২০ কোটি টাকার সম্পত্তি পরিত্যক্ত দেখিয়ে ইজারার পাঁয়তারা! by মো. ইব্রাহিম খলিল
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার নোয়াগাঁও
এলাকায় স্থাপিত বিদ্যুত্ উন্নয়ন বোর্ডের (বিউবো) সরবরাহ কার্যালয় ও
রেস্টহাউসসহ ব্যবহার উপযোগী প্রায় ২০ কোটি টাকার সম্পত্তি পরিত্যক্ত দেখিয়ে
ইজারা দেওয়ার পাঁয়তারা চলছে। বিউবোর অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশে ঠিকাদার
জাহাঙ্গীর সাত্তার ওরফে টিংকু এসব সম্পত্তি ইজারা নেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন
বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বিউবো চট্টগ্রামের প্রধান প্রকৌশলীর দপ্তর সূত্র জানায়, ১৯৫৬ সালে তত্কালীন সরকার নোয়াগাঁও এলাকায় ৫ দশমিক ৬৫ একর জমির ওপর বিদ্যুত্ সরবরাহ কার্যালয়, একটি রেস্টহাউস ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য দুটি আবাসিক ভবন নির্মাণ করে। জমিসহ স্থানীয়ভাবে এসব সম্পত্তির বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় ২০ কোটি টাকারও বেশি।
বিউবো চট্টগ্রামের উপপরিচালক সুনীল কান্তি নাথ জানান, রাঙ্গুনিয়ায় বিদ্যুত্ সরবরাহ কার্যালয় ও রেস্টহাউসটি দুই দশক ধরে অব্যবহূত পড়ে আছে। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য নির্মিত আবাসিক ভবন দুটিও জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। সরকারের রাজস্ব আয় বৃদ্ধির জন্য বিউবো চট্টগ্রামের প্রধান প্রকৌশলী এসব সম্পত্তি ইজারা দেওয়ার উদ্যোগ নেন। এ লক্ষ্যে গত ৬ জুলাই তিন সদস্যের একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়।
স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, রাঙ্গুনিয়ায় নির্মিত বিদ্যুত্ সরবরাহ কার্যালয়, রেস্টহাউস এখনো ব্যবহার উপযোগী। আবাসিক ভবন দুটি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নামে বরাদ্দ নিলেও ভাড়ায় থাকছে স্থানীয় কয়েকটি পরিবার। এ ছাড়া ৫ দশমিক ৬৫ একর জমির ওপর সেগুন, গামারি, গর্জনসহ নানা জাতের প্রায় দুই কোটি টাকা দামের শতাধিক গাছ রয়েছে। এসব জমির পাশে রয়েছে ঠিকাদার জাহাঙ্গীর সাত্তারের ৫০ শতক জমি। তিনি জমিসহ এসব সম্পত্তি ইজারা নেওয়ার জন্য আবেদন করেছেন। গত ৬ জুলাই বিউবো (বিতরণ দক্ষিণাঞ্চল) চট্টগ্রামের প্রধান প্রকৌশলীর দপ্তর থেকে এসব সম্পত্তি পরিত্যক্ত ঘোষণা করে ইজারা দেওয়ার আদেশ জারি করা হয়।
চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুত্ সমিতি-২ রাঙ্গুনিয়া কার্যালয় সূত্র জানায়, বিদ্যুত্ সরবরাহ কেন্দ্রটি থেকে কর্ণফুলী পাটকল, কর্ণফুলী ফুরাত কার্পেট কারখানাসহ পোমরা ও বেতাগী ইউনিয়নে বিদ্যুত্ সরবরাহ করা হয়।
ইজারা কমিটির আহ্বায়ক আবদুল মোত্তালিব জানান, বিউবো (বিতরণ দক্ষিণাঞ্চল) চট্টগ্রামের প্রধান প্রকৌশলীর দপ্তরের আদেশে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্য থেকে বর্তমান বাজারদর অনুযায়ী প্রতিযোগিতামূলক দরপত্র সংগ্রহ করে সর্বোচ্চ দরদাতার অনুকূলে ইজারার আদেশ জারির ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে সুপারিশ পেশ করার জন্য কমিটির প্রতি নির্দেশ রয়েছে। সেই থেকে গত ১৮ জুলাই পর্যন্ত ১২ কর্মদিবস অতিবাহিত হলেও ঠিকাদার জাহাঙ্গীর সাত্তারের ইজারা আবেদন ছাড়া আর কোনো আবেদন জমা পড়েনি।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খলিলুর রহমান চৌধুরী অভিযোগ করেন, বিউবো কর্তৃপক্ষ ঠিকাদার টিংকুকে এসব সম্পত্তি গোপনে ইজারা দেওয়ার জন্য পত্রিকা বা স্থানীয়ভাবে কোনো বিজ্ঞপ্তি দেয়নি। ফলে জমি ইজারার ব্যাপারে স্থানীয় লোকজন অবগত নয়। তিনি আরও অভিযোগ করেন, টিংকু রাজনৈতিক দুরভিসন্ধি নিয়ে ২০ কোটি টাকা মূল্যের জমি ইজারার নামে হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন। তাঁকে এ কাজে সহায়তা করছেন বিএনপিদলীয় সাংসদ সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরী।
ঠিকাদার জাহাঙ্গীর সাত্তার প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিউবোর এসব স্থাপনার পাশে আমার জমি রয়েছে। সে হিসেবে ইজারার আবেদন করেছি।’ জমি ইজারা নেওয়ার বিষয়ে বিউবোর কর্মকর্তাদের ইন্ধনের বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেছেন।
