ডাকসু নির্বাচন: সংবাদ প্রচারে কড়াকড়ি শেষ মুহূর্তে সরব প্রচারণা by শাহনেওয়াজ বাবলু ও মুনির হোসেন
আসন্ন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের
সংবাদ প্রচারে কড়াকড়ি আরোপ করেছে প্রশাসন। গতকাল সর্বশেষ নির্দেশনায় বলা
হয়েছে নির্বাচনের সংবাদ সরাসরি সম্প্রচার করা যাবে না। একইসঙ্গে প্রত্যেক
পত্রিকার জন্য দুই জন এবং টেলিভিশনের জন্য চারজন প্রতিনিধিকে নির্বাচনের
খবর সংগ্রহের পরিচয়পত্র দেবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ নির্দেশনায়
বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত সাংবাদিকরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। এ ছাড়া
বিরোধী প্রার্থীরাও এমন নির্দেশনাকে উদ্দেশ্যমূলক বলে মনে করছেন। গতকাল
গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়,
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে হল
প্রাধ্যক্ষবৃন্দের এক সভা গত ৬ই মার্চ ভিসির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় প্রো-ভিসি (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমাদ, প্রো-ভিসি (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, চিফ রিটার্নিং অফিসার অধ্যাপক ড. এস. এম. মাহফুজুর রহমান, প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সভায় আগামী ১১ই মার্চ অনুষ্ঠেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে আর্চওয়ে আই মেটাল ডিটেক্টর স্থাপন করা হবে। শিক্ষার্থীদের আইডি কার্ড দেখিয়ে নিজ নিজ ভোট কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে। দুপুর ২টার মধ্যে যারা কেন্দ্রে প্রবেশ করবে তাদের সকলেরই ভোট গ্রহণ করা হবে। ভোটার নিজের আইডি কার্ড দেখিয়ে ব্যালট পেপার সংগ্রহ করে প্রার্থীর নামের ডানপাশে নির্ধারিত ঘরে ক্রস চিহ্ন দিয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে। দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ বুথ ও প্রয়োজনীয় সহযোগিতার ব্যবস্থা রাখা হবে।
নির্বাচনের দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩টি প্রবেশ পথ (নীলক্ষেত, শাহবাগ ও হাইকোর্ট) বিশেষ নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় থাকবে। এই ৩টি প্রবেশ পথ দিয়ে শুধুমাত্র ভোটার ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ নিজ নিজ পরিচয়পত্র দেখিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রবেশ ও বাহির হবে। ভোট কার্যক্রমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পাসযুক্ত যানবাহন বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্ধারিত এই ৩টি গেট দিয়ে চলাচল করবে। শিক্ষার্থীদের অবাধ চলাচল ও শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্ধারিত ও স্টিকারযুক্ত যানবাহন ব্যতীত অন্য কোনো যানবাহন ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারবে না। ঐদিন সর্বসাধারণকে রাত ১০টা পর্যন্ত বিকল্প রাস্তা ব্যবহারের জন্য অনুরোধ জানানো যাচ্ছে। নির্বাচনের দিন গণমাধ্যম কর্মীরা চিফ রিটার্নিং অফিসার কর্তৃক ইস্যুকৃত পরিচয় পত্র দেখিয়ে সংশ্লিষ্ট হলের রিটার্নিং অফিসারের অনুমতি নিয়ে ভোট কেন্দ্রের গেস্টরুম/নির্ধারিত স্থান পর্যন্ত প্রবেশ করতে পারবেন।
