খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ৩৮ মামলা : জামিন নিতে হবে আরো চারটিতে by হাবিবুর রহমান
কারাবন্দী
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ৩৮টি
মামলা রয়েছে। এর মধ্যে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট
এবং মানহানির দু’টি মামলায় জামিন নেয়া বাকি রয়েছে। এ ছাড়া অন্য সব মামলায়
তিনি জামিনে আছেন। তবে মানহানির অভিযোগে দায়ের করা দু’টি মামলা জামিনযোগ্য
হওয়ায় মূলত জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় উচ্চ
আদালত থেকে জামিন পেলে তিনি কারামুক্তি পেতে পারেন বলে খালেদা জিয়ার
আইনজীবীরা জানিয়েছেন।
গত ৩০ এপ্রিল জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বিচারিক আদালতের দেয়া সাজা বাতিল ও খালাস চেয়ে বেগম খালেদা জিয়ার আপিল আবেদন শুনানির জন্য গ্রহণ করে অর্থদণ্ড স্থগিত ও সম্পত্তি জব্দের আদেশের ওপর স্থিতাবস্থার নির্দেশ দেন আদালত। তবে মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের শুনানি গ্রহণ করেননি হাইকোর্ট। জামিনের আবেদনটি নথিভুক্ত করে দুই মাসের মধ্যে মামলার নথি তলব করা হয়। নথি পাওয়ার পর জামিন আবেদনের ওপর শুনানি গ্রহণ করবেন বলে জানান আদালত। জামিনের বিষয়ে আদালত বলেন, সাত বছরের সাজার মামলায় আমরা জামিন দেই না, তা না। যেহেতু অন্য একটি মামলায় উচ্চতর আদালত সাজা বাড়িয়ে দিয়েছেন। ওই মামলায় জামিন না হলে তিনি মুক্তি পাবেন না। ফলে বিষয়টি জরুরি দেখছি না। মামলার নথি আসুক, তখন জামিনের আবেদনটি দেখা হবে। এ মামলায় রেকর্ড না দেখে বেইল (জামিন) দিচ্ছি না।
অন্য দিকে বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আপিল আবেদন এবং একই সাথে তার জামিন আবেদন করা হয়েছে। এই আপিল আবেদন আপিল বিভাগে বিচারাধীন রয়েছে। এই মামলায় নিম্ন আদালত খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন। এরপর হাইকোর্ট খালাস চেয়ে খালেদা জিয়ার আপিল খারিজ করেন এবং দুদকের আপিল গ্রহণ করে খালেদা জিয়াকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেন। এই রায় বাতিল ও খালাস চেয়ে তিনি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আপিল আবেদন করেন।
আর বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের সংখ্যা নিয়ে মন্তব্য করার পর দু’টি মানহানি মামলা করা হয়। এই মামলা দু’টি ঢাকা সিএমএম কোর্টে রয়েছে। এই মামলায় আদালত থেকে সংশ্লিষ্ট থানায় ওয়ারেন্ট দেয়া হলেও এখনো তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়নি। যেহেতু এই মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়নি সেহেতু জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় জামিন নিয়ে বের হয়ে তিনি এই মামলায় জামিন নিতে পারবেন বলে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা জানান।
এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি প্রবীণ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, আমি প্রথম থেকে বলে আসছি, বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে নেয়া হয়েছে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে। সেখানে সরকারের প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপ ছিল। আমরা যতই বলি না কেন আইনি প্রক্রিয়ায় তিনি জামিনে মুক্ত হবেন এটা একটা অবাস্তব কথা। যে পর্যন্ত না সরকারের সদিচ্ছা হবে। আইনি প্রক্রিয়ায় বর্তমানে আমাদের দেশে বিচারব্যবস্থার যে অবস্থা। কারণ একটি মামলায় আমরা জামিন নেবো, তার বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা দেয়া হবে। এইভাবে তার কারাজীবন দীর্ঘায়িত করা হবে। তাই আমরা আশা করছিÑ যেহেতু জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলাটি, সাধারণত সাত বছরের সাজায় আপিল গ্রহণের তারিখে জামিন দেয়া হয়, বিশেষ করে এই মামলায় যে ধারায় সাজা হয়েছে সে ধারায় সর্বোচ্চ সাজা সাত বছর অথবা জরিমানা, তাই তাকে সাজা না দিয়ে যদি ফাইন করা হতো, তা স্থগিত হতো। তারপরও তাকে জামিন দেয়া হয়নি।
