বগুড়ায় ডাকসু ভিপি নুরের ওপর হামলা
বগুড়ায়
শহরে একটি ইফতার ও দোয়া মাহফিলে যোগ দিতে এসে সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার
হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সহ-সভাপতি
(ভিপি) নুরুল হক নুর ও তার সঙ্গীরা। এ হামলায় আরও ১৫ জন আহত হয়েছেন।
পুলিশ নুরকে উদ্ধার করে প্রথমে বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে
প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ঘটনার
ছবি তোলায় যমুনা টিভির ক্যামেরাপারসন শাহনেওয়াজ শাওনকেও মারপিট করা হয়েছে।
২৬ মে রবিবার বিকালে শহরের পৌর পার্কের উডবার্ন পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তন চত্বরে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
বিকাল ৬টার দিকে নুরের সঙ্গে থাকা তার বন্ধু রুবেল বলেন, ‘স্থানীয় ছাত্রলীগের ক্যাডাররা এ ন্যাক্কারজনক হামলা চালিয়েছে। বর্তমানে নুর অচেতন অবস্থায় আছেন। আমরা নুরকে ঢাকার দিকে নিয়ে যাচ্ছি।’
এ প্রসঙ্গে কথা বলার জন্য যোগাযোগ করা হলে ফোন না ধরায় জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাইমুর রাজ্জাক তিতাস এবং দায়িত্বশীল নেতাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ছাত্রলীগের কেউ কেউ দাবি করেছেন, ডাকসুর নির্বাচন নিয়ে অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের ধরে প্রতিপক্ষের লোকজন এ হামলা চালিয়েছে।
বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ বগুড়া জেলা আহ্বায়ক রাকিবুল হাসান রাকিব বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, ওই ইফতার ও দোয়া মাহফিলে ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুরকে প্রধান অতিথি করা হয়েছিল। অনুষ্ঠানের খবর পেয়ে সরকারি আজিজুল হক কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রউফের নেতৃত্বে ৩০-৪০ জন নেতাকর্মী মিলনায়নের কাছে অবস্থান নেন। এর আগে পুলিশ দিয়ে অনুষ্ঠান না করতে হুমকি এবং ব্যানার সরিয়ে ফেলতে বলা হয়। বিকাল ৫টার দিকে একটি মাইক্রোবাসে ১৩ সঙ্গী নিয়ে নুর অনুষ্ঠানস্থলে আসেন। গাড়ি থেকে নামার সঙ্গে সঙ্গে ছাত্রলীগের ক্যাডাররা অতর্কিত হামলা চালায়। তারা ভিপি নুর ও অন্যদের বেধড়ক মারপিট করেন। কিল, ঘুষি, লাথি ও ইটপাটকেলের আঘাতে নুরসহ অন্তত ১৫ জন আহত হন।’
রাকিবুল আরও বলেন, ‘হামলার ভিডিওচিত্র ধারণ করায় যমুনা টেলিভিশনের ক্যামেরাপারসন শাহনেওয়াজ শাওনকেও মারপিট করা হয়েছে। এ সময় স্টেডিয়াম পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মোস্তাফিজ হাসান রক্তাক্ত নুরকে উদ্ধার করে রিকশায় বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে পাঠান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা নেওয়ার পর নুর ও তার সফরসঙ্গীরা মাইক্রোবাসে ঢাকার দিকে রওনা হন।’
রাকিব ছাত্রলীগের এ হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে হামলাকারীদের গ্রেফতার এবং তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।
স্টেডিয়াম পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মোস্তাফিজ হাসান জানান, ভিপি নুর ও তার সফর সঙ্গীদের ওপর ৩০-৪০ জনের একদল সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে। তবে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে তাদের কাউকে চিনতে পারেননি।
বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক রোকাইয়া আকতার জানান, তার কাছে নুর, রাতুল, আপন ও ফারুক নামে চারজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। এদের মধ্যে ভিপি নুরের মুখ ও কপালে আঘাত করা হয়েছে।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) ডা. শফিক আমিন কাজল জানান, ভিপি নুর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে ফিরে গেছেন। তার চোখের ওপর সামান্য আঘাত লেগেছে এবং দাঁত থেকে রক্ত বের হয়েছে।
বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম বদিউজ্জামান জানান, ডাকসু ভিপি নুরকে কে বা কারা মারপিট করেছে জানা যায়নি। তিনি সামান্য আহত হয়েছেন। তবে ডাকসু ভিপি বগুড়া আসছেন সে বিষয়ে থানা পুলিশ কিছু জানে না।
২৬ মে রবিবার বিকালে শহরের পৌর পার্কের উডবার্ন পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তন চত্বরে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
বিকাল ৬টার দিকে নুরের সঙ্গে থাকা তার বন্ধু রুবেল বলেন, ‘স্থানীয় ছাত্রলীগের ক্যাডাররা এ ন্যাক্কারজনক হামলা চালিয়েছে। বর্তমানে নুর অচেতন অবস্থায় আছেন। আমরা নুরকে ঢাকার দিকে নিয়ে যাচ্ছি।’
এ প্রসঙ্গে কথা বলার জন্য যোগাযোগ করা হলে ফোন না ধরায় জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাইমুর রাজ্জাক তিতাস এবং দায়িত্বশীল নেতাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ছাত্রলীগের কেউ কেউ দাবি করেছেন, ডাকসুর নির্বাচন নিয়ে অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের ধরে প্রতিপক্ষের লোকজন এ হামলা চালিয়েছে।
বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ বগুড়া জেলা আহ্বায়ক রাকিবুল হাসান রাকিব বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, ওই ইফতার ও দোয়া মাহফিলে ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুরকে প্রধান অতিথি করা হয়েছিল। অনুষ্ঠানের খবর পেয়ে সরকারি আজিজুল হক কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রউফের নেতৃত্বে ৩০-৪০ জন নেতাকর্মী মিলনায়নের কাছে অবস্থান নেন। এর আগে পুলিশ দিয়ে অনুষ্ঠান না করতে হুমকি এবং ব্যানার সরিয়ে ফেলতে বলা হয়। বিকাল ৫টার দিকে একটি মাইক্রোবাসে ১৩ সঙ্গী নিয়ে নুর অনুষ্ঠানস্থলে আসেন। গাড়ি থেকে নামার সঙ্গে সঙ্গে ছাত্রলীগের ক্যাডাররা অতর্কিত হামলা চালায়। তারা ভিপি নুর ও অন্যদের বেধড়ক মারপিট করেন। কিল, ঘুষি, লাথি ও ইটপাটকেলের আঘাতে নুরসহ অন্তত ১৫ জন আহত হন।’
রাকিবুল আরও বলেন, ‘হামলার ভিডিওচিত্র ধারণ করায় যমুনা টেলিভিশনের ক্যামেরাপারসন শাহনেওয়াজ শাওনকেও মারপিট করা হয়েছে। এ সময় স্টেডিয়াম পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মোস্তাফিজ হাসান রক্তাক্ত নুরকে উদ্ধার করে রিকশায় বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে পাঠান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা নেওয়ার পর নুর ও তার সফরসঙ্গীরা মাইক্রোবাসে ঢাকার দিকে রওনা হন।’
রাকিব ছাত্রলীগের এ হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে হামলাকারীদের গ্রেফতার এবং তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।
স্টেডিয়াম পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মোস্তাফিজ হাসান জানান, ভিপি নুর ও তার সফর সঙ্গীদের ওপর ৩০-৪০ জনের একদল সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে। তবে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে তাদের কাউকে চিনতে পারেননি।
বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক রোকাইয়া আকতার জানান, তার কাছে নুর, রাতুল, আপন ও ফারুক নামে চারজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। এদের মধ্যে ভিপি নুরের মুখ ও কপালে আঘাত করা হয়েছে।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) ডা. শফিক আমিন কাজল জানান, ভিপি নুর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে ফিরে গেছেন। তার চোখের ওপর সামান্য আঘাত লেগেছে এবং দাঁত থেকে রক্ত বের হয়েছে।
বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম বদিউজ্জামান জানান, ডাকসু ভিপি নুরকে কে বা কারা মারপিট করেছে জানা যায়নি। তিনি সামান্য আহত হয়েছেন। তবে ডাকসু ভিপি বগুড়া আসছেন সে বিষয়ে থানা পুলিশ কিছু জানে না।
No comments