রেজাউলের বন্ধুর আক্ষেপ
চুড়িহাট্টায়
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দগ্ধ রেজাউল করিম (২১) নামে আরেক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
গতকাল ভোর ৫টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে
চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। নিহত রেজাউলের শরীরের ৫১ শতাংশ আগুনে
দগ্ধ ছিল। রেজাউলের বন্ধু মো. মফিজুল ইসলাম মানবজমিনকে বলেন, ঘটনার দিন
রেজাউল অগ্নিদগ্ধ হওয়ার পরে চুড়িহাট্টা থেকে ইসলামপুর পর্যন্ত রাস্তায়
এলোমেলোভাবে দৌড়াদৌড়ি করতে থাকে। চিৎকার করে সে সবার সাহায্য চায়। তাকে
নিয়ে হাসপাতালে যেতে বলেন। কিন্তু উপস্থিত সকলেই রেজাউলের ছবি তোলা নিয়ে
ব্যস্ত ছিল। একবারের জন্যও কেউ তাকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন নি।
এ সময় একজন রিকশাচালক তাকে পাগলের মতো ছোটাছুটি করতে দেখে নিজ রিকশায় করে হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
তিনি বলেন, ঘটনার পরপরই আমি রেজাউলকে বারবার ফোন দিতে থাকি। অনেকবার ফোন দেয়ার একপর্যায়ে উক্ত রিকশাচালক ফোন রিসিভ করে জানায় রেজাউলকে তিনি হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে এসেছেন। তার অবস্থা ভালো নয়। যত দ্রুত সম্ভব তাকে ভর্তি করতে হবে। আমি তৎক্ষণাত হাসপাতালে আসি। এবং রেজাউলকে হাসপাতালে ভর্তি করে তার পরিবারের সদস্যদের খবর দিই। সঠিক সময়ে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে পারলে হয়তো সে বেঁচে যেতো। রেজাউল মিটফোর্ডের একটি সিরামিকের দোকানে কাজ করতো। আমি একটি পলিথিন ব্যাগ প্রস্তুতকারক ফ্যাক্টরিতে কাজ করি। গত ৫ বছর ধরে তার সঙ্গে আমার খুব ভালো বন্ধুত্ব। অবসর পেলেই দুই বন্ধু মিলে আড্ডা দিতাম। অগ্নিদগ্ধ হওয়ার পরে তার সঙ্গে আমার আর কোনো কথা হয় নি। অনেক চেষ্টা করেছি।
কিন্তু আইসিইউতে ভর্তি থাকায় শেষ বারের মতো বন্ধুর সঙ্গে একটি কথাও বলতে পারিনি। খুব কাছের বন্ধুকে হারিয়ে এভাবে শোক প্রকাশ করেন মফিজুল। এতদিন বন্ধুর শারীরিক অসুস্থতা এবং নিজের কাজের ব্যস্ততার কারণে হাসপাতালে নিয়মিত যেতে পারেন নি। ইচ্ছা ছিল গতকাল বন্ধুর সঙ্গে দেখা করবে। কিন্তু সেটা আর হলো না। কিছু না বলেই ওপাড়ে চলে গেলেন রেজাউল। তিনি বলেন, রেজাউলের বাবার নাম বিল্লাল ব্যাপারি। তিনি রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ছোট পরিসরে ফাস্টফুডের ব্যবসা করতেন। তিন ভাই বোনের মধ্যে রেজাউল মেজ। মা গৃহিণী। গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জ। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মোহাম্মদপুরের ঘাটারচর এলাকায় থাকতেন। পরিবারের অভাব অনটনের কারণে এসএসসি পাস করার পর আর পড়ালেখা করতে পারেনি রেজাউল। বাবা ও ছেলের উপার্যনের টাকায় চলতো তাদের ৫ সদস্যের সংসার। রেজাউলের মৃতদেহ রায়েরবাজারে দাফন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, রাজধানীর পুরান ঢাকার চকবাজারের চুড়িহাট্টায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৭০ জনে। এর আগে সোমবার রাতে ঢামেক হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় রিকশাচালক