তিনি বলেন, আমরা দেখেছি জামিন না দিলে কল ফর রেকর্ড বা নথি তলব করা হয়; কিন্তু কল ফর রেকর্ডের জন্য কোনো নির্দিষ্ট সময় দেয়া হয় না। আসামিপক্ষ চেষ্টা করলে সাত দিনের মধ্যে নথি আসতে পারে। এখানে দুই মাস নির্দিষ্ট করে দেয়া হলো। তার অর্থ দুই মাসের মধ্যে আর আমরা জামিনের আবেদন করতে পারব না এবং এই দুই মাসের পর আর কত দিন লাগবে রেকর্ড আসতে সেটাও আমাদের দেখতে হবে।
খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, যে কেসে যেভাবে তাকে রাখা হয়েছে, আইনের বিধান মোতাবেক আমাদের ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী আসামি যদি মহিলা হয়, অসুস্থ হয়, বয়স্ক হয়, সেখানে জামিনের ক্ষেত্রে বিশেষ বিবেচনা করা হয়; কিন্তু এই ক্ষেত্রে তাও করা হয়নি। অর্থাৎ যে পর্যন্ত না সরকার ইচ্ছা করবেন যে তাকে মুক্তি দেয়া হবে তখনই তিনি মুক্তি পাবেন। আমি আবারো বলছি, সাধারণ আইনি প্রক্রিয়ায় তিনি বের হতে পারবেন না। আমার আশা ছিল কয়েকজন নির্বাচিত সংসদ সদস্য পার্লামেন্টে যোগ দিলেন। আমরা ভেবেছিলাম হয়তোবা ম্যাডামের জামিনের ব্যাপারে এবং বাংলাদেশে হাজার হাজার বিএনপি নেতাকর্মী যেভাবে মিথ্যা রাজনৈতিক মামলায় নির্যাতিত হচ্ছেন, কিছু জেলে আছেন, কিছু দিনের পর দিন কোর্টের বারান্দায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন সে ব্যাপারে হয়তোবা কিছু একটা হবে। কিন্তু ৩০ তারিখে বেগম খালেদা জিয়াকে যখন জামিন দেয়া হলো না; আমরা সে থেকে বিস্মিত হয়েছি। কী করে এটা সম্ভব হলো? তাই আবারো বলছি, প্রথম থেকে বলছি; যে যাই বলুক না কেন, যে পর্যন্ত না সরকারের সদিচ্ছা হবে, সরকার ইচ্ছা করবেন তাকে মুক্তি দিতে; তত দিন তিনি মুক্তি পাবেন না। কোনো আইনি প্রক্রিয়ায় তিনি জেল থেকে বের হতে পারবেন না। কেন না আমাদের বিচারব্যবস্থা, একটা করুণ অবস্থা, সেখানে মুখ দেখে জামিন দেয়া হয় এবং অবস্থা বুঝে জামিন দেয়া হয়, রাজনৈতিক ক্ষেত্রে।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার বলেন, বেগম খালেদা জিয়া তার বিরুদ্ধে দায়ের করা ৩৮ মামলার চারটি ছাড়া সব মামলায় জামিনে আছেন। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা ছাড়াও তার বিরুদ্ধে মানহানির দু’টি মামলায় জামিন আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু এই দুই মামলায় জামিন আবেদনের শুনানি গ্রহণ করা হচ্ছে না। মানহানির এই দু’টি মামলা করেন জননেত্রী পরিষদের এ বি সিদ্দিকী। মামলা দু’টির আদেশের বিরুদ্ধে অচিরেই হাইকোর্টে জামিন আবেদন করা হবে। আশাকরি তিনি জামিন পাবেন।
এ বিষয়ে বিএনপির আইন সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে বর্তমানে ৩৮টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে সম্প্রতি ঢাকায় দু’টি মানহানি মামলা করা হয়েছে। এ দু’টি জামিনযোগ্য। এ ছাড়া জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় তার জামিন নিতে হবে। তিনি বলেন, জামিন পাওয়ার জন্য যে শর্তগুলো প্রয়োজন, খালেদা জিয়ার ক্ষেত্রে সব শর্ত পূরণ হয়ে যায়। কারণ তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী, ৭৩ বছর বয়স্ক একজন অসুস্থ মহিলা। অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। জামিনের ক্ষেত্রে এসব বিষয় অগ্রাধিকার পাওয়ার কথা, তারপরও উনাকে জামিন না দিয়ে অবিচার করা হচ্ছে। ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। আদালতের মাধ্যমেই তিনি জামিন পাবেন। মহামান্য আদালত বিষয়গুলো বিবেচনা করে উনার প্রতি ন্যায়বিচার করবেন। খালেদা জিয়া আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আশাকরি শিগগিরই তিনি ন্যায়বিচার পাবেন।