এ প্রসঙ্গে বিউবো (বিতরণ দক্ষিণাঞ্চল) চট্টগ্রামের প্রধান প্রকৌশলীর দপ্তরের উপপরিচালক (প্রশাসন) আবদুল কাইয়ুম পাঠান জানান, স্থানীয় দরপত্র সংগ্রহের মাধ্যমে সর্বোচ্চ দরদাতাকে এসব সম্পত্তি ইজারা দেওয়া হবে। একতরফাভাবে কারও নামে ইজারা দেওয়ার সুযোগ নেই।
বিউবো চট্টগ্রামের প্রধান প্রকৌশলীর দপ্তর সূত্র জানায়, ১৯৫৬ সালে তত্কালীন সরকার নোয়াগাঁও এলাকায় ৫ দশমিক ৬৫ একর জমির ওপর বিদ্যুত্ সরবরাহ কার্যালয়, একটি রেস্টহাউস ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য দুটি আবাসিক ভবন নির্মাণ করে। জমিসহ স্থানীয়ভাবে এসব সম্পত্তির বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় ২০ কোটি টাকারও বেশি।
বিউবো চট্টগ্রামের উপপরিচালক সুনীল কান্তি নাথ জানান, রাঙ্গুনিয়ায় বিদ্যুত্ সরবরাহ কার্যালয় ও রেস্টহাউসটি দুই দশক ধরে অব্যবহূত পড়ে আছে। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য নির্মিত আবাসিক ভবন দুটিও জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। সরকারের রাজস্ব আয় বৃদ্ধির জন্য বিউবো চট্টগ্রামের প্রধান প্রকৌশলী এসব সম্পত্তি ইজারা দেওয়ার উদ্যোগ নেন। এ লক্ষ্যে গত ৬ জুলাই তিন সদস্যের একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়।
স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, রাঙ্গুনিয়ায় নির্মিত বিদ্যুত্ সরবরাহ কার্যালয়, রেস্টহাউস এখনো ব্যবহার উপযোগী। আবাসিক ভবন দুটি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নামে বরাদ্দ নিলেও ভাড়ায় থাকছে স্থানীয় কয়েকটি পরিবার। এ ছাড়া ৫ দশমিক ৬৫ একর জমির ওপর সেগুন, গামারি, গর্জনসহ নানা জাতের প্রায় দুই কোটি টাকা দামের শতাধিক গাছ রয়েছে। এসব জমির পাশে রয়েছে ঠিকাদার জাহাঙ্গীর সাত্তারের ৫০ শতক জমি। তিনি জমিসহ এসব সম্পত্তি ইজারা নেওয়ার জন্য আবেদন করেছেন। গত ৬ জুলাই বিউবো (বিতরণ দক্ষিণাঞ্চল) চট্টগ্রামের প্রধান প্রকৌশলীর দপ্তর থেকে এসব সম্পত্তি পরিত্যক্ত ঘোষণা করে ইজারা দেওয়ার আদেশ জারি করা হয়।
চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুত্ সমিতি-২ রাঙ্গুনিয়া কার্যালয় সূত্র জানায়, বিদ্যুত্ সরবরাহ কেন্দ্রটি থেকে কর্ণফুলী পাটকল, কর্ণফুলী ফুরাত কার্পেট কারখানাসহ পোমরা ও বেতাগী ইউনিয়নে বিদ্যুত্ সরবরাহ করা হয়।
ইজারা কমিটির আহ্বায়ক আবদুল মোত্তালিব জানান, বিউবো (বিতরণ দক্ষিণাঞ্চল) চট্টগ্রামের প্রধান প্রকৌশলীর দপ্তরের আদেশে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্য থেকে বর্তমান বাজারদর অনুযায়ী প্রতিযোগিতামূলক দরপত্র সংগ্রহ করে সর্বোচ্চ দরদাতার অনুকূলে ইজারার আদেশ জারির ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে সুপারিশ পেশ করার জন্য কমিটির প্রতি নির্দেশ রয়েছে। সেই থেকে গত ১৮ জুলাই পর্যন্ত ১২ কর্মদিবস অতিবাহিত হলেও ঠিকাদার জাহাঙ্গীর সাত্তারের ইজারা আবেদন ছাড়া আর কোনো আবেদন জমা পড়েনি।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খলিলুর রহমান চৌধুরী অভিযোগ করেন, বিউবো কর্তৃপক্ষ ঠিকাদার টিংকুকে এসব সম্পত্তি গোপনে ইজারা দেওয়ার জন্য পত্রিকা বা স্থানীয়ভাবে কোনো বিজ্ঞপ্তি দেয়নি। ফলে জমি ইজারার ব্যাপারে স্থানীয় লোকজন অবগত নয়। তিনি আরও অভিযোগ করেন, টিংকু রাজনৈতিক দুরভিসন্ধি নিয়ে ২০ কোটি টাকা মূল্যের জমি ইজারার নামে হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন। তাঁকে এ কাজে সহায়তা করছেন বিএনপিদলীয় সাংসদ সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরী।
ঠিকাদার জাহাঙ্গীর সাত্তার প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিউবোর এসব স্থাপনার পাশে আমার জমি রয়েছে। সে হিসেবে ইজারার আবেদন করেছি।’ জমি ইজারা নেওয়ার বিষয়ে বিউবোর কর্মকর্তাদের ইন্ধনের বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেছেন।
এ প্রসঙ্গে বিউবো (বিতরণ দক্ষিণাঞ্চল) চট্টগ্রামের প্রধান প্রকৌশলীর দপ্তরের উপপরিচালক (প্রশাসন) আবদুল কাইয়ুম পাঠান জানান, স্থানীয় দরপত্র সংগ্রহের মাধ্যমে সর্বোচ্চ দরদাতাকে এসব সম্পত্তি ইজারা দেওয়া হবে। একতরফাভাবে কারও নামে ইজারা দেওয়ার সুযোগ নেই।
No comments