ছাত্রলীগের দৈন্যদশা দেখার আগে আমার মৃত্যু হলো না কেন : -সাক্ষাৎকারে নূরে আলম সিদ্দিকীby কাজল ঘোষ
ক্ষোভ,
হতাশা আর আক্ষেপ নূরে আলম সিদ্দিকীর মুখে। আবরার ফাহাদ হত্যা তাকে পীড়া
দিচ্ছে প্রতিনিয়ত। তাইতো তিনি আফসোস করে বলেন, ছাত্রলীগের এ দৈন্যদশা দেখার
আগে আমার মৃত্যু হলো না কেন? কোন পাপে এ দৃশ্য দেখার জন্য এখনো বেঁচে আছি
জানি না। মানবজমিন-এর সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে সর্বদলীয় ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের
আহ্বায়ক নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, খুন, রাহাজানির মহামারিতে দেশ আজ ছেয়ে
গেছে। যদি আবরার হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া না হয় তবে
দেশের অস্তিত্বই বিপন্ন হবে। তিনি আবরার হত্যাকারীদের শুধু গ্রেপ্তার নয়,
দোষীদের দ্রুত বিচার ও ফায়ারিং স্কোয়াডে দেয়ার দাবিও জানান। সাক্ষাৎকারে
বর্তমান পরিস্থিতি, সরকারের দুর্নীতিবিরোধী চলমান অভিযান নিয়েও কথা বলেন
তিনি।
বর্তমান ছাত্রলীগ কেমন দেখছেন?
ছাত্রলীগের বেহাল অবস্থা, দুর্নীতি ও দুর্বৃত্তায়নের সঙ্গে প্রকাশ্য সম্পৃক্ততা অবলোকন করে হৃদয়ের যে দগ্ধীভূত চিত্র তা বর্ণনা করার ক্ষমতা আমার নেই।
তবে এটুকু বলতে পারি, আজকের ছাত্রলীগের দুর্নীতি ও দুর্বৃত্তায়নের সঙ্গে যে নিবিড় সম্পর্ক আমাদের সময়ে নিকৃষ্টতম কর্মীটির ক্ষেত্রেও তা কল্পনার আবর্তের মধ্যেই ছিল না। আজকের ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ডের দিকে যখন তাকাই তখন দীপ্তিহীন আগুনের নির্দয় দহনে সমস্ত অনুভূতি দগ্ধিভূত হতে থাকে। সন্ত্রাস ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডই যেন আজকের ছাত্রলীগের মৌলিক আদর্শে রূপান্তরিত হয়েছে এবং এর জন্য দায়ী ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক শক্তি। তারা ছাত্রলীগকে আদর্শের একটি প্রতীক হিসেবে দেখতে চান না বরং তাদের অঙ্গ সংগঠন হিসেবে লেজুড়বৃত্তিতে লিপ্ত রাখতে চান। ওই রাজনৈতিক নেতৃত্ব জানে স্বাধীনতা পূর্বকালের মতো ছাত্রলীগ আদর্শের সূর্যস্নাত মূল্যবোধে উদ্ভাসিত শিক্ষাদীক্ষায় নিমগ্ন এবং জাতির প্রয়োজনে যথাসময়ে নিজেদের সবটুকু নিয়ে রুখে দাঁড়ানোর গতি থাকলে তাদের দিয়ে লাঠিয়াল বাহিনীর কর্মকাণ্ড করা যাবে না। শুধু দলের নয়, নিজের আঁচলে বাঁধা আদর্শবিবর্জিত একটি নিছক তোষামোদির সংগঠন করা যাবে না। আমরা যখন ছাত্রলীগের কর্মী ছিলাম তখন বঙ্গবন্ধুকে আমাদের আদর্শের প্রতীক হিসেবে মনে করতাম কিন্তু কোনো অবস্থাতেই ছাত্রলীগকে আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন ভাবতাম না। বরং সাংগঠনিক রাজনীতি করার কারণে বঙ্গবন্ধু যে কথাটি সরাসরি বলতে পারতেন না সেই কথাটি বর্জনিনাদে নিঘোষিত হতো ছাত্রলীগের উদাত্ত কণ্ঠে। আজকে ছাত্রলীগ দলীয় প্রধানের এতটাই আজ্ঞাবহ যে, তার সমালোচনা ছাত্রলীগ নেতৃত্বের একটি বিরাট অংশের এতটাই জ্বালা ও ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে যে, আবরারের মতো মেধাবী ছাত্রকে প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের সমালোচনার অপরাধে ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের হাতে জীবন দিতে হয়। কাকে বুঝাবো? কি করে বুঝাবো? ছাত্রলীগ একটি আদর্শের প্রতিষ্ঠান; সন্ত্রাসী সংগঠন নয়।
নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, আজকের ছাত্রলীগের নেতৃত্ব এবং কর্মীবৃন্দকে অতীত ইতিহাসকে জানতে তো হবেই বরং তা বিশ্লেষণ করে আপন চরিত্রকে আত্মিকভাবে বিনির্মাণ করতে হবে। আজকের ছাত্রলীগের মধ্যে টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, খুন, মারামারি, মূল্যবোধের অবক্ষয় ও সন্ত্রাসের যে স্বকরুণ দৃপ্ত প্রতিভাত হচ্ছে এটা ক্ষমতাসীন চক্র খুবই সুপরিকল্পিতভাবে সূক্ষ্ণ কৌশলে তৈরি করেছে।
সংবাদ সম্মেলন হতে শুরু করে সর্বত্র প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য-বিবৃতিতে কিছু কিছু আশাপ্রদ কথা ওঠে এসেছে। সেখানেও প্রান্তিক জনতার কথা হলো খালেদ, জি কে শামীম, সম্রাটের মতো চুনোপুঁটি বা মধ্যম ধাঁচের নেতৃত্বকে গ্রেপ্তার করলেই হবে না। অতি দ্রুত দৃশ্যমান কঠিন শাস্তি দিতে হবে।
প্রশ্ন ওঠেছে বর্তমান ছাত্র রাজনীতির যৌক্তিকতা নিয়ে?
আবরার হত্যার পর প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় তো বটেই এমনকি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও সর্বজনীনভাবে একটা কথা উঠে এসেছে আজকের ছাত্র রাজনীতি যখন টেন্ডারবাজি ও চাঁদাবাজির গোলক ধাঁধায় ঘুরপাক খাচ্ছে তখন ছাত্রসংগঠনের প্রয়োজন আছে কিনা? আমি বলবো, একদিন আমারও মনে হতো, ডাকসু নির্বাচন হলে ছাত্রলীগসহ ছাত্র নেতৃত্বের সাধারণ ছাত্রদের কাছে একটি দায়বদ্ধতা তৈরি হবে। যার প্রেক্ষিতে ছাত্র রাজনীতি দুর্নীতি দুর্বৃত্তায়ন, টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজির হাত থেকে রক্ষা পাবে। ডাকসু নির্বাচন হলো বটে। নির্বাচিত নেতৃত্বটি কিছুদিন নর্তন কর্দন করলেন পরে ধূমকেতুর মতো মিইয়ে গেলেন। ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদকই ডাকসুর জিএস। কোন নৈতিকতায় এটি সম্ভব তা বোধগম্য নয়। শেখ হাসিনা তাকে ছাত্রলীগের পদ থেকে বহিষ্কার করেছেন কিন্তু ডাকসুর জিএস পদ থেকে বহিষ্কার করেননি কেন- সেটি সবার জিজ্ঞাসা। যদি প্রশ্ন ওঠে, ছাত্র রাজনীতি অব্যাহত থাকবে না নিষিদ্ধ ঘোষিত হবে। সহজভাবে উত্তরটা দিতে চাই- ছাত্র রাজনীতি থাকবে ছাত্রদের স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য; তাদের মেধা বিকাশের জন্য; তাদের চরিত্রে দায়িত্ববোধ এবং সৎ নেতৃত্বের উপাদান সৃষ্টির জন্য। চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, হলের আবাসন দখলের জন্য না না না, কখনই না। আমি ছাত্র রাজনীতির পক্ষে। তবে ছাত্র রাজনীতির নামে আবরার হত্যা হলে আমি এমন ছাত্র রাজনীতির পক্ষে নই।
এ পরিস্থিতির উত্তরণে করণীয় কি?
বর্তমান পরিস্থিতির জন্য দায়ী রাজনৈতিক নেতৃত্ব। শুধু আবরার হত্যা নয় বর্তমান বাস্তবতা হচ্ছে মূল্যবোধের তলানিতে আমরা দাঁড়িয়েছি। যদি এখনই যথাযথ ব্যবস্থা না নেয়া হয় তবে এই আবরারের হত্যার কারণে দেশের অস্তিত্বই বিপন্ন হবে। ভাবা যায়, কতটা নিষ্ঠুর, পৈশাচিক হলে হত্যাকারীরা আবরারের লাশ ফেলে রেখে টেলিভিশনে অনুষ্ঠান দেখতে পারে। এভাবে যদি চলতে থাকে তবে দেশের অবস্থা হবে ভয়াবহ। আবরারের হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারই সব নয়, দোষীদের দ্রুত বিচার করলে, ফায়ারিং স্কোয়াডে দিলে এ ধরনের অপরাধ প্রবণতা কমে আসবে।
শেষ কথা কি বলবেন?
