রংপুর ভূমি কর্মকর্তা মোজাহিদের তেলেসমাতি কারবার
তদন্তের রিপোর্ট পেয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে। ছাড় দেয়া হবে না, আইনের আওতায় এনে শাস্তি প্রদান করা হবে। অনুসন্ধানে জানা যায়, রংপুর নগরীর কামাল কাছনার শামসুল হক একসনা মেয়াদে জমি লিজ নিয়ে খাজনা প্রদান করে ৪৭ বছর ধরে ভোগ-দখল করেছেন। সম্প্রতি ভূমি সিন্ডিকেটের ইন্ধনে আব্দুল হাই নামে এক ব্যক্তি ওই জমির মালিকানা দাবি করছেন। তার প্রশ্ন এতদিন কোথায় ছিলেন তিনি। এছাড়াও কামাল কাছনা মৌজার আরএস-৭২৭৩ হাল দাগের সরকারি আট শতক খাসজমি জাল দলিল তৈরি করে দুর্নীতিবাজ মোজাহিদ চক্র রক্ষক ও ভক্ষকের কাজ করছেন। শালবন ভূমি অফিসে খাজনা-খারিজের ভলিউমের পাতা ছেঁড়া, হোল্ডিং নেই, তালিকায় আছে, দীর্ঘদিন খাজনা দেয়া নেই বলে সেবাগ্রহীতাদের হয়রানি করে মোটা অঙ্কের টাকা নিচ্ছে। রাধাবল্লভ মৌজার ২৭৭৯ দাগের সরকারি জমি, আরএস রেকর্ড সেটেলমেন্ট অফিসে নিজে যোগসাজশ করে নিজের নামে রেকর্ড করে। এছাড়া একই মৌজায় ১৮৮৮ দাগের রংপুর সরকারি কলেজের জমি অন্যের নামে রেকর্ড করে দেন এবং কামাল কাছনা মৌজার ৩৪৭৩২৬ দাগের জমি ব্যক্তি মালিকানায় রেকর্ড করে দেন।
অভিযোগে বলা হয়, এ বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্ত হলে জালিয়াতি চক্রের মূলহোতা মোজাহিদ, আমজাদ গংয়ের প্রমাণ বেরিয়ে আসবে। জুম্মাপাড়ার হারুন, শালবনের শাহাবুদ্দিনসহ অনেকে অভিযোগ করে বলেন, ক্রয়কৃত একই দাগের জমি দুই অংশীদারের একজন রহস্যজনকভাবে খাজনা পরিশোধ করলেও অপরজনের খাজনা নেয়া হচ্ছে না বিভিন্ন অজুহাতে। এ ব্যাপারে ভূমি কর্মকর্তা মোজাহিদের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, আমি অপকর্ম করিনি। এটা হয়তো শালবন ভূমি অফিসের সাবেক কর্মকর্তা মেজবাহ ও শাহাজাদা মিয়া করেছে। একই দাগের জমি একজনের খাজনা নিলে, অপরজনের কেন নিচ্ছে না জানতে চাইলে তিনি কৌশলে এড়িয়ে বলেন, হয়তো এটা ভুলে হয়েছে। মানবাধিকারকর্মী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, খাজনা, নামজারি, খারিজ করতে প্রতিদিন মানুষ হয়রানির শিকার হচ্ছে। ভূমি অফিসে অসাধু কর্মকর্তা ও দালাল চক্র সিন্ডিকেট বিভিন্ন অজুহাতে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। তিনি বলেন, দুর্নীতিবাজদের বদলি করে দিয়ে আরেক জায়গায় দুর্নীতি করার সুযোগ করে দেয়া হচ্ছে। এটা সঠিক বিচার নয়। দুর্নীতিবাজদের অপসারণ করে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
No comments