রাইসা নাসের: একটি ‘মাধ্যম’ হয়ে ঢাবি শিক্ষার্থীদের মধ্যে থাকব by আতিক নয়ন
১১
মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে
‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী সংসদ’ প্যানেল থেকে সদস্য পদে (ব্যালট-৭২) লড়ছেন
রাইসা নাসের। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ে স্বপ্ন দেখেন এই তরুণী। নারী
অধিকার, নারীর ক্ষমতায়ন প্রতিষ্ঠায় কাজ করতে আগ্রহী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের
(ঢাবি) সায়েন্স ফ্যাকাল্টির এই শিক্ষার্থী। নির্বাচিত হলে ঢাবির
শিক্ষার্থীদের জন্য করণীয় নিজের নানামুখি ভাবনা নিয়ে মানবজমিনের সঙ্গে কথা
বলেছেন রাইসা নাসের।
শুরুতেই রাইসা নাসেরের কাছে জানতে চাওয়া হয় তার প্রার্থী হওয়ার লক্ষ্য-উদ্দেশ্য সম্পর্কে। এ প্রসঙ্গে রাইসা বলেন, ডাকসু প্রকৃত অর্থে কেবল একটি রাজনৈতিক প্লাটফর্ম- বিষয়টি তা নয়, ডাকসুর ইতিহাসের দিকে তাকালে আমরা দেখবো, ডাকসু রাজনৈতিকভাবে যেমন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রতিনিত্ব করেছে তেমনি সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও সহশিক্ষার দিক থেকে ডাকসু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রতিনিধিত্ব করেছে। আমি দীর্ঘদিন যাবত সামাজিক-সাংস্কৃতিক বিভন্ন ক্ষেত্রে কাজ করছি। আমার অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করতে চাই।
রাইসা বলেন, আমি কার্জল হলের শিক্ষার্থী, আমি দেখেছি বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের কী কী ধরনের সমস্যা হতে পারে। সেখানে গবেষণার সুযোগ খুবই কম। গবেষণার ব্যপারে প্রণোদনা দেয়া হয় কম। কার্জন হলের লাইব্রেরির পরিবেশ, খাবারের পরিবেশ, কোনো কিছুই সেখানে ঠিক নেই। সবার প্রতিনিধি হয়ে আসতে পারলে, আমি যে সমস্যাগুলোর সম্মুখিন হয়েছি, সেগুলোর সমাধানে কাজ করব।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সায়েন্স সোসাইটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট রাইসা বলেন, আমি যেহেতু এই সংগঠনে অনেক দিন থেকে যুক্ত, আমি দেখেছি টিএসসিতে এমনও সংগঠন আছে, যেথানে শিক্ষার্থীরা কাজের জন্য রুম পর্যন্ত পায় না, ইন্টারনেটের ভালো সুবিধা নেই। তারা অনেক কষ্ট করে কাজ করে।
নারী নেতৃত্বের ওপর গুরুত্বারোপ করে সুফিয়া কামাল হলের শিক্ষার্থী বলেন, আমাকে একজন নারী হিসেবে প্রায়ই শুনতে হয়, টিএসসিতে যত রকম সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন আছে, তার মধ্যে আমিই একমাত্র নারী সভাপতি। আসলে এটা শুনতে আমার খারাপ লাগে। আমি চাই নারী নেতৃত্ব, নারীদের অংশগ্রহণ সবকিছু আরও বিস্তৃত হোক। স্বাভাবিকভাবে আমি যে সমস্যাগুলো ফেস করেছি, তার সবগুলো নিয়ে আমি কজ করতে চাই।
এক প্রশ্নের জবাবে রাইসা বলেন, শিক্ষার্থীদের সমস্যাগুলো তুলে ধরার জন্য তাদের এখন কোনো প্লাটফর্ম নেই। তারা চাইলেই যে কোনো সমস্যা প্রশাসনকে জানাতে পারে না। আমি অবশ্যই একটি মাধ্যম হয়ে তাদের মধ্যে থাকব, যাতে তারা নির্ভয়ে, বিনা সংকোচে তাদের সমস্যাগুলোর কথা জানাতে পারে। আমি তাদের সমস্যাগুলো শোনার জন্য সবসময় প্রস্তুত থাকব। এবং তাদের যেকোনো সমস্যা, যে কোনো যৌক্তিক দাবি সাধ্যমতো সমাধানের চেষ্টা করব।
