তিন দেশ সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
চলতি
মাসের শেষের দিকে একসঙ্গে ৩ দেশ সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
৮-৯ দিনের প্রস্তাবিত ওই সফর শুরু হবে জাপান দিয়ে। মধ্যখানে সৌদি আরব আর
সমাপ্তি ঘটবে ফিনল্যান্ড দিয়ে। কূটনৈতিক সূত্র প্রধানমন্ত্রীর টোকিও এবং
জেদ্দা সফরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তবে সরকার প্রধানের হেলসিঙ্কি সফরের
বিষয়ের কর্মসূচি এখনও চূড়ান্ত হয়নি। একান্ত সরকারি সফরটিতে দ্বিপক্ষীয়
উপাদান যুক্ত করতে কাজ করছে ঢাকা। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন
অবশ্য মানবজমিনকে বলেছেন প্রধানমন্ত্রীর ফিনল্যান্ড সফরে দ্বিপক্ষীয়
কর্মসূচি মুখ্য নয়।
রাষ্ট্র বা সরকার প্রধান যে কোনো দেশ সফরে গেলে হোস্ট কান্ট্রির বিভিন্ন পর্যায়ে দেখা-সাক্ষাৎ তথা ভাবের আদান-প্রদান হয়। হেলসিঙ্কিতেও সেটি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। সূত্রমতে, সব কিছু ঠিক থাকলে প্রধানমন্ত্রী আগামী ২৮ শে মে টোকিও’র উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়বেন। ২৯ শে মে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের সঙ্গে সরকার প্রধানের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। এ বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার অংশ হিসাবে বাংলাদেশকে জাপানের অতিরিক্ত ২২০ কোটি ডলার দেয়ার বিষয়ে একটি সমঝোতা সই হওয়ার প্রস্তাব রয়েছে। দ্বিপক্ষীয় ওই বৈঠক ছাড়াও টোকিওতে ৩০শে মে অনুষ্ঠেয় দু’দিনব্যাপী ‘ফিউচার অব এশিয়া’ সম্মেলনের সমাপনীতে অংশ নেবেন শেখ হাসিনা। ওই সেশনে রোহিঙ্গা সংকটসহ দ্বিপক্ষীয় স্বার্থ সংশ্লিস্ট বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখবেন তিনি। তাছাড়া সরকার প্রধান পর্যায়ের আনুষ্ঠানিক বৈঠকেও রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে জাপানের আরও সক্রিয় সহযোগিতা চাইবে বাংলাদেশ।
সৌদি সফর: জাপান সফর শেষে ৩০ মে টোকিও থেকে সরাসরি সৌদি আরবের উদ্দেশ্যে রওনা হবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৩১ মে মক্কায় অনুষ্ঠেয় ইসলামী সহযোগিতা সংস্থার শীর্ষ সম্মেলনে (ওআইসির) অংশ নিবেন তিনি। ওই সম্মেলনে রোহিঙ্গা সংকটের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরবেন। ওআইসি সম্মেলনে অংশ নেয়া ছাড়াও সরকার প্রধানের ওমরাহ পালনের পরিকল্পনা রয়েছে। সৌদি আরব থেকে সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর ফিনল্যান্ড সফরে যাওয়ার আলোচনা চলছে। সে ক্ষেত্রে ঈদের পর তিনি দেশে ফিরবেন। এই মুহূর্তে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক) কামরুল আহসানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকারের একটি প্রতিনিধি দল ফিনল্যান্ড সফরে রয়েছে। গতকাল দুই দেশের মধ্যকার নিয়মিত আলোচনার ফোরাম পলিটিক্যাল কনসালটেশন বা রাজনৈতিক পরামর্শ বৈঠক হয়েছে। সেখানে প্রধানমন্ত্রীর হেলসিঙ্কি সফর নিয়ে আলোচনা হয়েছে, কিন্তু অনেক কিছুই চূড়ান্ত হয়নি। ঢাকার দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলছেন প্রধানমন্ত্রীর তৃতীয় দেশ সফরের সূচীতে শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত সংযোজন-বিয়োজন বা পরিবর্তন আসতে পারে।
ওআইসি সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীকে সৌদি বাদশাহ’র আমন্ত্রণ: এদিকে সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ রমজানের শেষ নাগাদ মক্কায় অনুষ্ঠেয় ১৪তম ওআইসি (অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন) সম্মেলনে যোগদানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। ঢাকায় নিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত আমের ওমর সালেম বৃহস্পতিবার সকালে গণভবনে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বাদশাহর আমন্ত্রণপত্রটি