রোহিঙ্গাদের অর্থের প্রস্তাব দেওয়া হয়নি: চীন
বাংলাদেশে
পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের মিয়মানমারে ফিরে যাওয়ার ব্যাপারে কোনও অর্থ
প্রস্তাব হয়নি বলে দাবি করছে চীন। একদিন আগেই বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের
প্রতিবেদনে বলা হয়, মিয়ানমারের রাখাইনে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে
রোহিঙ্গাদের প্রত্যেক পরিবারকে অর্থ সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছিলো চীন।
২০১৭ সালের আগস্টে নিরাপত্তা বাহিনীর তল্লাশি চৌকিতে হামলার পর রাখাইনে পূর্ব পরিকল্পিত ও কাঠামোবদ্ধ সহিংসতা জোরালো করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। নিপীড়নের মুখে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা। জাতিসংঘসহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা ও আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ওই অভিযানে জাতিগত নিধনযজ্ঞের আলামত পেয়েছে। পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের ফেরাতে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার চুক্তি করলেও এখনও শুরু হয়নি প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া।
চীন সরকারের এশিয়া বিষয়ক দূত সুন গোজিয়াংয়ের নেতৃত্বে কক্সবাজার রোহিঙ্গা ও অন্যান্যদের সাথে আলোচনা করে। কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং শরণার্থী শিবিরে রবিবার ২৯ জন রোহিঙ্গা নারী-পুরুষের সাথে বৈঠক করেন তিনি।সেখানে রোহিঙ্গাদের ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে ৬ হাজার ডলার আর্থিক সহায়তার প্রস্তাব দেয় চীন। রোহিঙ্গাদের নিয়ে কাজ করা েএকটি এনজিও তার ভিডিও অনলাইনে প্রকাশ করে।
ঢাকার চীনা দূতাবাসের পলিটিক্যাল ডেস্কের প্রধান ভেরা হু’র সাথে ওইদিন যোগাযোগ করা হলে পরদিন বুধবার এক ইমেইল বার্তায় তিনি চীনের পক্ষ থেকে রোহিঙ্গাদের টাকা দেবার প্রস্তাব অস্বীকার করেন। আমি ভিডিওটি দেখিনি এবং সেখানে ছিলামও না। তবে চীন কখনো রোহিঙ্গাদের অর্থ প্রস্তাব দিতে পারে না।’ বলে জানান তিনি। বলেন, রোহিঙ্গাদের রাখাইন ফিরে যাবার জন্য চীন কখনো টাকা দেবার প্রস্তাব করেনি, বরং এই টাকা মিয়ানমারের দেওয়ার কথা বলে বেনারকে জানায় ঢাকার চীনা দূতাবাস।
রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারের পক্ষ থেকে টাকা দেওয়া হবে কি না এই তথ্যের সত্যতা তাৎক্ষণিকভাবে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি। বৃহস্পতিবার মিয়ানমার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ড. উইন মিয়াত আয়ে এবং রাখাইন তদন্ত কমিশনের সদস্য ড. অং তুন থেটকে কয়েকবার ফোন করেও সাড়া পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে রেডিও ফ্রি এশিয়া।
রোহিঙ্গাদের ওপর নিপীড়নের ঘটনাকে জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্র জাতিগত নিধনযজ্ঞ বলে আখ্যা দিলেও মিয়ানমারকে সমর্থন দিয়ে আসছে চীন। সশস্ত্র গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ওই অভিযান চালানো হয়েছে বলে করা মিয়ানমারের দাবিকে সমর্থন করছে এশিয়ার অন্যতম পরাশক্তি চীন। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ এ নিয়ে যে পদক্ষেপই নিতে চেষ্টা করুক না কেন, তাতে বাধ সাধে স্থায়ী সদস্য চীন, তার সাথে রাশিয়াও।
২০১৭ সালের আগস্টে নিরাপত্তা বাহিনীর তল্লাশি চৌকিতে হামলার পর রাখাইনে পূর্ব পরিকল্পিত ও কাঠামোবদ্ধ সহিংসতা জোরালো করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। নিপীড়নের মুখে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা। জাতিসংঘসহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা ও আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ওই অভিযানে জাতিগত নিধনযজ্ঞের আলামত পেয়েছে। পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের ফেরাতে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার চুক্তি করলেও এখনও শুরু হয়নি প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া।
চীন সরকারের এশিয়া বিষয়ক দূত সুন গোজিয়াংয়ের নেতৃত্বে কক্সবাজার রোহিঙ্গা ও অন্যান্যদের সাথে আলোচনা করে। কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং শরণার্থী শিবিরে রবিবার ২৯ জন রোহিঙ্গা নারী-পুরুষের সাথে বৈঠক করেন তিনি।সেখানে রোহিঙ্গাদের ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে ৬ হাজার ডলার আর্থিক সহায়তার প্রস্তাব দেয় চীন। রোহিঙ্গাদের নিয়ে কাজ করা েএকটি এনজিও তার ভিডিও অনলাইনে প্রকাশ করে।
ঢাকার চীনা দূতাবাসের পলিটিক্যাল ডেস্কের প্রধান ভেরা হু’র সাথে ওইদিন যোগাযোগ করা হলে পরদিন বুধবার এক ইমেইল বার্তায় তিনি চীনের পক্ষ থেকে রোহিঙ্গাদের টাকা দেবার প্রস্তাব অস্বীকার করেন। আমি ভিডিওটি দেখিনি এবং সেখানে ছিলামও না। তবে চীন কখনো রোহিঙ্গাদের অর্থ প্রস্তাব দিতে পারে না।’ বলে জানান তিনি। বলেন, রোহিঙ্গাদের রাখাইন ফিরে যাবার জন্য চীন কখনো টাকা দেবার প্রস্তাব করেনি, বরং এই টাকা মিয়ানমারের দেওয়ার কথা বলে বেনারকে জানায় ঢাকার চীনা দূতাবাস।
রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারের পক্ষ থেকে টাকা দেওয়া হবে কি না এই তথ্যের সত্যতা তাৎক্ষণিকভাবে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি। বৃহস্পতিবার মিয়ানমার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ড. উইন মিয়াত আয়ে এবং রাখাইন তদন্ত কমিশনের সদস্য ড. অং তুন থেটকে কয়েকবার ফোন করেও সাড়া পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে রেডিও ফ্রি এশিয়া।
রোহিঙ্গাদের ওপর নিপীড়নের ঘটনাকে জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্র জাতিগত নিধনযজ্ঞ বলে আখ্যা দিলেও মিয়ানমারকে সমর্থন দিয়ে আসছে চীন। সশস্ত্র গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ওই অভিযান চালানো হয়েছে বলে করা মিয়ানমারের দাবিকে সমর্থন করছে এশিয়ার অন্যতম পরাশক্তি চীন। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ এ নিয়ে যে পদক্ষেপই নিতে চেষ্টা করুক না কেন, তাতে বাধ সাধে স্থায়ী সদস্য চীন, তার সাথে রাশিয়াও।
No comments