গণফোরামের বৈঠকে সুলতানকে নিয়ে আলোচনা: তথাকথিত নির্বাচন গণতন্ত্রের কবর রচনা করেছে
দলীয়
সিদ্ধান্ত অমান্য করে শপথ নেয়া সুলতান মোহাম্মদ মনসুরের বিরুদ্ধে আইনি
পদক্ষেপের ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি গণফোরাম। এ নিয়ে গতকাল সকাল
১০টা থেকে সন্ধ্যার আগ পর্যন্ত মতিঝিল ড. কামাল হোসেনের চেম্বারে বৈঠক
করেন গণফোরামের প্রেসিডিয়াম সদস্যরা। বৈঠকের একপর্যায়ে বিকালে গণফোরাম
সভাপতি ড. কামাল হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, সুলতান মনসুরের বিরুদ্ধে কোনো
আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে কি না সে বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। তবে
তিনি যে কাজটি করেছেন তা মোটেও ঠিক হয়নি। এক প্রশ্নের জবাবে ড. কামাল হোসেন
বলেন, আমি আইনের ব্যাখ্যা করবো না। কারণ আইনের ব্যাখ্যা এভাবে মিডিয়াতে
করার কথাও না।
এটার জন্য কোর্টে যেতে হয়। এর পর আদালতের রায়ের জন্য অপেক্ষা করতে হয়। কিন্তু রাজনৈতিকভাবে তো আপনিও বলতে পারেন।
আমরাও সবাই বলতে পারি যে, সুলতান মোহাম্মদ মনসুর এতদিন আমাদের সঙ্গে কাজ করেছেন। এক সঙ্গে রাজনীতি করেছি। আপনাদের কাছে অনুরোধ নির্বাচনের আগে তার বক্তব্যগুলো পর্যালোচনা করে দেখেন। তিনি এই সরকার সম্পর্কে, তাদের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে কি বলেছেন। বিভিন্ন সভা সমাবেশে আমাদের চেয়ে বেশি সমালোচনা করেছেন উনি। অথচ এখন ঝট করে গিয়ে শপথ নিয়ে নিলেন। শপথ নেয়ারও একটা ভদ্রতা আছে। একটা নিয়ম নীতি আছে। উনি একটুও অপেক্ষা না করে গিয়ে শপথ নিলেন। তিনি বলেন, আজকে আমরা আলোচনা করেছি দেশে একটি পার্লামেন্ট হয়েছে। এখানে কিভাবে কার্যকর সংসদ আমরা আনতে পারি। কিভাবে দেশে কর্যকর গণতন্ত্র আমরা আনতে পারি।
কিভাবে সংবিধানের বিধানকে আমরা কার্যকরভাবে ব্যাখ্যা করতে পারি। এসব আলোচনার জন্য সুলতান মনসুরের ধৈর্য থাকলো না। উনি চট করে চলে গেলেন। এই ব্যাপারে আমরা দুঃখ প্রকাশ করেছি। বলেছি এটা আমরা উনার কাছ থেকে আশা করিনি। কারণ নির্বাচনের আগে উনি যেসব জায়গায় গিয়েছেন সেখানে কি ভাষায় সমালোচনা করেছেন সেটা পত্রিকা খুললে দেখতে পারবেন। যে ব্যক্তির এক দিনের মধ্যে এত পরিবর্তন হতে পারে তার সম্পর্কে আমার আর কিছু বলার থাকতে পারে না।
ড. কামাল বলেন, গণফোরামের জন্মলগ্ন থেকেই নীতি ধরে আমরা কাজ করেছি। কেউ বলতে পারবে না যে গণফোরাম দল হিসেবে নীতি-চ্যুত হয়েছে। বরং এখান থেকে কেউ কেউ চলে গেছে। তারা যদি মনে করে নীতির চেয়ে মন্ত্রিত্ব বড় তাহলে তারা হোক মন্ত্রী। যারা গেছেন তারা মন্ত্রী হয়েছেন, এমপি হয়েছেন। মানুষ সেগুলো ভুলেও গেছেন। আর যদি কুকর্ম করে থাকেন সেটা মানুষ ভুলবে না। এ সময় তিনি দলের অপর প্রেসিডিয়াম সদস্য ও নির্বাচিত সংসদ সদস্য মোকাব্বির খানের বিষয়ে বলেন, তিনি আগামীতে শপথ নিতেও পারেন, না-ও নিতে পারেন। শপথ নেবে কি না সেটা দলীয়ভাবে আলোচনা সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত হবে। সবাই মিলে শপথের বিষয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নিলে তো ভালো। তবে আমরা এখনো শপথ না নেয়ার পক্ষে।
