্রশাসনের তরফ থেকে নেওয়া হয়েছে
কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা। আর এসবে কৌতূহলী হয়ে উঠেছে স্থানীয় বাসিন্দারা। সব
মিলিয়ে জমজমাট উত্সবের আমেজ পঞ্চগড়জুড়ে।
যেনতেন উপলক্ষ তো নয়, একেবারে মহাজাগতিক ঘটনা! কাজেই মহা-আয়োজন না হলে মানানসই হবে কী করে। বাংলাদেশ থেকে দৃশ্যমান শতাব্দীর শেষ পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ। ১০০ বছরে এমন সুযোগ আর মিলবে না; অপেক্ষা করতে হবে ২১১৪ সাল পর্যন্ত। অতএব, এবারের পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ পর্যবেক্ষণের এই সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করতে চাননি আগ্রহী ব্যক্তিরা।
পঞ্চগড়ে আজ বুধবার সকাল সাতটা ১৪ সেকেন্ড থেকে গ্রহণ শুরু হবে; চলবে নয়টা পর্যন্ত। এর মধ্যে সূর্য একেবারে ঢেকে যাবে আটটায়। ঢাকা থাকবে পুরো তিন মিনিট ৫৮ সেকেন্ড। চরাচরে নেমে আসবে আলো-আঁধারি পরিবেশ। পাখপাখালি দিবাবসান ভেবে ভুল করে ফিরতে থাকবে নিড়ে। তবে এর সবকিছুই নির্ভর করবে আবহাওয়ার ওপর, যদি আকাশ পরিষ্কার থাকে।
পঞ্চগড়ে অতিথিদের স্বাগত জানাতে তোরণ সাজানো হয়েছে সার্কিট হাউসে। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে স্থানীয় সিরাজুল ইসলাম স্টেডিয়ামে তৈরি করা হয়েছে বিশাল মঞ্চ। নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। গতকাল সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে এ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জেলা প্রশাসক বনমালী ভৌমিক ও পুলিশ সুপার হারুন-উর-রশিদ জানান, অতিথিদের থাকার জন্য হোটেল এবং সরকারি-বেসরকারি সংস্থার রেস্টহাউসগুলো বন্দোবস্ত করা হয়েছে। সূর্যগ্রহণ পর্যবেক্ষণ ছাড়াও আগ্রহী অতিথিদের জন্য বাংলাবান্ধা সীমান্ত, সমতলভূমির চা-বাগান, পাথর জাদুঘর, পঞ্চগড় মহারাজার দিঘির মতো দর্শনীয় স্থানগুলো পরিদর্শনের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। তাঁদের সহায়তার জন্য স্বেচ্ছাসেবক দল গঠন করা হয়েছে। এ ছাড়া কাব, স্কাউট, গার্ল গাইডস ও রোভাররা অতিথিদের সহায়তা করবেন। শহরকে যানজটমুক্ত রাখার ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ।
সূর্যগ্রহণ সম্পর্কে পঞ্চগড়ের সাধারণ মানুষের কৌতূহল প্রবল। মৌচাক হোটেলের মালিক আনোয়ার হোসেন বললেন, ‘সূর্যগ্রহণ দেখতে অসংখ্য মানুষ শহরে এসেছেন। হোটেলে সব সময় ভিড় লেগেই আছে। আমরা খাবার দিতে হিমশিম খাচ্ছি।’ মাদ্রাসার গ্রন্থাগারিক আবুল হোসেন শহরের হার্ডওয়্যারের দোকানে ঝালাইকাজে ব্যবহূত কালো চশমা কিনতে এসেছেন। তিনি বলেন, ‘১০৫ বছরের মধ্যে এমন দৃশ্য আর দেখা যাবে না; তাই নিজেকে ভাগ্যবান মনে হচ্ছে।’ পঞ্চগড় এমআর সরকারি কলেজের সম্মানের ছাত্রী মেহেরুন বেগম বলেন, ‘১০৫ বছরের মধ্যে আর দেখা যাবে না; তাই সকালেই স্টেডিয়ামে যাব গ্রহণ দেখতে। তা ছাড়া আমাদের শহরে এমন একটা আয়োজন হচ্ছে, এটা আমাদের জন্য গর্বেরও ব্যাপার।’ রিকশাচালক বাবুল বললেন, ‘শহরত অনেক নয়া মানুষ আইসচে। ভাড়া ভালয় পাছি। মুই গ্রহণ দেখিবা চাহেচু, কিন্তু কেংকো দেখিম। খালি চোখে তো দেখা যাবা নহায়।’ কলেজছাত্র আবদুল আলীম বলেন, ‘খুবই টেনশনে আছি, এখনো চশমা পাইনি।’ তরুণ ফটোস্ট্যাট ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম বলেন, ‘সুযোগটা নষ্ট করতে চাই না।’ সূর্যগ্রহণ নিয়ে এভাবেই কৌতূহলী হয়ে উঠেছে পঞ্চগড়বাসী।
