ভুল করলেই চড়া মূল্য দিতে হবে শত্রুদেরকে: গোলাম আলী রাশিদ
ইরানের
খাতামুল আম্বিয়া সামরিক ঘাঁটির কমান্ডার মেজর জেনারেল গোলাম আলী রাশিদ
শত্রুদেরকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, ইরানি জাতির ইচ্ছাশক্তি ও শক্তিমত্বার
ব্যাপারে তারা যদি কোনো ভুল করে তাহলে এর জন্য চড়া মূল্য দিতে হবে।
ইরাকের সাদ্দাম সরকারের চাপিয়ে দেয়া আট বছরের যুদ্ধে ইরানের শক্তিমত্বার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, সামরিক ও প্রতিরক্ষা শক্তির দিক থেকে ওই যুদ্ধের সময়কার চাইতে আজকের ইরানের পার্থক্য এটাই যে সমুদ্র পথে আমাদের তেল ও পণ্যবাহী জাহাজে শত্রুরা হামলা চালানোর সাহস পাবে না এবং আমাদের চেয়ে শত্রুরা অনেক দুর্বল। তিনি আরো বলেন, ইরানের স্বার্থকে উপেক্ষা করে পারস্য উপসাগর ও হরমুজগান প্রণালীর মধ্য দিয়ে অন্য কোনো দেশ তেল রপ্তানি করতে পারবে না। শত্রুরা যদি এ বাস্তবতা অস্বীকার করে তাহলে এর জন্য চরম মূল্য দিতে হতে পারে।
এদিকে, লেবাননের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আদনান মানসুর বলেছেন, "মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এখনো ইরানের নেতৃবৃন্দ ও দেশটির জনগণের আত্মমর্যাদা ও স্বাধীনচেতা নীতির সঙ্গে পরিচিত হতে পারেনি। কোনো কোনো দেশ মার্কিন হুমকি ও চাপের কাছে আত্মসমর্পণ করলেও ওয়াশিংটনের এটা জেনে রাখা উচিত তেহরান তাদের মতো নয়।"
আমেরিকার অবসরপ্রাপ্ত ৭৬ জন সাবেক কূটনীতিক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে লেখা চিঠিতে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, "ভুল করে কিংবা পরিকল্পিত যেভাবেই হোক না কেন ইরানের সঙ্গে যেকোনো যুদ্ধ গোটা মধ্যপ্রাচ্যের জন্য বিপর্যয় ডেকে আনবে এবং এ অঞ্চলকে আরো বেশি অস্থিতিশীল করে তুলবে। এর পাশাপাশি জান, মাল ও ভূ-রাজনৈতিক দিক থেকে আমেরিকাকে বিরাট ক্ষতির মুখে পড়তে হবে। এমনকি আমেরিকাকে এর বাইরে আরো বড় ধরণের যুদ্ধের মোকাবেলা করতে হতে পারে।"
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ইরান যেকোনো আগ্রাসন মোকাবেলায় যেমন প্রস্তুত রয়েছে তেমনি যুদ্ধ যাতে না বাধে সেজন্য চেষ্টা করাকেও জরুরি বলে তেহরান মনে করে। সামরিক দিক থেকে ইরান যেমন অপ্রতিরোধ্য তেমনি আঞ্চলিক নীতি নির্ধারণী শক্তিতে পরিণত হয়েছে দেশটি। ইরান সবসময়ই এ অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার পাশাপাশি নিজ স্বার্থ রক্ষা এবং মজলুম জাতিগুলোর প্রতি সমর্থন দিয়ে এসেছে। কিন্তু ইরানের এই স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে আমেরিকা মেনে নিতে পারছে না। তারা ইরানভীতি সৃষ্টি, চাপ ও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ইরানকে দুর্বল করে রাখার চেষ্টা করছে। আমেরিকা চায় মধ্যপ্রাচ্যে এখন যা ঘটছে ইরান যেন তাতে নাক না গলায়। অথচ আমেরিকার সমর্থন নিয়ে দখলদার ইসরাইল ক্ষেপণাস্ত্র ও পরমাণু অস্ত্রের বিশাল ভাণ্ডার গড়ে তুলেছে। সেইসঙ্গে দায়েশ সন্ত্রাসীদেরকে লেলিয়ে দিয়ে এ অঞ্চলের নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েছে তেলআবিব।
ইরানভীতি ছড়িয়ে দিয়ে আমেরিকা আরব দেশগুলোর কাছে কোটি কোটি ডলারের অস্ত্র বিক্রি করছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও জর্দানের কাছে অস্ত্র বিক্রির কথা উল্লেখ করে দাবি করেছেন, ইরানের হুমকি ঠেকানোই এসব অস্ত্র বিক্রির উদ্দেশ্য। ইরানের খাতামুল আম্বিয়া ঘাঁটির কমান্ডার মেজর জেনারেল গোলাম আলী রাশিদ যেমনটি বলেছেন, ক্ষেপণাস্ত্রসহ সামরিক ক্ষেত্রে ইরান শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছে যাওয়ায় এবং স্বাধীন নীতি গ্রহণ করায় আমেরিকা দেশটির ওপর প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করেছে।