ক্যারিয়ার সম্পর্কে জানতে চাইলে বিজ্ঞানের এই শিক্ষার্থী বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দেশ সেরা বিদ্যাপিঠ হওয়া স্বত্ত্বেও বিজ্ঞান ও গবেষণায় অনেকটাই পিছিয়ে আছে। এ বিষয়গুলোতে উন্নতি না করলে আসলে জাতিগতভাবে কখনোই আমাদের উন্নতি করা সম্ভব না। আমার নিজেরও ইচ্ছে, গবেষণায় ক্যারিয়ার গড়ার, হয়তো বিজ্ঞান নিয়ে কোনো কিছু করব।
নিজের প্রচারণার অগ্রগতি নিয়ে তিনি জানান, প্রচারণার শেষ সময়ে সকল প্রার্থীই ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন, ব্যতিক্রম নন তিনিও। ভোটার শিক্ষার্থীদের কাছ থেকেও ভালো সাড়া পাচ্ছেন বলে জানান তিনি। ১১ মার্চ নির্বাচনে সকল ভোটার শিক্ষার্থীকে ভোটকেন্দ্রে এসে ভোটাধিকার প্রয়োগেরও অনুরোধ জানান রাইসা। পাশাপাশি যোগ্য প্রার্থীর বিষয়ে বিচার বিশ্লেষণ করে পূর্ব প্রস্তুতি নিয়ে ভোটারদের ভোট কেন্দ্র যাওয়ার অনুরোধ জানান ভিকারুননিসা নূন স্কুল এন্ড কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী রাইসা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাপ্লাইড কেমিস্ট্রি বিভাগে মাস্টার্সে অধ্যয়নরত রাইসা নাসের। বর্তমানে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সায়েন্স সোসাইটির প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। কলেজের শিক্ষা জীবন থেকে ভালো বিতার্কিক হিসেবে বেশ সুনাম কুড়িয়েছেন রাইসা। ভিকারুননিসা নূন স্কুল এন্ড কলেজ ডিবেটিং ক্লাবে শীর্ষ পর্যায়ের দায়িত্ব পালন করেছেন এই তরুণী। বিশ্ববিদ্যালয়ে বিতর্কসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে কাজ করে বেশ সুপরিচিত মুখ রাইসা নাসের।
শুরুতেই রাইসা নাসেরের কাছে জানতে চাওয়া হয় তার প্রার্থী হওয়ার লক্ষ্য-উদ্দেশ্য সম্পর্কে। এ প্রসঙ্গে রাইসা বলেন, ডাকসু প্রকৃত অর্থে কেবল একটি রাজনৈতিক প্লাটফর্ম- বিষয়টি তা নয়, ডাকসুর ইতিহাসের দিকে তাকালে আমরা দেখবো, ডাকসু রাজনৈতিকভাবে যেমন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রতিনিত্ব করেছে তেমনি সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও সহশিক্ষার দিক থেকে ডাকসু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রতিনিধিত্ব করেছে। আমি দীর্ঘদিন যাবত সামাজিক-সাংস্কৃতিক বিভন্ন ক্ষেত্রে কাজ করছি। আমার অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করতে চাই।
রাইসা বলেন, আমি কার্জল হলের শিক্ষার্থী, আমি দেখেছি বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের কী কী ধরনের সমস্যা হতে পারে। সেখানে গবেষণার সুযোগ খুবই কম। গবেষণার ব্যপারে প্রণোদনা দেয়া হয় কম। কার্জন হলের লাইব্রেরির পরিবেশ, খাবারের পরিবেশ, কোনো কিছুই সেখানে ঠিক নেই। সবার প্রতিনিধি হয়ে আসতে পারলে, আমি যে সমস্যাগুলোর সম্মুখিন হয়েছি, সেগুলোর সমাধানে কাজ করব।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সায়েন্স সোসাইটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট রাইসা বলেন, আমি যেহেতু এই সংগঠনে অনেক দিন থেকে যুক্ত, আমি দেখেছি টিএসসিতে এমনও সংগঠন আছে, যেথানে শিক্ষার্থীরা কাজের জন্য রুম পর্যন্ত পায় না, ইন্টারনেটের ভালো সুবিধা নেই। তারা অনেক কষ্ট করে কাজ করে।