আনোয়ার হোসেন ও সোহাগ নামে দু’জনের মৃত্যু হয়। গত ২০শে ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ১০টার পর চকবাজারের চুড়িহাট্টায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের আবাসিক ভবনে। ঘটনার দিনই ৬৭ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া দগ্ধদের ঢামেকসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ সময় একজন রিকশাচালক তাকে পাগলের মতো ছোটাছুটি করতে দেখে নিজ রিকশায় করে হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
তিনি বলেন, ঘটনার পরপরই আমি রেজাউলকে বারবার ফোন দিতে থাকি। অনেকবার ফোন দেয়ার একপর্যায়ে উক্ত রিকশাচালক ফোন রিসিভ করে জানায় রেজাউলকে তিনি হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে এসেছেন। তার অবস্থা ভালো নয়। যত দ্রুত সম্ভব তাকে ভর্তি করতে হবে। আমি তৎক্ষণাত হাসপাতালে আসি। এবং রেজাউলকে হাসপাতালে ভর্তি করে তার পরিবারের সদস্যদের খবর দিই। সঠিক সময়ে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে পারলে হয়তো সে বেঁচে যেতো। রেজাউল মিটফোর্ডের একটি সিরামিকের দোকানে কাজ করতো। আমি একটি পলিথিন ব্যাগ প্রস্তুতকারক ফ্যাক্টরিতে কাজ করি। গত ৫ বছর ধরে তার সঙ্গে আমার খুব ভালো বন্ধুত্ব। অবসর পেলেই দুই বন্ধু মিলে আড্ডা দিতাম। অগ্নিদগ্ধ হওয়ার পরে তার সঙ্গে আমার আর কোনো কথা হয় নি। অনেক চেষ্টা করেছি।
কিন্তু আইসিইউতে ভর্তি থাকায় শেষ বারের মতো বন্ধুর সঙ্গে একটি কথাও বলতে পারিনি। খুব কাছের বন্ধুকে হারিয়ে এভাবে শোক প্রকাশ করেন মফিজুল। এতদিন বন্ধুর শারীরিক অসুস্থতা এবং নিজের কাজের ব্যস্ততার কারণে হাসপাতালে নিয়মিত যেতে পারেন নি। ইচ্ছা ছিল গতকাল বন্ধুর সঙ্গে দেখা করবে। কিন্তু সেটা আর হলো না। কিছু না বলেই ওপাড়ে চলে গেলেন রেজাউল। তিনি বলেন, রেজাউলের বাবার নাম বিল্লাল ব্যাপারি। তিনি রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ছোট পরিসরে ফাস্টফুডের ব্যবসা করতেন। তিন ভাই বোনের মধ্যে রেজাউল মেজ। মা গৃহিণী। গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জ। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মোহাম্মদপুরের ঘাটারচর এলাকায় থাকতেন। পরিবারের অভাব অনটনের কারণে এসএসসি পাস করার পর আর পড়ালেখা করতে পারেনি রেজাউল। বাবা ও ছেলের উপার্যনের টাকায় চলতো তাদের ৫ সদস্যের সংসার। রেজাউলের মৃতদেহ রায়েরবাজারে দাফন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, রাজধানীর পুরান ঢাকার চকবাজারের চুড়িহাট্টায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৭০ জনে। এর আগে সোমবার রাতে ঢামেক হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় রিকশাচালক আনোয়ার হোসেন ও সোহাগ নামে দু’জনের মৃত্যু হয়। গত ২০শে ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ১০টার পর চকবাজারের চুড়িহাট্টায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের আবাসিক ভবনে। ঘটনার দিনই ৬৭ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া দগ্ধদের ঢামেকসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
No comments