তার কাছে হস্তান্তর করেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী আমন্ত্রণ প্রহণ করেছেন এবং সম্মেলনে তার উপস্থিতির বিষয়ে রাষ্ট্রদূতকে আশ্বস্ত করেছেন। সৌদি দূত প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, সৌদি বাদশাহ তাকে আনন্তরিকতার সঙ্গে ওআইসি সম্মেলনে যোগদানের আমন্ত্রণ, সেই সঙ্গে মাহে রমজানের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এ সময় আমন্ত্রণ জানানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী সৌদি বাদশাহ’র প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। বৈঠকে বাংলাদেশ এবং সৌদি আরবের বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রিয়াদের সঙ্গে ঢাকার একটি বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। তিনি বলেন, সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্ককে বাংলাদেশ বিশেষ মূল্য দিয়ে থাকে।
জবাবে ভারপ্রাপ্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত বলেন, তার দেশও বাংলাদেশের সঙ্গে বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে মূল্যায়ন করে। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন এবং প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসান এ সময় উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, আসন্ন ওআইসি সম্মেলনে সদস্যপদ স্থগিত করার কারণে সিরিয়া ছাড়া বাকী সব সদস্যরাষ্ট্রগুলো শীর্ষ নেতারা অংশ নেবেন। সম্মেলনে ফিলিস্তিন সংকটসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা হবে। সম্মেলনের মক্কা ঘোষণায় ইসলামিক রাষ্ট্রগুলোর জন্য প্রযোজ্য বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অন্তর্ভুক্ত এবং ওআইসি সদস্য রাষ্ট্রগুলোর ঐক্য এবং সংহতি বজায় রাখার অঙ্গীকার অব্যাহত রাখার বিষয়েও তাগিদ থাকবে। পবিত্র নগরী মক্কার দিকে তাক করে থাকা ব্যালেস্টিক মিসাইলের বিষয়ে ওআইসি সদস্য রাষ্ট্রগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের জরুরি বৈঠকের তিন বছর পর এবারের ১৪তম ওআইসি শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ২০১৬ সালের এপ্রিলে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সর্বশেষ সম্মেলনটি হয়েছিল। এতে প্রায় সব সদস্য রাষ্ট্রের অংশগ্রহণ ছিল।
রাষ্ট্র বা সরকার প্রধান যে কোনো দেশ সফরে গেলে হোস্ট কান্ট্রির বিভিন্ন পর্যায়ে দেখা-সাক্ষাৎ তথা ভাবের আদান-প্রদান হয়। হেলসিঙ্কিতেও সেটি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। সূত্রমতে, সব কিছু ঠিক থাকলে প্রধানমন্ত্রী আগামী ২৮ শে মে টোকিও’র উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়বেন। ২৯ শে মে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের সঙ্গে সরকার প্রধানের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। এ বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার অংশ হিসাবে বাংলাদেশকে জাপানের অতিরিক্ত ২২০ কোটি ডলার দেয়ার বিষয়ে একটি সমঝোতা সই হওয়ার প্রস্তাব রয়েছে। দ্বিপক্ষীয় ওই বৈঠক ছাড়াও টোকিওতে ৩০শে মে অনুষ্ঠেয় দু’দিনব্যাপী ‘ফিউচার অব এশিয়া’ সম্মেলনের সমাপনীতে অংশ নেবেন শেখ হাসিনা। ওই সেশনে রোহিঙ্গা সংকটসহ দ্বিপক্ষীয় স্বার্থ সংশ্লিস্ট বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখবেন তিনি। তাছাড়া সরকার প্রধান পর্যায়ের আনুষ্ঠানিক বৈঠকেও রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে জাপানের আরও সক্রিয় সহযোগিতা চাইবে বাংলাদেশ।
