প্রশিক্ষণ নিতে ভারতে গিয়েছিল শ্রীলঙ্কার হামলাকারীরা!
শ্রীলঙ্কায়
২১ এপ্রিলের সিরিজ বিস্ফোরণের সঙ্গে জড়িতরা প্রশিক্ষণ নিতে ভারতে
গিয়েছিল। বিবিসি-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই ইঙ্গিত দিয়েছেন শ্রীলঙ্কার
সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল মহেশ সেনানায়েকে। তিনি বলেন, সম্ভবত
সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের প্রশিক্ষণ নিতে হামলাকারীরা ভারতের কাশ্মির, কেরালা ও
বেঙ্গালুরুতে গিয়েছিল। তবে তাদের সেখানে যাওয়ার প্রকৃত উদ্দেশ্য সম্পর্কে
লঙ্কান কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত নয়।
হামলার ব্যাপারে ভারতের গোয়েন্দা তথ্য থাকার পরও কেন সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি? বিবিসি-র এমন প্রশ্নের উত্তরে সেনাপ্রধান বলেন, শ্রীলঙ্কা সরকারের মধ্যে বোঝাপড়ায় হয়তো একটা ফাঁক ছিল। এটি এখন সবারই জানা বিষয়।
লেফটেন্যান্ট জেনারেল মহেশ সেনানায়েকে বলেন, শ্রীলঙ্কায় সবাই স্বাধীন। গত ১০ বছরে সেখানে বড় ধরনের কোনও হিংসা বা হানাহানির ঘটনা ঘটেনি। শান্তিপূর্ণ দেশ হওয়ায় নিরাপত্তা নিয়েও মানুষের মধ্যে খুব একটা চিন্তা ছিল না।
২০১৯ সালের ২১ এপ্রিল খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের ইস্টার সানডে উদযাপনকালে শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বো ও তার আশপাশের তিনটি গির্জা ও তিনটি হোটেলসহ আটটি স্থানে বিস্ফোরক দিয়ে হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় নিহত হন ২৫৩ জন। ভারত ও শ্রীলঙ্কার সরকারি সূত্রের বরাত রয়টার্স জানিয়েছে, হামলার মাত্র দুই ঘণ্টা আগেই লঙ্কান কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করেছিল ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা। এর আগে গত ৪ এপ্রিল ও ২০ এপ্রিল রাতেও দুই দফায় লঙ্কান গোয়েন্দাদের এ বিষয়ে সতর্ক করে দিল্লি।
ফরাসি সংবাদমাধ্যম এএফপি’র হাতে পাওয়া নথি অনুযায়ী, গির্জায় হামলার ব্যাপারে শ্রীলঙ্কার পুলিশকে আগেই সতর্ক করেছিল 'একটি বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থা'। ২০১৯ সালের ১১ এপ্রিল পুলিশ প্রধান পুজুথ জয়াসুনদারা দেশটির শীর্ষ কর্মকর্তাদের কাছে এ সংক্রান্ত গোয়েন্দা সতর্কতা পাঠান। এতে বলা হয়, 'একটি বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থা জানিয়েছে, ন্যাশনাল তাওহিদ জামাত (এনটিজে) প্রখ্যাত চার্চ এবং কলম্বোয় ভারতীয় হাইকমিশন লক্ষ্য করে আত্মঘাতী হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছে।' গোয়েন্দা তথ্য থাকার পরও হামলা ঠেকাতে ব্যর্থ হওয়ায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনা। এক পর্যায়ে সিরিসেনা জানান, পুলিশের কাছে আগাম গোয়েন্দা তথ্য থাকলেও এ ব্যাপারে প্রেসিডেন্টকে জানানো হয়নি। হামলার গোয়েন্দা তথ্য গোপন করায় প্রতিরক্ষা সচিব হেমাসিরি ফার্নান্দো এবং পুলিশ প্রধান পুজিথ জয়াসুন্দরাকে পদত্যাগের নির্দেশ দেন সিরিসেনা।
হামলার ব্যাপারে ভারতের গোয়েন্দা তথ্য থাকার পরও কেন সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি? বিবিসি-র এমন প্রশ্নের উত্তরে সেনাপ্রধান বলেন, শ্রীলঙ্কা সরকারের মধ্যে বোঝাপড়ায় হয়তো একটা ফাঁক ছিল। এটি এখন সবারই জানা বিষয়।
লেফটেন্যান্ট জেনারেল মহেশ সেনানায়েকে বলেন, শ্রীলঙ্কায় সবাই স্বাধীন। গত ১০ বছরে সেখানে বড় ধরনের কোনও হিংসা বা হানাহানির ঘটনা ঘটেনি। শান্তিপূর্ণ দেশ হওয়ায় নিরাপত্তা নিয়েও মানুষের মধ্যে খুব একটা চিন্তা ছিল না।
২০১৯ সালের ২১ এপ্রিল খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের ইস্টার সানডে উদযাপনকালে শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বো ও তার আশপাশের তিনটি গির্জা ও তিনটি হোটেলসহ আটটি স্থানে বিস্ফোরক দিয়ে হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় নিহত হন ২৫৩ জন। ভারত ও শ্রীলঙ্কার সরকারি সূত্রের বরাত রয়টার্স জানিয়েছে, হামলার মাত্র দুই ঘণ্টা আগেই লঙ্কান কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করেছিল ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা। এর আগে গত ৪ এপ্রিল ও ২০ এপ্রিল রাতেও দুই দফায় লঙ্কান গোয়েন্দাদের এ বিষয়ে সতর্ক করে দিল্লি।
ফরাসি সংবাদমাধ্যম এএফপি’র হাতে পাওয়া নথি অনুযায়ী, গির্জায় হামলার ব্যাপারে শ্রীলঙ্কার পুলিশকে আগেই সতর্ক করেছিল 'একটি বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থা'। ২০১৯ সালের ১১ এপ্রিল পুলিশ প্রধান পুজুথ জয়াসুনদারা দেশটির শীর্ষ কর্মকর্তাদের কাছে এ সংক্রান্ত গোয়েন্দা সতর্কতা পাঠান। এতে বলা হয়, 'একটি বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থা জানিয়েছে, ন্যাশনাল তাওহিদ জামাত (এনটিজে) প্রখ্যাত চার্চ এবং কলম্বোয় ভারতীয় হাইকমিশন লক্ষ্য করে আত্মঘাতী হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছে।' গোয়েন্দা তথ্য থাকার পরও হামলা ঠেকাতে ব্যর্থ হওয়ায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনা। এক পর্যায়ে সিরিসেনা জানান, পুলিশের কাছে আগাম গোয়েন্দা তথ্য থাকলেও এ ব্যাপারে প্রেসিডেন্টকে জানানো হয়নি। হামলার গোয়েন্দা তথ্য গোপন করায় প্রতিরক্ষা সচিব হেমাসিরি ফার্নান্দো এবং পুলিশ প্রধান পুজিথ জয়াসুন্দরাকে পদত্যাগের নির্দেশ দেন সিরিসেনা।
No comments