গ্রহণ সম্পর্কে কৌতূহল মেটাতে গতকাল বিকেল তিনটায় বিপি সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে ‘সূর্য এবং গ্রহণ’ নামের আলোচনার আয়োজন করে জাতীয় বিজ্ঞান জাদুঘর। এর কিউরেটর সুকল্যাণ বাছাড় শ্রোতাদের সহজ করে বুঝিয়ে বলেন, ‘সূর্যগ্রহণের সঙ্গে কুসংস্কারের কিছু নেই; কোনো অকল্যাণ বা ভয়ভীতির বিষয় নেই। চাঁদের ছায়া পড়বে সূর্যের ওপর, সূর্য তখন ঢেকে যাবে—এই হলো গ্রহণের মূল বিষয়।’
পঞ্চগড় শহর ছাড়াও সদর উপজেলার হাঁড়িভাসা ইউনিয়নের মধুপাড়া গ্রামে একটি বিশেষ পর্যবেক্ষণ ক্যাম্প করা হবে অনুসন্ধুিত্স চক্রের আয়োজনে। চক্রের সভাপতি আজহারুল ইসলাম জানালেন, তাঁদের দুটি বাসে প্রায় ৮০ জন পর্যবেক্ষক এসেছেন পঞ্চগড়ে। দলে আছেন অধ্যাপক এ আর খান, অধ্যাপক দেবদর্শী ভট্টাচার্য, ব্রিটিশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির ফেলো কলিন হ্যান্স। বিজ্ঞানীদের জন্যই মধুপাড়ার ক্যাম্পটি করা হয়েছে; কারণ এখানে পূর্ণ গ্রহণকাল কিছুটা বেশি সময় ধরে থাকবে। পঞ্চগড় ছাড়াও চক্রের আয়োজনে ঠাকুরগাঁও ও ঢাকায় পর্যবেক্ষণ ক্যাম্প হচ্ছে। পঞ্চগড়ে পর্যবেক্ষণ শুরু হবে সকাল সাড়ে ছয়টা থেকে।
গতকাল বিকেলে ঠাকুরগাঁওয়ে জেলা প্রশাসন ও চক্রের আয়োজনে শোভাযাত্রা বের করা হয়। সূর্যগ্রহণ পর্যবেক্ষণের জন্য তারা ইলেকট্রিক ওয়েল্ডিং কাচের প্রায় ১০ হাজার চশমা তৈরি করে বিতরণ করে। পঞ্চগড়েও সকালে চশমা দেওয়া হবে। থাকবে টেলিস্কোপে গ্রহণ পর্যবেক্ষণের বিশেষ ব্যবস্থা।
বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন ৭০ জনের মতো উত্সাহী পর্ববেক্ষক নিয়ে ক্যাম্প করেছে তেঁতুলিয়ার ময়নাগুঁড়ি চা-বাগানে। অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মশহুরুল আমীন জানালেন, তাঁরা তেঁতুলিয়াসহ দেশের ২৪টি এলাকা থেকে সূর্যগ্রহণ পর্যবেক্ষণের আয়োজন করেছেন।
তেঁতুলিয়া মাঝিপাড়ায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের ৪৩৩ নম্বর সীমান্ত পিলারের কাছে জিরো পয়েন্টে বিএসএফ ও বিডিআরের বিশেষ অনুমতি নিয়ে গতকাল দুই বাংলার জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা মিলিত হয়েছিলেন। বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাতটা ১৫ মিনিটে বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটিরি সভাপতি এফ আর সরকারের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি দল মাঝিপাড়ায় আসে। পশ্চিমবঙ্গ থেকে আসে স্কাই ওয়াচার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি দেবাশীষ সরকারের নেতৃত্বে ৩০ সদস্যের শৌখিন জ্যোতির্বিজ্ঞানীর দল। উভয় দলের সদস্যরা পরস্পরের সঙ্গে কোলাকুলি করেন; মিষ্টিও বিতরণ করা হয়।
