আরেক ভারতীয় জঙ্গি মনসুর ঢাকায় গ্রেপ্তার
ভারতীয় জঙ্গি সংগঠন আসিফ রেজা কমান্ডো
ফোর্স এবং লস্কর-ই-তাইয়েবার আরেক সংগঠক মাওলানা মনসুর আলী ওরফে
হাবিবুল্লাহকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁর বাড়ি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর
চব্বিশ পরগনা জেলার বাগদা থানার পদ্মপুকুর গ্রামে।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপকমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেন, মনসুর আলী এর আগে গ্রেপ্তার হওয়া ভারতীয় জঙ্গি শেখ ওবায়দুল্লাহর ‘গুরু’। মনসুর এ দেশে বিভিন্ন মাদ্রাসায় শিক্ষকতার আড়ালে লস্কর-ই-তাইয়েবার পক্ষে তত্পরতায় যুক্ত ছিলেন।
এই ভারতীয় জঙ্গিকে কয়েক দিন আগে রাজধানীর উত্তরাসংলগ্ন দক্ষিণখান এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি সরদারবাড়ির সামনে মাদ্রাসাতুর রহমানের শিক্ষক। ডিবি পুলিশ গতকাল মঙ্গলবার সকালে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁকে গ্রেপ্তারের কথা প্রকাশ করে। ডিবি সোমবার রাত সাড়ে আটটায় মনসুরকে গ্রেপ্তারের দাবি করেছে। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আটকের পর মনসুর প্রথমে নিজের নাম মাওলানা হাবিবুল্লাহ ও বাড়ি যশোরের ঝিকরগাছার শ্রীরামপুর বলে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে। এ জন্য তাঁর পরিচয় নিশ্চিত হতে সময় লেগেছে।
কে এই মনসুর আলী: সংবাদ সম্মেলনে ডিবি কর্মকর্তারা বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে জঙ্গি মনসুর আলীর দেওয়া তথ্যানুযায়ী তিনি উত্তর চব্বিশ পরগনার বাগদাহ থানার মামা-ভাগিনা উচ্চবিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক, ১৯৭৫ সালে হেলেঞ্চা বাজার স্কুল থেকে উচ্চমাধ্যমিক এবং ১৯৭৭ সালে বনশাঁ কলেজ থেকে স্নাতক পাস করেন। এরপর তিনি কিছু দিন রেল বিভাগে চাকরি করেন। এর মধ্যে তিনি স্থানীয় এক আলেমের মাধ্যমে ধর্মীয় বিষয়ে উদ্বুদ্ধ হন এবং চাকরি ছেড়ে উত্তর প্রদেশের দেওবন্দ মাদ্রাসায় চলে যান। সেখানে আরবির প্রাথমিক পাঠ নেন। তারপর ১৯৮৪ সালে পাকিস্তানে যান।
জঙ্গি তত্পরতা: গতকাল ডিবি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মনসুর বলেন, তিনি আরবি শিক্ষার জন্য পাকিস্তানে যান। সেখানে ইসলামাবাদের দারুল উলুম তাকওয়া মাদ্রাসায় দাওরা হাদিস পড়েন। ১৯৮৪ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত ওই মাদ্রাসায় পড়াকালে তিনি কয়েক দফা আফগানিস্তানে গিয়ে তত্কালীন সোভিয়েত বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশ নেন। তিনি ওই সময় কালাশনিকভ রাইফেল, মেশিনগান, রকেট লাঞ্চার ও বিমান বিধ্বংসী অস্ত্র চালানোয় পারদর্শী ছিলেন।
