পর্যটনশিল্প বিকাশে চীনা কায়দা by তৌহিদুল ইসলাম
পর্যটন
শিল্প বিকাশে নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে চীন। বেশ কয়েক বছর ধরে বিভিন্নভাবে
দেশি-বিদেশ পর্যটক টানার চেষ্টা করছে দেশটি। তার ফলও পেয়েছে। ২০১২ সাল থেকে
বিশ্বে পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান হিসেবে নিজেকে তুলে ধরতে পেরেছে
চীন।
গত বছর প্রায় ১৫ কোটি বিদেশি পর্যটক চীনে ঘুরে গেছেন। তার আগের বছর পর্যটকেরা চীন সফরে ব্যয় করেছেন ২৫ হাজার কোটি ডলারের ওপরে। যা বিশ্ব পর্যটকদের একই সময়ে প্রায় আমেরিকা ভ্রমণে ব্যয়ের সমান।
চীনা কর্মকর্তারা মনে করেন, প্রচারণা ও প্রভাবিত করেই পর্যটক টানতে হবে। আর এ জন্য পর্যটন স্থানগুলো ব্যাপকভাবে অবকাঠামোগত উন্নয়নের কাজ চলছে। মূলত বিদেশি পর্যটকদের আরও বেশি করে আকৃষ্ট করতে এই কায়দা নিয়েছে চীন। সম্প্রতি নিজেদের প্রতিটি খাত ধরে ধরে উন্নয়নে মনোযোগ দিয়েছে বিশ্বের অন্যতম অর্থনৈতিক পরাক্রমশালী দেশটি।
যুক্তরাজ্যের সাপ্তাহিক প্রকাশনা টাইমস হায়ার এডুকেশন সাময়িকীর জরিপে বিশ্বের শীর্ষ ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে চীনের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম না থাকায় কর্তৃপক্ষকে ভাবিয়ে তুলেছে। ফলে শিক্ষাক্ষেত্রে বিপ্লব ঘটিয়ে শীর্ষস্থান দখলে নিতে চীন প্রবল চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্বর্ণ ক্রয়-বিক্রয়ের স্থান হলো সাংহাই এক্সচেঞ্জ। চাইলে যে কেউ এই বাজারে প্রবেশের অনুমতি পায়। চীনের এই স্বর্ণের বাজার এখন রমরমা। এরপর পর্যটন খাত নিয়ে ভিন্নভাবে ভাবছে তারা।
রাষ্ট্রীয় নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ে পর্যটন শিল্পকে গুরুত্ব দিচ্ছে পূর্ব এশিয়ার এই দেশ। এমনকি ‘পর্যটন কূটনীতি’ শীর্ষক টার্ম ব্যবহার এই খাতের গুরুত্বের জানান দেওয়া হচ্ছে। দেশটির কমিউনিস্ট পার্টির মুখপাত্র দ্য পিপলস ডেইলি বলছে, চীনা পররাষ্ট্রনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং অপরিহার্য হাতিয়ার হচ্ছে ‘পর্যটন কূটনীতি’।
বিশ্বের বিপুলসংখ্যক পর্যটক যেমন চীন ভ্রমণে যায়, তেমনি চীনের নাগরিকের বড় একটি অংশ প্রতিবেশী দেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ঘুরতে যায়। এতে চীনা পর্যটকেরাও বিভিন্ন দেশের অর্থনৈতিক খাতে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই ছুটির দিন বা অবকাশ যাপনে বিদেশে না গিয়ে যাতে দেশের বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ঘুরে বেড়ায়—সেদিকটিতে উৎসাহ দিচ্ছে কর্তৃপক্ষ। লক্ষ্য, দেশের অর্থ দেশেই রাখা।
লন্ডনভিত্তিক সাময়িকী দ্য ইকোনমিস্টের প্রতিবেদন বলছে, ‘নিউজিল্যান্ড এমন একটি দেশ। যেখানে পর্যটন হচ্ছে দেশটির সবচেয়ে বড় বিদেশি আয়ের খাত। নিউজিল্যান্ড এ খাতে সবচেয়ে বেশি অর্থ আয় করে অস্ট্রেলীয়দের কাছ থেকে। এরপরই আছে চীনা পর্যটকেরা।