ভোট কেন্দ্র থেকে সরাসরি সম্প্রচার করা যাবে না। ভোট গ্রহণ কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হতে পারে এমন কোনো কাজ করা যাবে না। ভোট কেন্দ্রে মোবাইল ফোনসহ সকল ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার নিষিদ্ধ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সদস্যবৃন্দ এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার নির্ধারিত সংখ্যক প্রতিনিধি (পাস পাওয়া সাপেক্ষে) ভোট কেন্দ্রের নির্ধারিত স্থানে উপস্থিত থাকতে পারবেন। আবেদন সাপেক্ষে একটি টেলিভিশন চ্যানেলের জন্য সর্বোচ্চ ৪টি ক্যামেরা ইউনিটকে এবং প্রতিটি প্রিন্ট মিডিয়ার সর্বাধিক ২জন সাংবাদিককে পরিচয়পত্র প্রদান করা হবে। পরিচয়পত্র প্রাপ্তির জন্য চিফ রিটার্নিং অফিসার বরাবর আবেদন করতে হবে। আবেদনপত্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া কর্তৃপক্ষের প্রত্যয়নপত্র, জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি ও ২ কপি স্ট্যাম্প সাইজের ছবি সংযুক্ত করতে হবে। আগামী ১০ই মার্চ রোববার দুপুর ২টার মধ্যে পরিচয়পত্র সংগ্রহ করতে হবে। উল্লেখ্য, নির্বাচনের দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ থাকবে।
সরগরম প্রচারণা: মধ্যরাতের পরই থেমে যাচ্ছে ডাকসু নির্বাচনের প্রচার প্রচারণা। হলগুলোতে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রচার। গতকাল দিনভর প্রচার চালিয়েছেন প্রার্থীরা। ছুটির দিন হওয়ায় সকাল থেকেই প্রচারণার কেন্দ্র ছিল হলগুলো। আজও হলে হলে হবে প্রচার। শেষ মুহূর্তে সরগরম প্রচার প্রচারণা চললেও আছে শঙ্কাও। গতকাল বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকার কারণে হলগুলোতে তেমন কোনো প্রচারণা দেখা যায়নি। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রার্থীরা তাদের লোকজন দিয়ে হলগুলোর সামনে জমায়েত হন। পরে তারা রুমে রুমে গিয়ে ভোটারদের কাছে ভোট চান এবং বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দেন। জুমার নামাজ শেষে মসজিদে অনেক প্রার্থী দাঁড়িয়ে ভোট প্রার্থনা করেন। নামাজ শেষে বের হওয়া মুসল্লিদের মাঝে লিফলেট বিতরণ করেন।
গত রোববার প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের পরই পুরোদমে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন প্রার্থীরা। ছাত্রলীগ, ছাত্রদল, বামসহ বিভিন্ন প্যানেলের প্রার্থীরা নির্বিঘ্নে প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোয়। সেখানে নিজ নিজ হলের প্রার্থীরা হলের গেট, ক্যান্টিন এবং টিভি রুমে নিজেদের ব্যানার-পোস্টার টানিয়েছেন। রুমে রুমে গিয়ে বিতরণ করছেন লিফলেট।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নির্বাচনের বিষয়ে প্রশাসনের উদ্যোগকে স্বাগত জানান। যদিও ভোটের পরিবেশ নিয়ে শঙ্কাবোধ করেন তারা। তবে, ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টি করতে তারা উভয় পক্ষকেই দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আশা করেন।
ইসলাম ইতিহাস বিভাগের ছাত্র সোহেল বলেন, ডাকসু নির্বাচনে হলে ভোট কেন্দ্র করায় অনেকেই হলে ভোট দিতে যাবেন না। কেননা, এ নির্বাচন ‘জাতীয় নির্বাচনের’ মতো হতে পারে। কিন্তু এমনটা হলে বিশ্ববিদ্যালয় তার ঐতিহ্য হারাবে।
জিয়া হলের শিক্ষার্থী মাহাবুব আলম বলেন, আমি ছাত্রলীগের একজন কর্মী। আমি চাই এবারের ডাকসু নির্বাচন দেশের ইতিহাসে একটি রোল মডেল হয়ে থাকবে। যে প্রার্থীই জয়ী হোক, আমি চাই একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এসএম হলের এক শিক্ষার্থী বলেন, ডাকসু নির্বাচনে ভোট দিব এটা ভাবতেই অনেক আনন্দ লাগছে। পাশাপাশি শঙ্কাও লাগছে। কারণ আমি আমার ভোট দিতে পারবোতো? বাইরে ভোট কেন্দ্র হলে সুবিধা হতো। হলে ভোট কেন্দ্র হওয়ার কারণে কারচুপি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি রয়েছে।
