ভারতের শেষ লাল রাজ্য কেরালায় নীলের উত্থান, গেরুয়া ঝড়ে লাগাম
ভারতের
শেষ লাল রাজ্য বলে পরিচিতি কেরালায় এবারের লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস ও
তাদের জোট মিত্রদের ভোট দিয়েছে। ভারতজুড়ে হিন্দি বলয় ছাড়াও পশ্চিমবঙ্গ,
ওড়িশা ও বিহারে গেরুয়া ঝড় বয়ে গেলেও কেরালায় এসে স্থিমিত হয়ে পড়েছে। যদিও
এবার কেরালার পাশাপাশি তামিল নাড়ু ও অন্ধ্র প্রদেশেও কোনও আসনে জয় পায়নি
বিজেপি। তবে কেরালাতে এখন পর্যন্ত কোনও আসন জিততে পারেনি বিজেপি।
ভারতজুড়ে নরেন্দ্র মোদি ও বিজেপি বড় ধরনের জয় পেয়েছে। কেরালায় বিজেপি কোনও আসনে জয়ী হয়নি। এই রাজ্যে তাদের সবচেয়ে বড় সাফল্য তিরুভানান্থাপুরাম আসনে দ্বিতীয় স্থান অর্জনেই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে দলটিকে। অথচ এনডিএ জোট ছাড়াই এককভাবে কেন্দ্রে সরকার গঠনের মতো যথেষ্ট আসন পেয়েছে।
২০ আসনের কেরালায় কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটি ফ্রন্ট (ইউডিএফ) ১৯ টি আসনে জয় পেয়েছে। ওয়ানাড় আসনে কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি রাহুল গান্ধী সাড়ে ছয় লাখের বেশি ভোট পেয়েছেন। প্রতিদ্বন্দ্বি সিপিআই(এম) প্রার্থীর তুলনায় পেয়েছেন পাঁচ লাখের বেশি ভোট।
কেরালার এই ফল জাতীয় পর্যায়ের বিশ্লেষকদের অবাক করে দিতে পারে। কিন্তু এই রাজ্যটির নিজস্ব প্রয়োজনয়ীতা ও উদ্বেগ রয়েছে। ভোটের ফলে দেখা যাচ্ছে, অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় তা সম্পূর্ণ আলাদা।
সিপিআই(এম) রাজ্য সভাপতি কদিয়েরি বালাকৃষ্ণ একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টরের কথা তুলে ধরেছেন। তিনি স্বীকার করেছেন, কেরালাবাসীর অবস্থান ছিল মোদি ও তার বিভাজনের শাসন ও নীতির বিরুদ্ধে। রাজ্যে মোদির জনপ্রিয়তা একেবারে কম। সংখ্যাগরিষ্ঠ কেরালাবাসীর মনে ছিল: মোদির সঙ্গে লড়াইয়ে সবচেয়ে বেশি উপযুক্ত কে? যে দুই বিকল্প তাদের সামনে ছিল সেগুলোর মধ্যে সিপিআই(এম) নেতৃত্বাধীন বাম জোটকে বাদ দিয়ে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন জোটকে বেছে নিয়েছেন তারা।
এই বাম নেতার মতে, মোদির শাসনের অবসানের প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে তারা জনগণকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছেন কিন্তু প্রত্যাশিত ফল নিজেদের অনুকূলে আনতে পারেননি। তিনি বলেন, প্রচারণার ফল গেছে ইউডিএফের ঝুলিতে। যারা মোদিকে ক্ষমতায় দেখতে চায়নি তারা কংগ্রেসকেই ভোট দিয়েছে।
রাজ্যের সংখ্যালঘু ভোটারদের ক্ষেত্রেও এটা সত্য। কেরালায় খ্রিস্টান ও মুসলিমরা সংখ্যায় প্রায় অর্ধেক। বালাকৃষ্ণ স্বীকার করেন, ইউডিএফ উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় সংখ্যালঘুদের ভোট পেয়েছে। তিনি দাবি করেন, রাজ্যে বামপন্থীদের এই পরাজয় ‘সাময়িক’ এবং তাদের দল ‘শক্তিশালীভাবে ঘুরে দাঁড়াবে’।
অন্যদিকে, রাজ্যের কংগ্রেস নেতারা উদযাপনে ব্যস্ত। যদিও জাতীয় পর্যায়ে দলটির ভরাডুবি হয়েছে। কেরালা কংগ্রেসের সভাপতি মুল্লাপাল্লি রামচন্দ্র এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ঐতিহাসিক জয়ে দল ভীষণ খুশি। এই জয় সেক্যুলার শক্তির।
