সত্তর বছর বয়সে পুনমের এই সাধ কেন? by সৌম্য বন্দ্যোপাধ্যায়
সিনেমায়
তাঁর নাম ছিল কোমল। কিন্তু সেই নাম আজ বহু বছর অতীত। এখনকার নাম যা, যে
নামটা তাঁর আসল, সেই নামেও তিনি একহাঁকে পরিচিত নন। কিন্তু যে–ই বলা হবে
পুনম হলেন শত্রুঘ্ন সিনহার স্ত্রী, এবারের লোকসভা ভোটে লক্ষ্ণৌ থেকে রাজনাথ
সিংয়ের চ্যালেঞ্জার তিনি, তখন অবধারিত প্রশ্ন উঠবে—তিনি আবার ভোটে দাঁড়াতে
গেলেন কেন? এই সত্তর বছর বয়সে হঠাৎ এই সাধ তাঁর কেনই–বা জাগল?
পুনমকে ঠিক এই প্রশ্নটাই শুনতে হলো গতকাল মঙ্গলবার রাতে, লক্ষ্ণৌয়ে তাঁর সাময়িক ডেরায়। ভোটের জন্য এক বহুতলে তিনি ঠাঁই নিয়েছেন আজ কিছুদিন হলো। দিনভর টইটই ঘুরেও ক্লান্তির ছাপ নেই চেহারায়। বেমক্কা এই প্রশ্ন শুনেও ঠোঁটের আড়াল হতে দিলেন না হাসিকে। বললেন, ‘স্বপ্নটা আমার বহু বছরের। সেই নব্বইয়ের দশকের গোড়ায়, নতুন দিল্লি আসন থেকে রাজেশ খান্নার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে শত্রুঘ্ন সিনহা যেবার হেরে গেলেন, সেবারই মনে মনে ভেবে রেখেছিলাম, একদিন না একদিন ভোটে আমায় দাঁড়াতেই হবে।’
পুনমের সেই স্বপ্ন সত্য হলো এই সত্তর বছর বয়সে পা দেওয়ার পর। কিন্তু তার আগে নিষ্ঠার সঙ্গে তিনি পালন করে গেছেন রাজনীতিক স্বামীর ভোটে জেতার যাবতীয় দায় ও দায়িত্ব।
বিহারের পাটনা সাহিব আসন থেকে বিজেপির টিকিটে দাঁড়িয়ে দুবার সাংসদ হয়েছেন শত্রুঘ্ন। তাঁর ভোট-ম্যানেজার ছিলেন পুনমই। স্বামী এবার দল পাল্টে পুরোনো আসনে কংগ্রেসের হয়ে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন রবিশঙ্কর প্রসাদকে। পুনমও পাল্লা দিচ্ছেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে। স্পষ্টই বললেন, ‘জেতার জন্যই লড়ছি।’
লড়াই অবশ্য কঠিন। সে কথা স্বীকার করতে দ্বিধা নেই পুনমের। কোমল নাম নিয়ে ষাটের দশকের মাঝামাঝি হিন্দি সিনেমার নায়িকা হিসেবে যাঁর আত্মপ্রকাশ, জিতেন্দ্রর সঙ্গে ‘জিগরি দোস্ত’ ও ধর্মেন্দ্র-সায়রা বানুর সঙ্গে ‘আদমি ঔর ইনসান’ করে যাঁর পরিচিতি, হায়দরাবাদের সিন্ধি পরিবারের সেই সুন্দরী পুনম স্পষ্ট বললেন, ‘প্রচার শুরু ইস্তক দেখছি দেশের মানুষ পরিবর্তন চাইছে। সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যখন দাঁড়ানোর কথা বললেন, তখন মনে হলো, সুপ্ত বাসনা সাকার হওয়ার এই সময়। আমি “হ্যাঁ” বলে দিলাম।’
কিন্তু স্বামীর দলে নয় কেন? প্রশ্নটা পুনমকে শুনতে হলোই। তবে জবাবটাও যেন তৈরিই ছিল। বললেন, ‘কংগ্রেসের মতো সমাজবাদী দলেরও রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিজেপি। তা ছাড়া, মায়াবতীও আজ আমার হয়ে জনতাকে বলে দিলেন, বিহারে মহাজোট থাকলে আমি ওঁর দলের প্রার্থী হতে পারতাম।’
দলের সহযোদ্ধা জয়া বচ্চন গতকাল গোটা দিন পুনমের সঙ্গে কাটালেন। পুনমের কাছে জয়া সর্বার্থেই বড় বোন। রাজনীতিতে অনেক বছর কাটিয়ে দেওয়া জয়া আগলে রাখছেন পুনমকে। পুনমের কথায়, ‘ওঁর অভিজ্ঞতা কত বেশি।’
মাকে আগলে রাখছেন যমজ ছেলের ছোটটিও। কুশ এই লক্ষ্ণৌয়ে মায়ের ভোট ম্যানেজার। সামান্য কয়েক মুহূর্তের বড় ভাই লব দেখছেন বাবা শত্রুঘ্নের আসন পাটনা সাহিব। কংগ্রেসি শত্রুঘ্ন স্ত্রীর হয়ে রোড শো করে গেছেন লক্ষ্ণৌয়ে। দু–এক দিনের মধ্যেই আসছেন অভিনেত্রী কন্যা সোনাক্ষী। গোটা পরিবারই এই মুহূর্তে রাজনীতির রঙে চুবনো। সে কথা শুনে হাসতে হাসতে পুনম বললেন, ‘ছেলেমেয়েরা সবাই প্রতিষ্ঠিত। রাজনীতির শখ মেটাতে হাতে এখন অঢেল সময়।’
তা অবশ্যই। কিন্তু লক্ষ্ণৌয়ের মানুষ ঠারেঠোরে জানতে চাইছে, রাজনাথ সিংয়ের কাছে হেরে গেলে রাজনীতিকে বাই বাই করবেন না তো পুনম সিনহা?