মনসুর আলী জানান, আফগানিস্তান সোভিয়েত দখলমুক্ত হওয়ার পর তিনি ১৯৯৩ সালে ভারতে ফিরে যান এবং আসিফ রেজা কমান্ডো ফোর্সের প্রতিষ্ঠাতা আসিফ রেজা খান, মাওলানা জালাল ও লস্কর-ই-তাইয়েবার খুররম ওরফে আবদুল্লাহসহ ভারতে জঙ্গি তত্পরতায় যুক্ত হন। তাঁরা ‘জিহাদি ভাই’ তৈরি করে প্রথম দিকে লস্কর-ই-তাইয়েবার হয়ে কাশ্মীরে এবং পরে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে পাঠাতে শুরু করেন। গুজরাটে সংগঠনের কয়েকজন ধরা পড়ার পর মনসুর আলীর পরিচয় প্রকাশ হয়ে পড়ে। ভারতীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাঁকে আসিফ রেজা কমান্ডো ফোর্সের অন্যতম প্রধান সংগঠক হিসেবে চিহ্নিত করে। এরপর তিনি পালিয়ে বাংলাদেশে চলে আসেন। এর আগে ভারতে জঙ্গি তত্পরতায় যুক্ত তাঁর এক ভাই বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত অতিক্রমকালে বিএসএফের গুলিতে নিহত হন।
বাংলাদেশে প্রবেশ ও তত্পরতা: ডিবির উপকমিশনার মনিরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ১৯৯৫ সালে মনসুর আলী ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে (বিএসএফ) ঘুষ দিয়ে অবৈধভাবে এ দেশে ঢুকেছেন। মনসুর আলীর ভাষায়, সীমান্ত পার হতে চাইলে বিএসএফের এক সদস্য বলেন, ‘পঁচাশ রুপিয়া দিয়েগা তো এক চোখ বন্ধ্ করে গা, আওর এক ছ রুপিয়া দিয়েগা তো দো চোখ বন্ধ্ করে গা।’
ডিবি সূত্র জানায়, মনসুর আলী এ দেশে এসে প্রথমে যশোরের মোড়লী মোড়ের নূরানি মাদ্রাসায় শিক্ষকতার চাকরি নেন। তারপর যথাক্রমে যশোরের বাঘারপাড়ার ইন্দ্রাগ্রামের মক্তব, হবিগঞ্জের পোড়াসুন্দা গ্রামের মক্তব, ঢাকার নবাবগঞ্জের টিকরপুর মাদ্রাসা এবং সর্বশেষ ঢাকার দক্ষিণখানের মাদ্রাসাতুর রহমানে শিক্ষকতার চাকরি করেন। মাদ্রাসার পাশেই একটি বাড়িতে সপরিবারে বসবাস করতেন তিনি। তিনি সাতক্ষীরায় বিয়ে করেছেন বলে জানান।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মনসুর আলী স্বীকার করেন, বাংলাদেশে অবস্থানকালে তাঁর সঙ্গে হরকাতুল জিহাদের নেতা মুফতি আবদুর রউফ (বর্তমানে তাআমির উদ-দ্বীনের শীর্ষ নেতা ও কারাবন্দী), মাওলানা আলী আহম্মদ, মুফতি হান্নান, মুফতি বখতিয়ারসহ অনেকের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল। তাঁর সঙ্গে পাকিস্তানে অবস্থানকারী লস্কর-ই-তাইয়েবার নেতা খুররম ওরফে আব্দুল্লাহর টেলিফোনে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। তাঁর দাবি, তিনি এ দেশে কোনো জঙ্গি তত্পরতা বা নাশকতায় যুক্ত ছিলেন না। তাঁদের জিহাদ হচ্ছে ভারতীয় হিন্দুদের বিরুদ্ধে।
যেভাবে সন্ধান মেলে: ডিবি কর্মকর্তারা জানান, দুবাইভিত্তিক ভারতীয় মাফিয়া নেতা দাউদ ইব্রাহিম চক্রের এ দেশীয় নেটওয়ার্কের অনুসন্ধান করতে গিয়ে ভারতীয় এ জঙ্গি গোষ্ঠীর সন্ধান মেলে। ডিবি গত ২৬ মে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে আটক দাউদ ইব্রাহিম চক্রের সদস্য দুই ভারতীয় নাগরিক আবদুল রউফ দাউদ মার্চেন্ট ও জাহিদ শেখকে (২৮) গ্রেপ্তার করে। জাহিদ দাউদ ইব্রাহিমের মাফিয়াচক্রের বাংলাদেশের এজেন্ট। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ ও তাঁর টেলিফোন যোগাযোগের সূত্র ধরে অনুসন্ধান করতে গিয়ে ডিবি মাদারীপুরের মাদ্রাসার শিক্ষক ভারতীয় জঙ্গি ওবায়দুল্লাহ ও ঢাকায় মনসুর আলীর সন্ধান পান। ওবায়দুল্লাহকে ১৭ জুলাই ডিবি পুলিশ আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপকমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেন, মনসুর আলী এর আগে গ্রেপ্তার হওয়া ভারতীয় জঙ্গি শেখ ওবায়দুল্লাহর ‘গুরু’। মনসুর এ দেশে বিভিন্ন মাদ্রাসায় শিক্ষকতার আড়ালে লস্কর-ই-তাইয়েবার পক্ষে তত্পরতায় যুক্ত ছিলেন।
এই ভারতীয় জঙ্গিকে কয়েক দিন আগে রাজধানীর উত্তরাসংলগ্ন দক্ষিণখান এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি সরদারবাড়ির সামনে মাদ্রাসাতুর রহমানের শিক্ষক। ডিবি পুলিশ গতকাল মঙ্গলবার সকালে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁকে গ্রেপ্তারের কথা প্রকাশ করে। ডিবি সোমবার রাত সাড়ে আটটায় মনসুরকে গ্রেপ্তারের দাবি করেছে। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আটকের পর মনসুর প্রথমে নিজের নাম মাওলানা হাবিবুল্লাহ ও বাড়ি যশোরের ঝিকরগাছার শ্রীরামপুর বলে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে। এ জন্য তাঁর পরিচয় নিশ্চিত হতে সময় লেগেছে।
কে এই মনসুর আলী: সংবাদ সম্মেলনে ডিবি কর্মকর্তারা বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে জঙ্গি মনসুর আলীর দেওয়া তথ্যানুযায়ী তিনি উত্তর চব্বিশ পরগনার বাগদাহ থানার মামা-ভাগিনা উচ্চবিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক, ১৯৭৫ সালে হেলেঞ্চা বাজার স্কুল থেকে উচ্চমাধ্যমিক এবং ১৯৭৭ সালে বনশাঁ কলেজ থেকে স্নাতক পাস করেন। এরপর তিনি কিছু দিন রেল বিভাগে চাকরি করেন। এর মধ্যে তিনি স্থানীয় এক আলেমের মাধ্যমে ধর্মীয় বিষয়ে উদ্বুদ্ধ হন এবং চাকরি ছেড়ে উত্তর প্রদেশের দেওবন্দ মাদ্রাসায় চলে যান। সেখানে আরবির প্রাথমিক পাঠ নেন। তারপর ১৯৮৪ সালে পাকিস্তানে যান।
জঙ্গি তত্পরতা: গতকাল ডিবি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মনসুর বলেন, তিনি আরবি শিক্ষার জন্য পাকিস্তানে যান। সেখানে ইসলামাবাদের দারুল উলুম তাকওয়া মাদ্রাসায় দাওরা হাদিস পড়েন। ১৯৮৪ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত ওই মাদ্রাসায় পড়াকালে তিনি কয়েক দফা আফগানিস্তানে গিয়ে তত্কালীন সোভিয়েত বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশ নেন। তিনি ওই সময় কালাশনিকভ রাইফেল, মেশিনগান, রকেট লাঞ্চার ও বিমান বিধ্বংসী অস্ত্র চালানোয় পারদর্শী ছিলেন।
মনসুর আলী জানান, আফগানিস্তান সোভিয়েত দখলমুক্ত হওয়ার পর তিনি ১৯৯৩ সালে ভারতে ফিরে যান এবং আসিফ রেজা কমান্ডো ফোর্সের প্রতিষ্ঠাতা আসিফ রেজা খান, মাওলানা জালাল ও লস্কর-ই-তাইয়েবার খুররম ওরফে আবদুল্লাহসহ ভারতে জঙ্গি তত্পরতায় যুক্ত হন। তাঁরা ‘জিহাদি ভাই’ তৈরি করে প্রথম দিকে লস্কর-ই-তাইয়েবার হয়ে কাশ্মীরে এবং পরে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে পাঠাতে শুরু