নিউজিল্যান্ডের পর্যটন খাতে এমন রমরমা বাণিজ্য চীনের কাছে যেন আক্ষেপের গল্প। এক রকম কারণ ছাড়াই গত মাসেই ওয়েলিংটনে চীন-নিউজিল্যান্ড যৌথ পর্যটন বর্ষের অনুষ্ঠান স্থগিত করে দেয় বেইজিং। এমন আচরণে ক্ষুব্ধ চীনা কোম্পানি হুয়াইয়ের ‘ফাইভ জি’ প্রযুক্তির নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে চীনের অভ্যন্তরে কর্মসূচির পরিবর্তন করে নিউজিল্যান্ড।
চীনের ট্যাবলয়েড সংবাদপত্র গ্লোবাল টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, দুই দেশের উদ্ভূত রাজনৈতিক সম্পর্কে সম্ভাব্য চীনা পর্যটকেরা নিউজিল্যান্ড ভ্রমণ কমিয়ে দিয়েছে। এ বিষয়ে বেইজিংয়ের এক বাসিন্দা অভিযোগ করেন, ‘নিউজিল্যান্ড আমাদের পেছনে ছুরিকাঘাত করেছে।’
এ দিকে হুয়াইয়ের সরঞ্জাম ব্যবহারকারী চীনের কম্পিউটার সফটওয়্যার কোম্পানি ‘স্পার্ক’ নিউজিল্যান্ডে নিষিদ্ধ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জ্যাকিন্ড আর্মডেন। তিনি বলেন, হুয়াইয়ের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
বিদেশে ভ্রমণে নিজের দেশের নাগরিকদের ওপর চীন সরকার কখনো শাস্তি আরোপ করেনি। কিন্তু সেটাই এখন করার চিন্তা-ভাবনা করছে দেশটি। ২০০৮ সালে চীন ও তাইওয়ানের সম্পর্কোন্নয়ন হয়। এই সুযোগে তাইওয়ানে চীনের পর্যটকের সংখ্যা দ্রুত বেড়ে যায়। তবে সম্প্রতি নিজের জনগণের বিদেশ ঘুরতে যাওয়ার ক্ষেত্রে লাগাম টেনে ধরতে শুরু করছে চীন। ২০১৫ সালে বিদেশগামী চীনা ট্রিপ ছিল প্রায় ৪২ লাখ। আর গত বছর (২০১৮) সেই ট্রিপ নেমে আসে ২৭ লাখে। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ভ্রমণ পরিচালনাকারীদের ওপর সরকারের চাপের মুখে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
২০১৭ সালে দক্ষিণ কোরিয়ায় আমেরিকান মালিকানাধীন একটি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা পদ্ধতি ‘থাড’ স্থাপন করার পর সে দেশে চীনের পর্যটকের সংখ্যা নাটকীয়ভাবে কমে গেছে। গত বছরের শেষের দিকে দক্ষিণ কোরিয়ার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা শিথিল হলে সেখানে পর্যটকের সংখ্যা বাড়ে। ২০১৮ সালে প্রায় ৫০ লাখ চীনা পর্যটক সেখানে যায়। ২০১৭ সালে এই সংখ্যা ছিল প্রায় ৪০ লাখ। যদিও এই সংখ্যা ‘থাড’ স্থাপনের আগের সময়ের চেয়ে অনেক কম।
অর্ধযুগ আগে জাপান ও ফিলিপাইন পর্যটক সংকটে পড়ে। ২০১২ সালে চীনে জাপানবিরোধী প্রতিবাদের সময় চীনা পর্যটকেরা জাপান থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়। অবশ্য দুই বছর পর দেশ দুটি পর্যটন শিল্পে আগের অবস্থানে ফিরে যেতে সক্ষম হয়। পর্যটন শিল্প বিকাশ নিয়ে বছর খানিক আগে ফিলিপাইন জানায়, দক্ষিণ কোরিয়ার পর চীন তার পর্যটকদের দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎস আমেরিকাকে ছাড়িয়ে গেছে।
চীনা সরকারের হস্তক্ষেপে বর্হিগামী পর্যটন কী পরিমাণ হ্রাস পেয়েছে সেটা অবশ্য নিরূপণ করাও কঠিন। কারণ দাপ্তরিকভাবে নাগরিকদের মধ্যে স্বদেশপ্রেমী মনোভাব জাগ্রত করা হয়েছে। এ জন্যও অনেক ভ্রমণ পিপাসু দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে বিদেশে না গিয়ে স্বদেশের বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্র ভ্রমণ করছেন।