ইরাকের সাদ্দাম সরকারের চাপিয়ে দেয়া আট বছরের যুদ্ধে ইরানের শক্তিমত্বার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, সামরিক ও প্রতিরক্ষা শক্তির দিক থেকে ওই যুদ্ধের সময়কার চাইতে আজকের ইরানের পার্থক্য এটাই যে সমুদ্র পথে আমাদের তেল ও পণ্যবাহী জাহাজে শত্রুরা হামলা চালানোর সাহস পাবে না এবং আমাদের চেয়ে শত্রুরা অনেক দুর্বল। তিনি আরো বলেন, ইরানের স্বার্থকে উপেক্ষা করে পারস্য উপসাগর ও হরমুজগান প্রণালীর মধ্য দিয়ে অন্য কোনো দেশ তেল রপ্তানি করতে পারবে না। শত্রুরা যদি এ বাস্তবতা অস্বীকার করে তাহলে এর জন্য চরম মূল্য দিতে হতে পারে।
এদিকে, লেবাননের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আদনান মানসুর বলেছেন, "মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এখনো ইরানের নেতৃবৃন্দ ও দেশটির জনগণের আত্মমর্যাদা ও স্বাধীনচেতা নীতির সঙ্গে পরিচিত হতে পারেনি। কোনো কোনো দেশ মার্কিন হুমকি ও চাপের কাছে আত্মসমর্পণ করলেও ওয়াশিংটনের এটা জেনে রাখা উচিত তেহরান তাদের মতো নয়।"
আমেরিকার অবসরপ্রাপ্ত ৭৬ জন সাবেক কূটনীতিক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে লেখা চিঠিতে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, "ভুল করে কিংবা পরিকল্পিত যেভাবেই হোক না কেন ইরানের সঙ্গে যেকোনো যুদ্ধ গোটা মধ্যপ্রাচ্যের জন্য বিপর্যয় ডেকে আনবে এবং এ অঞ্চলকে আরো বেশি অস্থিতিশীল করে তুলবে। এর পাশাপাশি জান, মাল ও ভূ-রাজনৈতিক দিক থেকে আমেরিকাকে বিরাট ক্ষতির মুখে পড়তে হবে। এমনকি আমেরিকাকে এর বাইরে আরো বড় ধরণের যুদ্ধের মোকাবেলা করতে হতে পারে।"
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ইরান যেকোনো আগ্রাসন মোকাবেলায় যেমন প্রস্তুত রয়েছে তেমনি যুদ্ধ যাতে না বাধে সেজন্য চেষ্টা করাকেও জরুরি বলে তেহরান মনে করে। সামরিক দিক থেকে ইরান যেমন অপ্রতিরোধ্য তেমনি আঞ্চলিক নীতি নির্ধারণী শক্তিতে পরিণত হয়েছে দেশটি। ইরান সবসময়ই এ অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার পাশাপাশি নিজ স্বার্থ রক্ষা এবং মজলুম জাতিগুলোর প্রতি সমর্থন দিয়ে এসেছে। কিন্তু ইরানের এই স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে আমেরিকা মেনে নিতে পারছে না। তারা ইরানভীতি সৃষ্টি, চাপ ও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ইরানকে দুর্বল করে রাখার চেষ্টা করছে। আমেরিকা চায় মধ্যপ্রাচ্যে এখন যা ঘটছে ইরান যেন তাতে নাক না গলায়। অথচ আমেরিকার সমর্থন নিয়ে দখলদার ইসরাইল ক্ষেপণাস্ত্র ও পরমাণু অস্ত্রের বিশাল ভাণ্ডার গড়ে তুলেছে। সেইসঙ্গে দায়েশ সন্ত্রাসীদেরকে লেলিয়ে দিয়ে এ অঞ্চলের নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েছে তেলআবিব।
ইরানভীতি ছড়িয়ে দিয়ে আমেরিকা আরব দেশগুলোর কাছে কোটি কোটি ডলারের অস্ত্র বিক্রি করছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও জর্দানের কাছে অস্ত্র বিক্রির কথা উল্লেখ করে দাবি করেছেন, ইরানের হুমকি ঠেকানোই এসব অস্ত্র বিক্রির উদ্দেশ্য। ইরানের খাতামুল আম্বিয়া ঘাঁটির কমান্ডার মেজর জেনারেল গোলাম আলী রাশিদ যেমনটি বলেছেন, ক্ষেপণাস্ত্রসহ সামরিক ক্ষেত্রে ইরান শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছে যাওয়ায় এবং স্বাধীন নীতি গ্রহণ করায় আমেরিকা দেশটির ওপর প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করেছে।
No comments