বৃষ্টিতেও দৃঢ় মনোবল টাইগারদের by ইশতিয়াক পারভেজ
কার্ডিফে
গেল দু’দিন আকাশ ছিল ঝকঝকে। মেঘের কোনো আনাগোনা ছিল না। নরম রোদের আলোতে
তাই অপেক্ষা ছিল পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের দারুণ এক প্রস্ততি
ম্যাচের। এই ম্যাচ দিয়ে টাইগারদের ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের স্বপ্নে বীজ বপন
হতো সৌভাগ্যের সোফিয়া গার্ডেন মাঠে। কিন্তু এখানে আবহাওয়া নিয়ে বিন্দুমাত্র
ধারণা করা যায় না। সকাল থেকে মুখ গোমরা করা কার্ডিফের আকাশ ভেঙে শুরু হলো
বৃষ্টি ।
মাঠে আসতে আসতে শঙ্কা ছিল মনে শেষ পর্যন্ত হয়তো খেলা হবে না। যদিও ম্যাচ রেফারিদের সিদ্ধান্ত ছিল স্থানীয় সময় দুপুর ৩টা ২ মিনিটে খেলা শুরু করার। তার মানে বাংলাদেশের দর্শকরা সেটি দেখতে পেতেন রাত ৮ টায়। না, শেষ পর্যন্ত আর হল না। মাঝে খানিকটা রোদ এসে উঁকি দিলেও শেষ পর্যন্ত প্রস্তুতি ম্যাচটি পরিত্যাক্তই ঘোষণা করেন আম্পায়াররা। মাঠে আসা দর্শকরা হতাশ হয়ে ফিরে গেলেন অন্যদিনের আশায়। কেউ কেউ শঙ্কা প্রকাশ করে গেলেন কার্ডিফের যে আবহাওয়া তাতে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটিও বৃষ্টির শঙ্কাতে থাকবে। তবে বৃষ্টিতে প্রস্তুতি ম্যাচ ভেসে গেলেও মনোবল দারুণভাবে শক্ত রেখেছেন টাইগাররা। সংবাদ সম্মেলনে এসে সাব্বির রহমান ও মোসাদ্দেক হোসেন জানালেন সেই কথাই । মোসাদ্দেক বলেন, ‘বৃষ্টির কারণে ম্যাচটি হল না, তাতে একটু খারাপ লাগছে। তবে আমি মনে করি না একটি ম্যাচ খেলতে না পেরে আমাদের প্রস্তুতিতে বড় কোনো ক্ষতি হয়ে গেল। বৃষ্টির উপর কারো হাত নাই। খেলাটা হলে ভালো হতো। সামনে আরো একটি ম্যাচ আছে সেখানে মনোযোগ দিতে হবে। যেন সেই ম্যাচটি ভালভাবে খেলে প্রস্তুতি নিয়ে যেতে পারি।’
অন্যদিকে নিয়ম অনুসারে প্রস্তুতি ম্যাচে ব্যাটিং-বোলিং ১১ জন করতে পারলেও খেলতে পারবেন স্কোয়াডে থাকা সবাই। কিন্তু গতকালের এই ম্যাচের জন্য সাকিব আল হাসানকে রাখা হয় দলের বাইরে। তাই তাকে ছাড়াই ১৪ জনের দল ঠিক করে রাখে বাংলাদেশ। এমনকি অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজাকেও বিশ্রাম দেয়ার চিন্তা ছিল টিম ম্যানেজমেন্টের। কারণ দলের তরুণদের একটু ঝালিয়ে দেখা। তাই বড় সুযোগ ছিল মোসাদ্দেক ও সাব্বিরদের সামনে। তবে সেটি হতে দেয়নি বেরসিক বৃষ্টি। এ নিয়ে মোসাদ্দেক বলেন, ‘আসলে আমি চেয়েছিলাম প্রস্তুতি ম্যাচে নিজের সেরাটা দিয়ে বিশ্বকাপের মূল ম্যাচের জন্য নিজেকে প্রস্তুত রাখতে। তবে পরের ম্যাচে যদি সুযোগ পাই নিজের সেরাটাই দিতে চেষ্টা করবো ও নিজেকে বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুত করে রাখবো।’
আয়ারল্যান্ডে মোসাদ্দেক হোসেন, সৌম্য সরকার , লিটন দাসসহ দলের প্রায় সব তরুণরাই সুযোগ পেয়ে নিজের যোগ্যতার প্রমাণ রেখেছেন। শুধুমাত্র সাব্বির রহমান বাদে।