সৌদি সফর: জাপান সফর শেষে ৩০ মে টোকিও থেকে সরাসরি সৌদি আরবের উদ্দেশ্যে রওনা হবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৩১ মে মক্কায় অনুষ্ঠেয় ইসলামী সহযোগিতা সংস্থার শীর্ষ সম্মেলনে (ওআইসির) অংশ নিবেন তিনি। ওই সম্মেলনে রোহিঙ্গা সংকটের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরবেন। ওআইসি সম্মেলনে অংশ নেয়া ছাড়াও সরকার প্রধানের ওমরাহ পালনের পরিকল্পনা রয়েছে। সৌদি আরব থেকে সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর ফিনল্যান্ড সফরে যাওয়ার আলোচনা চলছে। সে ক্ষেত্রে ঈদের পর তিনি দেশে ফিরবেন। এই মুহূর্তে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক) কামরুল আহসানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকারের একটি প্রতিনিধি দল ফিনল্যান্ড সফরে রয়েছে। গতকাল দুই দেশের মধ্যকার নিয়মিত আলোচনার ফোরাম পলিটিক্যাল কনসালটেশন বা রাজনৈতিক পরামর্শ বৈঠক হয়েছে। সেখানে প্রধানমন্ত্রীর হেলসিঙ্কি সফর নিয়ে আলোচনা হয়েছে, কিন্তু অনেক কিছুই চূড়ান্ত হয়নি। ঢাকার দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলছেন প্রধানমন্ত্রীর তৃতীয় দেশ সফরের সূচীতে শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত সংযোজন-বিয়োজন বা পরিবর্তন আসতে পারে।
ওআইসি সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীকে সৌদি বাদশাহ’র আমন্ত্রণ: এদিকে সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ রমজানের শেষ নাগাদ মক্কায় অনুষ্ঠেয় ১৪তম ওআইসি (অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন) সম্মেলনে যোগদানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। ঢাকায় নিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত আমের ওমর সালেম বৃহস্পতিবার সকালে গণভবনে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বাদশাহর আমন্ত্রণপত্রটি তার কাছে হস্তান্তর করেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী আমন্ত্রণ প্রহণ করেছেন এবং সম্মেলনে তার উপস্থিতির বিষয়ে রাষ্ট্রদূতকে আশ্বস্ত করেছেন। সৌদি দূত প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, সৌদি বাদশাহ তাকে আনন্তরিকতার সঙ্গে ওআইসি সম্মেলনে যোগদানের আমন্ত্রণ, সেই সঙ্গে মাহে রমজানের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এ সময় আমন্ত্রণ জানানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী সৌদি বাদশাহ’র প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। বৈঠকে বাংলাদেশ এবং সৌদি আরবের বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রিয়াদের সঙ্গে ঢাকার একটি বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। তিনি বলেন, সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্ককে বাংলাদেশ বিশেষ মূল্য দিয়ে থাকে।
জবাবে ভারপ্রাপ্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত বলেন, তার দেশও বাংলাদেশের সঙ্গে বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে মূল্যায়ন করে। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন এবং প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসান এ সময় উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, আসন্ন ওআইসি সম্মেলনে সদস্যপদ স্থগিত করার কারণে সিরিয়া ছাড়া বাকী সব সদস্যরাষ্ট্রগুলো শীর্ষ নেতারা অংশ নেবেন। সম্মেলনে ফিলিস্তিন সংকটসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা হবে। সম্মেলনের মক্কা ঘোষণায় ইসলামিক রাষ্ট্রগুলোর জন্য প্রযোজ্য বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অন্তর্ভুক্ত এবং ওআইসি সদস্য রাষ্ট্রগুলোর ঐক্য এবং সংহতি বজায় রাখার অঙ্গীকার অব্যাহত রাখার বিষয়েও তাগিদ থাকবে। পবিত্র নগরী মক্কার দিকে তাক করে থাকা ব্যালেস্টিক মিসাইলের বিষয়ে ওআইসি সদস্য রাষ্ট্রগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের জরুরি বৈঠকের তিন বছর পর এবারের ১৪তম ওআইসি শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ২০১৬ সালের এপ্রিলে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সর্বশেষ সম্মেলনটি হয়েছিল। এতে প্রায় সব সদস্য রাষ্ট্রের অংশগ্রহণ ছিল।
No comments