নারী নেতৃত্বের ওপর গুরুত্বারোপ করে সুফিয়া কামাল হলের শিক্ষার্থী বলেন, আমাকে একজন নারী হিসেবে প্রায়ই শুনতে হয়, টিএসসিতে যত রকম সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন আছে, তার মধ্যে আমিই একমাত্র নারী সভাপতি। আসলে এটা শুনতে আমার খারাপ লাগে। আমি চাই নারী নেতৃত্ব, নারীদের অংশগ্রহণ সবকিছু আরও বিস্তৃত হোক। স্বাভাবিকভাবে আমি যে সমস্যাগুলো ফেস করেছি, তার সবগুলো নিয়ে আমি কজ করতে চাই।
এক প্রশ্নের জবাবে রাইসা বলেন, শিক্ষার্থীদের সমস্যাগুলো তুলে ধরার জন্য তাদের এখন কোনো প্লাটফর্ম নেই। তারা চাইলেই যে কোনো সমস্যা প্রশাসনকে জানাতে পারে না। আমি অবশ্যই একটি মাধ্যম হয়ে তাদের মধ্যে থাকব, যাতে তারা নির্ভয়ে, বিনা সংকোচে তাদের সমস্যাগুলোর কথা জানাতে পারে। আমি তাদের সমস্যাগুলো শোনার জন্য সবসময় প্রস্তুত থাকব। এবং তাদের যেকোনো সমস্যা, যে কোনো যৌক্তিক দাবি সাধ্যমতো সমাধানের চেষ্টা করব।
ক্যারিয়ার সম্পর্কে জানতে চাইলে বিজ্ঞানের এই শিক্ষার্থী বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দেশ সেরা বিদ্যাপিঠ হওয়া স্বত্ত্বেও বিজ্ঞান ও গবেষণায় অনেকটাই পিছিয়ে আছে। এ বিষয়গুলোতে উন্নতি না করলে আসলে জাতিগতভাবে কখনোই আমাদের উন্নতি করা সম্ভব না। আমার নিজেরও ইচ্ছে, গবেষণায় ক্যারিয়ার গড়ার, হয়তো বিজ্ঞান নিয়ে কোনো কিছু করব।
নিজের প্রচারণার অগ্রগতি নিয়ে তিনি জানান, প্রচারণার শেষ সময়ে সকল প্রার্থীই ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন, ব্যতিক্রম নন তিনিও। ভোটার শিক্ষার্থীদের কাছ থেকেও ভালো সাড়া পাচ্ছেন বলে জানান তিনি। ১১ মার্চ নির্বাচনে সকল ভোটার শিক্ষার্থীকে ভোটকেন্দ্রে এসে ভোটাধিকার প্রয়োগেরও অনুরোধ জানান রাইসা। পাশাপাশি যোগ্য প্রার্থীর বিষয়ে বিচার বিশ্লেষণ করে পূর্ব প্রস্তুতি নিয়ে ভোটারদের ভোট কেন্দ্র যাওয়ার অনুরোধ জানান ভিকারুননিসা নূন স্কুল এন্ড কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী রাইসা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাপ্লাইড কেমিস্ট্রি বিভাগে মাস্টার্সে অধ্যয়নরত রাইসা নাসের। বর্তমানে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সায়েন্স সোসাইটির প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। কলেজের শিক্ষা জীবন থেকে ভালো বিতার্কিক হিসেবে বেশ সুনাম কুড়িয়েছেন রাইসা। ভিকারুননিসা নূন স্কুল এন্ড কলেজ ডিবেটিং ক্লাবে শীর্ষ পর্যায়ের দায়িত্ব পালন করেছেন এই তরুণী। বিশ্ববিদ্যালয়ে বিতর্কসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে কাজ করে বেশ সুপরিচিত মুখ রাইসা নাসের।
No comments