আজকে মানুষ সরকারের সমালোচনা করতে গিয়ে আতঙ্কিত এই আশঙ্কায় তাদের যেন আবরার হয়ে যেতে না হয় বা তাদের যেন আবরারের ভাগ্য বরণ করতে না হয়। ভয় হয়, সত্য কথা বলার জন্য আমাকেও না আবরার হয়ে যেতে হয়।
বর্তমান ছাত্রলীগ কেমন দেখছেন?
ছাত্রলীগের বেহাল অবস্থা, দুর্নীতি ও দুর্বৃত্তায়নের সঙ্গে প্রকাশ্য সম্পৃক্ততা অবলোকন করে হৃদয়ের যে দগ্ধীভূত চিত্র তা বর্ণনা করার ক্ষমতা আমার নেই।
তবে এটুকু বলতে পারি, আজকের ছাত্রলীগের দুর্নীতি ও দুর্বৃত্তায়নের সঙ্গে যে নিবিড় সম্পর্ক আমাদের সময়ে নিকৃষ্টতম কর্মীটির ক্ষেত্রেও তা কল্পনার আবর্তের মধ্যেই ছিল না। আজকের ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ডের দিকে যখন তাকাই তখন দীপ্তিহীন আগুনের নির্দয় দহনে সমস্ত অনুভূতি দগ্ধিভূত হতে থাকে। সন্ত্রাস ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডই যেন আজকের ছাত্রলীগের মৌলিক আদর্শে রূপান্তরিত হয়েছে এবং এর জন্য দায়ী ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক শক্তি। তারা ছাত্রলীগকে আদর্শের একটি প্রতীক হিসেবে দেখতে চান না বরং তাদের অঙ্গ সংগঠন হিসেবে লেজুড়বৃত্তিতে লিপ্ত রাখতে চান। ওই রাজনৈতিক নেতৃত্ব জানে স্বাধীনতা পূর্বকালের মতো ছাত্রলীগ আদর্শের সূর্যস্নাত মূল্যবোধে উদ্ভাসিত শিক্ষাদীক্ষায় নিমগ্ন এবং জাতির প্রয়োজনে যথাসময়ে নিজেদের সবটুকু নিয়ে রুখে দাঁড়ানোর গতি থাকলে তাদের দিয়ে লাঠিয়াল বাহিনীর কর্মকাণ্ড করা যাবে না। শুধু দলের নয়, নিজের আঁচলে বাঁধা আদর্শবিবর্জিত একটি নিছক তোষামোদির সংগঠন করা যাবে না। আমরা যখন ছাত্রলীগের কর্মী ছিলাম তখন বঙ্গবন্ধুকে আমাদের আদর্শের প্রতীক হিসেবে মনে করতাম কিন্তু কোনো অবস্থাতেই ছাত্রলীগকে আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন ভাবতাম না। বরং সাংগঠনিক রাজনীতি করার কারণে বঙ্গবন্ধু যে কথাটি সরাসরি বলতে পারতেন না সেই কথাটি বর্জনিনাদে নিঘোষিত হতো ছাত্রলীগের উদাত্ত কণ্ঠে। আজকে ছাত্রলীগ দলীয় প্রধানের এতটাই আজ্ঞাবহ যে, তার সমালোচনা ছাত্রলীগ নেতৃত্বের একটি বিরাট অংশের এতটাই জ্বালা ও ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে যে, আবরারের মতো মেধাবী ছাত্রকে প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের সমালোচনার অপরাধে ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের হাতে জীবন দিতে হয়। কাকে বুঝাবো? কি করে বুঝাবো? ছাত্রলীগ একটি আদর্শের প্রতিষ্ঠান; সন্ত্রাসী সংগঠন নয়।
নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, আজকের ছাত্রলীগের নেতৃত্ব এবং কর্মীবৃন্দকে অতীত ইতিহাসকে জানতে তো হবেই বরং তা বিশ্লেষণ করে আপন চরিত্রকে আত্মিকভাবে বিনির্মাণ করতে হবে। আজকের ছাত্রলীগের মধ্যে টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, খুন, মারামারি, মূল্যবোধের অবক্ষয় ও সন্ত্রাসের যে স্বকরুণ দৃপ্ত প্রতিভাত হচ্ছে এটা ক্ষমতাসীন চক্র খুবই সুপরিকল্পিতভাবে সূক্ষ্ণ কৌশলে তৈরি করেছে।
সংবাদ সম্মেলন হতে শুরু করে সর্বত্র প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য-বিবৃতিতে কিছু কিছু আশাপ্রদ কথা ওঠে এসেছে। সেখানেও প্রান্তিক জনতার কথা হলো খালেদ, জি কে শামীম, সম্রাটের মতো চুনোপুঁটি বা মধ্যম ধাঁচের নেতৃত্বকে গ্রেপ্তার করলেই হবে না। অতি দ্রুত দৃশ্যমান কঠিন শাস্তি দিতে হবে।
প্রশ্ন ওঠেছে বর্তমান ছাত্র রাজনীতির যৌক্তিকতা নিয়ে?
