প্রতিরক্ষা চুক্তিতে সই করল ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র মহাকাশ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়েও সহযোগিতা বাড়বে by দীপাঞ্জন রায় চৌধুরী
ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে আলোচিত
এন্ড-ইউজার ভেরিফিকেশন (ইইউভি) বা প্রতিরক্ষাব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ-বিষয়ক
চুক্তি সই হয়েছে। এ ছাড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং মহাকাশ বিষয়ে সহযোগিতা
বাড়ানোর বিষয়ে আরও দুটি চুক্তি করেছে দুই দেশ। দীর্ঘ আলোচনা শেষে গত সোমবার
ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস এম কৃষ্ণ ও ভারত সফররত মার্কিন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন নিজ নিজ দেশের পক্ষে এসব চুক্তিতে সই
করেন। এ ছাড়া নিজেদের মধ্যে কৌশলগত পাঁচ দফা সহযোগিতা-বিষয়ক আলোচনা শুরুর
ব্যাপারেও রাজি হয়েছে দুই দেশ। ওই আলোচনায় দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা
যৌথভাবে সভাপতিত্ব করবেন। পাশাপাশি ভারতে দুটি মার্কিন পরমাণু চুল্লি
বসানোর জায়গারও অনুমোদন দিয়েছে ভারত সরকার। গত সোমবার এক যৌথ বিবৃতিতে
জানানো হয়, আলোচনা শেষে বর্তমান সময়ের সংকটগুলো মোকাবিলায় ভারত-মার্কিন
সহযোগিতা আরও বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন দুই দেশের
পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা।
গত শুক্রবার পাঁচ দিনের সফরে ভারত পৌঁছান মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তাঁর এই সফরের মূল আলোচ্যসূচি ছিল ইইউভি চুক্তি। এই প্রতিরক্ষা চুক্তি সই হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র নির্মাতা কোম্পানি লকহিড ও বোয়িং যথেষ্ট লাভবান হবে। কারণ, ভারত সরকার প্রতিরক্ষাব্যবস্থা আধুনিকায়নের মার্কিন জঙ্গি বিমানসহ আধুনিক অস্ত্র কিনতে আগ্রহী। ভারতীয় বিমানবাহিনীর জন্য ১২৬টি জঙ্গি বিমান ক্রয়ে ভারত যে দরপত্র আহ্বান করেছে, সেখানে অন্যান্য দেশের কোম্পানিগুলোর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে ওই দুটো মার্কিন কোম্পানি। ভারত এর আগে ১৯৯৬ সালের ‘ইউএস আর্মস কন্ট্রোল অ্যাক্ট’-এর অধীনে অস্ত্র কেনার ব্যাপারে অসম্মতি জানায়। ওই চুক্তি অনুযায়ী ক্রেতা দেশগুলোকে বিক্রি করা অস্ত্র কীভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে, সেই বিষয়ে পর্যবেক্ষণের সুযোগ দিতে হয় যুক্তরাষ্ট্রকে। তবে ভারতের সঙ্গে স্বাক্ষরিত ইইউভি চুক্তি ১৯৯৬ সালের ওই চুক্তি থেকে ভিন্ন বলে ভারতীয় সূত্রে জানা গেছে। তিনটি চুক্তি সইয়ের আগে দিল্লির ঐতিহাসিক হায়দরাবাদ হাউসে দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘ আলোচনা হয়।
ইইউভি চুক্তির পাশাপাশি মহাকাশ বিজ্ঞানবিষয়ক চুক্তি ‘টেকনোলজি সেফগার্ড অ্যাগ্রিমেন্ট’-এর মাধ্যমে এখন থেকে নিজস্ব উেক্ষপণ-ব্যবস্থার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে নির্মিত বেসামরিক ও অবাণিজ্যিক কাজে ব্যবহারের কৃত্রিম উপগ্রহগুলো উেক্ষপণ করতে পারবে ভারত। অবশ্য মার্কিন বাণিজ্যিক কৃত্রিম উপগ্রহগুলোও নিজেদের উেক্ষপণ-ব্যবস্থার মাধ্যমে মহাকাশে পাঠাতে আগ্রহী নয়াদিল্লি। তারা এ ব্যাপারেও একটি চুক্তি করতে চায়। এটা করতে পারলে মহাকাশ ব্যবসার বাজারে বড় ধরনের সুযোগ তৈরি হবে ভারতের জন্য।