দলের এই মারকুটে ব্যাটসম্যানের কাছে দারুণ আশা অধিনায়ক মাশরাফিসহ টিম ম্যানেজমেন্টের। তাই সাব্বিরের জন্য এই প্রস্তুতি ম্যাচ ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রস্তুতি ম্যাচ না হওয়াতে তার জন্য অপেক্ষাটা আরো একটু দীর্ঘই হলো। এ বিষয়ে সাব্বির বলেন, ‘হ্যা, প্রস্তুতি ম্যাচটি আমাদের জন্য খুব প্রয়োজন ছিল। আপনারা জানেন যে শেষ কয়েকটি ম্যাচ আমি ব্যাটিংটা সেইভাবে করতে পারিনি। যদিও টপ অর্ডারের ব্যাটসম্যানরা দারুণ খেলায় আয়ারল্যান্ডে আমার ব্যাট করার সুযোগ কম ছিল। আর যেটা পেয়েছিলাম সেটি কাজে লাগাতে পারিনি। তাই এই প্রস্তুতি ম্যাচটি সত্যি আমার জন্য বেশ প্রয়োজন ছিল খেলা। এখন পরের ম্যাচটা খেলতে পারবো। তবে প্রস্ততিতে খুব একটা ক্ষতি হয়নি। কারণ দল একটি ভালো অবস্থানে আছে। আমার ফিটনেসও ঠিক আছে। আশা করি ভালো কিছুই হবে। দেখি কি হয়!’
সাব্বির নিজে আত্মবিশ্বাসী হলেও বিশ্বকাপের প্রতিটি ম্যাচেই নিজের সেরাটা দিতে হবে। কিন্তু তার জায়গা হাতছাড়া হতে পারে মোসাদ্দেক দারুণ ফর্মে থাকায়। তাই তার জন্য দলে থাকা কঠিন হয়ে গেছে বলা যায়। তবে সাব্বির জানিয়ে দিলেন কঠিনেই তিনি বেশি স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন। সাব্বির বলেন, ‘আসলে আমি কঠিন পরিস্থিতিতে খেলতে পছন্দ করি। এতে আমার জন্য ভালো হয়। আমার বড় বিষয় হল প্রতিটি ম্যাচকেই আমি নিজের শেষ ম্যাচ মনে করি। তাই চেষ্টা করবো যে ম্যাচে সুযোগ পাবো সেখানে নিজের সেরাটা দিয়ে পরের ম্যাচের জন্য নিজেকে তৈরি রাখার।’
কাল কার্ডিফের সোফিয়া গার্ডেন স্টেডিয়ামে ভারতের বিপক্ষে নিজেদের দ্বিতীয় ও শেষ প্রস্তুতি ম্যাচে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ দল।
মাঠে আসতে আসতে শঙ্কা ছিল মনে শেষ পর্যন্ত হয়তো খেলা হবে না। যদিও ম্যাচ রেফারিদের সিদ্ধান্ত ছিল স্থানীয় সময় দুপুর ৩টা ২ মিনিটে খেলা শুরু করার। তার মানে বাংলাদেশের দর্শকরা সেটি দেখতে পেতেন রাত ৮ টায়। না, শেষ পর্যন্ত আর হল না। মাঝে খানিকটা রোদ এসে উঁকি দিলেও শেষ পর্যন্ত প্রস্তুতি ম্যাচটি পরিত্যাক্তই ঘোষণা করেন আম্পায়াররা। মাঠে আসা দর্শকরা হতাশ হয়ে ফিরে গেলেন অন্যদিনের আশায়। কেউ কেউ শঙ্কা প্রকাশ করে গেলেন কার্ডিফের যে আবহাওয়া তাতে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটিও বৃষ্টির শঙ্কাতে থাকবে। তবে বৃষ্টিতে প্রস্তুতি ম্যাচ ভেসে গেলেও মনোবল দারুণভাবে শক্ত রেখেছেন টাইগাররা। সংবাদ সম্মেলনে এসে সাব্বির রহমান ও মোসাদ্দেক হোসেন জানালেন সেই কথাই । মোসাদ্দেক বলেন, ‘বৃষ্টির কারণে ম্যাচটি হল না, তাতে একটু খারাপ লাগছে। তবে আমি মনে করি না একটি ম্যাচ খেলতে না পেরে আমাদের প্রস্তুতিতে বড় কোনো ক্ষতি হয়ে গেল। বৃষ্টির উপর কারো হাত নাই। খেলাটা হলে ভালো হতো। সামনে আরো একটি ম্যাচ আছে সেখানে মনোযোগ দিতে হবে। যেন সেই ম্যাচটি ভালভাবে খেলে প্রস্তুতি নিয়ে যেতে পারি।’
