বাংলাদেশ, মিয়ানমারের সঙ্গে কানেকটিভিটিতে জোর দিয়েছে ভারত
দ্বিতীয়
মেয়াদে ক্ষমতায় আসার দু’সপ্তাহ পরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির
কেন্দ্রীয় সরকার পূর্বাঞ্চলীয় প্রতিবেশীদের সঙ্গে কানেকটিভিটি বা সংযুক্তি
উন্নত করতে নতুন কিছু পদক্ষেপ নিচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে মিনি ইন্টিগ্রেটেড
চেক পোস্ট (আইসিপি), বাংলাদেশ সীমান্তে সড়কে ট্রাফিক সঙ্কট সমাধানে
রেলভিত্তিক রো-রো সার্ভিস চালু, মিয়ানমার ও মণিপুরের মধ্যে বাস সার্ভিস
শুরু করা। এ খবর দিয়েছে ভারতের দ্য হিন্দুর বিজনেস লাইন।
আগেই ধারণা করা হয়েছিল ভারতে নতুন সরকার বিবিআইএন (বাংলাদেশ, ভুটান, ইন্ডিয়া ও নেপাল) এবং বিমসটেকভুক্ত (বাংলাদেশ, ইন্ডিয়া, মিয়ানমার, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, নেপাল ও ভুটান) দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্য ও সংযুক্তিতে মনোযোগ দেবে। এসব প্রকল্প কার্যকর করতে বিভিন্ন বিভাগের মধ্যে সমন্বয় জোরালো দেখা যাচ্ছে। পরিকল্পনায় শীর্ষস্থানীয় ভূমিকা রাখছে এনআইটিআই আয়োগ। পাশাপাশি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে সম্প্রতি গঠিত লজিস্টিকস ডিপার্টমেন্ট সরকারের বিভিন্ন বিভাগের মধ্যে একযোগে কাজ করানোর বিষয় নিশ্চিত করছে।
প্রত্যাশা করা হচ্ছে বিভিন্ন বাণিজ্যিক সুবিধা বিষয়ক প্রকল্পগুলোর দক্ষতা বৃদ্ধি করা হবে, যেখানে যোগবাণীতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষ ভারতীয় অংশে নির্মাণ করছে আইসিপি।
অন্যদিকে নেপাল অংশে আইসিপি নির্মাণে অর্থায়ন করছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে দু’দেশের মধ্যে সংযুক্তিতে কাজ করছে রেলওয়ে।
উত্তম সমন্বয় কিছু উদ্ভাবনী সমাধান নিয়ে আসছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, কলকাতা ও বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে বড় স্থল সীমান্তে পেট্রাপোল-বেনাপোলের মধ্যে সার্ভিস শুরু করার প্রস্তাব করেছে রেলওয়ে। এটা হলে লোড করা ট্রাক রোল ইন এবং রোল আউট (রো-রো) সহজ হবে। সেন্ট্রাল ওয়্যারহাউজিং করপোরেশন (সিডব্লিউসি) একটি অনলাইন প্লাটফর্ম প্রস্তুত করছে, যাতে আগেভাগেই আইসিপি পেট্রাপোলে ভারতীয় ট্রাকগুলো পার্কিং স্পেস বুকিং করতে পারে। এর উদ্দেশ্য হলো কলকাতা থেকে পেট্রাপোল পর্যন্ত ৭০ কিলোমিটার সংযোগ সড়কে যানজট কমিয়ে আনা এবং সীমান্ত শহর বনগাঁয় উৎকোচ আদায়কারী স্থানীয় চক্রগুলোর ইতি ঘটানো।
বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সীমান্তে বাণিজ্য ও যাত্রী চলাচল সহজ করার জন্য ১০টি স্থল কাস্টমস স্টেশন আধুনিকায়নের মাধ্যমে মিনি আইিসিপিতে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এসব স্টেশন দিয়ে অবকাঠামোর অভাবে পণ্য চলাচল হওয়ার ঘটনা বিরল। বিদ্যমান আইসিপিগুলো (মনিপুরের মোরে, পশ্চিমবঙ্গের পেট্রাপোল এবং ত্রিপুরার আখাউড়া) এবং আসন্ন আইসিপিগুলোর (আসামের সুতারকান্দি, ত্রিপুরার সাব্রম ও মেঘালয়ের ডাউকি) ঊর্ধ্বে থাকবে এসব।
আধুনিকায়নের জন্য যে তালিকা করা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে মিয়ানমারের সঙ্গে অরুণাচল প্রদেশের নামপং এবং মিজোরামের জোখাওথার। এর মধ্যে ত্রিমুখী হাইওয়ে হিসেবে (ভারত থেকে থাইল্যান্ড) মনিপুর হয়ে ভারতকে সংযুক্ত করবে জোখাওথার সীমান্ত। অন্যদিকে বাংলাদেশ সীমান্তে মেঘালয়ের মহেন্দ্রগঞ্জ, মেঘালয়ের শেইলা বাজার এবং ত্রিপুরার শ্রীমান্তপুর এবং রঘনাবাজার রয়েছে মিনি আইসপি প্রস্তাবনায়।
তবে এই তালিকা চূড়ান্ত করা হবে বিস্তারিত পর্যালোচনা বা পর্যবেক্ষণের পর। যতক্ষণ এই কাজ চলবে ততক্ষণ নাগাল্যান্ড এবং মিয়ানমারের মধ্যে বাণিজ্য উন্মুক্ত করতে একটি যুৎসই স্থান খুঁজছে সরকার। উল্লেখ্য, নাগাল্যান্ডের কোনো বাণিজ্যিক সুবিধা নেই। এরই মধ্যে মিয়ানমারের মান্দালয় এবং মনিপুরের ইম্ফলের মধ্যে বাস সার্ভিস শুরু করা নিয়ে গত সপ্তাহে বৈঠক করেছেন ভারত ও মিয়ানমারের কর্মকর্তারা। দীর্ঘ প্রটোকল এড়িয়ে দ্রুততার সঙ্গে এ সার্ভিস চালু করতে চাইছে দুই দেশের সরকার।
একজন কর্মকর্তা বলেছেন, মন্ত্রণালয়গুলোর মধ্যে উন্নত সমন্বয় উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর জন্য শুভকর হবে। যদিও বিভিন্ন মন্ত্রণালয় তাদের মোট বাজেটের শতকরা ১০ ভাগ উত্তর-পূর্বের জন্য বরাদ্দ রাখার কথা বলেছে, কিন্তু এসব অর্থ অনেক সময়ই সমন্বয়ের অভাবে অব্যবহৃত থেকে যায়।
আগেই ধারণা করা হয়েছিল ভারতে নতুন সরকার বিবিআইএন (বাংলাদেশ, ভুটান, ইন্ডিয়া ও নেপাল) এবং বিমসটেকভুক্ত (বাংলাদেশ, ইন্ডিয়া, মিয়ানমার, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, নেপাল ও ভুটান) দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্য ও সংযুক্তিতে মনোযোগ দেবে। এসব প্রকল্প কার্যকর করতে বিভিন্ন বিভাগের মধ্যে সমন্বয় জোরালো দেখা যাচ্ছে। পরিকল্পনায় শীর্ষস্থানীয় ভূমিকা রাখছে এনআইটিআই আয়োগ। পাশাপাশি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে সম্প্রতি গঠিত লজিস্টিকস ডিপার্টমেন্ট সরকারের বিভিন্ন বিভাগের মধ্যে একযোগে কাজ করানোর বিষয় নিশ্চিত করছে।
প্রত্যাশা করা হচ্ছে বিভিন্ন বাণিজ্যিক সুবিধা বিষয়ক প্রকল্পগুলোর দক্ষতা বৃদ্ধি করা হবে, যেখানে যোগবাণীতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষ ভারতীয় অংশে নির্মাণ করছে আইসিপি।
অন্যদিকে নেপাল অংশে আইসিপি নির্মাণে অর্থায়ন করছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে দু’দেশের মধ্যে সংযুক্তিতে কাজ করছে রেলওয়ে।