গত বছর প্রায় ১৫ কোটি বিদেশি পর্যটক চীনে ঘুরে গেছেন। তার আগের বছর পর্যটকেরা চীন সফরে ব্যয় করেছেন ২৫ হাজার কোটি ডলারের ওপরে। যা বিশ্ব পর্যটকদের একই সময়ে প্রায় আমেরিকা ভ্রমণে ব্যয়ের সমান।
চীনা কর্মকর্তারা মনে করেন, প্রচারণা ও প্রভাবিত করেই পর্যটক টানতে হবে। আর এ জন্য পর্যটন স্থানগুলো ব্যাপকভাবে অবকাঠামোগত উন্নয়নের কাজ চলছে। মূলত বিদেশি পর্যটকদের আরও বেশি করে আকৃষ্ট করতে এই কায়দা নিয়েছে চীন। সম্প্রতি নিজেদের প্রতিটি খাত ধরে ধরে উন্নয়নে মনোযোগ দিয়েছে বিশ্বের অন্যতম অর্থনৈতিক পরাক্রমশালী দেশটি।
যুক্তরাজ্যের সাপ্তাহিক প্রকাশনা টাইমস হায়ার এডুকেশন সাময়িকীর জরিপে বিশ্বের শীর্ষ ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে চীনের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম না থাকায় কর্তৃপক্ষকে ভাবিয়ে তুলেছে। ফলে শিক্ষাক্ষেত্রে বিপ্লব ঘটিয়ে শীর্ষস্থান দখলে নিতে চীন প্রবল চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্বর্ণ ক্রয়-বিক্রয়ের স্থান হলো সাংহাই এক্সচেঞ্জ। চাইলে যে কেউ এই বাজারে প্রবেশের অনুমতি পায়। চীনের এই স্বর্ণের বাজার এখন রমরমা। এরপর পর্যটন খাত নিয়ে ভিন্নভাবে ভাবছে তারা।
রাষ্ট্রীয় নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ে পর্যটন শিল্পকে গুরুত্ব দিচ্ছে পূর্ব এশিয়ার এই দেশ। এমনকি ‘পর্যটন কূটনীতি’ শীর্ষক টার্ম ব্যবহার এই খাতের গুরুত্বের জানান দেওয়া হচ্ছে। দেশটির কমিউনিস্ট পার্টির মুখপাত্র দ্য পিপলস ডেইলি বলছে, চীনা পররাষ্ট্রনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং অপরিহার্য হাতিয়ার হচ্ছে ‘পর্যটন কূটনীতি’।
বিশ্বের বিপুলসংখ্যক পর্যটক যেমন চীন ভ্রমণে যায়, তেমনি চীনের নাগরিকের বড় একটি অংশ প্রতিবেশী দেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ঘুরতে যায়। এতে চীনা পর্যটকেরাও বিভিন্ন দেশের অর্থনৈতিক খাতে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই ছুটির দিন বা অবকাশ যাপনে বিদেশে না গিয়ে যাতে দেশের বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ঘুরে বেড়ায়—সেদিকটিতে উৎসাহ দিচ্ছে কর্তৃপক্ষ। লক্ষ্য, দেশের অর্থ দেশেই রাখা।
লন্ডনভিত্তিক সাময়িকী দ্য ইকোনমিস্টের প্রতিবেদন বলছে, ‘নিউজিল্যান্ড এমন একটি দেশ। যেখানে পর্যটন হচ্ছে দেশটির সবচেয়ে বড় বিদেশি আয়ের খাত। নিউজিল্যান্ড এ খাতে সবচেয়ে বেশি অর্থ আয় করে অস্ট্রেলীয়দের কাছ থেকে। এরপরই আছে চীনা পর্যটকেরা।
নিউজিল্যান্ডের পর্যটন খাতে এমন রমরমা বাণিজ্য চীনের কাছে যেন আক্ষেপের গল্প। এক রকম কারণ ছাড়াই গত মাসেই ওয়েলিংটনে চীন-নিউজিল্যান্ড যৌথ পর্যটন বর্ষের অনুষ্ঠান স্থগিত করে দেয় বেইজিং। এমন আচরণে ক্ষুব্ধ চীনা কোম্পানি হুয়াইয়ের ‘ফাইভ জি’ প্রযুক্তির নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে চীনের অভ্যন্তরে কর্মসূচির পরিবর্তন করে নিউজিল্যান্ড।