গত ৩০ এপ্রিল জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বিচারিক আদালতের দেয়া সাজা বাতিল ও খালাস চেয়ে বেগম খালেদা জিয়ার আপিল আবেদন শুনানির জন্য গ্রহণ করে অর্থদণ্ড স্থগিত ও সম্পত্তি জব্দের আদেশের ওপর স্থিতাবস্থার নির্দেশ দেন আদালত। তবে মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের শুনানি গ্রহণ করেননি হাইকোর্ট। জামিনের আবেদনটি নথিভুক্ত করে দুই মাসের মধ্যে মামলার নথি তলব করা হয়। নথি পাওয়ার পর জামিন আবেদনের ওপর শুনানি গ্রহণ করবেন বলে জানান আদালত। জামিনের বিষয়ে আদালত বলেন, সাত বছরের সাজার মামলায় আমরা জামিন দেই না, তা না। যেহেতু অন্য একটি মামলায় উচ্চতর আদালত সাজা বাড়িয়ে দিয়েছেন। ওই মামলায় জামিন না হলে তিনি মুক্তি পাবেন না। ফলে বিষয়টি জরুরি দেখছি না। মামলার নথি আসুক, তখন জামিনের আবেদনটি দেখা হবে। এ মামলায় রেকর্ড না দেখে বেইল (জামিন) দিচ্ছি না।
অন্য দিকে বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আপিল আবেদন এবং একই সাথে তার জামিন আবেদন করা হয়েছে। এই আপিল আবেদন আপিল বিভাগে বিচারাধীন রয়েছে। এই মামলায় নিম্ন আদালত খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন। এরপর হাইকোর্ট খালাস চেয়ে খালেদা জিয়ার আপিল খারিজ করেন এবং দুদকের আপিল গ্রহণ করে খালেদা জিয়াকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেন। এই রায় বাতিল ও খালাস চেয়ে তিনি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আপিল আবেদন করেন।
আর বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের সংখ্যা নিয়ে মন্তব্য করার পর দু’টি মানহানি মামলা করা হয়। এই মামলা দু’টি ঢাকা সিএমএম কোর্টে রয়েছে। এই মামলায় আদালত থেকে সংশ্লিষ্ট থানায় ওয়ারেন্ট দেয়া হলেও এখনো তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়নি। যেহেতু এই মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়নি সেহেতু জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় জামিন নিয়ে বের হয়ে তিনি এই মামলায় জামিন নিতে পারবেন বলে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা জানান।
এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি প্রবীণ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, আমি প্রথম থেকে বলে আসছি, বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে নেয়া হয়েছে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে। সেখানে সরকারের প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপ ছিল। আমরা যতই বলি না কেন আইনি প্রক্রিয়ায় তিনি জামিনে মুক্ত হবেন এটা একটা অবাস্তব কথা। যে পর্যন্ত না সরকারের সদিচ্ছা হবে। আইনি প্রক্রিয়ায় বর্তমানে আমাদের দেশে বিচারব্যবস্থার যে অবস্থা। কারণ একটি মামলায় আমরা জামিন নেবো, তার বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা দেয়া হবে। এইভাবে তার কারাজীবন দীর্ঘায়িত করা হবে। তাই আমরা আশা করছিÑ যেহেতু জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলাটি, সাধারণত সাত বছরের সাজায় আপিল গ্রহণের তারিখে জামিন দেয়া হয়, বিশেষ করে এই মামলায় যে ধারায় সাজা হয়েছে সে ধারায় সর্বোচ্চ সাজা সাত বছর অথবা জরিমানা, তাই তাকে সাজা না দিয়ে যদি ফাইন করা হতো, তা স্থগিত হতো। তারপরও তাকে জামিন দেয়া হয়নি।