উত্তম সমন্বয় কিছু উদ্ভাবনী সমাধান নিয়ে আসছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, কলকাতা ও বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে বড় স্থল সীমান্তে পেট্রাপোল-বেনাপোলের মধ্যে সার্ভিস শুরু করার প্রস্তাব করেছে রেলওয়ে। এটা হলে লোড করা ট্রাক রোল ইন এবং রোল আউট (রো-রো) সহজ হবে। সেন্ট্রাল ওয়্যারহাউজিং করপোরেশন (সিডব্লিউসি) একটি অনলাইন প্লাটফর্ম প্রস্তুত করছে, যাতে আগেভাগেই আইসিপি পেট্রাপোলে ভারতীয় ট্রাকগুলো পার্কিং স্পেস বুকিং করতে পারে। এর উদ্দেশ্য হলো কলকাতা থেকে পেট্রাপোল পর্যন্ত ৭০ কিলোমিটার সংযোগ সড়কে যানজট কমিয়ে আনা এবং সীমান্ত শহর বনগাঁয় উৎকোচ আদায়কারী স্থানীয় চক্রগুলোর ইতি ঘটানো।
বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সীমান্তে বাণিজ্য ও যাত্রী চলাচল সহজ করার জন্য ১০টি স্থল কাস্টমস স্টেশন আধুনিকায়নের মাধ্যমে মিনি আইিসিপিতে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এসব স্টেশন দিয়ে অবকাঠামোর অভাবে পণ্য চলাচল হওয়ার ঘটনা বিরল। বিদ্যমান আইসিপিগুলো (মনিপুরের মোরে, পশ্চিমবঙ্গের পেট্রাপোল এবং ত্রিপুরার আখাউড়া) এবং আসন্ন আইসিপিগুলোর (আসামের সুতারকান্দি, ত্রিপুরার সাব্রম ও মেঘালয়ের ডাউকি) ঊর্ধ্বে থাকবে এসব।
আধুনিকায়নের জন্য যে তালিকা করা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে মিয়ানমারের সঙ্গে অরুণাচল প্রদেশের নামপং এবং মিজোরামের জোখাওথার। এর মধ্যে ত্রিমুখী হাইওয়ে হিসেবে (ভারত থেকে থাইল্যান্ড) মনিপুর হয়ে ভারতকে সংযুক্ত করবে জোখাওথার সীমান্ত। অন্যদিকে বাংলাদেশ সীমান্তে মেঘালয়ের মহেন্দ্রগঞ্জ, মেঘালয়ের শেইলা বাজার এবং ত্রিপুরার শ্রীমান্তপুর এবং রঘনাবাজার রয়েছে মিনি আইসপি প্রস্তাবনায়।
তবে এই তালিকা চূড়ান্ত করা হবে বিস্তারিত পর্যালোচনা বা পর্যবেক্ষণের পর। যতক্ষণ এই কাজ চলবে ততক্ষণ নাগাল্যান্ড এবং মিয়ানমারের মধ্যে বাণিজ্য উন্মুক্ত করতে একটি যুৎসই স্থান খুঁজছে সরকার। উল্লেখ্য, নাগাল্যান্ডের কোনো বাণিজ্যিক সুবিধা নেই। এরই মধ্যে মিয়ানমারের মান্দালয় এবং মনিপুরের ইম্ফলের মধ্যে বাস সার্ভিস শুরু করা নিয়ে গত সপ্তাহে বৈঠক করেছেন ভারত ও মিয়ানমারের কর্মকর্তারা। দীর্ঘ প্রটোকল এড়িয়ে দ্রুততার সঙ্গে এ সার্ভিস চালু করতে চাইছে দুই দেশের সরকার।
একজন কর্মকর্তা বলেছেন, মন্ত্রণালয়গুলোর মধ্যে উন্নত সমন্বয় উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর জন্য শুভকর হবে। যদিও বিভিন্ন মন্ত্রণালয় তাদের মোট বাজেটের শতকরা ১০ ভাগ উত্তর-পূর্বের জন্য বরাদ্দ রাখার কথা বলেছে, কিন্তু এসব অর্থ অনেক সময়ই সমন্বয়ের অভাবে অব্যবহৃত থেকে যায়।
No comments