ইরান সম্পর্কে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভ্রান্ত ধারণা ও বাস্তবতা
মার্কিন
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার স্টেট অব দ্যা ইউনিয়ন ভাষণে ইরানের
বিরুদ্ধে তার আগের অভিযোগগুলোর পুনরাবৃত্তি করেছেন। তিনি ইরানকে
সন্ত্রাসবাদের সবচেয়ে বড় সমর্থক বলে অভিহিত করেন।
দৃশ্যত ২০১৬ সালে নিজের নির্বাচনি প্রচারাভিযানের সময় সন্ত্রাসবাদ সৃষ্টিতে ওয়াশিংটনের ভূমিকা থাকার যে স্বীকারোক্তি তিনি দিয়েছিলেন মঙ্গলবারের ভাষণ দেয়ার সময় ট্রাম্প তা বেমালুম ভুলে গেছেন। সে সময় তিনি অভিযোগ করেছিলেন, তৎকালীন বারাক ওবামা প্রশাসন উগ্র জঙ্গি গোষ্ঠী আইএস সৃষ্টি করে মধ্যপ্রাচ্যে ছড়িয়ে দিয়েছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প মঙ্গলবারের স্টেট অব দ্যা ইউনিয়ন ভাষণে ইরানের পরমাণু সমঝোতা থেকে আমেরিকাকে বের করে নেয়ার পদক্ষেপ সমর্থন করেও বক্তব্য রাখেন। ইরানকে কথিত পরমাণু অস্ত্র তৈরি থেকে বিরত রাখার জন্য এ পদক্ষেপ জরুরি ছিল বলে তিনি উল্লেখ করেন। অথচ পরমাণু সমঝোতায় স্বাক্ষরকারী বাকি দেশ ও পক্ষগুলো এমনকি আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা পর্যন্ত একবাক্যে স্বীকার করে এসেছে যে, ইরান পরমাণু সমঝোতা পুরোপুরি মেনে চলছে। এ কারণে তারা ইরানের পরমাণু সমঝোতা রক্ষা করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে গত নভেম্বর থেকে ইরানের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট দাবি করেছেন, এই নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে তেহরানকে ওয়াশিংটনের ইচ্ছার কাছে মাথানত করতে বাধ্য করা যাবে।
ট্রাম্প এমন সময় এ দাবি করলেন যখন আমেরিকার ইরান বিরোধী নিষেধাজ্ঞা আরোপের নীতি সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। কারণ, পরমাণু সমঝোতায় স্বাক্ষরকারী বাকি দেশ ও পক্ষগুলো ইরানে ওপর আমেরিকার নিষেধাজ্ঞা আরোপের নীতির কঠোর বিরোধিতা করেছে।
এদিকে ট্রাম্প তার ভাষণে ইরানকে ইহুদি-বিদ্বেষী হিসেবেও তুলে ধরেছেন। তিনি তার ভাষায় বলেন, “যে সরকার আমেরিকা ধ্বংস হোক বলে স্লোগান দেয় এবং ইহুদিদের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালানোর হুমকি দেয় তাকে আমরা সারাক্ষণ পর্যবেক্ষণে রাখি।”
ট্রাম্প এমন সময় এ অভিযোগ করলেন যখন তেহরান শুরু থেকেই বলে এসেছে ইহুদি ধর্মের প্রতি দেশটির কোনো বিদ্বেষ নেই। বরং যে ইহুদিবাদী দর্শনের ভিত্তিতে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড জবরদখল করে ইসরাইল নামক অবৈধ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে তেহরান তার শত্রু। ট্রাম্প বর্তমানে ইসরাইলের প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে পরিচিতি অর্জন করেছেন এবং এই পৃষ্ঠপোষকতার অংশ হিসেবে তিনি ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসে বায়তুল মুকাদ্দাস শহরকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, ইরানের সাম্রাজ্যবাদ ও ইহুদিবাদ বিরোধী নীতি হচ্ছে তেহরানের প্রতি ট্রাম্পের সব আক্রোশের মূল কারণ। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ভাবছেন ইরানের ইসলামি শাসনব্যবস্থাকে উৎখাত করতে পারলেই তেহরানের সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী নীতিতে পরিবর্তন আনা যাবে। কিন্তু বাস্তবে তার ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। তিনি ইরানের ওপর অর্থনৈতিক সংকট চাপিয়ে দিয়ে এদেশের জনগণকে সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তোলা সম্ভব হবে বলে ধারণা করলেও এ ধরনের চাপে উল্টো বরং ইরানি জনগণের মধ্যে ঐক্য ও সংহতি বাড়বে এবং সরকারের প্রতি তাদের সমর্থন জোরালো হবে।