ড. কামাল বলেন, যে নীতিকে নিয়ে মানুষ ৫২-র ভাষা আন্দোলন করেছে। ৬ দফা আন্দোলন করেছে। স্বাধীনতা সংগ্রাম করেছে। সেই নীতির উপরেই গণফোরাম ছিল, এখনো আছে। আগামীতেও থাকব। আর দেশকে ধ্বংসের হাত থেকে জনগণই রক্ষা করবে। তিনি বলেন, ৩০শে ডিসেম্বরের কলংকিত তথাকথিত সংসদ নির্বাচন গণতন্ত্রের কবর রচনা করেছে। গণতন্ত্র পুনঃরুদ্ধার, আইনের শাসন কায়েম এবং জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য জাতীয় ঐক্যকে সুদৃঢ় ও জোরদার করতে হবে। জনগণ বর্তমান অবস্থার পরিবর্তনের জন্য সচেষ্ট। এই লক্ষ্যে আমাদের কাজ করে যেতে হবে।
সিইসির বক্তব্যের বিষয়ে ড. কামাল হোসেন বলেন, আপনারা সিইসির বক্তব্য ধরতে পেরেছেন বলে আমাকে এখন দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন। আপনারা যেভোবে বুঝেছেন আমিও সেভাবেই বুঝেছি। তিনি কায়দা করে বুঝাচ্ছেন একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি। দেশের মানুষ কিন্তু এখন সচেতন। স্বাধীনতার ৪৮ বছর হয়েছে। আমরা আর শিশু গণতন্ত্রে নেই। অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবির মাধ্যমেই কিন্তু স্বাধীনতা যুদ্ধ হয়েছিল। মানুষ যেন এদেশের মালিক হিসেবে ভূমিকা রাখতে পারে সেই জন্যই যুদ্ধ করেছিল। মানুষ এখনো লেগে আছে। আমাদের মাঝে এখন নতুন প্রজন্ম জন্ম নিয়েছে। সবাই মিলেই আমাদের সংগ্রাম করতে হবে। আমাদের দাবি আদায় করতে হবে।
সভায় এক সিদ্ধান্তে আগামী ২৭শে এপ্রিল শনিবার গণফোরামের কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের তারিখ নির্ধারণ করা হয়। সভাপতি পরিষদ সদস্যদের নেতৃত্বে কাউন্সিলের পূর্বেই জেলা সম্মেলন ও সফরসূচি সম্পন্ন করারও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
ড. কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- দলটির সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মোহসিন মন্টু, কার্যকরী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, প্রেসিডিয়াস সদস্য মফিজুল ইসলাম খান কামাল, মেজর জেনারেল (অব.) আমসাআ আমিন, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ, অ্যাডভোকেট জগলুল হায়দার আফ্রিক, অ্যাডভোকেট এস. এম. আলতাফ হোসেন, মোকাব্বির খান, মোশতাক আহমেদ, অ্যাডভোকেট শান্তিপদ ঘোষ, অ্যাডভোকেট তবারক হোসেইন, আ.ও.ম. শফিক উল্লাহ, ইঞ্জিনিয়ার সিরাজুল হক।
এটার জন্য কোর্টে যেতে হয়। এর পর আদালতের রায়ের জন্য অপেক্ষা করতে হয়। কিন্তু রাজনৈতিকভাবে তো আপনিও বলতে পারেন।
আমরাও সবাই বলতে পারি যে, সুলতান মোহাম্মদ মনসুর এতদিন আমাদের সঙ্গে কাজ করেছেন। এক সঙ্গে রাজনীতি করেছি। আপনাদের কাছে অনুরোধ নির্বাচনের আগে তার বক্তব্যগুলো পর্যালোচনা করে দেখেন। তিনি এই সরকার সম্পর্কে, তাদের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে কি বলেছেন। বিভিন্ন সভা সমাবেশে আমাদের চেয়ে বেশি সমালোচনা করেছেন উনি। অথচ এখন ঝট করে গিয়ে শপথ নিয়ে নিলেন। শপথ নেয়ারও একটা ভদ্রতা আছে। একটা নিয়ম নীতি আছে। উনি একটুও অপেক্ষা না করে গিয়ে শপথ নিলেন। তিনি বলেন, আজকে আমরা আলোচনা করেছি দেশে একটি পার্লামেন্ট হয়েছে। এখানে কিভাবে কার্যকর সংসদ আমরা আনতে পারি। কিভাবে দেশে কর্যকর গণতন্ত্র আমরা আনতে পারি।
কিভাবে সংবিধানের বিধানকে আমরা কার্যকরভাবে ব্যাখ্যা করতে পারি। এসব আলোচনার জন্য সুলতান মনসুরের ধৈর্য থাকলো না। উনি চট করে চলে গেলেন। এই ব্যাপারে আমরা দুঃখ প্রকাশ করেছি। বলেছি এটা আমরা উনার কাছ থেকে আশা করিনি। কারণ নির্বাচনের আগে উনি যেসব জায়গায় গিয়েছেন সেখানে কি ভাষায় সমালোচনা করেছেন সেটা পত্রিকা খুললে দেখতে পারবেন। যে ব্যক্তির এক দিনের মধ্যে এত পরিবর্তন হতে পারে তার সম্পর্কে আমার আর কিছু বলার থাকতে পারে না।
