শেষ মুহূর্তে জটিলতা, রাতে ভারতীয় পাইলটকে হস্তান্তর
পাক
হেফাজতে থাকা ভারতীয় পাইলট উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমানকে মুক্তি দিয়েছে
পাকিস্তান। শুক্রবার সন্ধ্যার সূর্য্য যখন পশ্চিম দিগন্তে ঢলে পড়েছে ঠিক
তখনই অভিনন্দনকে নিয়ে কনভয় এসে পৌঁছেছে ওয়াঘা-আটারি সীমান্তের চেকপোস্টে।
বিটিং দ্য রিট্রিট সেরিমনির পরই পাকিস্তান অভিনন্দনকে ভারতের হাতে তুলে
দেওয়ার কথা থাকলেও তার হস্তান্তরের কাগজপত্র ঠিক না থাকার অজুহাতে গোটা
প্রক্রিয়া বিলম্বিত হয়েছে। সীমান্তে এসে পৌঁছানোর পর তিন ঘন্টা ধরে নানা
টানাপোড়েনের পর তাকে ভারতের হাতে তুলে দেওযা হয়েছে।
তবে পাকিস্তানের এই ঢিলেমির জন্য প্রবল সমালোচনার ঝড় উঠেছে ভারতে। মিডিয়া সুত্রে বলা হয়েছে, ভারতের হাতে অভিনন্দনকে তুলে দেবার আগে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে জোরপূর্বক তার বক্তব্য ভিডিও রেকর্ড করা হয়েছে। সেই ভিডিও নিয়েও বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম সুত্রে জানানো হয়েছিল অভিনন্দন ভারতের মাটিতে পা রেখেছেন। টেলিভিশনে ব্রেকিং নিউজেও এই খবর প্রচার করা হয়েছিল।
কিন্তু রাত যত বেড়েছে ততই অনিশ্চয়তার কথা জানানো হয়েছে। শেষপর্যন্ত বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা ৪০ মিনিটে পাকিস্তান সীমান্তে শুল্ক ও আভিবাসনের কাজ শেষ করে অভিনন্দন প্রবেশ করেছেন ভারতীয় ভূমিতে । সেখানেও একদফা শুল্ক ও আভিবাসনের কাজ শেষ হওয়ার পর উইং কমান্ডার অভিনন্দনকে সেখানেই স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেছেন সেনা চিকিৎসকরা।
ভারত সীমান্তে অভিনন্দনকে স্বাগত জানান এয়ার ভাইস মার্শাল আর জি কে কাপুর সহ ভারতীয় বিমান বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা। উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা। অভিনন্দন বর্তমান ভারতের মাটিতে পা দিয়েছে জানার পরই সীমান্তে উপস্থিত মানুষ উন্মাদনায় উদ্বেল হয়ে উঠেছেন। অনেকে ঢাক ঢোল বাজিয়ে অভিনন্দনকে বীরের অভ্যর্থনা জানিয়েছেন। ‘ভারত মাতা কি জয়’, ‘বন্দে মাতরম’ ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠেছিল সীমান্ত এলাকা। এই জনতা বৃহষ্পতিবার রাত এবং শুক্রবার সকাল থেকেই অপেক্ষা করেছেন অভিনন্দনকে স্বাগত জানাতে। তবে সবচেয়ে আবেগঘন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল যখন অভিনন্দন তার পিতা ও মাতার সঙ্গে মিলিত হয়েছেন। তারা গতকাল রাতেই চেন্নাই থেকে নয়াদিল্লি এসে পৌঁছেছিলেন। আজ দুপুরেই তারা পৌঁছে গিয়েছিলেন অমৃতসর। সেখান থেকে সীমান্তে। অভিনন্দনের আগমন উপলক্ষ্যে সীমান্তে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সীমান্ত থেকে বিমান বাহিনী ও পাইলটের পিতা-মাতাকে নিয়ে অভিনন্দনকে অনা হবে অমৃতসরে।
সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হবে নয়াদিল্লিতে। বৃহষ্পতিবার বিকেলেই পাক প্রধানমন্ত্রী পাকিস্তান সংসদের যৌথ অধিবেশনে ঘোষনা করেছিলেন, শান্তির পদক্ষেপ হিসেবে শুক্রবারই অভিনন্দনকে মুক্তি দিয়ে ভারতের হাতে তুলে দেয়া হবে। ভারত অবশ্য মুক্তি পাওয়া পাইলটকে সরাসরি বিমানে উড়িয়ে নয়াদিল্লি নিয়ে আসার প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্ত পাকিস্তান সরকার তা নাকচ করে দিয়ে জানিয়ে দিয়েছিল যে ওয়াঘা-আটারি সীমানÍ দিয়েই আটক পাইলটকে ফেরত দেয়া হবে। সংবাদমাধ্যম সুত্রের খবর, শুক্রবার সকালে পাইলট অভিনন্দনকে প্রথমে রাওয়ালপিন্ডি থেকে লাহোরে আনা হয়। সেখানে ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব রেড ক্রস (আইসিআরসি)-এর হাতে তুলে দেয়া হয় বিমান বাহিনীর এই উইং কম্যান্ডারকে। সেসময় উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তনে ভারতীয় হাইকমিশনের প্রতিনিধিরাও। তার পরে সন্ধ্যা নাগাদ তাঁকে নিয়ে আসা হয় ওয়াঘা-আটারি সীমান্তে। পাক পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের এক সূত্রে ডন টিভি নিউজ-কে জানিয়েছে, ভারতীয় হাইকমিশনের অ্যাটাশে জে টি ক্যুরিয়েন অভিনন্দনের সঙ্গে রয়েছেন।
এর আগে কার্গিল যুদ্ধের সময়ও ভারতীয় পাইলট নচিকেতাকে পাকিস্তান রেডক্রসের মাধ্যমেই ভারতের হাতে তুলে দিয়েছিল ঘটনার আট দিনের মাথায়। ভারত অবশ্য দাবি করেছে, আন্তর্জাতিক স্তরে প্রবল চাপ এবং জেনেভা কনভেনশন অনুয়ায়ীই পাকিস্তান আটক পাইলটকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়েছে। বুধবার পাকিস্তান সেনাবাহিনীর হাতে উইং কম্যান্ডার অভিনন্দনের ধরা পড়ার খবর প্রকাশ্যে আসার পরই তার মুক্তির জন্য দেশ জুড়ে প্রার্থনা করেছিলেন মানুষ। কন্দহরের মতোই পাকিস্তান এ ক্ষেত্রেও শর্ত রাখার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু ভারত আগেই বলেছিল কোনও শর্তেই তারা রাজি নয়। সেই সঙ্গে পাকিস্তানকে মনে করিয়ে দিয়েছিল, জেনেভা কনভেনশনের কথা। শেষপর্যন্ত অবশ্য শান্তির বার্তা দিয়েই অভিনন্দনকে মুক্তি দেবার কথা জানিয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এদিকে বিজেপির সভাপতি শুক্রবার পাইলটের মুক্তিকে ভারতের কূটনৈতিক সাফল্য বলে বর্ণনা করেছেন। বিমান বাহিনীর সূত্রে খবর, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি সকালে নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে প্রায় সাত কিলোমিটার ভারতের আকাশসীমায় ঢুকে পড়েছিল পাক ফাইটারগুলি। তাদের মোকাবিলায় আকাশে উড়ে ভারতের দু’টি বাইসন জেট।
তারই একটির ককপিটে ছিলেন অভিনন্দন। সূত্রের খবর, নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টায় থাকা পাক ফাইটারকে টার্গেট ‘লক ইন’ করে অভিনন্দনের বাইসন জেট। সেকেন্ডের মধ্যে মিগ-২১ থেকে আর-৭৩ এয়ার টু এয়ার মিসাইল আঘাত করে পাক ফাইটারকে। কিন্তু তার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই অভিনন্দনের মিগে আঘাত করে পাক জেটের গুলি। বিমান নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে রেডিও বার্তা দিয়েই ‘ইজেক্ট’ করে বিমানের বাইরে চলে আসেন তিনি। কিন্তু হাওয়ার গতি উল্টো দিকে থাকায় অভিনন্দনকে নিয়ে প্যারাশুট ভেসে যায় পাক অধিকৃত কাশ্মীরের দিকে। তার পরই পাক সেনারা তাকে আটক করেন।