তবে নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার আশা প্রকাশ করেন ডাকসু ও হল নির্বাচনের চীফ রিটার্নিং অফিসার অধ্যাপক এস এম মাহফুজুর রহমান। তিনি বলেন, এই নির্বাচনকে ঘিরে আমরা সদা সজাগ দৃষ্টি রাখছি। বিদ্যমান শান্তিপূর্ণ, সুশৃঙ্খল পরিবেশ যাতে কোনোক্রমেই বিঘ্নিত না হয়, সে বিষয়ে প্রশাসন সতর্ক থাকবে। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থীর আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করছি।
সভায় প্রো-ভিসি (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমাদ, প্রো-ভিসি (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, চিফ রিটার্নিং অফিসার অধ্যাপক ড. এস. এম. মাহফুজুর রহমান, প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সভায় আগামী ১১ই মার্চ অনুষ্ঠেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে আর্চওয়ে আই মেটাল ডিটেক্টর স্থাপন করা হবে। শিক্ষার্থীদের আইডি কার্ড দেখিয়ে নিজ নিজ ভোট কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে। দুপুর ২টার মধ্যে যারা কেন্দ্রে প্রবেশ করবে তাদের সকলেরই ভোট গ্রহণ করা হবে। ভোটার নিজের আইডি কার্ড দেখিয়ে ব্যালট পেপার সংগ্রহ করে প্রার্থীর নামের ডানপাশে নির্ধারিত ঘরে ক্রস চিহ্ন দিয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে। দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ বুথ ও প্রয়োজনীয় সহযোগিতার ব্যবস্থা রাখা হবে।
নির্বাচনের দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩টি প্রবেশ পথ (নীলক্ষেত, শাহবাগ ও হাইকোর্ট) বিশেষ নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় থাকবে। এই ৩টি প্রবেশ পথ দিয়ে শুধুমাত্র ভোটার ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ নিজ নিজ পরিচয়পত্র দেখিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রবেশ ও বাহির হবে। ভোট কার্যক্রমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পাসযুক্ত যানবাহন বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্ধারিত এই ৩টি গেট দিয়ে চলাচল করবে। শিক্ষার্থীদের অবাধ চলাচল ও শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্ধারিত ও স্টিকারযুক্ত যানবাহন ব্যতীত অন্য কোনো যানবাহন ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারবে না। ঐদিন সর্বসাধারণকে রাত ১০টা পর্যন্ত বিকল্প রাস্তা ব্যবহারের জন্য অনুরোধ জানানো যাচ্ছে। নির্বাচনের দিন গণমাধ্যম কর্মীরা চিফ রিটার্নিং অফিসার কর্তৃক ইস্যুকৃত পরিচয় পত্র দেখিয়ে সংশ্লিষ্ট হলের রিটার্নিং অফিসারের অনুমতি নিয়ে ভোট কেন্দ্রের গেস্টরুম/নির্ধারিত স্থান পর্যন্ত প্রবেশ করতে পারবেন।
ভোট কেন্দ্র থেকে সরাসরি সম্প্রচার করা যাবে না। ভোট গ্রহণ কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হতে পারে এমন কোনো কাজ করা যাবে না। ভোট কেন্দ্রে মোবাইল ফোনসহ সকল ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার নিষিদ্ধ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সদস্যবৃন্দ এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার নির্ধারিত সংখ্যক প্রতিনিধি (পাস পাওয়া সাপেক্ষে) ভোট কেন্দ্রের নির্ধারিত স্থানে উপস্থিত থাকতে পারবেন। আবেদন সাপেক্ষে একটি টেলিভিশন চ্যানেলের জন্য সর্বোচ্চ ৪টি ক্যামেরা ইউনিটকে এবং প্রতিটি প্রিন্ট মিডিয়ার সর্বাধিক ২জন সাংবাদিককে পরিচয়পত্র প্রদান করা হবে। পরিচয়পত্র প্রাপ্তির জন্য চিফ রিটার্নিং অফিসার বরাবর আবেদন করতে হবে। আবেদনপত্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া কর্তৃপক্ষের প্রত্যয়নপত্র, জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি ও ২ কপি স্ট্যাম্প সাইজের ছবি সংযুক্ত করতে হবে। আগামী ১০ই মার্চ রোববার দুপুর ২টার মধ্যে পরিচয়পত্র সংগ্রহ করতে হবে। উল্লেখ্য, নির্বাচনের দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ থাকবে।