এ ছাড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতে সহযোগিতা বাড়াতে এবং এ ব্যাপারে দুই দেশের সমান অংশীদারের ভিত্তিতে একটি তহবিল গড়ে তোলার জন্য ‘সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি এনডওমেন্ট অ্যাগ্রিমেন্ট’ নামের আরেকটি চুক্তি সই করেছে দুই দেশ। এই চুক্তির মাধ্যমে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক গবেষণার ক্ষেত্রে দুই দেশের প্রযুক্তি ও লোকবল আদান-প্রদান সম্ভব হবে। এই তিনটি চুক্তি সইয়ের মাধ্যমে অবশেষে হিলারি ক্লিনটন তাঁর এই ভারত সফরের লক্ষ্য পূরণ করলেন।
গত শুক্রবার পাঁচ দিনের সফরে ভারত পৌঁছান মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তাঁর এই সফরের মূল আলোচ্যসূচি ছিল ইইউভি চুক্তি। এই প্রতিরক্ষা চুক্তি সই হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র নির্মাতা কোম্পানি লকহিড ও বোয়িং যথেষ্ট লাভবান হবে। কারণ, ভারত সরকার প্রতিরক্ষাব্যবস্থা আধুনিকায়নের মার্কিন জঙ্গি বিমানসহ আধুনিক অস্ত্র কিনতে আগ্রহী। ভারতীয় বিমানবাহিনীর জন্য ১২৬টি জঙ্গি বিমান ক্রয়ে ভারত যে দরপত্র আহ্বান করেছে, সেখানে অন্যান্য দেশের কোম্পানিগুলোর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে ওই দুটো মার্কিন কোম্পানি। ভারত এর আগে ১৯৯৬ সালের ‘ইউএস আর্মস কন্ট্রোল অ্যাক্ট’-এর অধীনে অস্ত্র কেনার ব্যাপারে অসম্মতি জানায়। ওই চুক্তি অনুযায়ী ক্রেতা দেশগুলোকে বিক্রি করা অস্ত্র কীভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে, সেই বিষয়ে পর্যবেক্ষণের সুযোগ দিতে হয় যুক্তরাষ্ট্রকে। তবে ভারতের সঙ্গে স্বাক্ষরিত ইইউভি চুক্তি ১৯৯৬ সালের ওই চুক্তি থেকে ভিন্ন বলে ভারতীয় সূত্রে জানা গেছে। তিনটি চুক্তি সইয়ের আগে দিল্লির ঐতিহাসিক হায়দরাবাদ হাউসে দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘ আলোচনা হয়।
ইইউভি চুক্তির পাশাপাশি মহাকাশ বিজ্ঞানবিষয়ক চুক্তি ‘টেকনোলজি সেফগার্ড অ্যাগ্রিমেন্ট’-এর মাধ্যমে এখন থেকে নিজস্ব উেক্ষপণ-ব্যবস্থার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে নির্মিত বেসামরিক ও অবাণিজ্যিক কাজে ব্যবহারের কৃত্রিম উপগ্রহগুলো উেক্ষপণ করতে পারবে ভারত। অবশ্য মার্কিন বাণিজ্যিক কৃত্রিম উপগ্রহগুলোও নিজেদের উেক্ষপণ-ব্যবস্থার মাধ্যমে মহাকাশে পাঠাতে আগ্রহী নয়াদিল্লি। তারা এ ব্যাপারেও একটি চুক্তি করতে চায়। এটা করতে পারলে মহাকাশ ব্যবসার বাজারে বড় ধরনের সুযোগ তৈরি হবে ভারতের জন্য।
এ ছাড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতে সহযোগিতা বাড়াতে এবং এ ব্যাপারে দুই দেশের সমান অংশীদারের ভিত্তিতে একটি তহবিল গড়ে তোলার জন্য ‘সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি এনডওমেন্ট অ্যাগ্রিমেন্ট’ নামের আরেকটি চুক্তি সই করেছে দুই দেশ। এই চুক্তির মাধ্যমে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক গবেষণার ক্ষেত্রে দুই দেশের প্রযুক্তি ও লোকবল আদান-প্রদান সম্ভব হবে। এই তিনটি চুক্তি সইয়ের মাধ্যমে অবশেষে হিলারি ক্লিনটন তাঁর এই ভারত সফরের লক্ষ্য পূরণ করলেন।
No comments