তবে পাকিস্তানের এই ঢিলেমির জন্য প্রবল সমালোচনার ঝড় উঠেছে ভারতে। মিডিয়া সুত্রে বলা হয়েছে, ভারতের হাতে অভিনন্দনকে তুলে দেবার আগে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে জোরপূর্বক তার বক্তব্য ভিডিও রেকর্ড করা হয়েছে। সেই ভিডিও নিয়েও বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম সুত্রে জানানো হয়েছিল অভিনন্দন ভারতের মাটিতে পা রেখেছেন। টেলিভিশনে ব্রেকিং নিউজেও এই খবর প্রচার করা হয়েছিল।
কিন্তু রাত যত বেড়েছে ততই অনিশ্চয়তার কথা জানানো হয়েছে। শেষপর্যন্ত বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা ৪০ মিনিটে পাকিস্তান সীমান্তে শুল্ক ও আভিবাসনের কাজ শেষ করে অভিনন্দন প্রবেশ করেছেন ভারতীয় ভূমিতে । সেখানেও একদফা শুল্ক ও আভিবাসনের কাজ শেষ হওয়ার পর উইং কমান্ডার অভিনন্দনকে সেখানেই স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেছেন সেনা চিকিৎসকরা।
ভারত সীমান্তে অভিনন্দনকে স্বাগত জানান এয়ার ভাইস মার্শাল আর জি কে কাপুর সহ ভারতীয় বিমান বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা। উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা। অভিনন্দন বর্তমান ভারতের মাটিতে পা দিয়েছে জানার পরই সীমান্তে উপস্থিত মানুষ উন্মাদনায় উদ্বেল হয়ে উঠেছেন। অনেকে ঢাক ঢোল বাজিয়ে অভিনন্দনকে বীরের অভ্যর্থনা জানিয়েছেন। ‘ভারত মাতা কি জয়’, ‘বন্দে মাতরম’ ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠেছিল সীমান্ত এলাকা। এই জনতা বৃহষ্পতিবার রাত এবং শুক্রবার সকাল থেকেই অপেক্ষা করেছেন অভিনন্দনকে স্বাগত জানাতে। তবে সবচেয়ে আবেগঘন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল যখন অভিনন্দন তার পিতা ও মাতার সঙ্গে মিলিত হয়েছেন। তারা গতকাল রাতেই চেন্নাই থেকে নয়াদিল্লি এসে পৌঁছেছিলেন। আজ দুপুরেই তারা পৌঁছে গিয়েছিলেন অমৃতসর। সেখান থেকে সীমান্তে। অভিনন্দনের আগমন উপলক্ষ্যে সীমান্তে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সীমান্ত থেকে বিমান বাহিনী ও পাইলটের পিতা-মাতাকে নিয়ে অভিনন্দনকে অনা হবে অমৃতসরে।
সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হবে নয়াদিল্লিতে। বৃহষ্পতিবার বিকেলেই পাক প্রধানমন্ত্রী পাকিস্তান সংসদের যৌথ অধিবেশনে ঘোষনা করেছিলেন, শান্তির পদক্ষেপ হিসেবে শুক্রবারই অভিনন্দনকে মুক্তি দিয়ে ভারতের হাতে তুলে দেয়া হবে। ভারত অবশ্য মুক্তি পাওয়া পাইলটকে সরাসরি বিমানে উড়িয়ে নয়াদিল্লি নিয়ে আসার প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্ত