অন্যদিকে নিয়ম অনুসারে প্রস্তুতি ম্যাচে ব্যাটিং-বোলিং ১১ জন করতে পারলেও খেলতে পারবেন স্কোয়াডে থাকা সবাই। কিন্তু গতকালের এই ম্যাচের জন্য সাকিব আল হাসানকে রাখা হয় দলের বাইরে। তাই তাকে ছাড়াই ১৪ জনের দল ঠিক করে রাখে বাংলাদেশ। এমনকি অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজাকেও বিশ্রাম দেয়ার চিন্তা ছিল টিম ম্যানেজমেন্টের। কারণ দলের তরুণদের একটু ঝালিয়ে দেখা। তাই বড় সুযোগ ছিল মোসাদ্দেক ও সাব্বিরদের সামনে। তবে সেটি হতে দেয়নি বেরসিক বৃষ্টি। এ নিয়ে মোসাদ্দেক বলেন, ‘আসলে আমি চেয়েছিলাম প্রস্তুতি ম্যাচে নিজের সেরাটা দিয়ে বিশ্বকাপের মূল ম্যাচের জন্য নিজেকে প্রস্তুত রাখতে। তবে পরের ম্যাচে যদি সুযোগ পাই নিজের সেরাটাই দিতে চেষ্টা করবো ও নিজেকে বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুত করে রাখবো।’
আয়ারল্যান্ডে মোসাদ্দেক হোসেন, সৌম্য সরকার , লিটন দাসসহ দলের প্রায় সব তরুণরাই সুযোগ পেয়ে নিজের যোগ্যতার প্রমাণ রেখেছেন। শুধুমাত্র সাব্বির রহমান বাদে।
দলের এই মারকুটে ব্যাটসম্যানের কাছে দারুণ আশা অধিনায়ক মাশরাফিসহ টিম ম্যানেজমেন্টের। তাই সাব্বিরের জন্য এই প্রস্তুতি ম্যাচ ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রস্তুতি ম্যাচ না হওয়াতে তার জন্য অপেক্ষাটা আরো একটু দীর্ঘই হলো। এ বিষয়ে সাব্বির বলেন, ‘হ্যা, প্রস্তুতি ম্যাচটি আমাদের জন্য খুব প্রয়োজন ছিল। আপনারা জানেন যে শেষ কয়েকটি ম্যাচ আমি ব্যাটিংটা সেইভাবে করতে পারিনি। যদিও টপ অর্ডারের ব্যাটসম্যানরা দারুণ খেলায় আয়ারল্যান্ডে আমার ব্যাট করার সুযোগ কম ছিল। আর যেটা পেয়েছিলাম সেটি কাজে লাগাতে পারিনি। তাই এই প্রস্তুতি ম্যাচটি সত্যি আমার জন্য বেশ প্রয়োজন ছিল খেলা। এখন পরের ম্যাচটা খেলতে পারবো। তবে প্রস্ততিতে খুব একটা ক্ষতি হয়নি। কারণ দল একটি ভালো অবস্থানে আছে। আমার ফিটনেসও ঠিক আছে। আশা করি ভালো কিছুই হবে। দেখি কি হয়!’
সাব্বির নিজে আত্মবিশ্বাসী হলেও বিশ্বকাপের প্রতিটি ম্যাচেই নিজের সেরাটা দিতে হবে। কিন্তু তার জায়গা হাতছাড়া হতে পারে মোসাদ্দেক দারুণ ফর্মে থাকায়। তাই তার জন্য দলে থাকা কঠিন হয়ে গেছে বলা যায়। তবে সাব্বির জানিয়ে দিলেন কঠিনেই তিনি বেশি স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন। সাব্বির বলেন, ‘আসলে আমি কঠিন পরিস্থিতিতে খেলতে পছন্দ করি। এতে আমার জন্য ভালো হয়। আমার বড় বিষয় হল প্রতিটি ম্যাচকেই আমি নিজের শেষ ম্যাচ মনে করি। তাই চেষ্টা করবো যে ম্যাচে সুযোগ পাবো সেখানে নিজের সেরাটা দিয়ে পরের ম্যাচের জন্য নিজেকে তৈরি রাখার।’
কাল কার্ডিফের সোফিয়া গার্ডেন স্টেডিয়ামে ভারতের বিপক্ষে নিজেদের দ্বিতীয় ও শেষ প্রস্তুতি ম্যাচে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ দল।
No comments