আবরার হত্যার পর প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় তো বটেই এমনকি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও সর্বজনীনভাবে একটা কথা উঠে এসেছে আজকের ছাত্র রাজনীতি যখন টেন্ডারবাজি ও চাঁদাবাজির গোলক ধাঁধায় ঘুরপাক খাচ্ছে তখন ছাত্রসংগঠনের প্রয়োজন আছে কিনা? আমি বলবো, একদিন আমারও মনে হতো, ডাকসু নির্বাচন হলে ছাত্রলীগসহ ছাত্র নেতৃত্বের সাধারণ ছাত্রদের কাছে একটি দায়বদ্ধতা তৈরি হবে। যার প্রেক্ষিতে ছাত্র রাজনীতি দুর্নীতি দুর্বৃত্তায়ন, টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজির হাত থেকে রক্ষা পাবে। ডাকসু নির্বাচন হলো বটে। নির্বাচিত নেতৃত্বটি কিছুদিন নর্তন কর্দন করলেন পরে ধূমকেতুর মতো মিইয়ে গেলেন। ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদকই ডাকসুর জিএস। কোন নৈতিকতায় এটি সম্ভব তা বোধগম্য নয়। শেখ হাসিনা তাকে ছাত্রলীগের পদ থেকে বহিষ্কার করেছেন কিন্তু ডাকসুর জিএস পদ থেকে বহিষ্কার করেননি কেন- সেটি সবার জিজ্ঞাসা। যদি প্রশ্ন ওঠে, ছাত্র রাজনীতি অব্যাহত থাকবে না নিষিদ্ধ ঘোষিত হবে। সহজভাবে উত্তরটা দিতে চাই- ছাত্র রাজনীতি থাকবে ছাত্রদের স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য; তাদের মেধা বিকাশের জন্য; তাদের চরিত্রে দায়িত্ববোধ এবং সৎ নেতৃত্বের উপাদান সৃষ্টির জন্য। চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, হলের আবাসন দখলের জন্য না না না, কখনই না। আমি ছাত্র রাজনীতির পক্ষে। তবে ছাত্র রাজনীতির নামে আবরার হত্যা হলে আমি এমন ছাত্র রাজনীতির পক্ষে নই।
এ পরিস্থিতির উত্তরণে করণীয় কি?
বর্তমান পরিস্থিতির জন্য দায়ী রাজনৈতিক নেতৃত্ব। শুধু আবরার হত্যা নয় বর্তমান বাস্তবতা হচ্ছে মূল্যবোধের তলানিতে আমরা দাঁড়িয়েছি। যদি এখনই যথাযথ ব্যবস্থা না নেয়া হয় তবে এই আবরারের হত্যার কারণে দেশের অস্তিত্বই বিপন্ন হবে। ভাবা যায়, কতটা নিষ্ঠুর, পৈশাচিক হলে হত্যাকারীরা আবরারের লাশ ফেলে রেখে টেলিভিশনে অনুষ্ঠান দেখতে পারে। এভাবে যদি চলতে থাকে তবে দেশের অবস্থা হবে ভয়াবহ। আবরারের হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারই সব নয়, দোষীদের দ্রুত বিচার করলে, ফায়ারিং স্কোয়াডে দিলে এ ধরনের অপরাধ প্রবণতা কমে আসবে।
শেষ কথা কি বলবেন?
আজকে মানুষ সরকারের সমালোচনা করতে গিয়ে আতঙ্কিত এই আশঙ্কায় তাদের যেন আবরার হয়ে যেতে না হয় বা তাদের যেন আবরারের ভাগ্য বরণ করতে না হয়। ভয় হয়, সত্য কথা বলার জন্য আমাকেও না আবরার হয়ে যেতে হয়।
No comments