পুনমকে ঠিক এই প্রশ্নটাই শুনতে হলো গতকাল মঙ্গলবার রাতে, লক্ষ্ণৌয়ে তাঁর সাময়িক ডেরায়। ভোটের জন্য এক বহুতলে তিনি ঠাঁই নিয়েছেন আজ কিছুদিন হলো। দিনভর টইটই ঘুরেও ক্লান্তির ছাপ নেই চেহারায়। বেমক্কা এই প্রশ্ন শুনেও ঠোঁটের আড়াল হতে দিলেন না হাসিকে। বললেন, ‘স্বপ্নটা আমার বহু বছরের। সেই নব্বইয়ের দশকের গোড়ায়, নতুন দিল্লি আসন থেকে রাজেশ খান্নার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে শত্রুঘ্ন সিনহা যেবার হেরে গেলেন, সেবারই মনে মনে ভেবে রেখেছিলাম, একদিন না একদিন ভোটে আমায় দাঁড়াতেই হবে।’
পুনমের সেই স্বপ্ন সত্য হলো এই সত্তর বছর বয়সে পা দেওয়ার পর। কিন্তু তার আগে নিষ্ঠার সঙ্গে তিনি পালন করে গেছেন রাজনীতিক স্বামীর ভোটে জেতার যাবতীয় দায় ও দায়িত্ব।
বিহারের পাটনা সাহিব আসন থেকে বিজেপির টিকিটে দাঁড়িয়ে দুবার সাংসদ হয়েছেন শত্রুঘ্ন। তাঁর ভোট-ম্যানেজার ছিলেন পুনমই। স্বামী এবার দল পাল্টে পুরোনো আসনে কংগ্রেসের হয়ে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন রবিশঙ্কর প্রসাদকে। পুনমও পাল্লা দিচ্ছেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে। স্পষ্টই বললেন, ‘জেতার জন্যই লড়ছি।’
লড়াই অবশ্য কঠিন। সে কথা স্বীকার করতে দ্বিধা নেই পুনমের। কোমল নাম নিয়ে ষাটের দশকের মাঝামাঝি হিন্দি সিনেমার নায়িকা হিসেবে যাঁর আত্মপ্রকাশ, জিতেন্দ্রর সঙ্গে ‘জিগরি দোস্ত’ ও ধর্মেন্দ্র-সায়রা বানুর সঙ্গে ‘আদমি ঔর ইনসান’ করে যাঁর পরিচিতি, হায়দরাবাদের সিন্ধি পরিবারের সেই সুন্দরী পুনম স্পষ্ট বললেন, ‘প্রচার শুরু ইস্তক দেখছি দেশের মানুষ পরিবর্তন চাইছে। সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যখন দাঁড়ানোর কথা বললেন, তখন মনে হলো, সুপ্ত বাসনা সাকার হওয়ার এই সময়। আমি “হ্যাঁ” বলে দিলাম।’
কিন্তু স্বামীর দলে নয় কেন? প্রশ্নটা পুনমকে শুনতে হলোই। তবে জবাবটাও যেন তৈরিই ছিল। বললেন, ‘কংগ্রেসের মতো সমাজবাদী দলেরও রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিজেপি। তা ছাড়া, মায়াবতীও আজ আমার হয়ে জনতাকে বলে দিলেন, বিহারে মহাজোট থাকলে আমি ওঁর দলের প্রার্থী হতে পারতাম।’
দলের সহযোদ্ধা জয়া বচ্চন গতকাল গোটা দিন পুনমের সঙ্গে কাটালেন। পুনমের কাছে জয়া সর্বার্থেই বড় বোন। রাজনীতিতে অনেক বছর কাটিয়ে দেওয়া জয়া আগলে রাখছেন পুনমকে। পুনমের কথায়, ‘ওঁর অভিজ্ঞতা কত বেশি।’
মাকে আগলে রাখছেন যমজ ছেলের ছোটটিও। কুশ এই লক্ষ্ণৌয়ে মায়ের ভোট ম্যানেজার। সামান্য কয়েক মুহূর্তের বড় ভাই লব দেখছেন বাবা শত্রুঘ্নের আসন পাটনা সাহিব। কংগ্রেসি শত্রুঘ্ন স্ত্রীর হয়ে রোড শো করে গেছেন লক্ষ্ণৌয়ে। দু–এক দিনের মধ্যেই আসছেন অভিনেত্রী কন্যা সোনাক্ষী। গোটা পরিবারই এই মুহূর্তে রাজনীতির রঙে চুবনো। সে কথা শুনে হাসতে হাসতে পুনম বললেন, ‘ছেলেমেয়েরা সবাই প্রতিষ্ঠিত। রাজনীতির শখ মেটাতে হাতে এখন অঢেল সময়।’
তা অবশ্যই। কিন্তু লক্ষ্ণৌয়ের মানুষ ঠারেঠোরে জানতে চাইছে, রাজনাথ সিংয়ের কাছে হেরে গেলে রাজনীতিকে বাই বাই করবেন না তো পুনম সিনহা?
No comments