সব মিলিয়ে পঞ্চগড় ও এর আশপাশের এলাকায় এখন জমজমাট উত্সবের পরিবেশ। উত্সবের প্রস্তুতিও সম্পন্ন। এখন সকালের প্রতীক্ষা, আর পরিষ্কার আকাশের প্রার্থনা।
যেনতেন উপলক্ষ তো নয়, একেবারে মহাজাগতিক ঘটনা! কাজেই মহা-আয়োজন না হলে মানানসই হবে কী করে। বাংলাদেশ থেকে দৃশ্যমান শতাব্দীর শেষ পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ। ১০০ বছরে এমন সুযোগ আর মিলবে না; অপেক্ষা করতে হবে ২১১৪ সাল পর্যন্ত। অতএব, এবারের পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ পর্যবেক্ষণের এই সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করতে চাননি আগ্রহী ব্যক্তিরা।
পঞ্চগড়ে আজ বুধবার সকাল সাতটা ১৪ সেকেন্ড থেকে গ্রহণ শুরু হবে; চলবে নয়টা পর্যন্ত। এর মধ্যে সূর্য একেবারে ঢেকে যাবে আটটায়। ঢাকা থাকবে পুরো তিন মিনিট ৫৮ সেকেন্ড। চরাচরে নেমে আসবে আলো-আঁধারি পরিবেশ। পাখপাখালি দিবাবসান ভেবে ভুল করে ফিরতে থাকবে নিড়ে। তবে এর সবকিছুই নির্ভর করবে আবহাওয়ার ওপর, যদি আকাশ পরিষ্কার থাকে।
পঞ্চগড়ে অতিথিদের স্বাগত জানাতে তোরণ সাজানো হয়েছে সার্কিট হাউসে। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে স্থানীয় সিরাজুল ইসলাম স্টেডিয়ামে তৈরি করা হয়েছে বিশাল মঞ্চ। নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। গতকাল সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে এ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জেলা প্রশাসক বনমালী ভৌমিক ও পুলিশ সুপার হারুন-উর-রশিদ জানান, অতিথিদের থাকার জন্য হোটেল এবং সরকারি-বেসরকারি সংস্থার রেস্টহাউসগুলো বন্দোবস্ত করা হয়েছে। সূর্যগ্রহণ পর্যবেক্ষণ ছাড়াও আগ্রহী অতিথিদের জন্য বাংলাবান্ধা সীমান্ত, সমতলভূমির চা-বাগান, পাথর জাদুঘর, পঞ্চগড় মহারাজার দিঘির মতো দর্শনীয় স্থানগুলো পরিদর্শনের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। তাঁদের সহায়তার জন্য স্বেচ্ছাসেবক দল গঠন করা হয়েছে। এ ছাড়া কাব, স্কাউট, গার্ল গাইডস ও রোভাররা অতিথিদের সহায়তা করবেন। শহরকে যানজটমুক্ত রাখার ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ।
সূর্যগ্রহণ সম্পর্কে পঞ্চগড়ের সাধারণ মানুষের কৌতূহল প্রবল। মৌচাক হোটেলের মালিক আনোয়ার হোসেন বললেন, ‘সূর্যগ্রহণ দেখতে অসংখ্য মানুষ শহরে এসেছেন। হোটেলে সব সময় ভিড় লেগেই আছে। আমরা খাবার দিতে হিমশিম খাচ্ছি।’ মাদ্রাসার গ্রন্থাগারিক আবুল হোসেন শহরের হার্ডওয়্যারের দোকানে ঝালাইকাজে ব্যবহূত কালো চশমা কিনতে এসেছেন। তিনি বলেন, ‘১০৫ বছরের মধ্যে এমন দৃশ্য আর দেখা যাবে না; তাই নিজেকে ভাগ্যবান মনে হচ্ছে।’ পঞ্চগড় এমআর সরকারি কলেজের সম্মানের ছাত্রী মেহেরুন বেগম বলেন, ‘১০৫ বছরের মধ্যে আর দেখা যাবে না; তাই সকালেই স্টেডিয়ামে যাব গ্রহণ দেখতে। তা ছাড়া আমাদের শহরে এমন একটা আয়োজন হচ্ছে, এটা আমাদের জন্য গর্বেরও ব্যাপার।’ রিকশাচালক বাবুল বললেন, ‘শহরত অনেক নয়া মানুষ আইসচে। ভাড়া ভালয় পাছি। মুই গ্রহণ দেখিবা চাহেচু, কিন্তু কেংকো দেখিম। খালি চোখে তো দেখা যাবা নহায়।’ কলেজছাত্র আবদুল আলীম বলেন, ‘খুবই টেনশনে আছি, এখনো চশমা পাইনি।’ তরুণ ফটোস্ট্যাট ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম বলেন, ‘সুযোগটা নষ্ট করতে চাই না।’ সূর্যগ্রহণ নিয়ে এভাবেই কৌতূহলী হয়ে উঠেছে পঞ্চগড়বাসী।