তিনি বলেন, আমরা দেখেছি জামিন না দিলে কল ফর রেকর্ড বা নথি তলব করা হয়; কিন্তু কল ফর রেকর্ডের জন্য কোনো নির্দিষ্ট সময় দেয়া হয় না। আসামিপক্ষ চেষ্টা করলে সাত দিনের মধ্যে নথি আসতে পারে। এখানে দুই মাস নির্দিষ্ট করে দেয়া হলো। তার অর্থ দুই মাসের মধ্যে আর আমরা জামিনের আবেদন করতে পারব না এবং এই দুই মাসের পর আর কত দিন লাগবে রেকর্ড আসতে সেটাও আমাদের দেখতে হবে।
খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, যে কেসে যেভাবে তাকে রাখা হয়েছে, আইনের বিধান মোতাবেক আমাদের ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী আসামি যদি মহিলা হয়, অসুস্থ হয়, বয়স্ক হয়, সেখানে জামিনের ক্ষেত্রে বিশেষ বিবেচনা করা হয়; কিন্তু এই ক্ষেত্রে তাও করা হয়নি। অর্থাৎ যে পর্যন্ত না সরকার ইচ্ছা করবেন যে তাকে মুক্তি দেয়া হবে তখনই তিনি মুক্তি পাবেন। আমি আবারো বলছি, সাধারণ আইনি প্রক্রিয়ায় তিনি বের হতে পারবেন না। আমার আশা ছিল কয়েকজন নির্বাচিত সংসদ সদস্য পার্লামেন্টে যোগ দিলেন। আমরা ভেবেছিলাম হয়তোবা ম্যাডামের জামিনের ব্যাপারে এবং বাংলাদেশে হাজার হাজার বিএনপি নেতাকর্মী যেভাবে মিথ্যা রাজনৈতিক মামলায় নির্যাতিত হচ্ছেন, কিছু জেলে আছেন, কিছু দিনের পর দিন কোর্টের বারান্দায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন সে ব্যাপারে হয়তোবা কিছু একটা হবে। কিন্তু ৩০ তারিখে বেগম খালেদা জিয়াকে যখন জামিন দেয়া হলো না; আমরা সে থেকে বিস্মিত হয়েছি। কী করে এটা সম্ভব হলো? তাই আবারো বলছি, প্রথম থেকে বলছি; যে যাই বলুক না কেন, যে পর্যন্ত না সরকারের সদিচ্ছা হবে, সরকার ইচ্ছা করবেন তাকে মুক্তি দিতে; তত দিন তিনি মুক্তি পাবেন না। কোনো আইনি প্রক্রিয়ায় তিনি জেল থেকে বের হতে পারবেন না। কেন না আমাদের বিচারব্যবস্থা, একটা করুণ অবস্থা, সেখানে মুখ দেখে জামিন দেয়া হয় এবং অবস্থা বুঝে জামিন দেয়া হয়, রাজনৈতিক ক্ষেত্রে।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার বলেন, বেগম খালেদা জিয়া তার বিরুদ্ধে দায়ের করা ৩৮ মামলার চারটি ছাড়া সব মামলায় জামিনে আছেন। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা ছাড়াও তার বিরুদ্ধে মানহানির দু’টি মামলায় জামিন আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু এই দুই মামলায় জামিন আবেদনের শুনানি গ্রহণ করা হচ্ছে না। মানহানির এই দু’টি মামলা করেন জননেত্রী পরিষদের এ বি সিদ্দিকী। মামলা দু’টির আদেশের বিরুদ্ধে অচিরেই হাইকোর্টে জামিন আবেদন করা হবে। আশাকরি তিনি জামিন পাবেন।
এ বিষয়ে বিএনপির আইন সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে বর্তমানে ৩৮টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে সম্প্রতি ঢাকায় দু’টি মানহানি মামলা করা হয়েছে। এ দু’টি জামিনযোগ্য। এ ছাড়া জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় তার জামিন নিতে হবে। তিনি বলেন, জামিন পাওয়ার জন্য যে শর্তগুলো প্রয়োজন, খালেদা জিয়ার ক্ষেত্রে সব শর্ত পূরণ হয়ে যায়। কারণ তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী, ৭৩ বছর বয়স্ক একজন অসুস্থ মহিলা। অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। জামিনের ক্ষেত্রে এসব বিষয় অগ্রাধিকার পাওয়ার কথা, তারপরও উনাকে জামিন না দিয়ে অবিচার করা হচ্ছে। ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। আদালতের মাধ্যমেই তিনি জামিন পাবেন। মহামান্য আদালত বিষয়গুলো বিবেচনা করে উনার প্রতি ন্যায়বিচার করবেন। খালেদা জিয়া আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আশাকরি শিগগিরই তিনি ন্যায়বিচার পাবেন।
No comments