দৃশ্যত ২০১৬ সালে নিজের নির্বাচনি প্রচারাভিযানের সময় সন্ত্রাসবাদ সৃষ্টিতে ওয়াশিংটনের ভূমিকা থাকার যে স্বীকারোক্তি তিনি দিয়েছিলেন মঙ্গলবারের ভাষণ দেয়ার সময় ট্রাম্প তা বেমালুম ভুলে গেছেন। সে সময় তিনি অভিযোগ করেছিলেন, তৎকালীন বারাক ওবামা প্রশাসন উগ্র জঙ্গি গোষ্ঠী আইএস সৃষ্টি করে মধ্যপ্রাচ্যে ছড়িয়ে দিয়েছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প মঙ্গলবারের স্টেট অব দ্যা ইউনিয়ন ভাষণে ইরানের পরমাণু সমঝোতা থেকে আমেরিকাকে বের করে নেয়ার পদক্ষেপ সমর্থন করেও বক্তব্য রাখেন। ইরানকে কথিত পরমাণু অস্ত্র তৈরি থেকে বিরত রাখার জন্য এ পদক্ষেপ জরুরি ছিল বলে তিনি উল্লেখ করেন। অথচ পরমাণু সমঝোতায় স্বাক্ষরকারী বাকি দেশ ও পক্ষগুলো এমনকি আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা পর্যন্ত একবাক্যে স্বীকার করে এসেছে যে, ইরান পরমাণু সমঝোতা পুরোপুরি মেনে চলছে। এ কারণে তারা ইরানের পরমাণু সমঝোতা রক্ষা করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে গত নভেম্বর থেকে ইরানের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট দাবি করেছেন, এই নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে তেহরানকে ওয়াশিংটনের ইচ্ছার কাছে মাথানত করতে বাধ্য করা যাবে।
ট্রাম্প এমন সময় এ দাবি করলেন যখন আমেরিকার ইরান বিরোধী নিষেধাজ্ঞা আরোপের নীতি সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। কারণ, পরমাণু সমঝোতায় স্বাক্ষরকারী বাকি দেশ ও পক্ষগুলো ইরানে ওপর আমেরিকার নিষেধাজ্ঞা আরোপের নীতির কঠোর বিরোধিতা করেছে।
এদিকে ট্রাম্প তার ভাষণে ইরানকে ইহুদি-বিদ্বেষী হিসেবেও তুলে ধরেছেন। তিনি তার ভাষায় বলেন, “যে সরকার আমেরিকা ধ্বংস হোক বলে স্লোগান দেয় এবং ইহুদিদের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালানোর হুমকি দেয় তাকে আমরা সারাক্ষণ পর্যবেক্ষণে রাখি।”
ট্রাম্প এমন সময় এ অভিযোগ করলেন যখন তেহরান শুরু থেকেই বলে এসেছে ইহুদি ধর্মের প্রতি দেশটির কোনো বিদ্বেষ নেই। বরং যে ইহুদিবাদী দর্শনের ভিত্তিতে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড জবরদখল করে ইসরাইল নামক অবৈধ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে তেহরান তার শত্রু। ট্রাম্প বর্তমানে ইসরাইলের প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে পরিচিতি অর্জন করেছেন এবং এই পৃষ্ঠপোষকতার অংশ হিসেবে তিনি ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসে বায়তুল মুকাদ্দাস শহরকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, ইরানের সাম্রাজ্যবাদ ও ইহুদিবাদ বিরোধী নীতি হচ্ছে তেহরানের প্রতি ট্রাম্পের সব আক্রোশের মূল কারণ। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ভাবছেন ইরানের ইসলামি শাসনব্যবস্থাকে উৎখাত করতে পারলেই তেহরানের সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী নীতিতে পরিবর্তন আনা যাবে। কিন্তু বাস্তবে তার ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। তিনি ইরানের ওপর অর্থনৈতিক সংকট চাপিয়ে দিয়ে এদেশের জনগণকে সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তোলা সম্ভব হবে বলে ধারণা করলেও এ ধরনের চাপে উল্টো বরং ইরানি জনগণের মধ্যে ঐক্য ও সংহতি বাড়বে এবং সরকারের প্রতি তাদের সমর্থন জোরালো হবে।
No comments