গ্রহণ সম্পর্কে কৌতূহল মেটাতে গতকাল বিকেল তিনটায় বিপি সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে ‘সূর্য এবং গ্রহণ’ নামের আলোচনার আয়োজন করে জাতীয় বিজ্ঞান জাদুঘর। এর কিউরেটর সুকল্যাণ বাছাড় শ্রোতাদের সহজ করে বুঝিয়ে বলেন, ‘সূর্যগ্রহণের সঙ্গে কুসংস্কারের কিছু নেই; কোনো অকল্যাণ বা ভয়ভীতির বিষয় নেই। চাঁদের ছায়া পড়বে সূর্যের ওপর, সূর্য তখন ঢেকে যাবে—এই হলো গ্রহণের মূল বিষয়।’
পঞ্চগড় শহর ছাড়াও সদর উপজেলার হাঁড়িভাসা ইউনিয়নের মধুপাড়া গ্রামে একটি বিশেষ পর্যবেক্ষণ ক্যাম্প করা হবে অনুসন্ধুিত্স চক্রের আয়োজনে। চক্রের সভাপতি আজহারুল ইসলাম জানালেন, তাঁদের দুটি বাসে প্রায় ৮০ জন পর্যবেক্ষক এসেছেন পঞ্চগড়ে। দলে আছেন অধ্যাপক এ আর খান, অধ্যাপক দেবদর্শী ভট্টাচার্য, ব্রিটিশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির ফেলো কলিন হ্যান্স। বিজ্ঞানীদের জন্যই মধুপাড়ার ক্যাম্পটি করা হয়েছে; কারণ এখানে পূর্ণ গ্রহণকাল কিছুটা বেশি সময় ধরে থাকবে। পঞ্চগড় ছাড়াও চক্রের আয়োজনে ঠাকুরগাঁও ও ঢাকায় পর্যবেক্ষণ ক্যাম্প হচ্ছে। পঞ্চগড়ে পর্যবেক্ষণ শুরু হবে সকাল সাড়ে ছয়টা থেকে।
গতকাল বিকেলে ঠাকুরগাঁওয়ে জেলা প্রশাসন ও চক্রের আয়োজনে শোভাযাত্রা বের করা হয়। সূর্যগ্রহণ পর্যবেক্ষণের জন্য তারা ইলেকট্রিক ওয়েল্ডিং কাচের প্রায় ১০ হাজার চশমা তৈরি করে বিতরণ করে। পঞ্চগড়েও সকালে চশমা দেওয়া হবে। থাকবে টেলিস্কোপে গ্রহণ পর্যবেক্ষণের বিশেষ ব্যবস্থা।
বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন ৭০ জনের মতো উত্সাহী পর্ববেক্ষক নিয়ে ক্যাম্প করেছে তেঁতুলিয়ার ময়নাগুঁড়ি চা-বাগানে। অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মশহুরুল আমীন জানালেন, তাঁরা তেঁতুলিয়াসহ দেশের ২৪টি এলাকা থেকে সূর্যগ্রহণ পর্যবেক্ষণের আয়োজন করেছেন।
তেঁতুলিয়া মাঝিপাড়ায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের ৪৩৩ নম্বর সীমান্ত পিলারের কাছে জিরো পয়েন্টে বিএসএফ ও বিডিআরের বিশেষ অনুমতি নিয়ে গতকাল দুই বাংলার জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা মিলিত হয়েছিলেন। বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাতটা ১৫ মিনিটে বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটিরি সভাপতি এফ আর সরকারের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি দল মাঝিপাড়ায় আসে। পশ্চিমবঙ্গ থেকে আসে স্কাই ওয়াচার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি দেবাশীষ সরকারের নেতৃত্বে ৩০ সদস্যের শৌখিন জ্যোতির্বিজ্ঞানীর দল। উভয় দলের সদস্যরা পরস্পরের সঙ্গে কোলাকুলি করেন; মিষ্টিও বিতরণ করা হয়।
সব মিলিয়ে পঞ্চগড় ও এর আশপাশের এলাকায় এখন জমজমাট উত্সবের পরিবেশ। উত্সবের প্রস্তুতিও সম্পন্ন। এখন সকালের প্রতীক্ষা, আর পরিষ্কার আকাশের প্রার্থনা।
No comments