বিজেপি সাম্প্রদায়িকতার বিষ ছড়িয়ে ভোটে জিতেছে: মমতা
ভারতের
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন,
বিজেপি সাম্প্রদায়িকতার বিষ ছড়িয়ে ভোটে জিতেছে। হিন্দু- মুসলিমের মধ্যে
ভাগাভাগি করে ভোটে জিতেছে। লোকসভা নির্বাচনের ফল পর্যালোচনা করতে গত শনিবার
বিকেলে কোলকাতায় দলীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি ওই মন্তব্য করেন।
মমতা বলেন, ‘আমি ধর্মের ভিত্তিতে মানুষে মানুষে ভাগাভাগিতে বিশ্বাসী নই। আমি একা হয়ে গেলেও আমি বদলাবো না। এই দেশ সকলের। আমি ধর্মীয় মৌলবাদে বিশ্বাস করি না।’
তিনি নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে বলেন, ‘আমরা বারবার বিজেপির বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানিয়েও বিচার পাইনি। নির্বাচন কমিশন আমাদের অভিযোগ শোনেনি। পাঁচ মাস ধরে রাজ্যের প্রশাসন নির্বাচন কমিশনের অধীনে ছিল। আমাদের কোনও কাজ করতে দেয়া হয়নি। পুরো জরুরী অবস্থার মতো ছিল। বিজেপি নির্বাচন কমিশনকে ব্যবহার করেছে, নির্বাচন কমিশন বিজেপির অংশ হয়ে গেছে।’
তিনি বলেন, ‘(মোদির) শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে পাকিস্তানকে আমন্ত্রণ করা হয়েছে। পাকিস্তান, আমেরিকা, চায়না, ইসরাইল সবাইকে নিমন্ত্রণ করতে পারে। তাহলে নির্বাচনের সময়ে সবাইকে পাকিস্তানী বলা হচ্ছিল কেন? শত্রু বলা হচ্ছিল কেন? ‘পাকিস্তানের চর’ বলা হচ্ছিল কেন? অর্থাৎ নির্বাচনের সময় এক কৌশল, এখন নির্বাচনের সময় অন্য কৌশল। ওরা যা করে সব ঠিক, আমরা যা করি সব ভুল?’
মমতা বলেন, ‘এই নির্বাচনে বিজেপি যে টাকা খরচ করেছে, তা যে কোনো দুর্নীতিকে ছাড়িয়ে যাবে। বিজেপি সরকারি কর্মী, কেন্দ্রীয় বাহিনীর মাধ্যমে টাকা বিলিয়েছে। আমরা লড়াই করব। আমাদের লড়াই হবে গঠনমূলক, ধংসাত্বক নয়।’
লোকসভা নির্বাচনে বিরোধীদের কম আসন পাওয়া প্রসঙ্গে মমতা বলেন, ‘টাকা দিয়ে ভোট কেনা না হলে বিভিন্ন রাজ্যে বিরোধীরা এত কম আসন পেতে পারে না। আমি নিশ্চিত, কিছু সেটিং ছিল।’ এখানে অন্যান্য দেশের ভূমিকাও কাজ করেছে বলে মমতা সংশয় প্রকাশ করেন।
মমতা মুসলিম তোষণের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে সাফ জানিয়ে দেন, প্রত্যেকবার তিনি ইফতারে যান এবারেও তিনি যাবেন।
মমতা বলেন, ‘আমি ধর্মের ভিত্তিতে মানুষে মানুষে ভাগাভাগিতে বিশ্বাসী নই। আমি একা হয়ে গেলেও আমি বদলাবো না। এই দেশ সকলের। আমি ধর্মীয় মৌলবাদে বিশ্বাস করি না।’
তিনি নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে বলেন, ‘আমরা বারবার বিজেপির বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানিয়েও বিচার পাইনি। নির্বাচন কমিশন আমাদের অভিযোগ শোনেনি। পাঁচ মাস ধরে রাজ্যের প্রশাসন নির্বাচন কমিশনের অধীনে ছিল। আমাদের কোনও কাজ করতে দেয়া হয়নি। পুরো জরুরী অবস্থার মতো ছিল। বিজেপি নির্বাচন কমিশনকে ব্যবহার করেছে, নির্বাচন কমিশন বিজেপির অংশ হয়ে গেছে।’
তিনি বলেন, ‘(মোদির) শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে পাকিস্তানকে আমন্ত্রণ করা হয়েছে। পাকিস্তান, আমেরিকা, চায়না, ইসরাইল সবাইকে নিমন্ত্রণ করতে পারে। তাহলে নির্বাচনের সময়ে সবাইকে পাকিস্তানী বলা হচ্ছিল কেন? শত্রু বলা হচ্ছিল কেন? ‘পাকিস্তানের চর’ বলা হচ্ছিল কেন? অর্থাৎ নির্বাচনের সময় এক কৌশল, এখন নির্বাচনের সময় অন্য কৌশল। ওরা যা করে সব ঠিক, আমরা যা করি সব ভুল?’
মমতা বলেন, ‘এই নির্বাচনে বিজেপি যে টাকা খরচ করেছে, তা যে কোনো দুর্নীতিকে ছাড়িয়ে যাবে। বিজেপি সরকারি কর্মী, কেন্দ্রীয় বাহিনীর মাধ্যমে টাকা বিলিয়েছে। আমরা লড়াই করব। আমাদের লড়াই হবে গঠনমূলক, ধংসাত্বক নয়।’
লোকসভা নির্বাচনে বিরোধীদের কম আসন পাওয়া প্রসঙ্গে মমতা বলেন, ‘টাকা দিয়ে ভোট কেনা না হলে বিভিন্ন রাজ্যে বিরোধীরা এত কম আসন পেতে পারে না। আমি নিশ্চিত, কিছু সেটিং ছিল।’ এখানে অন্যান্য দেশের ভূমিকাও কাজ করেছে বলে মমতা সংশয় প্রকাশ করেন।
মমতা মুসলিম তোষণের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে সাফ জানিয়ে দেন, প্রত্যেকবার তিনি ইফতারে যান এবারেও তিনি যাবেন।
No comments