পাকিস্তান সরকার তা নাকচ করে দিয়ে জানিয়ে দিয়েছিল যে ওয়াঘা-আটারি সীমানÍ দিয়েই আটক পাইলটকে ফেরত দেয়া হবে। সংবাদমাধ্যম সুত্রের খবর, শুক্রবার সকালে পাইলট অভিনন্দনকে প্রথমে রাওয়ালপিন্ডি থেকে লাহোরে আনা হয়। সেখানে ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব রেড ক্রস (আইসিআরসি)-এর হাতে তুলে দেয়া হয় বিমান বাহিনীর এই উইং কম্যান্ডারকে। সেসময় উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তনে ভারতীয় হাইকমিশনের প্রতিনিধিরাও। তার পরে সন্ধ্যা নাগাদ তাঁকে নিয়ে আসা হয় ওয়াঘা-আটারি সীমান্তে। পাক পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের এক সূত্রে ডন টিভি নিউজ-কে জানিয়েছে, ভারতীয় হাইকমিশনের অ্যাটাশে জে টি ক্যুরিয়েন অভিনন্দনের সঙ্গে রয়েছেন।
এর আগে কার্গিল যুদ্ধের সময়ও ভারতীয় পাইলট নচিকেতাকে পাকিস্তান রেডক্রসের মাধ্যমেই ভারতের হাতে তুলে দিয়েছিল ঘটনার আট দিনের মাথায়। ভারত অবশ্য দাবি করেছে, আন্তর্জাতিক স্তরে প্রবল চাপ এবং জেনেভা কনভেনশন অনুয়ায়ীই পাকিস্তান আটক পাইলটকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়েছে। বুধবার পাকিস্তান সেনাবাহিনীর হাতে উইং কম্যান্ডার অভিনন্দনের ধরা পড়ার খবর প্রকাশ্যে আসার পরই তার মুক্তির জন্য দেশ জুড়ে প্রার্থনা করেছিলেন মানুষ। কন্দহরের মতোই পাকিস্তান এ ক্ষেত্রেও শর্ত রাখার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু ভারত আগেই বলেছিল কোনও শর্তেই তারা রাজি নয়। সেই সঙ্গে পাকিস্তানকে মনে করিয়ে দিয়েছিল, জেনেভা কনভেনশনের কথা। শেষপর্যন্ত অবশ্য শান্তির বার্তা দিয়েই অভিনন্দনকে মুক্তি দেবার কথা জানিয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এদিকে বিজেপির সভাপতি শুক্রবার পাইলটের মুক্তিকে ভারতের কূটনৈতিক সাফল্য বলে বর্ণনা করেছেন। বিমান বাহিনীর সূত্রে খবর, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি সকালে নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে প্রায় সাত কিলোমিটার ভারতের আকাশসীমায় ঢুকে পড়েছিল পাক ফাইটারগুলি। তাদের মোকাবিলায় আকাশে উড়ে ভারতের দু’টি বাইসন জেট।
তারই একটির ককপিটে ছিলেন অভিনন্দন। সূত্রের খবর, নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টায় থাকা পাক ফাইটারকে টার্গেট ‘লক ইন’ করে অভিনন্দনের বাইসন জেট। সেকেন্ডের মধ্যে মিগ-২১ থেকে আর-৭৩ এয়ার টু এয়ার মিসাইল আঘাত করে পাক ফাইটারকে। কিন্তু তার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই অভিনন্দনের মিগে আঘাত করে পাক জেটের গুলি। বিমান নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে রেডিও বার্তা দিয়েই ‘ইজেক্ট’ করে বিমানের বাইরে চলে আসেন তিনি। কিন্তু হাওয়ার গতি উল্টো দিকে থাকায় অভিনন্দনকে নিয়ে প্যারাশুট ভেসে যায় পাক অধিকৃত কাশ্মীরের দিকে। তার পরই পাক সেনারা তাকে আটক করেন।
No comments