ভারতে শেষ দফার ভোট নজরে পশ্চিমবঙ্গ by পরিতোষ পাল
ভারতের
১৭তম লোকসভা নির্বাচনের সপ্তম তথা শেষ দফায় আজ রোববার ৮টি রাজ্য ও
কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৫৯টি কেন্দ্রে ভোট নেয়া হবে। শেষ দফার এই ভোটে সবচেয়ে
বেশি নজরে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। আজ ভোট নেয়া হচ্ছে বিহারের ৮টি, চণ্ডীগড়ের
১টি, হিমাচল প্রদেশের ৪টি, ঝাড়খণ্ডের ৩টি, মধ্য প্রদেশের ৮টি, পাঞ্জাবের
১৩টি, উত্তরপ্রদেশের ১৩টি ও পশ্চিমবঙ্গের ৯টি আসনে। ভারতে এবার সাতদফায়
লোকসভার ভোট নেয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ৬ দফায় লোকসভার ৫৪৩টি আসনের মধ্যে ৪৮৩টি
আসনে ভোট নেয়া হয়ে গেছে। আজকের ভোটের মধ্য দিয়ে শেষ হচ্ছে এক মাসব্যাপী
ভারতের লোকসভা নির্বাচন। শেষ দফার ভোটে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সহ ১০
জন বিজেপি নেতার ভাগ্য নির্ধারিত হচ্ছে। শুক্রবার ভোট প্রচারের শেষ বেলায়
এক সংবাদ সম্মেলন করে বিজেপির সভাপতি অমিত শাহ ঘোষণা করেছেন, এনডিএ জোট
৩০০’র বেশি আসন পাবে।
এবং তারাই সরকার গঠন করবে। অন্যদিকে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী বলেছেন, আমাদের কৌশল ছিল বিজেপির সবক’টি দরজা বন্ধ করে দেয়া। আমরা সেটাই করেছি। আজকের নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তবে শেষ দফায় পশ্চিমবঙ্গের নিরাপত্তা ব্যবস্থা অন্য ছয় দফার চেয়ে আরো কঠোর করা হয়েছে। অন্য দফাগুলোতে পশ্চিমবঙ্গে বেশকিছু সংঘর্ষ ও ভোট লুঠের ঘটনা ঘটেছে। আজ পশ্চিমবঙ্গে ভোট নেয়া হচ্ছে কলকাতা ও দুই ২৪ পরগণার উত্তর কলকাতা, দক্ষিণ কলকাতা, যাদবপুর, দমদম, বসিরহাট, বারাসাত, ডায়মন্ড হারবার, মথুরাপুর ও জয়নগর লোকসভা কেন্দ্রে। এদিনের ভোটের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে নির্বাচন কমিশন বেশকিছু নির্দেশ আগেভাগেই জারি করেছেন। বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে সংঘর্ষ ও উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিবেচনায় নির্বাচন কমিশন নজিরবিহীনভাবে বৃহস্পতিবার রাত থেকেই নির্বাচনী প্রচার বন্ধ করে দিয়েছিলেন।
সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে আগের ছয় দফায় যেসব জায়গায় ভোট হয়েছে, সেখানকার দুষ্কৃতকারীদের তাদের এলাকায় আটক করার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে রাজ্যের নির্বাচনী আধিকারিকদের স্পষ্ট করে দেয়া হয়েছে আজকের ভোটে কোনো অশান্তির ছবি দেখতে চায় না কমিশন। আজকের ভোটে ৯টি কেন্দ্রের ১৭ হাজার ৭৮টি বুথে ৭১০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়োগ করা হয়েছে। কমিশনের মতে, পশ্চিমবঙ্গ থেকে অনেক অভিযোগ এসেছে। তাই অন্য রাজ্যের তুলনায় পশ্চিমবঙ্গে অনেক বেশি বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। সবক’টি বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনী রয়েছে বলে জানা গেছে। ৪৬১টি কিউআরটি (কুইক রেসপন্স টিম) রাখা হয়েছে। বলা হয়েছে গণ্ডগোলের খবর পাওয়ার ৫-৭ মিনিটের মধ্যে এই টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছাবে। পশ্চিমবঙ্গে আজকে যে সব আসনে ভোট হচ্ছে তার মধ্যে কলকাতার উত্তর ও দক্ষিণ, যাদবপুর ও দমদমের দিকে সকলের আগ্রহ রয়েছে। এই কেন্দ্রগুলো তৃণমূল