‘বিএসএমএমইউ হাসপাতালে যেতে রাজি হননি খালেদা জিয়া’
বিএনপি
চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়
(বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে যেতে রাজি হননি বলে জানিয়েছেন ঢাকা কেন্দ্রীয়
কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার ইকবাল কবির।
আজ (রোববার) দুপুর সোয়া ১২টার দিকে কারাগারে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কথা বলতে যান সিনিয়র জেল সুপার ইকবালকবিরসহ মেডিকেল টিম। পরে পৌনে ১টার দিকে কারাগার থেকে বেরিয়ে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে সিনিয়র জেল সুপার বলেন, ‘উনি যাবেন না’।
এ বিষয়ে জেলার মাহবুব আলম জানান, চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তিনি অনীহা প্রকাশ করেছেন।
তিনি বলেন, ‘উনি দেরিতে ঘুম থেকে ওঠায় নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেওয়ার যে প্রক্রিয়া ছিল তা সম্ভব হয়নি। কারা কর্তৃপক্ষ সবরকম চেষ্টা করেও খালেদা জিয়াকে রাজি করাতে পারেনি।’
চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম অর রশীদ তালুকদার বলেন, খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে পাঠানোর যাবতীয় প্রস্তুতি সকাল থেকে নেয়া ছিল। কিন্তু রেজাল্ট নেগেটিভ। উনি বিএসএমএমইউতে যেতে রাজি হননি।
এদিকে, সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী রাজধানীর বেসরকারি ইউনাইটেড হাসপাতালে নিজস্ব বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে চিকিৎসা নিতে চান বলে বিএনপিপন্থী চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টর’স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ—ড্যাবের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।
ড্যাবের আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার আজ দুপুরে বলেন, ‘বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা খুবই খারাপ। এমনকি হুইলচেয়ারে বসার যে পাদানি থাকে, সেখানে ঠিকমতো পা রাখতে পারেন না। উনার যে ইচ্ছাটা, ইউনাইটেড হাসপাতালে উনি চিকিৎসা নিয়ে থাকেন। ওখানে নিজস্ব যে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রয়েছেন, যারা সারাজীবন উনাকে দেখছেন, তাঁরা ওখানে আছেন, তাদের অধীনে চিকিৎসা নিতে।’
এর আগে কারাগার সূত্র জানায়, আজ দুপুর ১২টার পর বেগম খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে নেয়া হবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) পরিচালক (হাসপাতাল) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আবদুল্লাহ আল হারুনও বিএসএমএমইউতে খালেদা জিয়াকে নেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
খালেদা জিয়াকে বিএসএমএমইউতে আনার খবরে সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পর্যাপ্ত সংখ্যক সদস্য মোতায়েন করা হয়। হাসপাতালে ভিড় জমান গণমাধ্যম কর্মীরা। তবে বেলা একটার দিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা চলে যান।
এর আগে, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য শিগগিরই বিএসএমএমইউতে নেয়া হবে বলে জানিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। গত সপ্তাহের মঙ্গলবার দুপুরে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়ে কথা বলতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যান বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল। তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় একটি বোর্ড গঠন করা হয়েছে। সেই বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ীই তার চিকিৎসা চলছে। যেহেতু এটা আদালতের নির্দেশ, তাই বোর্ড যেমন বলছে তেমনভাবেই সব চলছে।
বিএনপি নেতারা বৈঠকে কী বলেছেন জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য ইউনাইটেড হাসপাতালে নিতে চেয়েছেন। কিন্তু যেহেতু আদালতের নির্দেশ আছে তাই বোর্ড যা সিদ্ধান্ত নেবে তাই হবে।
আজ (রোববার) দুপুর সোয়া ১২টার দিকে কারাগারে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কথা বলতে যান সিনিয়র জেল সুপার ইকবালকবিরসহ মেডিকেল টিম। পরে পৌনে ১টার দিকে কারাগার থেকে বেরিয়ে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে সিনিয়র জেল সুপার বলেন, ‘উনি যাবেন না’।
এ বিষয়ে জেলার মাহবুব আলম জানান, চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তিনি অনীহা প্রকাশ করেছেন।
তিনি বলেন, ‘উনি দেরিতে ঘুম থেকে ওঠায় নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেওয়ার যে প্রক্রিয়া ছিল তা সম্ভব হয়নি। কারা কর্তৃপক্ষ সবরকম চেষ্টা করেও খালেদা জিয়াকে রাজি করাতে পারেনি।’
চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম অর রশীদ তালুকদার বলেন, খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে পাঠানোর যাবতীয় প্রস্তুতি সকাল থেকে নেয়া ছিল। কিন্তু রেজাল্ট নেগেটিভ। উনি বিএসএমএমইউতে যেতে রাজি হননি।
এদিকে, সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী রাজধানীর বেসরকারি ইউনাইটেড হাসপাতালে নিজস্ব বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে চিকিৎসা নিতে চান বলে বিএনপিপন্থী চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টর’স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ—ড্যাবের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।
ড্যাবের আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার আজ দুপুরে বলেন, ‘বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা খুবই খারাপ। এমনকি হুইলচেয়ারে বসার যে পাদানি থাকে, সেখানে ঠিকমতো পা রাখতে পারেন না। উনার যে ইচ্ছাটা, ইউনাইটেড হাসপাতালে উনি চিকিৎসা নিয়ে থাকেন। ওখানে নিজস্ব যে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রয়েছেন, যারা সারাজীবন উনাকে দেখছেন, তাঁরা ওখানে আছেন, তাদের অধীনে চিকিৎসা নিতে।’
এর আগে কারাগার সূত্র জানায়, আজ দুপুর ১২টার পর বেগম খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে নেয়া হবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) পরিচালক (হাসপাতাল) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আবদুল্লাহ আল হারুনও বিএসএমএমইউতে খালেদা জিয়াকে নেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
খালেদা জিয়াকে বিএসএমএমইউতে আনার খবরে সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পর্যাপ্ত সংখ্যক সদস্য মোতায়েন করা হয়। হাসপাতালে ভিড় জমান গণমাধ্যম কর্মীরা। তবে বেলা একটার দিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা চলে যান।
এর আগে, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য শিগগিরই বিএসএমএমইউতে নেয়া হবে বলে জানিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। গত সপ্তাহের মঙ্গলবার দুপুরে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়ে কথা বলতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যান বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল। তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় একটি বোর্ড গঠন করা হয়েছে। সেই বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ীই তার চিকিৎসা চলছে। যেহেতু এটা আদালতের নির্দেশ, তাই বোর্ড যেমন বলছে তেমনভাবেই সব চলছে।
বিএনপি নেতারা বৈঠকে কী বলেছেন জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য ইউনাইটেড হাসপাতালে নিতে চেয়েছেন। কিন্তু যেহেতু আদালতের নির্দেশ আছে তাই বোর্ড যা সিদ্ধান্ত নেবে তাই হবে।
No comments