করেন। গুজরাটে সংগঠনের কয়েকজন ধরা পড়ার পর মনসুর আলীর পরিচয় প্রকাশ হয়ে পড়ে। ভারতীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাঁকে আসিফ রেজা কমান্ডো ফোর্সের অন্যতম প্রধান সংগঠক হিসেবে চিহ্নিত করে। এরপর তিনি পালিয়ে বাংলাদেশে চলে আসেন। এর আগে ভারতে জঙ্গি তত্পরতায় যুক্ত তাঁর এক ভাই বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত অতিক্রমকালে বিএসএফের গুলিতে নিহত হন।
বাংলাদেশে প্রবেশ ও তত্পরতা: ডিবির উপকমিশনার মনিরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ১৯৯৫ সালে মনসুর আলী ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে (বিএসএফ) ঘুষ দিয়ে অবৈধভাবে এ দেশে ঢুকেছেন। মনসুর আলীর ভাষায়, সীমান্ত পার হতে চাইলে বিএসএফের এক সদস্য বলেন, ‘পঁচাশ রুপিয়া দিয়েগা তো এক চোখ বন্ধ্ করে গা, আওর এক ছ রুপিয়া দিয়েগা তো দো চোখ বন্ধ্ করে গা।’
ডিবি সূত্র জানায়, মনসুর আলী এ দেশে এসে প্রথমে যশোরের মোড়লী মোড়ের নূরানি মাদ্রাসায় শিক্ষকতার চাকরি নেন। তারপর যথাক্রমে যশোরের বাঘারপাড়ার ইন্দ্রাগ্রামের মক্তব, হবিগঞ্জের পোড়াসুন্দা গ্রামের মক্তব, ঢাকার নবাবগঞ্জের টিকরপুর মাদ্রাসা এবং সর্বশেষ ঢাকার দক্ষিণখানের মাদ্রাসাতুর রহমানে শিক্ষকতার চাকরি করেন। মাদ্রাসার পাশেই একটি বাড়িতে সপরিবারে বসবাস করতেন তিনি। তিনি সাতক্ষীরায় বিয়ে করেছেন বলে জানান।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মনসুর আলী স্বীকার করেন, বাংলাদেশে অবস্থানকালে তাঁর সঙ্গে হরকাতুল জিহাদের নেতা মুফতি আবদুর রউফ (বর্তমানে তাআমির উদ-দ্বীনের শীর্ষ নেতা ও কারাবন্দী), মাওলানা আলী আহম্মদ, মুফতি হান্নান, মুফতি বখতিয়ারসহ অনেকের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল। তাঁর সঙ্গে পাকিস্তানে অবস্থানকারী লস্কর-ই-তাইয়েবার নেতা খুররম ওরফে আব্দুল্লাহর টেলিফোনে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। তাঁর দাবি, তিনি এ দেশে কোনো জঙ্গি তত্পরতা বা নাশকতায় যুক্ত ছিলেন না। তাঁদের জিহাদ হচ্ছে ভারতীয় হিন্দুদের বিরুদ্ধে।
যেভাবে সন্ধান মেলে: ডিবি কর্মকর্তারা জানান, দুবাইভিত্তিক ভারতীয় মাফিয়া নেতা দাউদ ইব্রাহিম চক্রের এ দেশীয় নেটওয়ার্কের অনুসন্ধান করতে গিয়ে ভারতীয় এ জঙ্গি গোষ্ঠীর সন্ধান মেলে। ডিবি গত ২৬ মে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে আটক দাউদ ইব্রাহিম চক্রের সদস্য দুই ভারতীয় নাগরিক আবদুল রউফ দাউদ মার্চেন্ট ও জাহিদ শেখকে (২৮) গ্রেপ্তার করে। জাহিদ দাউদ ইব্রাহিমের মাফিয়াচক্রের বাংলাদেশের এজেন্ট। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ ও তাঁর টেলিফোন যোগাযোগের সূত্র ধরে অনুসন্ধান করতে গিয়ে ডিবি মাদারীপুরের মাদ্রাসার শিক্ষক ভারতীয় জঙ্গি ওবায়দুল্লাহ ও ঢাকায় মনসুর আলীর সন্ধান পান। ওবায়দুল্লাহকে ১৭ জুলাই ডিবি পুলিশ আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে।
No comments