সরগরম প্রচারণা: মধ্যরাতের পরই থেমে যাচ্ছে ডাকসু নির্বাচনের প্রচার প্রচারণা। হলগুলোতে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রচার। গতকাল দিনভর প্রচার চালিয়েছেন প্রার্থীরা। ছুটির দিন হওয়ায় সকাল থেকেই প্রচারণার কেন্দ্র ছিল হলগুলো। আজও হলে হলে হবে প্রচার। শেষ মুহূর্তে সরগরম প্রচার প্রচারণা চললেও আছে শঙ্কাও। গতকাল বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকার কারণে হলগুলোতে তেমন কোনো প্রচারণা দেখা যায়নি। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রার্থীরা তাদের লোকজন দিয়ে হলগুলোর সামনে জমায়েত হন। পরে তারা রুমে রুমে গিয়ে ভোটারদের কাছে ভোট চান এবং বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দেন। জুমার নামাজ শেষে মসজিদে অনেক প্রার্থী দাঁড়িয়ে ভোট প্রার্থনা করেন। নামাজ শেষে বের হওয়া মুসল্লিদের মাঝে লিফলেট বিতরণ করেন।
গত রোববার প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের পরই পুরোদমে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন প্রার্থীরা। ছাত্রলীগ, ছাত্রদল, বামসহ বিভিন্ন প্যানেলের প্রার্থীরা নির্বিঘ্নে প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোয়। সেখানে নিজ নিজ হলের প্রার্থীরা হলের গেট, ক্যান্টিন এবং টিভি রুমে নিজেদের ব্যানার-পোস্টার টানিয়েছেন। রুমে রুমে গিয়ে বিতরণ করছেন লিফলেট।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নির্বাচনের বিষয়ে প্রশাসনের উদ্যোগকে স্বাগত জানান। যদিও ভোটের পরিবেশ নিয়ে শঙ্কাবোধ করেন তারা। তবে, ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টি করতে তারা উভয় পক্ষকেই দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আশা করেন।
ইসলাম ইতিহাস বিভাগের ছাত্র সোহেল বলেন, ডাকসু নির্বাচনে হলে ভোট কেন্দ্র করায় অনেকেই হলে ভোট দিতে যাবেন না। কেননা, এ নির্বাচন ‘জাতীয় নির্বাচনের’ মতো হতে পারে। কিন্তু এমনটা হলে বিশ্ববিদ্যালয় তার ঐতিহ্য হারাবে।
জিয়া হলের শিক্ষার্থী মাহাবুব আলম বলেন, আমি ছাত্রলীগের একজন কর্মী। আমি চাই এবারের ডাকসু নির্বাচন দেশের ইতিহাসে একটি রোল মডেল হয়ে থাকবে। যে প্রার্থীই জয়ী হোক, আমি চাই একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এসএম হলের এক শিক্ষার্থী বলেন, ডাকসু নির্বাচনে ভোট দিব এটা ভাবতেই অনেক আনন্দ লাগছে। পাশাপাশি শঙ্কাও লাগছে। কারণ আমি আমার ভোট দিতে পারবোতো? বাইরে ভোট কেন্দ্র হলে সুবিধা হতো। হলে ভোট কেন্দ্র হওয়ার কারণে কারচুপি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি রয়েছে।
তবে নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার আশা প্রকাশ করেন ডাকসু ও হল নির্বাচনের চীফ রিটার্নিং অফিসার অধ্যাপক এস এম মাহফুজুর রহমান। তিনি বলেন, এই নির্বাচনকে ঘিরে আমরা সদা সজাগ দৃষ্টি রাখছি। বিদ্যমান শান্তিপূর্ণ, সুশৃঙ্খল পরিবেশ যাতে কোনোক্রমেই বিঘ্নিত না হয়, সে বিষয়ে প্রশাসন সতর্ক থাকবে। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থীর আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করছি।
No comments