চীনের ট্যাবলয়েড সংবাদপত্র গ্লোবাল টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, দুই দেশের উদ্ভূত রাজনৈতিক সম্পর্কে সম্ভাব্য চীনা পর্যটকেরা নিউজিল্যান্ড ভ্রমণ কমিয়ে দিয়েছে। এ বিষয়ে বেইজিংয়ের এক বাসিন্দা অভিযোগ করেন, ‘নিউজিল্যান্ড আমাদের পেছনে ছুরিকাঘাত করেছে।’
এ দিকে হুয়াইয়ের সরঞ্জাম ব্যবহারকারী চীনের কম্পিউটার সফটওয়্যার কোম্পানি ‘স্পার্ক’ নিউজিল্যান্ডে নিষিদ্ধ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জ্যাকিন্ড আর্মডেন। তিনি বলেন, হুয়াইয়ের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
বিদেশে ভ্রমণে নিজের দেশের নাগরিকদের ওপর চীন সরকার কখনো শাস্তি আরোপ করেনি। কিন্তু সেটাই এখন করার চিন্তা-ভাবনা করছে দেশটি। ২০০৮ সালে চীন ও তাইওয়ানের সম্পর্কোন্নয়ন হয়। এই সুযোগে তাইওয়ানে চীনের পর্যটকের সংখ্যা দ্রুত বেড়ে যায়। তবে সম্প্রতি নিজের জনগণের বিদেশ ঘুরতে যাওয়ার ক্ষেত্রে লাগাম টেনে ধরতে শুরু করছে চীন। ২০১৫ সালে বিদেশগামী চীনা ট্রিপ ছিল প্রায় ৪২ লাখ। আর গত বছর (২০১৮) সেই ট্রিপ নেমে আসে ২৭ লাখে। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ভ্রমণ পরিচালনাকারীদের ওপর সরকারের চাপের মুখে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
২০১৭ সালে দক্ষিণ কোরিয়ায় আমেরিকান মালিকানাধীন একটি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা পদ্ধতি ‘থাড’ স্থাপন করার পর সে দেশে চীনের পর্যটকের সংখ্যা নাটকীয়ভাবে কমে গেছে। গত বছরের শেষের দিকে দক্ষিণ কোরিয়ার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা শিথিল হলে সেখানে পর্যটকের সংখ্যা বাড়ে। ২০১৮ সালে প্রায় ৫০ লাখ চীনা পর্যটক সেখানে যায়। ২০১৭ সালে এই সংখ্যা ছিল প্রায় ৪০ লাখ। যদিও এই সংখ্যা ‘থাড’ স্থাপনের আগের সময়ের চেয়ে অনেক কম।
অর্ধযুগ আগে জাপান ও ফিলিপাইন পর্যটক সংকটে পড়ে। ২০১২ সালে চীনে জাপানবিরোধী প্রতিবাদের সময় চীনা পর্যটকেরা জাপান থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়। অবশ্য দুই বছর পর দেশ দুটি পর্যটন শিল্পে আগের অবস্থানে ফিরে যেতে সক্ষম হয়। পর্যটন শিল্প বিকাশ নিয়ে বছর খানিক আগে ফিলিপাইন জানায়, দক্ষিণ কোরিয়ার পর চীন তার পর্যটকদের দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎস আমেরিকাকে ছাড়িয়ে গেছে।
চীনা সরকারের হস্তক্ষেপে বর্হিগামী পর্যটন কী পরিমাণ হ্রাস পেয়েছে সেটা অবশ্য নিরূপণ করাও কঠিন। কারণ দাপ্তরিকভাবে নাগরিকদের মধ্যে স্বদেশপ্রেমী মনোভাব জাগ্রত করা হয়েছে। এ জন্যও অনেক ভ্রমণ পিপাসু দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে বিদেশে না গিয়ে স্বদেশের বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্র ভ্রমণ করছেন।
No comments