ড. কামাল বলেন, গণফোরামের জন্মলগ্ন থেকেই নীতি ধরে আমরা কাজ করেছি। কেউ বলতে পারবে না যে গণফোরাম দল হিসেবে নীতি-চ্যুত হয়েছে। বরং এখান থেকে কেউ কেউ চলে গেছে। তারা যদি মনে করে নীতির চেয়ে মন্ত্রিত্ব বড় তাহলে তারা হোক মন্ত্রী। যারা গেছেন তারা মন্ত্রী হয়েছেন, এমপি হয়েছেন। মানুষ সেগুলো ভুলেও গেছেন। আর যদি কুকর্ম করে থাকেন সেটা মানুষ ভুলবে না। এ সময় তিনি দলের অপর প্রেসিডিয়াম সদস্য ও নির্বাচিত সংসদ সদস্য মোকাব্বির খানের বিষয়ে বলেন, তিনি আগামীতে শপথ নিতেও পারেন, না-ও নিতে পারেন। শপথ নেবে কি না সেটা দলীয়ভাবে আলোচনা সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত হবে। সবাই মিলে শপথের বিষয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নিলে তো ভালো। তবে আমরা এখনো শপথ না নেয়ার পক্ষে।
ড. কামাল বলেন, যে নীতিকে নিয়ে মানুষ ৫২-র ভাষা আন্দোলন করেছে। ৬ দফা আন্দোলন করেছে। স্বাধীনতা সংগ্রাম করেছে। সেই নীতির উপরেই গণফোরাম ছিল, এখনো আছে। আগামীতেও থাকব। আর দেশকে ধ্বংসের হাত থেকে জনগণই রক্ষা করবে। তিনি বলেন, ৩০শে ডিসেম্বরের কলংকিত তথাকথিত সংসদ নির্বাচন গণতন্ত্রের কবর রচনা করেছে। গণতন্ত্র পুনঃরুদ্ধার, আইনের শাসন কায়েম এবং জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য জাতীয় ঐক্যকে সুদৃঢ় ও জোরদার করতে হবে। জনগণ বর্তমান অবস্থার পরিবর্তনের জন্য সচেষ্ট। এই লক্ষ্যে আমাদের কাজ করে যেতে হবে।
সিইসির বক্তব্যের বিষয়ে ড. কামাল হোসেন বলেন, আপনারা সিইসির বক্তব্য ধরতে পেরেছেন বলে আমাকে এখন দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন। আপনারা যেভোবে বুঝেছেন আমিও সেভাবেই বুঝেছি। তিনি কায়দা করে বুঝাচ্ছেন একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি। দেশের মানুষ কিন্তু এখন সচেতন। স্বাধীনতার ৪৮ বছর হয়েছে। আমরা আর শিশু গণতন্ত্রে নেই। অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবির মাধ্যমেই কিন্তু স্বাধীনতা যুদ্ধ হয়েছিল। মানুষ যেন এদেশের মালিক হিসেবে ভূমিকা রাখতে পারে সেই জন্যই যুদ্ধ করেছিল। মানুষ এখনো লেগে আছে। আমাদের মাঝে এখন নতুন প্রজন্ম জন্ম নিয়েছে। সবাই মিলেই আমাদের সংগ্রাম করতে হবে। আমাদের দাবি আদায় করতে হবে।
সভায় এক সিদ্ধান্তে আগামী ২৭শে এপ্রিল শনিবার গণফোরামের কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের তারিখ নির্ধারণ করা হয়। সভাপতি পরিষদ সদস্যদের নেতৃত্বে কাউন্সিলের পূর্বেই জেলা সম্মেলন ও সফরসূচি সম্পন্ন করারও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
ড. কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- দলটির সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মোহসিন মন্টু, কার্যকরী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, প্রেসিডিয়াস সদস্য মফিজুল ইসলাম খান কামাল, মেজর জেনারেল (অব.) আমসাআ আমিন, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ, অ্যাডভোকেট জগলুল হায়দার আফ্রিক, অ্যাডভোকেট এস. এম. আলতাফ হোসেন, মোকাব্বির খান, মোশতাক আহমেদ, অ্যাডভোকেট শান্তিপদ ঘোষ, অ্যাডভোকেট তবারক হোসেইন, আ.ও.ম. শফিক উল্লাহ, ইঞ্জিনিয়ার সিরাজুল হক।
No comments