রাজ্যে ভোটের লড়াই চিরাচরিতভাবেই ইউডিএফ ও বাম জোটের মধ্যে। বিজেপি এবারও তাৎপর্যপূর্ণ অগ্রগতি ঘটাতে পারেনি। একটি আসন ছাড়া বিজেপি কোথাও প্রতিদ্বন্দ্বিতাতেই আসতে পারেনি। তিরুভানান্থাপুরাম আসনে বিজেপির প্রার্থী কংগ্রেস নেতা শশী থারুরের কাছে হেরেছেন প্রায় ৮৬ হাজার ভোটে।
ভারতজুড়ে নরেন্দ্র মোদি ও বিজেপি বড় ধরনের জয় পেয়েছে। কেরালায় বিজেপি কোনও আসনে জয়ী হয়নি। এই রাজ্যে তাদের সবচেয়ে বড় সাফল্য তিরুভানান্থাপুরাম আসনে দ্বিতীয় স্থান অর্জনেই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে দলটিকে। অথচ এনডিএ জোট ছাড়াই এককভাবে কেন্দ্রে সরকার গঠনের মতো যথেষ্ট আসন পেয়েছে।
২০ আসনের কেরালায় কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটি ফ্রন্ট (ইউডিএফ) ১৯ টি আসনে জয় পেয়েছে। ওয়ানাড় আসনে কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি রাহুল গান্ধী সাড়ে ছয় লাখের বেশি ভোট পেয়েছেন। প্রতিদ্বন্দ্বি সিপিআই(এম) প্রার্থীর তুলনায় পেয়েছেন পাঁচ লাখের বেশি ভোট।
কেরালার এই ফল জাতীয় পর্যায়ের বিশ্লেষকদের অবাক করে দিতে পারে। কিন্তু এই রাজ্যটির নিজস্ব প্রয়োজনয়ীতা ও উদ্বেগ রয়েছে। ভোটের ফলে দেখা যাচ্ছে, অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় তা সম্পূর্ণ আলাদা।
সিপিআই(এম) রাজ্য সভাপতি কদিয়েরি বালাকৃষ্ণ একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টরের কথা তুলে ধরেছেন। তিনি স্বীকার করেছেন, কেরালাবাসীর অবস্থান ছিল মোদি ও তার বিভাজনের শাসন ও নীতির বিরুদ্ধে। রাজ্যে মোদির জনপ্রিয়তা একেবারে কম। সংখ্যাগরিষ্ঠ কেরালাবাসীর মনে ছিল: মোদির সঙ্গে লড়াইয়ে সবচেয়ে বেশি উপযুক্ত কে? যে দুই বিকল্প তাদের সামনে ছিল সেগুলোর মধ্যে সিপিআই(এম) নেতৃত্বাধীন বাম জোটকে বাদ দিয়ে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন জোটকে বেছে নিয়েছেন তারা।
এই বাম নেতার মতে, মোদির শাসনের অবসানের প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে তারা জনগণকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছেন কিন্তু প্রত্যাশিত ফল নিজেদের অনুকূলে আনতে পারেননি। তিনি বলেন, প্রচারণার ফল গেছে ইউডিএফের ঝুলিতে। যারা মোদিকে ক্ষমতায় দেখতে চায়নি তারা কংগ্রেসকেই ভোট দিয়েছে।
রাজ্যের সংখ্যালঘু ভোটারদের ক্ষেত্রেও এটা সত্য। কেরালায় খ্রিস্টান ও মুসলিমরা সংখ্যায় প্রায় অর্ধেক। বালাকৃষ্ণ স্বীকার করেন, ইউডিএফ উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় সংখ্যালঘুদের ভোট পেয়েছে। তিনি দাবি করেন, রাজ্যে বামপন্থীদের এই পরাজয় ‘সাময়িক’ এবং তাদের দল ‘শক্তিশালীভাবে ঘুরে দাঁড়াবে’।
অন্যদিকে, রাজ্যের কংগ্রেস নেতারা উদযাপনে ব্যস্ত। যদিও জাতীয় পর্যায়ে দলটির ভরাডুবি হয়েছে। কেরালা কংগ্রেসের সভাপতি মুল্লাপাল্লি রামচন্দ্র এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ঐতিহাসিক জয়ে দল ভীষণ খুশি। এই জয় সেক্যুলার শক্তির।
রাজ্যে ভোটের লড়াই চিরাচরিতভাবেই ইউডিএফ ও বাম জোটের মধ্যে। বিজেপি এবারও তাৎপর্যপূর্ণ অগ্রগতি ঘটাতে পারেনি। একটি আসন ছাড়া বিজেপি কোথাও প্রতিদ্বন্দ্বিতাতেই আসতে পারেনি। তিরুভানান্থাপুরাম আসনে বিজেপির প্রার্থী কংগ্রেস নেতা শশী থারুরের কাছে হেরেছেন প্রায় ৮৬ হাজার ভোটে।
No comments