ব্রেক্সিট: চুক্তি ছাড়াই শেষ হলো লেবার-টরি আলোচনা
ইউরোপিয়ান
ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে যুক্তরাজ্যের প্রত্যাহার বা বেক্সিট ইস্যুতে ছয়
সপ্তাহব্যাপী আলোচনা শেষেও কোনো চুক্তিতে পৌঁছাতে পারেনি ক্ষমতাসীন
কনজারভেটিভ ও বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতারা। চলতি বছর বৃটিশ
প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে প্রস্তাবিত একটি চুক্তি টানা তিনবার পার্লামেন্টে
প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পর দুই পক্ষের মধ্যে নতুন চুক্তি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। এ
খবর দিয়েছে বিবিসি।
লেবার নেতা করবিন এই ব্যর্থ আলোচনার জন্য সরকারের ‘দুর্বলতা ও অস্থিতিশীলতা’কে দায়ী করেছেন। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে বলেছেন, আলোচনাটি বেশ ‘চ্যালেঞ্জিং’ ছিল।
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছিল, দুই পক্ষের আলোচনায় যে সিদ্ধান্তই আসুক না কেন, জুন মাসে ব্রেক্সিট কার্যকর ইস্যুতে ভোট হবে বৃটিশ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউজ অব কমন্সে। এর মধ্যে ব্রেক্সিট চুক্তি নিয়ে তৈরি হতাশার জের ধরে মে’র পদত্যাগের দাবি জোরদার হয়েছে। তার নিজ দলের সাংসদরাই তার পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে মে জানিয়েছেন, আগামী মাসের ভোটের পর পরই নিজের পদত্যাগের সময়সীমা নির্ধারণ করে দেবেন তিনি। তবে এর আগে আগামী মাসের ভোটে নিজের প্রস্তাবিত চুক্তির পক্ষে এমপিদের সমর্থন জোগানোর শেষ চেষ্টা চালাবেন তিনি।
উল্লেখ্য, প্রাথমিকভাবে চলতি বছরের ২৯শে মার্চ থেকেই ব্রেক্সিট কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পার্লামেন্টে টানা তিনবার প্রত্যাখ্যান হয় মে প্রস্তাবিত চুক্তি। পরবর্তীতে ইইউ নেতারা ব্রেক্সিট কার্যকরের সময়সীমা চলতি বছরের ৩১শে অক্টোবর পর্যন্ত পেছায়।
এরপরই শুরু হয় টরি ও লেবারের মধ্যকার আলোচনা। এই আলোচনার উদ্দেশ্য ছিল দুই পক্ষ মিলে যৌথভাবে কোনো চুক্তি তৈরি করা যেটি পার্লামেন্টে পাস হবে। এক্ষেত্রে লেবার পার্টির প্রধান শর্ত ছিল, ইইউ’র সঙ্গে একটি একক কাস্টমস ইউনিয়নে যোগ দেয়া ও ব্রেক্সিট ইস্যুতে ফের একটি গণভোটের আয়োজন। কিন্তু ব্রেক্সিটপন্থি টরি সদস্যরা তা মানতে নারাজ ছিলেন। তাদের দাবি, যুক্তরাজ্য যদি ইইউ’র সঙ্গে কাস্টমস ইউনিয়নে যোগ দেয় তাহলে অন্যান্য দেশের সঙ্গে তারা নিজেদের ইচ্ছামতো বাণিজ্য করতে পারবে না। এ ছাড়া, দ্বিতীয় গণভোটের দাবি সম্পূর্ণভাবে অযৌক্তিক ও অগণতান্ত্রিক।
আলোচনার প্রসঙ্গে মে’কে পাঠানো এক চিঠিতে লেবার নেতা করবিন বলেন, যেহেতু আপনার জায়গায় নতুন প্রধানমন্ত্রীকে বসানোর আলোচনা চলছে, তার মানে বর্তমান সরকার অস্থিতিশীল।
পরবর্তীতে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, নতুন চুক্তির জন্য করণীয় হিসেবে, তিনি বেশকিছু বিস্তৃত যুক্তি উপস্থাপন করেছিলেন। কিন্তু সরকারপক্ষ তাদের মূল ভিত্তি থেকে সরতে ইচ্ছুক নয়। এ ছাড়া, কনজারভেটিভদের মধ্যে সৃষ্ট মতভেদ এটা প্রমাণ করে যে, এই সরকারের আলোচনা করার কোনো ক্ষমতা ও অধিকার নেই। তারা ব্রেক্সিট সম্পন্ন করতে পারবে না।
এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর আনুষ্ঠানিক মুখপাত্র জানিয়েছেন, আমরা আলোচনায় শ্রমিকদের অধিকার ও পরিবেশ রক্ষাসহ বেশকিছু বিষয়ে বেশ অগ্রগতি করেছিলাম। তবে এটা এখন পরিষ্কার যে, আমাদের পক্ষে লেবার পার্টির সঙ্গে কোনো চুক্তিতে পৌঁছানো সম্ভব নয়। বিশেষ করে কাস্টমস ও দ্বিতীয় গণভোটের ইস্যুতে উভয় পক্ষের অবস্থান খুবই আলাদা। এদিকে, লেবার পার্টির সঙ্গে আলোচনায় বসার জন্য নিজ দল থেকে ব্যাপক সমালোচনার শিকার হতে হয়েছে মে’কে। কিন্তু মে জানিয়েছেন, পার্লামেন্টে চুক্তি পাস করতে হলে তার পক্ষে আর কোনো উপায় ছিল না।
আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার খবরে টরি ব্যাকবেঞ্চার সাইমন ক্লার্ক এক টুইটে লিখেন, ঈশ্বরকে ধন্যবাদ। এই আলোচনা কখনো হওয়াই উচিত ছিল না।
লেবার নেতা করবিন এই ব্যর্থ আলোচনার জন্য সরকারের ‘দুর্বলতা ও অস্থিতিশীলতা’কে দায়ী করেছেন। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে বলেছেন, আলোচনাটি বেশ ‘চ্যালেঞ্জিং’ ছিল।
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছিল, দুই পক্ষের আলোচনায় যে সিদ্ধান্তই আসুক না কেন, জুন মাসে ব্রেক্সিট কার্যকর ইস্যুতে ভোট হবে বৃটিশ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউজ অব কমন্সে। এর মধ্যে ব্রেক্সিট চুক্তি নিয়ে তৈরি হতাশার জের ধরে মে’র পদত্যাগের দাবি জোরদার হয়েছে। তার নিজ দলের সাংসদরাই তার পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে মে জানিয়েছেন, আগামী মাসের ভোটের পর পরই নিজের পদত্যাগের সময়সীমা নির্ধারণ করে দেবেন তিনি। তবে এর আগে আগামী মাসের ভোটে নিজের প্রস্তাবিত চুক্তির পক্ষে এমপিদের সমর্থন জোগানোর শেষ চেষ্টা চালাবেন তিনি।
উল্লেখ্য, প্রাথমিকভাবে চলতি বছরের ২৯শে মার্চ থেকেই ব্রেক্সিট কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পার্লামেন্টে টানা তিনবার প্রত্যাখ্যান হয় মে প্রস্তাবিত চুক্তি। পরবর্তীতে ইইউ নেতারা ব্রেক্সিট কার্যকরের সময়সীমা চলতি বছরের ৩১শে অক্টোবর পর্যন্ত পেছায়।
এরপরই শুরু হয় টরি ও লেবারের মধ্যকার আলোচনা। এই আলোচনার উদ্দেশ্য ছিল দুই পক্ষ মিলে যৌথভাবে কোনো চুক্তি তৈরি করা যেটি পার্লামেন্টে পাস হবে। এক্ষেত্রে লেবার পার্টির প্রধান শর্ত ছিল, ইইউ’র সঙ্গে একটি একক কাস্টমস ইউনিয়নে যোগ দেয়া ও ব্রেক্সিট ইস্যুতে ফের একটি গণভোটের আয়োজন। কিন্তু ব্রেক্সিটপন্থি টরি সদস্যরা তা মানতে নারাজ ছিলেন। তাদের দাবি, যুক্তরাজ্য যদি ইইউ’র সঙ্গে কাস্টমস ইউনিয়নে যোগ দেয় তাহলে অন্যান্য দেশের সঙ্গে তারা নিজেদের ইচ্ছামতো বাণিজ্য করতে পারবে না। এ ছাড়া, দ্বিতীয় গণভোটের দাবি সম্পূর্ণভাবে অযৌক্তিক ও অগণতান্ত্রিক।
আলোচনার প্রসঙ্গে মে’কে পাঠানো এক চিঠিতে লেবার নেতা করবিন বলেন, যেহেতু আপনার জায়গায় নতুন প্রধানমন্ত্রীকে বসানোর আলোচনা চলছে, তার মানে বর্তমান সরকার অস্থিতিশীল।
পরবর্তীতে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, নতুন চুক্তির জন্য করণীয় হিসেবে, তিনি বেশকিছু বিস্তৃত যুক্তি উপস্থাপন করেছিলেন। কিন্তু সরকারপক্ষ তাদের মূল ভিত্তি থেকে সরতে ইচ্ছুক নয়। এ ছাড়া, কনজারভেটিভদের মধ্যে সৃষ্ট মতভেদ এটা প্রমাণ করে যে, এই সরকারের আলোচনা করার কোনো ক্ষমতা ও অধিকার নেই। তারা ব্রেক্সিট সম্পন্ন করতে পারবে না।
এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর আনুষ্ঠানিক মুখপাত্র জানিয়েছেন, আমরা আলোচনায় শ্রমিকদের অধিকার ও পরিবেশ রক্ষাসহ বেশকিছু বিষয়ে বেশ অগ্রগতি করেছিলাম। তবে এটা এখন পরিষ্কার যে, আমাদের পক্ষে লেবার পার্টির সঙ্গে কোনো চুক্তিতে পৌঁছানো সম্ভব নয়। বিশেষ করে কাস্টমস ও দ্বিতীয় গণভোটের ইস্যুতে উভয় পক্ষের অবস্থান খুবই আলাদা। এদিকে, লেবার পার্টির সঙ্গে আলোচনায় বসার জন্য নিজ দল থেকে ব্যাপক সমালোচনার শিকার হতে হয়েছে মে’কে। কিন্তু মে জানিয়েছেন, পার্লামেন্টে চুক্তি পাস করতে হলে তার পক্ষে আর কোনো উপায় ছিল না।
আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার খবরে টরি ব্যাকবেঞ্চার সাইমন ক্লার্ক এক টুইটে লিখেন, ঈশ্বরকে ধন্যবাদ। এই আলোচনা কখনো হওয়াই উচিত ছিল না।
No comments