কংগ্রেসের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিতে বিজেপি যেমন তৎপর, তেমনি জোরদার প্রচার চালিয়েছে সিপিআইএম। যাদবপুর কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছে অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। অন্যদিকে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন অধ্যাপক অনুপম হাজরা। আর সিপিআইএম প্রার্থী হয়েছেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। উত্তর কলকাতা কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারাতে বিজেপি প্রার্থী রাহুল সিনহা উঠেপড়ে লেগেছেন। দক্ষিণ কলকাতা কেন্দ্রে সিপিআইএমের নন্দিনী মুখোপাধ্যায় তৃণমূল কংগ্রেসের মালা রায়কে হারানোর ব্যাপারে আশাবাদী।
এই কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন নেতাজি পরিবারের সদস্য চন্দ্র কুমার বসু। কলকাতা শহরতলির দমদম কেন্দ্রে জয় ছিনিয়ে আনতে বিজেপির প্রার্থী শমিক ভট্টাচার্য জোরদার প্রচার চালিয়েছেন। অবশ্য এই কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী একাধিকবারের সাংসদ সৌগত রায় জয়ের ব্যাপারে খুবই আশাবাদী। এই কেন্দ্রে সিপিআইএমের প্রার্থী নেপাল দেব ভট্টাচার্য। সীমান্তবর্তী বসিরহাট কেন্দ্র ঘিরে এবার প্রবল উৎসাহ দেখেছে রাজ্যের মানুষ। এই কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী করেছে অভিনেত্রী নুসরাত জাহানকে। আর নুসরাতের বিরুদ্ধে বিজেপির প্রার্থী সায়ন্তন বসু অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ। সিপিআইএম এবং কংগ্রেসের প্রার্থী থাকলেও যত আলোচনা বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী নিয়ে। ডায়মন্ডহারবার কেন্দ্রের প্রার্থী তৃণমূল কংগ্রেসের যুব নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পুনরায় জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। এ ছাড়া বারাসাত, জয়নগর ও মথুরাপুরেও তৃণমূল প্রার্থীরা জয় নিয়ে বেশ প্রত্যয়ী। তবে ভোট কতটা সন্ত্রাসমুক্ত পরিবেশে হবে সেদিকে তাকিয়ে রয়েছে রাজ্যের মানুষ। পশ্চিমবঙ্গের জন্য নিযুক্ত নির্বাচন কমিশনের বিশেষ পর্যবেক্ষক অজয় নায়েক দাবি করেছেন, আজকের ভোট অবাধ ও শান্তিপূর্ণ হবে।
এবং তারাই সরকার গঠন করবে। অন্যদিকে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী বলেছেন, আমাদের কৌশল ছিল বিজেপির সবক’টি দরজা বন্ধ করে দেয়া। আমরা সেটাই করেছি। আজকের নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তবে শেষ দফায় পশ্চিমবঙ্গের নিরাপত্তা ব্যবস্থা অন্য ছয় দফার চেয়ে আরো কঠোর করা হয়েছে। অন্য দফাগুলোতে পশ্চিমবঙ্গে বেশকিছু সংঘর্ষ ও ভোট লুঠের ঘটনা ঘটেছে। আজ পশ্চিমবঙ্গে ভোট নেয়া হচ্ছে কলকাতা ও দুই ২৪ পরগণার উত্তর কলকাতা, দক্ষিণ কলকাতা, যাদবপুর, দমদম, বসিরহাট, বারাসাত, ডায়মন্ড হারবার, মথুরাপুর ও জয়নগর লোকসভা কেন্দ্রে। এদিনের ভোটের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে নির্বাচন কমিশন বেশকিছু নির্দেশ আগেভাগেই জারি করেছেন। বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে সংঘর্ষ ও উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিবেচনায় নির্বাচন কমিশন নজিরবিহীনভাবে বৃহস্পতিবার রাত থেকেই নির্বাচনী প্রচার বন্ধ করে দিয়েছিলেন।
সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে আগের ছয় দফায় যেসব জায়গায় ভোট হয়েছে, সেখানকার দুষ্কৃতকারীদের তাদের এলাকায় আটক করার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে রাজ্যের নির্বাচনী আধিকারিকদের স্পষ্ট করে দেয়া হয়েছে আজকের ভোটে কোনো অশান্তির ছবি দেখতে চায় না কমিশন। আজকের ভোটে ৯টি কেন্দ্রের ১৭ হাজার ৭৮টি বুথে ৭১০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়োগ করা হয়েছে। কমিশনের মতে, পশ্চিমবঙ্গ থেকে অনেক অভিযোগ এসেছে। তাই অন্য রাজ্যের তুলনায় পশ্চিমবঙ্গে অনেক বেশি বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। সবক’টি বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনী রয়েছে বলে জানা গেছে। ৪৬১টি কিউআরটি (কুইক রেসপন্স টিম) রাখা হয়েছে। বলা হয়েছে গণ্ডগোলের খবর পাওয়ার ৫-৭ মিনিটের মধ্যে এই টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছাবে। পশ্চিমবঙ্গে আজকে যে সব আসনে ভোট হচ্ছে তার মধ্যে কলকাতার উত্তর ও দক্ষিণ, যাদবপুর ও দমদমের দিকে সকলের আগ্রহ রয়েছে। এই কেন্দ্রগুলো তৃণমূল কংগ্রেসের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিতে বিজেপি যেমন তৎপর, তেমনি জোরদার প্রচার চালিয়েছে সিপিআইএম। যাদবপুর কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছে অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। অন্যদিকে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন অধ্যাপক অনুপম হাজরা। আর সিপিআইএম প্রার্থী হয়েছেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। উত্তর কলকাতা কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারাতে বিজেপি প্রার্থী রাহুল সিনহা উঠেপড়ে লেগেছেন। দক্ষিণ কলকাতা কেন্দ্রে সিপিআইএমের নন্দিনী মুখোপাধ্যায় তৃণমূল কংগ্রেসের মালা রায়কে হারানোর ব্যাপারে আশাবাদী।
এই কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন নেতাজি পরিবারের সদস্য চন্দ্র কুমার বসু। কলকাতা শহরতলির দমদম কেন্দ্রে জয় ছিনিয়ে আনতে বিজেপির প্রার্থী শমিক ভট্টাচার্য জোরদার প্রচার চালিয়েছেন। অবশ্য এই কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী একাধিকবারের সাংসদ সৌগত রায় জয়ের ব্যাপারে খুবই আশাবাদী। এই কেন্দ্রে সিপিআইএমের প্রার্থী নেপাল দেব ভট্টাচার্য। সীমান্তবর্তী বসিরহাট কেন্দ্র ঘিরে এবার প্রবল উৎসাহ দেখেছে রাজ্যের মানুষ। এই কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী করেছে অভিনেত্রী নুসরাত জাহানকে। আর নুসরাতের বিরুদ্ধে বিজেপির প্রার্থী সায়ন্তন বসু অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ। সিপিআইএম এবং কংগ্রেসের প্রার্থী থাকলেও যত আলোচনা বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী নিয়ে। ডায়মন্ডহারবার কেন্দ্রের প্রার্থী তৃণমূল কংগ্রেসের যুব নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পুনরায় জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। এ ছাড়া বারাসাত, জয়নগর ও মথুরাপুরেও তৃণমূল প্রার্থীরা জয় নিয়ে বেশ প্রত্যয়ী। তবে ভোট কতটা সন্ত্রাসমুক্ত পরিবেশে হবে সেদিকে তাকিয়ে রয়েছে রাজ্যের মানুষ। পশ্চিমবঙ্গের জন্য নিযুক্ত নির্বাচন কমিশনের বিশেষ পর্যবেক্ষক অজয় নায়েক দাবি করেছেন, আজকের ভোট অবাধ ও শান্তিপূর্ণ হবে।
No comments